মহিলাদের হজ পালনের নিয়মাবলী - মহিলাদের হজ ও ওমরাহ করার শর্ত সমূহ
হজ হচ্ছে ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে একটি। সম্পদশালীদের উপর হজ পালন করা ফরজ। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মাবলী আছে যা জানা সবারই জরুরী। আপনি কি মহিলাদের হজ পালনের নিয়মাবলী জানতে চান ?
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজ আপনাদের জানাবো- মহিলাদের হজ পালনের নিয়মাবলী সমূহ। কোন কোন নারীদের উপর হজ পালন করা ফরজ এবং হজ পালন করতে গেলে তাদের সাথে কে কে থাকবেন, কোন কোন ব্যক্তির সাথে হজ পালন করতে যেতে পারবেন ইত্যাদি সব বিষয় জানতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ মহিলাদের হজ পালনের নিয়মাবলী সমূহ।
মহিলাদের হজ পালনের নিয়ম
মহিলাদের হজ পালনের শর্ত
মহিলাদের ওমরাহ পালনের নিয়ম
হজ্জে মহিলাদের পর্দা
মহিলাদের ইহরামের কাপড়
মাহরাম ছাড়া কি মহিলাদের হজ হবে ?
মাহরাম কারা ?
লেখকের মন্তব্যঃ
মহিলাদের হজ পালনের নিয়ম
একটা বিষয়ে সকলে একমত হবেন যে, যে কোন পুরুষ বা মহিলা সম্পদশালী হলেই তার উপর হজ ফরজ। কারণ ফরজ সংক্রান্ত আয়াতে নারী-পুরুষ সকলের উপরই হজ্জ ফরজ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাসুলে কারিম (সাঃ) এর হাদীস থেকেও প্রমানিত যে নারী পুরুষ সকলের উপরই হজ্জ ফরজ। ইসলামের পাঁচটি বুনিয়াদ সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।
হযরত আয়েশা (রা) বলেন, আমি রাসুলে কারিম (স) এর দরবারে প্রশ্ন করেছি হে আল্লাহর রাসুল! নারীদের উপর কি জিহাদ নেই? তিনি জবা্ব দিলেন হ্যাঁ নারীদৈর উপর্ও জিহাদ আছে তবে এই জিহাদে কিতাল তথা সশস্ত্র সংগ্রাম নেই। ( নারীদের জিহাদ হচ্ছে) হজ্ ও উমরাহ পালন করা। ( আহমদ ইবনে মাযা) ।
নারীদের উপর হজ্জ ফরজ এ বিষয়ে সবায় একমত হলেও তাদের সাথে মাহরাম থাকা শর্ত কিনা কিংবা পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে অপর বিশ্বস্ত মহিলাদের সাথে হজ্জে যেতে পারবে কিনা এ বিষয়ে আলেমদের মধ্যে একাধিক মত বিদ্যমান। তবে হক্কানী আলেমদের মতে মাহরাম ছাড়া হজ্জে ও ওমরাতে যেতে পারবে না।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসুলে কারিম (সাঃ) কে বলতে শুনেছি কোন পুরুষ কোন মহিলার তার মাহরাম ছাড়া নিংসংগ অবস্থায় থাকবেনা। আর কোন মহিলা মাহরাম ছাড়া সফর করবেনা। একথা শুনার পর জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলো হে আল্লাহর রাসুল! (সাঃ) আমার স্ত্রী হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে আর আমি অমুক জিহাদে নাম লিখিয়েছি।
এতদশ্রবনের পর আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বললেন! তুমি চলে যাও এবং তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ পালন কর। ( বুখারি ও মুসলিম)। হযরত আবু উমামা আল বাহেলী থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসুলে কারিম (সাঃ) কে বলতে শুনেছি কোন মুসলিম মহিলার পক্ষে একাকী হজ্জ করা বৈধ নয় তার সাথে তার স্বামী বা মাহরাম ছাড়া ( তিবরাণী)।
মহিলাদের হজ পালনের শর্ত
মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ হয়েছে নবম হিজরি থেকে। এর আগে তৎকালীন লোকেরা নিজস্ব নিয়মে হজ পালন করতেন। হজ নবম হিজরিতে ফরজ হলেও এর প্রচলন শুরু হয়েছে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের সময়কাল থেকে। হজের বিধান নারী-পুরুষ সবার জন্য ফরজ। হজ ফরজের জন্য প্রাধানত পাঁচটি শর্ত রয়েছে। এই শর্তগুলো কারো মাঝে পাওয়া গেলে তার জন্য হজ ফরজ।
শর্তগুলো হলো- (এক) মুসলমান হওয়া। (দুই) জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া। (তিন) প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া। (চার) স্বাধীন হওয়া। (পাঁচ) সামর্থ্য থাকা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, 'মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর উদ্দেশে এ গৃহের হজ করা ফরজ। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।' (সুরা আলে ইমরানঃ ৯৭)।
তবে নারী-পুরুষের হজ ফরজ হওয়ার শর্তের মাঝে সামান্য কিছু পার্থক্য রয়েছে। নারীদের ক্ষেত্রে পার্থক্যকারী বিধানটি হলো অন্যসব শর্তের সঙ্গে সঙ্গে মাহরাম থাকা। ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতে- পুরুষের মতো আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্যবান হলেই নারীর ওপর হজ ফরজ হয় না,
বরং নারীর জন্য কিছু অতিরিক্ত শর্ত পূরণ হওয়া জরুরি। আর তাহলো- হজের সফরে নারীর সঙ্গেস্বামী বা মাহরাম থাকা। মাহরাম ছাড়া নারীদের হজে গমন শরিয়তের দৃষ্টিতে জায়েজ নয়, এতে হজ মাকরুহের সঙ্গে আদায় হয়ে গেলেও মহিলা গুনাহগার হবে। (আল জাওহারাঃ ১/১৫০)।
মাহরামের হজের খরচ সম্পন্ন করার সক্ষমতা থাকা। শুধু নিজের হজ করার সামর্থ্য থাকলেও নারীর জন্য হজ ফরজ হয় না। তবে, মাহরাম যদি ফরজ হজ করতে যায়, সেক্ষেত্রে তার সঙ্গে গেলে খরচ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। (বাহরুর রায়েকঃ ২/৩৩৯) তালাকপ্রাপ্ত বা বিধবা হলে (পরবর্তী ৩ মাস) ইদ্দত পরিপূর্ণ করা।
বিবাহিত নারীর ফরজ হজের জন্য স্বামীর অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, তবে অনুমতি নেওয়া মুস্তাহাব। স্বামী যদি স্ত্রীর হজের যাবতীয় খরচ বহনের সক্ষমতা অর্জন করেন, এতে স্ত্রীর ওপর হজ ফরজ হয় না। স্ত্রীর যদি নিজ মালিকানায় হজ ফরজ হওয়ার মতো সম্পদ অর্জন থাকেন বা পিতার সম্পদ প্রাপ্ত হয়ে থাকেন, তাহলেই নারীর ওপর হজ ফরজ হবে।
স্বামী যদি তার টাকায় স্ত্রীকে হজ করান, তবে স্ত্রীর ফরজ আদায় হয়ে যাবে। নারীরা অন্য নারীর সঙ্গে মিশে হজ করতে পারবে না। টাকার ব্যবস্থা থাকার পরও উপযুক্ত মাহরাম না থাকায় হজ করতে না পারলে বদলি হজের অসিয়ত করে যাবে। মৃত্যুর পর তার সম্পদের এক তৃতীয়াংশ দ্বারা তা আদায় করা হবে। নারীর ওমরার ক্ষেত্রেও এই শর্তগুলোই প্রযোজ্য।
মহিলাদের ওমরাহ পালনের নিয়ম
ওমরাহ পালন করার সময় পুরুষদের তুলনায় নারীদের বিভিন্ন বিষয়ে উদ্বেগ থাকে। যেমন ঋতুস্রাবের সময় কী করতে হবে, একজন নারী মাহরাম ছাড়া ওমরাহ পালন করতে পারবে কিনা। ইহরাম অবস্থায় প্রবেশ করার সময় কী পরতে হবে। কী পরতে হবে না। এসব বিষয়ে নারীদের ৭টি নির্দেশনা পাওয়া যায়।
ওমরাহ যাত্রায় নারীদের একাকী ভ্রমণ
মাহরাম পুরুষ ব্যতীত নারীদের তিন দিন বা তার চেয়ে বেশি দূরের সফর করতে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন। কারণ এই দীর্ঘ সফরে তার নিজের সম্মান-সতীত্ব রক্ষা করা একটি অপরিহার্য দায়িত্ব। এ ছাড়া কোনো দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার শিকার হলে তখন তার সেবা-যত্নের প্রয়োজন হতে পারে। তখন কোনো মাহরাম পুরুষ না থাকলে সমস্যা হতে পারে। (আপকে মাসায়েল : ৪/৮০)।
নারীদের তালবিয়া পাঠের নিয়ম
তালবিয়া ওমরাহ ও হজ্জের একটি অপরিহার্য অংশ, যা পুরুষ ও নারী উভয়েই পাঠ করতে হয়। পুরুষ ওমরাহ পালনকারীরা জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ করবে, আর নারীরা নীচু স্বরে তালবিয়া পাঠ করবে, যেন এটি কেবল সে নিজেই শোনাতে পায়।
নারীদের ইহরামের নিয়ম
ওমরাহর জন্য, পুরুষদের অবশ্যই ইহরামের পোশাক পরতে হবে। এগুলো হলো সাদা দুইটি কাপড়। আর নারীরা তাদের পুরো দেহ যেন ঢেকে রাখে এমন যেকোনো শালীন পোশাক পরতে পারেন। নারীদের পোষাক পর্দাশীল ও বিনয়ী হওয়া উচিত। উপরন্তু, নারীদের ইহরাম অবস্থায় পারফিউম, সুগন্ধি, গয়না এবং মেকআপ এড়িয়ে চলতে হবে।
নারীদের সাফা-মাওয়ায় সায়ি করার পদ্ধতি
সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সায়ি সবার করতে হয়। সাফা পাহাড় থেকে সায়ি শুরু করে প্রায় ৫০ মিটার দূরে সবুজ ফ্লুরোসেন্ট লাইটের দুটি সেট রয়েছে, সবুজ চিহ্নের জায়গাটি দৌড়ে পাড় হতে হয়। এ সবুজ চিহ্নের জায়গায় পুরুষদের জন্য মাঝারি গতিতে দৌড়ানো সুন্নাত, যেখানে নারীরা দৌড়াবে না। তারা স্বাভাবিক গতিতে চলতে হবে।
তাওয়াফের সময় নারীদের রমলের নিয়ম
তাওয়াফের সময় যখন কাবা শরিফ সাত বার চক্কর দিতে হয়, তখন প্রথম তিন চক্করে রমল তথা কাঁধ দুলিয়ে দৌড়িয়ে বা দ্রুত চলতে হয়। তাকেই রমল বলে। নারীরা তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করতে হয় না। তারা সবগুলো চক্করে সাধারণ গতিতেই চলবে।
ওমরাহ বছরের যে কোন সময় পালন করা যায়। তাই হজে না সম্ভব হলেও নারীদের উচিত ওমরাহ করতে ওমরাহর সময় ঋতুস্রাব এড়াতে আগে থেকেই পরিকল্পনা করা। কারণ ওমরাহর বিধি-বিধান পালনের জন্য ঋতুমতী থেকে মুক্ত থাকা জরুরি।
যদি ঋতুস্রাব হয়, মনে রাখবেন যে হজরত আয়েশা (রা.)-এরও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর পক্ষ থেকে আদম কন্যাদের জন্য এটি নির্ধারিত। তাওয়াফ ব্যতীত নারীরা হজের সব বিধি-বিধান পালন করবে।
চুল কাটা ও ছোট করাঃ- পুরুষ ওমরাহ পালনকারীরা ওমরাহর সব বিধি-বিধান পালন করার পর তাদের মাথা ন্যাড়া করতে হবে। আর নারীরা তাদের হাফ ইঞ্চি পরিমাণ তাদের চুল কেটে নিবে।
হজ্জে মহিলাদের পর্দা
ইহরামের অবস্থায় গায়রে মাহরামের সঙ্গে মেয়েদের পর্দা করা অপরিহার্য। এটা ঠিক যে, ইহরামের হালতে মুখমন্ডলে কাপড় লাগানো নিষেধ, কিন্তু মুখে কাপড় লাগানো এবং গায়রে মাহরামের সামনে ইচ্ছা করে মুখ খোলা রাখা এক বিষয় নয়। এনিয়ে এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে ভূল ধারনা আছে।
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, ইহরামের হালতে আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) -এর সঙ্গে ছিলাম। লোকেরা যখন আমাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম করত তো আমরা আমাদের চাদর মাথার সামনে ঝুলিয়ে দিতাম। চলে যাওয়ার পর সরিয়ে ফেলতাম। (সুনানে আবু দাউদ)
এরপর মুখে কাপড় না লাগানোর বিধান তো শুধু ইহরামের হালতে প্রযোজ্য। উমরায় খুব বেশি হলে এক দুই দিন এবং হজ্বে তিন চার দিন। (তবে যদি কেউ ইফরাদ বা কিরানের নিয়তে ইহরাম বাঁধে তার বিষয় ভিন্ন) এই দিনগুলো ছাড়া যারা বেপর্দা ঘুরাফেরা করে তাদের তো ইহরামেরও অজুহাত নেই।
তাছাড়া মদীনা মুনাওয়ারার সফরে তো ইহরামের প্রশ্ন নেই। এই সফরে মদীনা মুনাওয়ারায় অবস্থানের দিনগুলোতে মুখ খুলে রাখা এবং সকল গায়রে মাহরামকে মাহরাম মনে করা অবশ্যই অজ্ঞতার পরিচায়ক যা গুনাহগার হওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। এই মোবারক সফরের পূর্ণ বরকত লাভের জন্য সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। (কিতাবুল হজ্ব, মাওলানা আশেকে ইলাহী বুলন্দশহরী পৃ. ২৮-২৯)
মহিলাদের ইহরামের কাপড়
পুরুষের জন্য ইহরামের কাপড় কমপক্ষে দুই সেট (প্রতি সেটে শরীরের নিচের অংশে পরার জন্য আড়াই হাত বহরের আড়াই গজ এক টুকরা কাপড় আর গায়ের চাদরের জন্য একই বহরের তিন গজ এক টুকরা কাপড়। ইহরামের কাপড় হবে সাদা। সুতি হলে ভালো হয়) আর নারীদের জন্য সেলাইযুক্ত স্বাভাবিক পোশাকই ইহরামের কাপড়।
ওমরাহ পালনকারী ব্যক্তি ইহরাম বাঁধার মাধ্যমে নিজের ওপর স্ত্রী সহবাস, মাথার চুল, হাতের নখ, গোঁফ, বগল ও নাভির নিচের চুল ইত্যাদি কাটা, সুগন্ধি ব্যবহার, সেলাই করা কাপড় পরা এবং শিকার করাসহ কিছু বিষয়কে হারাম করে নেন। এজন্য এটিকে ইহরাম বলা হয়।
যদি মাসিক স্রাব বা সন্তান প্রসবোত্তর স্রাব অবস্থায় ইহরাম করেন তাহলে তার জন্য শুধু তাওয়াফ করা, নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত ও মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। এছাড়া তিনি উমরার অন্যসব কাজ করতে পারবেন। পুরুষ-নারী উভয়ের জন্য আরো কিছু কাজ নিষিদ্ধ। ঝগড়া-বিবাদ নিষিদ্ধ।
মাহরাম ছাড়া কি মহিলাদের হজ হবে ?
হজ একটি ফরজ এবাদত ও গুরুত্বপূর্ণ বিধান হওয়া সত্ত্বেও মাহরাম ছাড়া যাওয়া জায়েজ নেই। তাইতো মাহরাম ছাড়া ওমরাতেও যাওয়া যাবে না। কারো যদি অনেক অর্থ সম্পদ থাকে এবং তার মাহরাম না থাকে তবে তিনি অন্য কাউকে দিয়ে প্রয়োজনে বদলি হজ করাবেন।
মাহরাম কারা ?
মাহরাম হচ্ছে কুরআন এবং সুন্নাহের আলোকে নির্ধারিত কিছু ব্যক্তি। যাদের সাথে আপনি কোনোদিন বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন না। তবে তাদের সাথে আপনি দেখা দিতে পারবেন এবং তাদেরকে সাথে নিয়ে সফর করতে পারবেন। মাহরাম ব্যতীত অন্য সকল পুরুষদের সাথে দেখা করা অথবা তাদেরকে সাথে নিয়ে সফর করা মুসলিম নারীদের জন্য সম্পূর্ণ হারাম।
নারীদের মাহরাম ১৪ জন।
তারা হলেন- বাবার সমপর্যায়ের ৪ জন
১. বাবা
২. চাচা
৩. মামা
৪. শ্বশুর
ভাইয়ের সমপর্যায়ের ৫ জন
৫. সহোদর ভাই
৬. নিজ দাদা
৭. নিজ নানা
৮. নিজ নাতি
৯. দুধ-ভাই
ছেলের সমপর্যায়ের ৫ জন
১০. ছেলে
১১. ভাইয়ের ছেলে
১২. বোনের ছেলে
১৩. মেয়ের জামাই
১৪. দুধ-ছেলে
লেখকের মন্তব্যঃ
নারী-পুরুষ সম্পদশালী উভয়ের উপর হজকে ফরজ করা হয়েছে। পুরুষ মানুষ যে কোন সময় হজ পালন করতে পারে। তবে নারীদের ক্ষেত্রে হজ পালনের বিধি বিধান কিছুটা আলাদা। নারীরা একায় বা অন্য কোন মানুষের সাথে হজ পালন করতে পারবেন না মাহরাম ছাড়া। আশা করি উপরের আলোচনা থেকে সব কিছু বুঝতে পেরেছেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url