কিভাবে নিজের দাম বাড়াবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন এখানে

জীবন চলার পথে সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করা এবং নিজের মূল্য বাড়ানো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আপনি যদি পেশাগত, ব্যক্তিগত বা সামাজিক জীবনে সফল হতে চান তবে নিজের দাম বাড়ানো খুবই জরুরি। আপনি কি জানেন কিভাবে নিজের দাম বাড়াবেন ?

হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের সামনে যেই আলোচনা নিয়ে হাজির হয়েছি তা হচ্ছে- নিজের দাম বাড়ানো বা সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করা। নিজের ব্যক্তিত্বকে সুন্দর করতে যা যা করবেন তা নিয়ে আজকের আলোচনা। তো বন্ধুরা আসুন শুরু করা যাক-

ভূমিকাঃ

নিজের দাম বাড়ানো বলতে এখানে সামাজিক ও পেশাগত মূল্যের কথা বলা হয়েছে, যা আমাদের ব্যক্তিত্ব, আচরণ এবং দক্ষতার উপরই নির্ভর করে। আপনাকে সমাজে খুব সহজেই কেউ দাম দিতে চাইবে না। যদি না থাকে নিম্নে বর্ণিত গুনাবলি আপনার মধ্যে। তাই নিজের দাম বাড়াতে চাইলে অবশ্যই আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

সূচিপত্রঃ

প্রয়োজন ছাড়া কথা বলবেন না
আগে ভালোভাবে অন্যের কথা শুনুন তারপর নিজের কথা বলুন
নিজেকে সব সময় ব্যস্ত রাখেন এবং ব্যস্ত দেখান
সৎ পথে বেশি বেশি টাকা ইনকাম করুন
সবার সাথে সম্মানের সাথে কথা বলুন
যতটা সম্ভব একা থাকুন নিজেকে নিয়ে ভাবুন
অন্যের যে কোন কাজে সাথে সাথে দৌড়ে যাবেন না
ভেবে চিন্তে আস্তে আস্তে কথা বলুন চিল্লাচিল্লি করবেন না
লেখকের মন্তব্যঃ

প্রয়োজন ছাড়া কথা বলবেন না

আপনি যদি অতিরিক্ত কথা বলেন তাহলে বুঝে নিন আপনার কাছের মানুষ আপনার কথায় গুরত্ব না দেয়ার কারণ এটাই। আপনি যদি সারাক্ষণই বক বক করতে থাকেন তাহলে তার কিভাবে বুঝবে যে কোন কথাটি গুরুত্বপূর্ন আর কোনটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই পয়োজন ছাড়া কথা বলবেন না। নিজেকে একটু সংযত রাখুন, বিশেষ করে কথা বলার ক্ষেত্রে।

আগে ভালোভাবে অন্যের কথা শুনুন তারপর নিজের কথা বলুন

সমাজে চলতে গেলে একে অন্যের সাথে কথা বলতে হয়, চলাফেরা করতে হয়। এ অবস্থায় কেউ কোন কথা বলতে চাইলে তার কথা আগে মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তার কথা বলার পর ভেবে চিন্তে নিজে কথা বলুন। কথা বলার সময় খেয়াল রাখবেন যেন অপ্রয়োজনীয় কথা মুখ দিয়ে না বের হয়। কোন কিছু হেলপ চাইলে পারলে সম্মতি দিবেন, না পারলে অযথা কথা দিবেন না।

নিজেকে সব সময় ব্যস্ত রাখেন এবং ব্যস্ততা দেখান

নিজের দাম বা মূল্য বাড়াতে নিজেকে সবসময় ব্যস্ত রাখুন। কখনোই একেবারে অলস বসে থাকবেন না। নিজেকে কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখুন। ফ্রি থাকলেও অন্যের কাছে তা জাহির করতে যাবেন না, এতে কিন্তু আপনার মূল্যায়ন কম হবে। আমরা মনে করি ব্যস্ততা আমাদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়। আসলে ব্যাপারটা কিন্তু সেটি নয় ব্যস্ত থাকাটা আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের মত আলস্য জাতির ব্যস্ততা নিয়ে অনেক অভিযোগ। কিন্তু দেখবেন উন্নত দেশের মানুষরা সবসময় নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করে। তারা এক মুহূর্ত সময় অপচয় করো না। তারা মনে করে ব্যস্ততা হয়েছে মানুষের জীবনের একটা অংশ। মানুষ যত ব্যস্ত থাকবে তো ভালো থাকবে। কারন ব্যস্ততা মানুষের জীবনের অপ্রয়োজনীয় সব দিক গুলো সরিয়ে দেয়।

সৎ পথে বেশি বেশি টাকা ইনকাম করুন

পরিবারে, সমাজে সবার কাছে ব্যক্তিত্ববান হতে চাইলে সৎ পথে বেশি বেশি ইনকাম করুন। একেবারে টাকা পয়সা না থাকলেও মানুষ মানুষকে দাম দিতে চায় না। আবার অবৈধ পথে বেশি টাকা ইনকাম করা লোকদেরও মানুষ পছন্দ করেনা। তাই যেটুকু টাকা ইনকাম করবেন তা যেন হয় সৎ পথে। মনে রাখবেন সৎ পথের ৫ টাকা ইনকাম অসৎ পথের অনেক টাকা ইনকামের চাইতেও উত্তম।

সবার সাথে সম্মানের সাথে কথা বলুন

ছোট-বড়, গরিব-ধনি, পুরুষ-মহিলা, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সাথে সম্মানের সাথে কথা বলুন। কখনো কাউকে অসম্মান করবেন না। মনে রাখবেন আপনার কথায়, ব্যবহারে ও চলাফেরায় কখনো কোন মানুষ যেন কষ্ট না পায়। হতে পারেন আপনি অনেক জ্ঞানী, অনেক শিক্ষিত, অনেক সম্মানী লোক এগুলো সব ঠিক থাকবে যখন আপনি অন্যকে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন।

যতটা সম্ভব একা থাকুন নিজেকে নিয়ে ভাবুন

অসৎ লোকের সাথে চলার চেয়ে একা থাকা অনেক ভালো। চলতেই যদি হয় তবে অবশ্যই ভালো লোকের সাথে চলবেন, নতুবা একা থাকবেন। শুধু শুধু আড্ডা দিয়ে ঘুরাঘুরি করে লাভ নেই। নিজের কথা ভাবুন। নিজের জন্য চিন্তা করুন। কি করছেন, ভবিষ্যতে কি করবেন, কি করতে চান। কোন পথে গেলে আপনি সুখি হতে পারবেন সব কিছুই।

অন্যের যে কোন কাজে সাথে সাথে দৌড়ে যাবেন না

অন্যের উপকার করা ভালো কাজ। অবশ্যই অন্যের কাজে সাহায্য করবেন, তবে জাওয়ার আগে অবশ্যই একটু সময় নেবেন, চিন্তা করবেন। যার সাহায্যে যাচ্ছেন, তিনি ডাকার সাথে সাথে দৌড়ে যাবেন না। তাহলে আপনার দাম থাকবে না। উপকার করলেও ভালো কাজের জন্য করবেন, খারাপ কাজের জন্য নয়। খারাপ কাজে কাউকে সহযোগীতা করা যাবে না।

ভেবে চিন্তে আস্তে আস্তে কথা বলুন চিল্লাচিল্লি করবেন না

কোন সময় কারো সাথে উত্তেজিত হয়ে কথা বলবেন না। অবশ্যই ভেবে চিন্তে আস্তে আস্তে কথা বলবেন। কথা বলার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন, আপনার কথাগুলো উচ্চস্বরে না হয়। আর হ্যাঁ একটুতেই রাগারাগি করবেন না। চিল্লাচিল্লি করবেন না। তাহলে কিন্তু আপনার মূল্য থাকবে না। যারা মূল্যবান মানুষ তারা কখনো চিল্লাচিল্লি করেনা, ভেবে চিন্তি কথা বলে।

নীতিবোধ ঠিক রাখতে হবে

সবার জীবনে কিছু নীতি রয়েছে। এইগুলো সবসময় মেনে চলতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের নীতি পরিবর্তন আপনাকে সমাজের চোখে সুযোগ সন্ধানী হিসেবে তুলে ধরে। তাই নীতিবোধ ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নীতিবোধ না থাকলে কেউ আপনাকে সম্মান করবেনা, কেউ আপনাকে দাম দিবে না এটাই সত্যি।

লেখকের মন্তব্যঃ

যে কোন মানুষ সাধারণত তার নীতি নৈতিকতা, আচরণ এবং কাজের জন্য সম্মান পেয়ে থাকেন। আর এই সম্মানটাকেই দাম বলা হচ্ছে। সব সময় সমাজে যারা বয়সে বড় তারাও সমাজে সম্মান পেয়ে থাকেন। তবে আপনিও সম্মান বা আপনার দাম বাড়তে পারেন উপরে বর্ণিত উপায়গুলো অবলম্বণ করলে। তবে যায় করেন না কেন, নীতিবোধ যেন ঠিক থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪