মেলামেশা করার খুব ইচ্ছা হলে মেয়েরা যে সিগন্যাল দিয়ে ডাকে বিস্তারিত জানুন
দাম্পত্য জীবনের সুখ শান্তি অনেকাংশে নির্ভর করে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে শারীরিক মেলামেশা করে পুরোপুরি পরিতৃপ্তি লাভের মাধ্যমে। সাধারণত মেলামেশার জন্য পুরুষরায় স্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিয়ে থাকেন। কিন্তু মেলামেশা করার খুব ইচ্ছা হলে মেয়েরা মুখে বলতে পারেনা। তারা কি ইশারায় বা অঙ্গ ভঙ্গি করে সঙ্গিকে কাছে ডাকে তাকি জানেন ?
হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের জানাবো মেয়েদের যদি মেলামেশার খুব ইচ্ছা হয় তবে তারা মুখে বলতে না পারায় কিভাবে তার সঙ্গিনীকে ডাকে বা ইশারা করে অঙ্গভঙ্গিতে কাছে ডাকে সে সম্পর্কে। আপনার জীবনে এই রকম সময় এসেছে কিনা তা মিলিয়ে নিন।
ভূমিকাঃ
স্বামী-স্ত্রী খুব অন্তরঙ্গ এবং ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্বেও স্ত্রীরা সব সময় তাদের মেলামেশার ইচ্ছার কথা স্বামীর কাছে বলতে পারেনা। তারা বিভিন্ন ভাবে ইশারা ইঙ্গিত করে বোঝাতে চান যে, সে এখন মেলামেশা করতে চায়। একায় আছে মেয়েদের বুক ফুটে কিন্তু মুখ ফুটেনা। এটা কিন্তু সারা জীবন এক সাথে বসবাস করার পর ঘটে মেয়েদের ক্ষেত্রে।
সূচিপত্রঃ
শারীরিক মেলামেশার ইচ্ছা হলে মেয়েরা কি করে
হঠাৎ শারীরিক মিলন বন্ধ করলে মেয়েদের কি হয়
শারীরিক মিলনের উপকারিতা
সপ্তাহে কতবার স্বামী-স্ত্রী মেলামেশা করা উচিৎ
লেখকের মন্তব্যঃ
শারীরিক মেলামেশার ইচ্ছা হলে মেয়েরা কি করে
সাধারণত এমনটা মনে করা হয়, ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে নারীদের যৌন চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? উত্তর খুঁজতে গিয়ে কিন্তু বেরিয়ে এসেছে অন্য তথ্য যা শুনলে চমকে যাবেন আপনিও। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে নারীদের শারীরিক চাহিদা ৩৬ বছর বয়সে যৌন চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে।
মেয়েরা যৌন মিলনে আগ্রহী হলেও তারা খুব সহজে তাদের সঙ্গিনীকে বলতে পারেনা। তারা বিভিন্ন আকাঁর ইঙ্গিতে বোঝাতে চান। আসুন জেনে যাক- তারা প্রবল ভাবে বা জোরে জোরে শ্বাস নিতে শুরু করে। তখন পুরুষ সঙ্গিকে বোঝা উচিৎ যে, তার স্ত্রী সহবাস করার জন্য প্রস্তুত বা প্রস্তাব দিচ্ছে তাকে।
একজন মহিলা যখন নিজের চুল নিয়ে খেলা করবে তখন বুঝবেন সে আপনাকে মেলামেশা করার জন্য আহবান করছে। আরো একটি ইশারা হলো সে আপনার চোখের দিকে তাকাবে এবং হাসতে থাকবে। আবার আপনার কাছে এসে কানের কাছে ফিসফিস করে কি যেন বলবে এবং হাসবে।
অনেক মেয়েরা তাদের নিজেদের ঠোট কামড় দেয়, আপনাকে দেখিয়ে সে নিজের ঠোট কামড়াতে থাকবে। আবার কেউ কেউ নিজের শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করে তাহলে বুঝবেন এটা তার পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়ার সামিল। আবার কোন কোন সময় আপনার স্পর্শকাতর স্থানগুলোতেও হাত দিতে পারে।
হঠাৎ শারীরিক মিলন বন্ধ করলে মেয়েদের কি হয়
হঠাৎ শারীরিক মিলন বন্ধ করলে মেয়েদের যা হয়, সকল ছেলেদের জানা উচিৎ। স্বামী-বিয়োগ, বিবাহ-বিচ্ছেদ, বা অন্য শহরে চাকরি, এধরনের নানাবিধ কারণে নিয়মিত যৌন মিলন বন্ধ হয়ে যায় অনেক নারীর জীবনে। এতে অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্থ হয় নারী শরীর। মানসিক দিক থেকে সুখ ও শান্তি চলে যায়
আগের চেয়ে অনেক বেশি উতলা করে তোলেঃ আমরা সবাই জানি, মিলন হতাশা, হাঁহুতাশ মেটাতে সাহায্য করে। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে যদি নারীর জীবনে সহবাসের চ্যাপ্টার বন্ধ হয়ে যায়, তবে মানসিক তৈরি হতে পারে। কথায় কথায় মন খারাপ, কিছু ভালো না লাগা, কারণে অকারণে অতিরিক্ত রাগ জন্মাতে শুরু হতে পারে।
স্কটিশ গবেষকদের পরীক্ষায় জানা যায়, সহবাস বন্ধ হয়ে গেছে এমন মহিলাদের নাকি মানুষের সঙ্গে কথা বলতেও অসুবিধে হয়। কিন্তু সহবাস করা বন্ধ হয়ে গেলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। সর্দি কাশি প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, মিলন- করলে শরীরে রোগ-জীবাণুর প্রবেশ কষ্টকর হয়ে ওঠে।
সহবাস করা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে, মিলিত হওয়ার বাসনা কমে যায়। এটা মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য। শরীরে উত্তেজনা লোপ পেতে শুরু করে। একটা সময় পর আর কামেচ্ছা জাগে না। বুদ্ধি কমে যায়, নিয়মিত সহবাস করা শুরু করলে, সেটা যদি হঠাৎ বন্ধ হয় যায়, তবে বুদ্ধি লোপ পেতে পারে। সারাক্ষণের ক্লান্তি, হতাশা মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
শারীরিক মিলনের উপকারিতা
প্রতিদিন শারীরিক মিলনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা একজন নারীর প্রজনন ক্রিয়ায় সক্রিয়তা বেশী থাকে। এছাড়া নিয়মিত যৌন মিলনে প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে, মাসিকের নানা সমস্যা দূর হয়। শারীরিক মিলনের ফলে মানসিক চাপ কমে যায়। নিয়মিত ও সুস্থ যৌন মিলন কেবল সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় না, বরং এটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য বৃদ্ধিঃ নিয়মিত যৌন মিলন হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এটি রক্তপ্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে, যা হৃদযন্ত্রের সমস্যা, বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে পারে।
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করাঃ নিয়মিত যৌন মিলন শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সহায়তা করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়।
মানসিক চাপ কমানোঃ যৌন মিলন মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। যৌন মিলনের সময় শরীর থেকে এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়, যা মানসিক চাপ কমায়।
ব্যথা উপশম করেঃ মিলনের সময় এবং পরে অক্সিটোসিন এবং এন্ডোরফিন নিঃসরণের ফলে শরীরে প্রাকৃতিক ব্যথানাশক কাজ করে, যা মাইগ্রেন, মাসিকের ব্যথা এবং অন্যান্য শারীরিক অস্বস্তি উপশম করতে সাহায্য করে।
ঘুমের উন্নতি করেঃ মিলনের পর শরীর থেকে অ্যান্টি-স্ট্রেস হরমোন নিঃসৃত হয়, যা ঘুমানোর প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে এবং ভালো ঘুম আনতে সহায়ক হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ নিয়মিত যৌন মিলন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। এটি বিশেষ করে সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
ক্যালোরি পোড়ানো/ কমানোঃ যৌন মিলন শরীরের ক্যালোরি পোড়ায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক ব্যায়ামের মতো কাজ করে।
সপ্তাহে কতবার স্বামী-স্ত্রী মেলামেশা করা উচিৎ
যৌনতা কারও কাছে ভালবাসা প্রকাশের মাধ্যম, কারও কাছে শারীরিক পরিতৃপ্তি হওয়ার ক্ষেত্র। কিন্তু জানেন কি, যৌন মিলনের অভাবনীয় উপকারিতার কথা। বিশেষ করে মেয়েরা একবার যৌন মিলন করলে আর কয়েক দিন খবরই থাকেনা। তারা শুধু স্বামীর প্রতি দায়িত্ব পালন হিসেবেই এটা করে থাকেন।
বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে, উপকারিতার কথা বিবেচনা করে সপ্তাহে একাধিকবার মিলন করা উচিৎ। অপর এক গবেষনায় দেখে গেছে, যাঁরা সপ্তাহে অন্তত দু’ থেকে তিন বার সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন, তাঁরা অনেক বেশি সুস্থ রয়েছেন অন্যদের তুলনায়। নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে থাকলে শরীরে প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায় আইজিএ নামক অ্যান্টিবডি।
লেখকের মন্তব্যঃ
মেলামেশা করার ইচ্ছা সবারই থাকে। পুরুষরা খুব সহজে তার সঙ্গির কাছে বলতে পারলেও মেয়েরা সহজে বলতে পারেনা। তাই তারা বিভিন্ন ইশারা ইঙ্গিতে বা অঙ্গ ভঙ্গিতে তার সাথীকে ডাকে। পুরুষ হিসেবে তার ডাকার ভঙ্গিগুলো বোঝার চেষ্টা করুন উপরের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url