স্মার্টফোন (অ্যাড্রয়েড ফোন) ক্রয়ের সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি জেনে নিন
স্মার্ট বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করাও জরুরি। যেমন অ্যাড্রয়েড ফোন বা স্মার্ট। একটা স্মার্টফোন থাকলে পৃথিবীর সকল তথ্য আপনার হাতের মুঠোই চলে আসবে। এই প্রযুক্তির যুগে আপনিও কি একটি স্মার্টফোন কেনার কথা ভাবছেন ?
তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আজ আপনাদের জানাবো, স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি। স্মার্টফোন কিনলে কোথা থেকে কেনা উচিত সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা থাকছে এই আর্টিকেলে।
সূচিপত্রঃ স্মার্টফোন ক্রয়ের সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি তা নিয়ে আলোচনা।
স্মার্টফোন কিনার সময় কি কি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি
স্মার্টফোনের ক্যামেরা কেমন হওয়া উচিত
ব্যাটারি লং জিবিটি ও চার্জিং সময়ের গুরুত্ব
মোবাইলের র্যাম ও স্টোরেজ কিভাবে নির্বাচন করবেন
ডিসপ্লে সাইজ কত ও রেজোলিউশন কেমন হওয়া উচিত
ফোনের ডিজাইন ও গ্রিপ কেমন হওয়া চাই
কানেক্টিভিটি ফিচারগুলি কি কি থাকলে ভালো হয়
নিরাপত্তা ফিচারগুলি কেমন হওয়া চাই
ব্র্যান্ড ও মডেল নির্বাচন
মোবাইলের ওয়ারেন্টি ও কাস্টমারর সাপোর্ট
লেখকের মন্তব্যঃ
স্মার্টফোন কিনার সময় কি কি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি
স্মার্টফোন কিনার সময় কি কি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি, তা জানলে আপনি সঠিকভাবে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ফোন নির্বাচন করতে পারবেন। প্রথমত, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনতে গেলে প্রসেসরের গুণগত মান বিবেচনা করা উচিত। প্রসেসর নির্ধারণ করে ফোনের পারফরম্যান্স কেমন হবে। সেই সঙ্গে ব্যাটারি লাইফ এবং চার্জিংয়ের সময়ও গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার ফোনের ক্যামেরা যদি ভালো হয়, তাহলে ছবি তোলা এবং ভিডিও করার অভিজ্ঞতা হবে আরও উন্নত। এছাড়াও, মোবাইলের র্যাম এবং স্টোরেজও দেখতে হবে, কারণ বেশি র্যাম এবং স্টোরেজ আপনার ফোনের গতি বাড়াবে এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো ভালোভাবে চলবে। এই সব দিক ঠিক থাকলে আপনার ফোন কেনা সার্থক হবে।
স্মার্ট মোবাইল কেনার সময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা উচিত যা আপনার পছন্দ এবং বাজেটের উপর ভিত্তি করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে। নিম্নে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার সময় খেয়াল রাখার মূল বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলোঃ
বাজেট নির্ধারণঃ- ফোন কেনার আগে আপনার বাজেট নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে বিভিন্ন (দামের) রেঞ্জের অ্যান্ড্রয়েড ফোন পাওয়া যায়। বাজেট অনুযায়ী ফোনের ফিচার ও স্পেসিফিকেশন নির্বাচন করতে হবে। যদি আপনার বাজেট সীমিত হয়, তবে মৌলিক ফিচারসমূহের দিকে নজর দিন, আর যদি বাজেট বেশি থাকে, তবে উন্নত প্রযুক্তির ফোন নির্বাচন করতে কোন অসুবিধা নেই।
ফোনের ডিসপ্লেঃ- ফোনের ডিসপ্লে কেমন হবে তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। ডিসপ্লে সাইজ, রেজোলিউশন এবং প্যানেল টাইপ (LCD, OLED, AMOLED) এসব বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। AMOLED ডিসপ্লে সাধারণত অধিক কনট্রাস্ট এবং কালো রঙের গভীরতা প্রদান করে, যা চোখের জন্য আরামদায়ক।
প্রসেসর ও RAMঃ- ফোনের পারফরম্যান্সের জন্য প্রসেসর ও RAM গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একটি শক্তিশালী প্রসেসর (যেমন Qualcomm Snapdragon, MediaTek) এবং পর্যাপ্ত RAM (৪ GB বা তার বেশি) ফোনের দ্রুতগতি এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের অভিজ্ঞতা উন্নত করে। পুরনো প্রসেসর বা কম RAM সম্বলিত ফোনে ধীরগতি বা ল্যাগিং সমস্যা হবে এটাই স্বাভাবিক।
স্টোরেজ ক্যাপাসিটিঃ- স্টোরেজের পরিমাণও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি আপনি অনেক অ্যাপ, ফটো, ভিডিও ও ফাইল সংরক্ষণ করতে চান, তবে ৬৪ GB বা ১২৮ GB স্টোরেজ সম্পন্ন ফোন বেছে নেওয়া উত্তম। কিছু ফোনে মেমরি কার্ড স্লটও থাকে, যা স্টোরেজ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করে।
ব্যাটারি লাইফঃ- ব্যাটারি লাইফ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। ফোনের ব্যাটারি ক্ষমতা (মহামূল্য হল ৪০০০ mAh বা তার বেশি) এবং দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তি (যেমন Quick Charge, Warp Charge) থাকতে হবে যাতে দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের সময় ব্যাটারি কমে না যায়।
ক্যামেরা সিস্টেমঃ- বর্তমান ফোনে ক্যামেরা সিস্টেমের গুণগত মান একটি বড় ফ্যাক্টর। প্রধান ক্যামেরা (মেগাপিক্সেল) এবং সেকেন্ডারি ক্যামেরা (ওয়াইড-এঙ্গেল, ম্যাক্রো, গভীরতা সেন্সর) মূল্যায়ন করা জরুরি। উন্নত ক্যামেরা সিস্টেম রাতে ভালো ছবি তোলার সুবিধা প্রদান করে এবং পোর্ট্রেট, ল্যান্ডস্কেপ ও অন্যান্য ফটোগ্রাফি স্টাইলের জন্য সঠিক।
অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার আপডেটঃ- অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন এবং সফটওয়্যার আপডেটের গুরুত্ব অবহেলা করা উচিত নয়। ফোনটির সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন নিশ্চিত করতে হবে এবং নিয়মিত আপডেট পাওয়া যাবে কিনা তা দেখা উচিত। এটি নতুন ফিচার ও নিরাপত্তা বাগ ফিক্স সহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে।
বিল্ড কোয়ালিটি ও ডিজাইনঃ- ফোনের বিল্ড কোয়ালিটি এবং ডিজাইনও গুরুত্বপুর্ণ। একটি টেকসই এবং ভাল ডিজাইন করা ফোন ব্যবহার করতে আরামদায়ক হয়। গ্লাস, মেটাল, বা প্লাস্টিকের বানানো ফোনের ধরন এবং তার নির্মাণের গুণগত মান যাচাই করা উচিত। যা ব্যবহারের সময় দেখতে ও ব্যবহার করে তৃপ্তি পাওয়া যায়।
ব্র্যান্ড ও সার্ভিস সেন্টারঃ- ফোনের ব্র্যান্ড এবং কোম্পানির সার্ভিস সেন্টারও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি পরিচিত এবং বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের ফোন কিনলে আপনি ভাল গ্রাহক সেবা এবং টাচ প্রটেক্টর ও কাভার পাবেন। সার্ভিস সেন্টারগুলি সহজলভ্য হলে মেরামতের সময় কোনো সমস্যা হয় না।
কনেক্টিভিটি ফিচারঃ- ফোনের কনেক্টিভিটি ফিচার যেমন 4G/5G, Wi-Fi, Bluetooth, NFC ইত্যাদি বিবেচনায় নেওয়া উচিত। ৫জি কনেক্টিভিটি ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, বিশেষ করে যদি আপনি ভবিষ্যতে দ্রুত ডেটা গতি চান।
নিরাপত্তা ফিচারঃ- ফোনের নিরাপত্তা ফিচার যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ফেস আনলক, এবং নিরাপত্তা সফটওয়্যার (যেমন অ্যান্টিভাইরাস) বিবেচনায় রাখা উচিত। এই ফিচারগুলো ফোনের নিরাপত্তা বাড়াতে সহায়ক এবং আপনার ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত রাখে।
অডিও কোয়ালিটিঃ- ফোনের অডিও কোয়ালিটি এবং স্পিকার সাউন্ড ইম্প্রুভমেন্টও পরীক্ষা করা উচিত। কিছু ফোনে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার থাকে যা উন্নত অডিও সাউন্ড প্রদান করে।
দাম ও মূল্য তুলনাঃ- ফোনের দাম এবং তার ফিচারের মধ্যে তুলনা করা গুরুত্বপূর্ণ। বাজারের অন্যান্য ফোনের সাথে মূল্য তুলনা করে দেখা উচিত যে আপনি কোনটি বেশি ফিচার বা মূল্যবান পাচ্ছেন।
পর্যালোচনা ও রেটিংঃ- অনলাইনে ফোনের পর্যালোচনা এবং রেটিং পর্যালোচনা করা উচিত। অন্যান্য ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা এবং মতামত আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হতে পারে।
স্মার্টফোনের ক্যামেরা কেমন হওয়া উচিত
স্মার্টফোন কিনার সময় কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তার মধ্যে ক্যামেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমান সময়ে ভালো ক্যামেরা ছাড়া মোবাইল কেনা যেন অসম্পূর্ণ। ক্যামেরার মেগাপিক্সেল সংখ্যা যত বেশি হবে, তত ভালো মানের ছবি পাবেন। তবে শুধু মেগাপিক্সেল নয়, সেন্সরের গুণগত মান, অ্যাপারচার এবং ইমেজ প্রসেসিং ক্ষমতা দেখাও জরুরি।
ক্যামেরায় ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, নাইট মোড, এবং HDR ফিচার থাকলে তা বাড়তি সুবিধা প্রদান করে। সেলফি ক্যামেরা এবং ভিডিও রেকর্ডিংয়ের জন্যও ক্যামেরার ক্ষমতা বিবেচ্য বিষয় হতে পারে। এই সব কিছু মিলিয়ে ভালো ক্যামেরা নির্বাচন করলে আপনি সুন্দর ছবি এবং ভিডিও তোলার অভিজ্ঞতা পাবেন।
ব্যাটারি লং জিবিটি ও চার্জিং সময়ের গুরুত্ব
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনার সময় ব্যাটারি লংজিবিটি এবং চার্জিং সময়ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইলের ব্যাটারি যদি দীর্ঘস্থায়ী না হয়, তাহলে ঘন ঘন চার্জ দেওয়ার ঝামেলায় পড়তে হবে।
বর্তমানে ৪,০০০ থেকে ৫,০০০ mAh ব্যাটারি সাধারণত ভালো পারফরম্যান্স দেয়। ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে কিছু ফোনে পাওয়ার সেভিং মোড থাকে, যা ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়ীতা বাড়ায়।
মোবাইলের র্যাম ও স্টোরেজ কিভাবে নির্বাচন করবেন
স্মার্টফোন কেনার সময় র্যাম এবং স্টোরেজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। র্যাম বেশি হলে মোবাইলের গতি ভালো হয় এবং একসঙ্গে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন চালানো যায়। বর্তমানে ৪GB বা তার বেশি র্যাম সাধারণত ভালো পারফরম্যান্স দেয়। তাই ফোন কেনারস সময় অবশ্যয় র্যামের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
স্টোরেজের ক্ষেত্রেও, কমপক্ষে ৬৪GB স্টোরেজ থাকা উচিত, যাতে আপনি পর্যাপ্ত অ্যাপস, ছবি এবং ভিডিও সংরক্ষণ করতে পারেন। যদি বেশি স্টোরেজের প্রয়োজন হয়, তাহলে ১২৮GB বা তার বেশি স্টোরেজের ফোন বেছে নিন। এছাড়াও, কিছু ফোনে মাইক্রো এসডি কার্ডের সুবিধা থাকে, যা আপনার স্টোরেজ আরও বাড়াতে পারে।
ডিসপ্লে সাইজ কত ও রেজোলিউশন কেমন হওয়া উচিত
আপনার ফোনের ডিসপ্লে সাইজ ও রেজোলিউশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার দৈনন্দিন ব্যবহারকে প্রভাবিত করে। ফোনের ডিসপ্লে যদি বড় হয়, তাহলে আপনি ভিডিও দেখা, গেম খেলা, কিংবা ওয়েব ব্রাউজিং করতে আরও আরাম পাবেন। তবে ডিসপ্লে সাইজ খুব বড় হলে ফোনটি ধরে রাখা এবং এক হাতে পরিচালনা করা কঠিন হতে পারে।
ডিসপ্লের রেজোলিউশনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উচ্চ রেজোলিউশনের ডিসপ্লে আপনাকে আরও বিস্তারিত এবং স্পষ্ট ছবি এবং ভিডিও দেখতে সাহায্য করে। সাধারণত, ফুল এইচডি (1080p) রেজোলিউশন একটি ভাল মান হিসেবে ধরা হয়। এটি চোখে আরামদায়ক এবং প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত। তবে, আপনি যদি আরো উন্নত মানের ছবি ও ভিডিও দেখতে চান, তাহলে কিউএইচডি (1440p) বা 4K রেজোলিউশনও বিবেচনা করতে পারেন।
তবে, ডিসপ্লের সাইজ এবং রেজোলিউশন বেছে নেওয়ার সময় আপনার ব্যাটারির খরচও মাথায় রাখতে হবে। উচ্চ রেজোলিউশন এবং বড় ডিসপ্লে ব্যাটারির ওপর বেশি চাপ ফেলতে পারে। তাই, আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের সুবিধার জন্য সঠিক ডিসপ্লে সাইজ ও রেজোলিউশন বেছে নেওয়া উচিত।
ফোনের ডিজাইন ও গ্রিপ কেমন হওয়া চাই
আপনার ফোনের ডিজাইন এবং গ্রিপ কেমন হবে, তা ঠিক করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার ফোন ব্যবহারের আরাম এবং স্টাইলকে প্রভাবিত করে। ফোনের ডিজাইন এমন হতে হবে, যা দেখতে আকর্ষণীয় এবং হাতে ধরতে আরামদায়ক। গ্রিপের ক্ষেত্রে, ফোনের পেছনের অংশটি এমন হতে হবে যা সহজে হাত থেকে ফসকানোর সম্ভাবনা না থাকে।
কানেক্টিভিটি ফিচারগুলি কি কি থাকলে ভালো হয়
আপনার ফোনের কানেক্টিভিটি ফিচারগুলি এমন হতে হবে, যা আপনার দৈনন্দিন যোগাযোগ এবং অন্যান্য কাজকে সহজ করে তোলে। প্রথমেই দেখতে হবে ফোনে ৪জি বা ৫জি সাপোর্ট আছে কি না। দ্রুতগতির ইন্টারনেট কানেকশন আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং ডাউনলোডিংয়ের সময় কমিয়ে আনে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হলো ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট। এটি দ্রুত চার্জিং এবং ডেটা ট্রান্সফারের জন্য কার্যকর। ফোনে যদি ওটিজি (অন দ্য গো) সাপোর্ট থাকে, তবে তা অতিরিক্ত সুবিধা দেয়। এ ছাড়া, আপনার ফোনে জিপিএস এবং এজিপিএস ফিচারও থাকা উচিত, যা আপনাকে সঠিক নেভিগেশন এবং অবস্থান ট্র্যাকিংয়ের সুবিধা দেবে।
নিরাপত্তা ফিচারগুলি কেমন হওয়া চাই
নিরাপত্তা ফিচারের কথা আসতেই প্রথমেই আসছে বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি, যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার বা ফেস আনলক। এগুলি আপনার ফোনকে দ্রুত এবং নিরাপদভাবে আনলক করার সুবিধা দেয়। এছাড়া, ফোনের মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার থাকলে তা খুবই সুবিধাজনক এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
ফোনের সফটওয়্যারের নিরাপত্তাও অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত সিকিউরিটি আপডেট ফোনকে ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস থেকে রক্ষা করে। গুগল প্লে প্রোটেক্টের মতো ফিচার আপনাকে ক্ষতিকারক অ্যাপ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে। ফোনে এনক্রিপশন ফিচার থাকাও জরুরি, যা আপনার ডেটাকে সুরক্ষিত রাখে।
ব্র্যান্ড ও মডেল নির্বাচন
যখন আপনি একটি নতুন স্মার্টফোন কেনার কথা ভাবছেন, তখন প্রথমেই ব্র্যান্ড এবং মডেলের জনপ্রিয়তা বিবেচনা করা উচিত। কিছু ব্র্যান্ড যেমন স্যামসাং, অ্যাপল, শাওমি, ওপ্পো, ভিভো ইত্যাদি দীর্ঘদিন ধরে বাজারে আস্থা অর্জন করেছে। এই ব্র্যান্ডগুলো তাদের নির্ভরযোগ্যতা এবং সেবার জন্য পরিচিত।
জনপ্রিয় মডেলগুলো সাধারণত বিভিন্ন ফিচার এবং সুবিধার সঙ্গে আসে, যা আপনাকে সর্বোচ্চ মানের সার্ভিস প্রদান করতে সক্ষম। আপনি যদি কোন ব্র্যান্ড বা মডেলের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত না হন, তবে অনলাইনে রিভিউ বা আপনার পরিচিতদের মতামত জেনি নিতে পারেন। কারণ একটা ফোন কেনার পর খুব তাড়াতাড়ি সেটা পরিবর্তন করতে পারবেন না।
মোবাইলের ওয়ারেন্টি ও কাস্টমারর সাপোর্ট
ফোন কেনার সময় ওয়ারেন্টি এবং কাস্টমার সাপোর্টের বিষয়টি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভালো ওয়ারেন্টি মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনাকে নিশ্চিন্ত রাখে, কারণ এটি আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি বা ত্রুটি থেকে সুরক্ষা দেয়। ওয়ারেন্টির মেয়াদ সাধারণত এক থেকে দুই বছর হয়, যা আপনার মোবাইলের জন্য একটি অতিরিক্ত নিরাপত্তা কবজ হিসেবে কাজ করে।
এছাড়া, কিছু ব্র্যান্ডের ওয়ারেন্টির মধ্যে বিনামূল্যে সার্ভিসিং বা পণ্য পরিবর্তনের সুবিধাও থাকে। তাই, ফোন কেনার আগে ওয়ারেন্টি এবং কাস্টমার সাপোর্টের শর্তগুলো যাচাই করা উচিত। একটি নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড নির্বাচন করা এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ হবে। অনেক সময় ছোটখাটো সমস্যা যা নিজে ঠিক করা যায় না, অথচ কাস্টমার কেয়ার অল্প সময়ে ঠিক করে দেয়।
লেখকের মন্তব্যঃ
আপনার মোবাইল কেনার অভিজ্ঞতা যেন ইতিবাচক হয়, সেজন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। প্রথমেই, আপনার প্রয়োজন এবং বাজেটের সঙ্গে মিল রেখে সঠিক ব্র্যান্ড এবং মডেল নির্বাচন করুন। এরপর, ওয়ারেন্টি এবং কাস্টমার সাপোর্টের বিষয়ে ভালোভাবে জেনে কিনে ফেলুন আপনার স্বপ্নের স্মার্টফোনটি।
মোবাইল কেনার পরপরই একজন এক্সপার্ট লোকের কাছ থেকে সঠিকভাবে সেটআপ করুন এবং প্রয়োজনীয় ফিচারগুলো সক্রিয় করে নিন। নতুন মোবাইল কেনা একটি আনন্দদায়ক এবং উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতা হতে পারে, যদি আপনি সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেন এবং প্রতিটি ধাপ সঠিকভাবে সম্পন্ন করেন তাহলে আপনি ঠকবেন না। ভালো থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url