চুমু খাওয়া বা চুম্বন করার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আমরা সবায় প্রিয়জনকে চুমু খেতে পছন্দ করি এবং যখন তখন পছন্দের মানুষটি চুম্বন করে থাকি। চুম্বন ভালোবাসা প্রশাসের অন্যতম একটি মাধ্যম। তবে এই চুমু খাওয়ার মাঝে অনেক উপকারিতা রয়েছে তাকি আপনারা জানেন ?
বন্ধুরা আজ আপনাদের জানাবো- চুমু খাওয়ার মাঝে কি কি উপকারিতা রয়েছে সে সম্পর্কে। চুমু খাওয়া নিয়ে বিজ্ঞানীরা বিস্তর গবেষনা করেছেন- তাদের গবেষনায় কি পেয়েছেন উপকারিতা এইগুলো জানার চেষ্টা করবো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
সূচিপত্রঃ চুমু খাওয়ার উপকারিতা।
চুমু খাওয়ার উপকারিতা
চুমু খাওয়ার নিয়ম
কিভাবে কিস করলে মেয়েরা খুশি হয়
মেয়েদের ঠোঁটে কিস করলে কি হয়
কোথায় কিস করলে কি হয়
লেখকের মন্তব্যঃ
চুমু খাওয়ার উপকারিতা
চুমু ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। অনেকেই নিছক ভালোলাগার জন্যই চুমু খেয়ে থাকেন তার প্রিয় জনকে। চুমু খাওয়ার কোন সময় কাল নেই। তবে ইসলামী আকিদা মতে স্বামী বাইরে যাওয়ার সময় স্ত্রীর কপালে চুমু খেয়ে গেলে উভয়ের উপর বরকত পূর্ণ শান্তি বিরাজ করে এমন বলতে শোনা যায়। এই বাদেও চুমু খাওয়ার যে সব উপকারিতা রয়েছে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
❏ বিজ্ঞানীদের মতে, মানসিক চাপ অনেকখানি কমে একটি চুম্বনের ফলে। শারীরিক অনুশীলন করার মতোই চুমু শরীরে ‘হ্যাপি হরমোন’ নিঃসরণ করে। এ সেই হরমোন, যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবৃত্তি কমিয়ে দেয়।
❏ নিয়মিত চুম্বনের ফলে দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।
❏ চুমু খাওয়ার ফলে শরীরের অক্সিটোসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে স্নায়ু শান্ত হয়।
❏ চুমুর ফলে মুখের প্রায় ৩০টি পেশির নড়াচড়া হয়। ফলে মুখমণ্ডলের রক্তচলাচল বাড়ে। তাই ত্বক আরও উজ্জ্বল দেখায়।
❏ ২ মিনিট একটানা চুম্বন করলে অন্তত ৬ ক্যালোরি ক্ষয় হয়।
❏ চুমু খাওয়ার সময় হৃৎপিণ্ড অধিক সক্রিয় হয়ে ওঠায় ব্যায়ামও হয়ে যায়। ফলে রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।
❏ যাঁরা নিয়মিত চুমু খান, তাঁদের অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়ে যায়।
❏ নিয়মিত চুম্বনের ফরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
❏ কমাবে উদ্বেগ, বিভিন্ন কারণে আমরা প্রায় উদ্বেগে ভূগে থাকি। এই উদ্বেগ বা অস্থিরতা কমাতে টনিকের মতো কাজ করে চুমু।
❏ সম্পর্ক ভালো রাখে, চুমু খাওয়ার ফলে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক আরো বেশি মজবুত হয়।
চুমু খাওয়ার নিয়ম
চুম্বন খাওয়ার সময় অবশ্যয় কিছু নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে, তানালে হিতে বিপরীত হবে পারে। যাকে চুমু খাবেন, তারও সম্মতি থাকাটা জরুরী। চুম্বনের সময় জিভের ব্যবহার হয়, তা সকলেরই জানা। তাই নিয়মিত জিভ পরিষ্কার রাখা খুব দরকার। চুমু খাওয়ার আগে চেষ্টা করুন হালকা গরমজলে ভালো করে কুলকুচি করে নিন, অবশ্যই যদি সময় পান।
এতে মুখের ভিতরের ব্যকটেরিয়া নষ্ট হবে। ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। বারবার ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার লাগান। উজ্জ্বল-সুন্দর ঠোঁট চুমু খাওয়ার সময় সঙ্গীর মনে আলাদা ভালো লাগা তৈরি করে। আদর করার সময় কপালে চুমু খেতে কিন্তু ভুলবেন না। কেননা, কপালে চুমু, সম্মানের প্রতীক। কপাল-ঠোঁট ছাড়াও আরো চুমু খাওয়ার স্থান রয়েছে, যেগুলো চুমু খাওয়া যায়।
কিভাবে কিস করলে মেয়েরা খুশি হয়
একজন ছেলে বা পুরুষ মানুষের জন্য এই বিষয়টি জানা খুবই জরুরী। ভালোবাসার বহিঃ প্রকাশ হিসেবে অবশ্যয় আপনার সঙ্গিনীকে চুম্বন করবেন। কোথায় কখন কোন অবস্থায় মেয়েরা চুম্বন বা আলিঙ্গন পছন্দ করে তা জেনে নিয়ে সে অনুযায়ী কিস করাটায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তবে সব সময় তার সম্মতি আছে কিনা সেটা অনুমান করে নিবেন।
মেয়েদের ঠোটে কিস করলে কি হয়
অস্থির পৃথিবীতে একটি ব্যতিক্রমী যদি কোন সৃষ্টি থাকে সেটি হচ্ছে মেয়ে মানুষ। যাদের গুনাগুন এবং দোষের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আর ঠিক আমরা পুরুষরা তার উল্টো। ছেলেদের মধ্যে যে অনুভূতি কাজ করে মেয়েদের মধ্যে সেই অনুভূতি খুব একটা কাজ করে না বললেই চলে। ছেলেরা সব সময় চায় তাদের সঙ্গিনীর সঙ্গ পেতে, কিছুটা একা পেলেই কিস করতে চায়। কিন্তু মেয়েরা তা নয়।
মেয়েদের ঠোটে কিস করলে, এ বিষয়ে বিজ্ঞান জানিয়েছেন যে চোখে চোখ রেখে যদি কোন পুরুষ কোন নারীকে চুমু খায় তাহলে এর ভিতরে অনেক গুণাগুণ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সোয়াইন ফ্লুয়ের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যেতে থাকে। এবং শুধু এতোটুকুই নয় ঠোঁটে ঠোঁট রেখে যদি কোন পুরুষ কিংবা নারী যে সুখের মধ্যে ডুবে যায় এই চুমুর কারণে তাদের শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি দূরে সরে যায়।
বিজ্ঞান জানিয়েছে ঠোঁটে ঠোঁট এবং চোখে চোখ রেখে যদি কোন স্বামী কিংবা স্ত্রী চুমু খায়। তাহলে এটা তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক ভালো। স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক ভালো বললাম তার কারণ হলো এতে করে অধিক চুমা খেলে মানুষের ইমিউনিটি বাড়ে। শুধু তাই নয় এগুলো ছাড়াও জন্মগত বেশ জটিল রোগ গুলো সেরে যেতে থাকে। এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।
অর্থাৎ ঠোঁটের সাথে ঠোঁটের যখন সংস্পর্শ হয় তখন শরীরের মধ্যকার সাইটোমেগালোভাইরাস দূর হয়ে যায় এবং শরীরের উপকার হয়ে থাকে। অর্থাৎ বলা হয় যে অন্তঃসত্ত্বা যখন হয়ে থাকে তখনও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এই অভ্যাসটি চালু রাখা উচিত কেননা তাদের যে সন্তান পৃথিবীতে আসবে এর কোন জিনগত ত্রুটি থাকবেনা।
কোথায় কিস করলে কি হয়
চুমু খাওয়া এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো। বিশেষ করে যদি কোন পুরুষ কোন নারীর ঠোঁটে লিপ কিস করে, তাহলে সেক্ষেত্রে সেটি আরো বেশি উপকারী। তবে সেটি হতে হবে স্বামী কিংবা স্ত্রী অর্থাৎ হতে হবে বৈধ। তাছাড়া যদি কেউ প্রেমের সম্পর্কে এই সকল চুমু কিংবা কিস এ জড়ায়। তাহলে সে ক্ষেত্রে অন্যরকম কিছু অনুভূতি তাদের মধ্যে জেগে থাকে।
অর্থাৎ কিছু কিছু কিস প্রেমের সম্পর্কের এবিলিটি অনেক বাড়িয়ে তোলে। কিছু কিছু প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে যেগুলোতে ছেলে মেয়ে উভয়েই তাদের মনের কথা বলতে পারে না। তবে যখন তাদের মধ্যে কিস এর অনুভব হয়, তখন তাদের মধ্যে আর কোনো কথা গ্রহণ থাকে না সব কথাই তারা পরস্পরকে বলতে থাকে। তো কোথায় কিস করলে কি হয় এ সম্পর্কে চলুন এবার পরিষ্কার ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
- সর্বপ্রথমেই বলবো কানে যদি কেউ কোনদিন চুমু দেয় তাহলে মনে করবেন এতে করে প্রেমের প্যাশনেট টা বেড়ে যায়।
- ঘাড়ে চুমু খেলে বোঝা এটাতে প্রেমিক বা প্রেমিকা ঐ মুহূর্তে খুবই রোমান্টিক।
- গালে কেউ যদি কিস করে তাহলে মনে করবেন এটি বন্ধুত্বের ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত।
- হাতের তালুতে চুমু দেওয়াকে বোঝায় আপনাকে কেউ অনেক পছন্দ করে।
- আর কেউ যদি তাদের প্রিয়জনকে কাছে পেতে চাই তাহলে তাদের পায়ের তালুতে আলতো চুমু দিতে হবে।
লিপ কিস করলে কি হয়
লিপ কিসের সাথে বিভিন্ন প্রকারের সামঞ্জস্য ঘটাতে পারেন, যেমনঃ
আত্মীয়তা ও ভালোবাসা প্রকাশঃ লিপ কিসের মাধ্যমে আপনি আপনার ভালোবাসা এবং আত্মীয়তা প্রকাশ করতে পারেন। এটি প্রেমিক বা জীবনসঙ্গীর সাথে একটি মুখোমুখি মুহূর্ত যা সংবাদ, মনোযোগ, এবং ভালোবাসার সাথে সম্পর্কিত অনুভূতি উপস্থাপন করে।
আনন্দ এবং মনোরমতাঃ লিপ কিস আনন্দময় এবং মনোরম অনুভূতি উপহার করতে পারে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে সময় পালন করতে পারেন।
সামঞ্জস্য এবং বন্ধুত্বঃ লিপ কিসের মাধ্যমে সম্পর্কের বন্ধুত্ব, সম্মতি এবং সামঞ্জস্য নিশ্চিত করা যেতে পারে।
ভালোবাসার হার্মোনিঃ লিপ কিসের মাধ্যমে সম্পর্কে ভালোবাসার হার্মোনি বৃদ্ধি করা যেতে পারে, যা দুই ব্যক্তির মধ্যে নিকটতা ও সামঞ্জস্য সৃষ্টি করে।
সাধারণত, লিপ কিসের মাধ্যমে সংবাদ, আত্মীয়তা, আনন্দ এবং ভালোবাসার মন্ত্রাবলী উপস্থাপন করা হয়। এটি প্রেমিক বা জীবনসঙ্গীর মধ্যে সাম্প্রতিকতম এবং ভালোবাসা প্রকাশের একটি সাধারণ মাধ্যম। তবে, এটি আপনার সম্পর্কের সুরক্ষিত এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সীমানা ও মর্যাদা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সতর্ক ও সম্মত অনুমতির সাথে শুভ লিপ কিস হতে পারে এবং অভিজ্ঞতার একটি মুখোমুখি মুহূর্ত উপহার করতে পারে।
ছেলেদের কোথায় কিস করলে খুশি হয়
একটি ছেলে খুশি হওয়ার কারণে কোন নির্দিষ্ট স্থান বা কিছু নয়, বরং কোনও নিকটতা বা মেয়াদোত্তীর্ণ মুহূর্তে কিসের মাধ্যমে ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য। ছেলেদের এমন কিছু প্রকারের কী খুশি করে তা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি ভিন্ন হতে পারে। কিছু ছেলে প্রাথমিক ভালোবাসার অনুভূতি বা নগদ প্রকাশ পছন্দ করতে পারে, যেমন হাত ধরা, আঁকা করা, বা কন্যার মুখে স্নেহময় কিছু বলা।
আরেকদিকে, অন্যান্য ছেলেরা আপনার প্রেমিকার নিকটতায় অনুভূতি প্রকাশের জন্য বেশি গায়ে ছুটি প্রদান, মুখে মুখে বা কোনও রোমান্টিক স্থানে কিস করতে পছন্দ করে। সামঞ্জস্য, সম্মতি এবং আপনার প্রেমিকার সাথে সংকৃতি গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি আপনার ছেলের সাথে সাক্ষাৎকার করে তার পছন্দ এবং অনুভূতি নির্ধারণ করতে পারেন এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সুস্থ প্রেমিকতা গড়ে তুলতে পারেন।
ছেলেদের ভালোবাসা প্রকাশের সাথে সাথে প্রাকৃতিকভাবেই তারা খুশি হয়। তবে, বিশেষত কিছু পুরুষ ছেলের জন্য প্রাথমিক আকর্ষণ এবং ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যমে উত্তেজনা উৎপন্ন হয়। তাদের সাথে কিস করা খুবই উত্তেজনাসৃষ্টি কারক হতে পারে। কিছু সাধারণ জায়গা যেখানে কিস করা ছেলেদের খুবই উত্তেজিত করতে পারেঃ
- মুখে মুখে কিসঃ এটি খুব সাধারণ এবং প্রিয় উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে, সহজ ও সরল।
- হাতে কিসঃ এটি অন্যত্র এবং আন্তরিক অনুভূতি প্রকাশের একটি সুন্দর উপায়।
- কন্যার শিরেঃ বিশেষত রোমান্টিক এবং আকর্ষণীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
- পেছনের জানলা বা কানের পিছনেঃ এটি ভালোবাসার পরিচয় প্রকাশের উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
আপনি জানেন, সবাই একই নয়, এবং প্রেমিকের পছন্দ ও সুখের অবস্থা নিয়ে বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। সামগ্রিকভাবে, প্রেমিকের সাথে কিস করার মধ্যে বিশ্বাস এবং সম্মতি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রেমিক বা সাথীর সাথে কিস করার আগে সদা এটির সাথে আপনার প্রেম ও সম্মতি নিশ্চিত করুন।
লেখকের মন্তব্যঃ
চুম্বন যে শুধু ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম তা কিন্তু নয়। এতক্ষণে জেনে গেছেন নিশ্চয় চুম্বনের উপকারিতার কথাগুলো সম্পর্কে। প্রিয় মানুষটাকে আদর করবেন, যত্নে রাখবেন, ভালোবাসবেন, চুমু খাবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে সেটা হতে হবে নিয়মের মধ্যে। মেয়েরা কখন কি চায়, তা বুঝে সে অনুযায়ী চলবেন, তাহলেই স্বাভাবিক থাকবে জীবন। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url