কেন পরিবর্তন হচ্ছে পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের পোশাক কি রং হচ্ছে

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বাহিনীর পোশাকের পরিবর্তন হচ্ছে। এনিয়ে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আপনি কি জানতে চান কেন পরিবর্তন করা হচ্ছে এবং কোন বাহিনীর পোশাকের জন্য কোন রং নির্ধারণ করা হয়েছে ?

হ্যাঁ বন্ধুরা ঠিকই শুনেছেন। বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর পোশাকের রং পরিবর্তন হচ্ছে। কেন পরিবর্তন করা হচ্ছে পোশাকের রং এবং কোন রঙের পোশাক কোন বাহিনীর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আজকের আলোচনায়।

সূচিপত্রঃ

কেন পরিবর্তন করা হলো তিন বাহিনীর পোশাক
কোন বাহিনীর জন্য কোন রং নির্ধারণ করা হলো
শুধু পোশাকের রং পরিবর্তন করে কি কাজ হবে ?
পোশাক পরিবর্তন নিয়ে মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
সবার আগে সরকারকে ঠিক হতে হবে।
পোশাক পরিবর্তনে কেমন খচর হবে
লেখকের মন্তব্যঃ

কেন পরিবর্তন করা হলো তিন বাহিনীর পোশাক

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনী সংস্কারের দাবি ওঠে। একই সঙ্গে পুলিশের পোশাক পরিবর্তন দাবি ওঠে। পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তনের কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সবার মন-মানসিকতা পরিবর্তন করা জরুরি। সে জন্য পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন করা হচ্ছে।

পুলিশকে জনবান্ধব করতে হলে বাহিনীটির প্রশিক্ষণে পরিবর্তন আনতে হবে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। পুলিশ যেহেতু সাধারণ মানুষ ও ছাত্র জনতার উপর নির্যাতন, গুলি বর্ষণে হত্যা করে ছাত্র জনতার প্রতিপক্ষ হয়ে উঠে। তাই তাদের এই পরিবর্তন। কবে থেকে পোশাক পরিবর্তন হবে, জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ধীরে ধীরে পরিবর্তন হবে।

কোন বাহিনীর জন্য কোন রং নির্ধারণ করা হলো

                         পুলিশ                                            র‌্যাব                                                                 আনসার

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুলিশের পোশাক হবে লোহার (আয়রন) রঙের। র‍্যাবের পোশাক হবে জলপাই (অলিভ) রঙের। আর আনসারের পোশাক হবে সোনালি গমের (গোল্ডেন হুইট) রঙের। তবে অনেকে এই পোশাক পরিবর্তণের জন্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান। অনেকে বলছেন, তাদের আগের রং টায় ভালো ছিল।

শুধু পোশাকের রং পরিবর্তন করে কি কাজ হবে ?

তিন বাহিনীর পোশাকের রং পরিবর্তনের ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েগেছে। যা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে শুধুমাত্র পোশাক পরিবর্তন করলেই হবেনা, তার সাথে সাথে মন-মানসিকতার পরিবর্তন আনাটাও জরুরি। আইন শৃংখলা বাহিনীকে জনবান্ধব ও জবাব দিহিতা করতে প্রশিক্ষণেও আনতে হবে ব্যাপক পরিবর্তন।

এই পোশাক পরিবর্তন যে শুধু সরকার বা ছাত্র জনতার দাবি তা কিন্তু নয়। পুলিশও চাইছেনা এই পোশাকে আর ডিউটি করতে। বাহিনীর অনেক সদস্যের মন ভেঙে গেছে, এই ইউনিফর্ম পরে আর কাজ করতে চাইছে না। কেউ কেউ বলছেন পুলিশ কমিশন গঠন হওয়া উচিত। সেই কমিশনের অধীরে পুলিশ বাহিনী পরিচালিত হবে।

তারা কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে থাকবে না। পুলিশকে যেন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করা হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ হবে গণগনের বন্ধু। সাধারণ মানুষ যেন পুলিশের কাছে যেতে পারে, তাদের সব সমস্যার কথা বলতে পারে নির্ভয়ে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে। শুধুমাত্র কেমল মাত্র সেবায় হবে তাদের একমাত্র দায়িত্ব।

পোশাক পরিবর্তন নিয়ে মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

এরই মধ্যে তিন বাহিনীর পোশাকে রং ঠিক হয়েগেছে। চুড়ান্ত হয়েগেছে তাদের লোগো এবং পোশাক। তবে নতুন এই পোশাক অনেকের কাছে অপছন্দের মনে হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন আগেরটাই ভালো ছিল। আবার অনেকেই বলছেন শুধুমাত্র পোশাক পরিবর্তন করে কোন লাভ নেই। তাদের সভাব চরিত্রের পরিবর্তন না ঘটালে।

সবার আগে সরকারকে ঠিক হতে হবে।

শুধু শুধু পুলিশকে দোস দিয়ে লাভ কি ? সবার আগে আমাদের রাজনৈতিক পরিবর্তনের দরকার। যেহেতু সরকার পরিচালনা করে কোন কোন রাজনৈতিক দল। তাই সবার আগে তাদের মন-মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। যখন যেই সরকার এসেছে, তখন তাদের সুবিধার্থেই শুধু আইন শৃংখলা বাহিনীকে ব্যবহার করেছে।

শুধুমাত্র পোশাক পরিবর্তন করে, বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে কোন লাভ নেই যদি না সেই পোশাক পরা মানুষগুলো পরিবর্তন করতে না পারবেন। আবার ওদেরকে পরিবর্তন করবে কে ? এই কথার উত্তর চলে আসে, সরকার। কারণ সরকার সব নিয়ন্ত্রণ করে ও পরিচালনা করে। তাই সবার প্রথমে সরকারকে পরিবর্তন হবে। তানাহলে কোন পরিবর্তন দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবেনা।

পোশাক পরিবর্তনে কেমন খচর হবে

নতুন পোশাকে বড় ধরনের অর্থ সংকুলান হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ধরনের কিছু হবে না। নিয়মিত এসব বাহিনীর সদস্যদের নতুন পোশাক তৈরি হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে পরিবর্তিত পোশাক তৈরি হবে। এটার জন্য বাড়তি অর্থের খুব একটা দরকার হবে না।’

লেখকের মন্তব্যঃ

পোশাকের পরিবর্তনের কারণ হিসেবে- সদস্যদের মানসিকতার পরিবর্তন করতেই এসব হচ্ছে এমন কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। মনোবল বৃদ্ধি ও দূর্নীতিরোধসহ নানান বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এই পরিবর্তনে। তবে পোশাকের সাথে সাথে যেন মন-মানসিকতা ও সেবার মানও বৃদ্ধি পায় এমন প্রত্যাশা দেশ বাসির। ঘুস, দূর্নীতি মুক্ত ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সবার কাম্য। ভালো থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪