স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য কত হওয়া ভালো, বিজ্ঞান যা বলে জেনে নিন
শীত কালের শুরু থেকেই যেন বিয়ের মৌসুম শুরু হয়ে য়ায়। দুটি আত্বার, দুটি পরিবারের, তথা দুটি মনের মিলনের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবন শুরু হয় বিয়ের মাধ্যমে। আমরা সবায় কি জানি বিয়ের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য হত হওয়া ভালো ?
বন্ধুরা আজ আমরা আপনাদের জানবো- স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য কত হওয়া ভালো, এই ব্যাপারে বিজ্ঞান কি বলে। বিশেষ করে যারা বিয়ে করবেন ভাবছেন তাদের জন্য খুবই উপকারি আজকে আর্টিকেলটি। তাই আর দেরি না করে মনোযোগ দিয়ে পড়ে জেনে নিন।
ভূমিকাঃ
শীত কালে বেশি বিয়ে হলেও, আসলে বিয়ের কোন মৌসুম নেই। পবিত্র এই বন্ধন দুটি মানুষ তথা দুটি পরিবারকে একসুতোই গেঁথে রাখতে সহযোগীতা করে। আমাদের সমাজে বিশ্বাস করা হয় যে স্বামীর বয়স স্ত্রীর বয়য়ের চেয়ে বেশি হওয়া উচিৎ। কিন্তু আমাদের সমাজে এমনও অনেক সফল দম্পতি আছে যেখানে স্ত্রীর চেয়ে স্বামীর বয়স বেশি।
সূচিপত্রঃ
বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ের বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিৎ
স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য ১০ বছর
স্বামীর বয়স বেশি হলে যা হয়
কত বছর বয়সে বিয়ে করা উত্তম
সমবয়সী বিয়ে করা কি উচিৎ
স্বামীর চেয়ে স্ত্রী বড় হলে কি হয়
স্বামী-স্ত্রীর উচ্চতার পার্থক্য কত হওয়া উচিৎ
ইসলামে বিবাহের বয়স কত
জান্নাতে স্বামী-স্ত্রীর বয়স কত হবে
লেখকের মন্তব্যঃ
বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ের বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিৎ
সব দম্পতির জন্য বয়সের ব্যবধান আলাদাভাবে কাজ করে। অনেকের ক্ষেত্রে দুই বছরের ব্যবধান ভালো কাজ করে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ১০ বছরের ব্যবধান পছন্দ করে থাকে। তবে স্বাভাবিক নিয়মে স্ত্রীর চেয়ে স্বামীর বয়স বেশি হলেই ভালো বলে মনে করা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বয়সের ব্যবধান সুন্দর সম্পর্ক তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
গবেষণা থেকে জানা যায়, বয়সের তারতম্যটা সাধারণত কমই শ্রেয় মনে করা হলেও নারী ও পুরুষ উভয়েই প্রেম বা বিয়ের ক্ষেত্রে তাদের চেয়ে ১০-১৫ বছর ছোট বা বড় ব্যক্তিকে বেছে নিতে আগ্রহী। তবে ৫-৭ বছর বয়সের ব্যবধান থাকলে দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া, বিবাদ, ভূল বোঝাবুঝি কম হয়। বয়সের এই ব্যবধানকে বিয়ের জন্য আদর্শ বলে মনে করা হয়।
স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য ১০ বছর
অনেক ক্ষেত্রে ১০ বছর বয়সের ব্যবধানকে আদর্শ মনে করা হয়, যদি দুজনের মধ্যে ভালোবাসা থাকে। যখন তারা নিজেদের জীবনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ঠিক করে নেবে, তখন এই ১০ বছরের ব্যবধান কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে না। তবে অনেক ক্ষেত্রে এমন বয়সের ব্যবধানে স্ত্রী স্বামীর ওপরে কোনো কথা বলতে পারে না। সেক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়।
স্বামীর বয়স বেশি হলে যা হয়
স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান কত হওয়া উচিৎ, এনিয়ে অনেক মতানৈক্য রয়েছে। অনেকে সমবয়সী বিয়ে করে সুখে আছেন, অনেকের বিচ্ছেদ হয়েছে। অনেকের স্ত্রীর বয়স বেশি তাদের মধ্যেও অনেকে সুখি, অনেকে বিশাদময় জীবন পার করছেন। তবে স্বামী কিছুটা বড় হবে স্ত্রীর চাইতে এমনটিই মনে করা হয়। কারণ মেয়ের শরীরের গঠন ছেলেদের চেয়ে আলাদা। তারা খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধ হয়ে যায়।
কত বছর বয়সে বিয়ে করা উত্তম
বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সবাইকে ২৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে বিয়ে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উলফফিঙ্গার লিখেছেন, 'বয়স বিশের শেষভাগে পৌঁছালে বিয়েতে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা কমতে থাকে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, বিয়ের আগে মানসিক স্বাস্থ্য, বয়স, শিক্ষার স্তর ও আর্থিক অবস্থাসহ বেশ কিছু বিষয়ের উপর নজর রাখা জরুরি।
যদিও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, বিয়ের জন্য পুরুষের ২১ বছর ও নারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সে বিয়ে করলে তা বৈধতা পাবে না ও বাল্যবিবাহ হিসেবে বিবেচিত হবে। যা আইনি জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে উভয়ই প্রাপ্ত বয়স্ক না হলে বিয়ে করা যেমন আইনত অপরাধ তেমনি দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখাও খুব কষ্টকর।
সমবয়সী বিয়ে করা কি উচিৎ
ঠিক আবার ঠিক না তা নির্ভর করে সময়ের উপর। সমবয়সী কাউকে বিয়ে করলে স্বাভাবিক সে আপনাকে সম্মান করবে না, আপনার সমবয়সী কারো জ্ঞান কি আপনি নিতে চাইবেন ? আমার মতে বিয়ে আর প্রেম দুটোই সমবয়সীর সাথে করা উচিত না। মেয়েদের সেক্স ছেলেদের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ বছর আগে নিঃশেষ হয়ে যায়। তার কোন যৌন ইচ্ছা থাকে না সে সঙ্গম করে না স্বামীর সাথে স্বামী অ তৃপ্ত থেকে যায়।
স্বামীর চেয়ে স্ত্রী বড় হলে কি হয়
স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স বেশি হলে উভয়ের মধ্যেই মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। এই মানসিক চাপ যেমন দুজনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে, তেমনি এর কারণে সম্পর্ক ভেঙেও যেতে পারে। বর্তমানে অনেক পরিবার রয়েছে যারা এখনো গতানুগতিক সম্পর্কের বাইরে বেরোতে পারেনি। আর এই ধরনের সম্পর্ক করে বিয়ের ক্ষেত্রে খুব কম পরিবারই মেনে নেয়।
স্বামী-স্ত্রীর উচ্চতার পার্থক্য কত হওয়া উচিৎ
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে উচ্চতার সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যবধান হচ্ছে ১২ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ স্বামী বা প্রেমিককে হতে হবে ১২ সেন্টিমিটার বেশি লম্বা। কেন? কারণ, এতে নাকি পরস্পরকে আলিঙ্গন করা ও চুমু খাওয়ায় সুবিধা হয়। স্ত্রীর চেয়ে স্বামীর উচ্চতা বেশি হলে কমনীয় ও সুন্দর লাগে। তবে উচ্চতার ব্যবধানটি অতিরিক্ত হলে দেখতে ভালো দেখায় না।
এ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত হচ্ছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মেয়ে সাধারণত নিজেকে সযত্নে রক্ষা করতে চান। স্বামী বা প্রেমিকের উচ্চতা বেশি হলে, তিনি অনেক বেশি নিরাপদবোধ করেন। আসলে ছেলেদের উচ্চতা সাধারণ ভাবে মেয়েদের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তবে এই ক্ষেত্রে ১০ সেন্টিমিটার বেশি হলে, দেখতে সুন্দর লাগে, মানানসই মনে হয়। এ
ইসলামে বিবাহের বয়স কত
ইসলামে বিবাহের জন্য কোনো বয়সের সীমারেখা নেই, বরের ক্ষেত্রে মনোদৈহিক ও আর্থিক সামর্থ্য তৈরি হলে এবং কনের ক্ষেত্রে অভিভাবকের উপস্থিতিতে নিজ নিজ পছন্দ অনুযায়ী সকল বয়সে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়া বৈধ । তবে বিবাহের পরেও দৈহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে উভয়েরই শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত ও পরিপক্ব হওয়া আবশ্যক ।
সরকার ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে অবৈধ বা বাল্যবিবাহ বলে আইন তৈরি করেছেন। যা অমান্য করলে জেল, জরিমান উভয়ই হতে পারে। আর ছেলেদের বিয়ের বয়স ধার্য করেছেন ২১ বছর। এর নিচে বিয়ে করলে আইনের চোখে অপরাধী। ইসলামী শরিয়ায় বিষয়টি এমন নয়। ইসলামে বলা হয়েছে, যদি বয়স হয়ে যায়, অর্থাৎ বালেগ হয়ে যায়, তাহলে বিবাহ জায়েজ। এতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
জান্নাতে স্বামী-স্ত্রীর বয়স কত হবে
জান্নাতিরা জান্নাতে প্রবেশের সময় তাদের চেহারায় কোন দাড়ি-গোঁফ থাকবে না। চক্ষুদ্বয় লাজুক হবে। বয়স হবে ত্রিশ থেকে তেত্রিশ এর মাঝামাঝি। জান্নাতি নারী-পুরুষ উভয় থাকবে যুবক-যুবতী। ছেলেদের মুখে দাড়ি থাকবেনা, কাউরি চেহারা কালো থাকবেনা। সবায় হবে ফর্সা উজ্জ্বল দেখতে খুব সুন্দর। কাউরি কোন অসুখ-বিসুখ থাকবেনা।
লেখকের মন্তব্যঃ
বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। ইসলামী শরীয়তে বিবাহকে জায়েক করা হয়েছে। আমাদের সমাজে দেখে শুনে বা অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের প্রথা থাকলেও বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম প্রেমের বা ভালোবাসার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পরে পরিণতি স্বরূপ বিয়ে করার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। বিয়ে যেভাবেই হোক না কেন বিয়ের জন্য বংশ পরিচয় বয়সের ব্যবধান, এবং স্বভাব চরিত্র দেখে বিয়ে করা উত্তম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url