বউকে কন্ট্রোল করার সহজ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিবিড়তম সম্পর্ক। অনেক সময় এই মধুর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় মুখোমুখি অবস্থান করার কারণে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বউরা কন্ট্রোল করতে চাই তাদের স্বামীকে। কিন্তু আপনি কি জানেন বউকেও কন্ট্রোল করা যায় কিছু উপায় অবলম্বণ করলে ?
হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের জানাবো বউ বা স্ত্রীকে কিভাবে কন্ট্রোল করবেন সে সম্পর্কে। অনেক পুরুষ মানুষ আছেন যারা বউকে কন্ট্রোল করতে পারেন না, তারা মনোযোগ দিয়ে পড়েন এবং জেনে নিন সহজ কিছু ট্রিপস।
ভূমিকাঃ
উদ্দেশ্য হচ্ছে সংসার শুরু করে সেই সংসার জীবনকে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে সামনে নিয়ে যাওয়া। সংসারের ধর্মের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষ তাদের বংশ বৃদ্ধি করবে অর্থাৎ মানুষের বাচ্চাকাচ্চা হবে, নাতি নাতনি হবে । এখানে কেউ কাওকে কন্ট্রোল করবে এমন কথা আসবে কেন ? যে যার যার দায়িত্ব পালন করলেই তো আর কন্ট্রোল করার প্রশ্ন আসেনা।
পেজ সূচিপত্রঃ
সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগে বউকে কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে থাকা
কোন কাজে যাওয়ার আগে বউয়ের কপালে চুমা দিয়ে যাওয়া
মাসে একবার কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাওয়া
মাঝে মাঝে বউকে শপিংয়ে নিয়ে যাওয়া
স্ত্রীকে রাতে আদর করে ঘাম দেওয়া
লেখকের মন্তব্যঃ
সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগে বউকে কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে থাকা
সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে কম পক্ষে ৫ মিনিট জড়িয়ে ধরুন। যে স্বামী এমনটি করবে তার কর্মক্ষেত্রে বিপদের আশংকা কম থাকে। স্ত্রী হচ্ছে আল্লাহ তাআর বড় একটি নিয়ামত, এদের যত বেশি ভালোবাসবেন ততো বেশি সংসারে শান্তি বজায় থাকবে। স্ত্রী যথেষ্ঠ পরিমান সময় দিন, না যথেষ্ঠ পরিমান বিশ্বাস করুন। সংসারকে আর যুদ্ধ ক্ষেত্র মনে হবে না।
আসলে সেই পুরুষ তো কাপুরুষ যে স্ত্রীর কাছে ভালোবাসার পত্র হয়ে উঠতে পারেনি। তবে বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে যে, অধিকাংশ স্ত্রীরা স্বামীকে কন্ট্রোল করতে চায়। শুধু চায় এমনটি নয় বেশির ভাগ স্বামীকে তারা কন্টোল করে অমানবিক নির্যাতন চালান। অথচ এই খবর কেউ রাখে না বা এদের আইনি সহায়তা নেয়ার কোন ব্যবস্থাও নেই।
কোন কাজে যাওয়ার আগে বউয়ের কপালে চুমা দিয়ে যাওয়া
ভালোবেসে স্ত্রীর কপালে হয়তো সব পুরুষই চুমু দেন! কারণ ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম এক মাধ্যম হলো চুম্বন। জানলে অবাক হবেন, চুম্বনেরও অনেক উপকারিতা আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চুম্বনের ফলে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। ফলে ওই ব্যক্তি আনন্দিত হয় ও তার মন ভালো থাকে। জার্মানির একদল ফিজিশিয়ান ও বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় উঠে আসে, চুম্বনের ফলে পুরুষের আয়ু বেড়ে যেতে পারে অন্তত ৫ বছর।
এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, প্রতিদিন কাজে যাওয়ার আগে যে স্বামীরা তাদের স্ত্রীকে চুম্বন করে অফিসে যান তাদের বয়স গড়ে ৫ বছর বেশি বেড়ে যায়। আবার এই সমীক্ষা থেকেই এ-ও জানা গিয়েছে যে, অফিস যাওয়ার আগে যে স্বামী নিজের স্ত্রীকে গুডবাই কিস করে যান, তারা অন্যান্যদের তুলনায় ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ বেশি অর্থ উপার্জন করেন।
মাসে একবার কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাওয়া
স্ত্রীকে মাঝে মাঝে ঘুরতে নিয়ে যাবেন। পারলে প্রতি সপ্তাহে নিয়ে যাবেন। তা নাহলে প্রতি মাসে অন্তত একবার বেড়াতে নিয়ে যাবেন, দর্শণীয় স্থানে বা তার পছন্দের কোন জায়গায়। বউকে কন্ট্রোলে রাখার আরও একটি সহজ উপায় সময় পেলেই ঘুরতে নিয়ে যাবেন। মাসে অন্তত একবার আর বছরে একবার ট্যুরে যাবেন, দেখবেন অনেক সমস্যার সমাধান হয়েগেছে।
সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে প্রতি মাসে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাবেন, ঘুরতে গেলে সম্পর্কের গাড়ি ফের মসৃণ গতিতে চলবে এগিয়ে। স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে গেলে স্বামী-স্ত্রীর সেই হারিয়ে যাওয়া আকর্ষণ আবার ফিরে পাবেন। কাজের ব্যস্ততায় একে অপরকে সময় দিতে পারেনা, ঘুরতে গেলে নিবিড় ভাবে কাছাকাছি আশা যায়। মনের অপূর্ণতা টা অনেকাংশে পূরণ হয়ে যায়।
মাঝে মাঝে বউকে শপিংয়ে নিয়ে যাওয়া
মেয়েরা শপিং এ যেতে খুব পছন্দ করে। শপিং এ যাওয়ার জন্য স্ত্রীদের কোন উপলক্ষ লাগে না। তারা কেনাকাটা করতে খুব ভালোবাসে, তাই মাঝে মাঝে স্ত্রীকে নিয়ে বাজারে যাবেন এবং পছন্দের কিছু কিনে দিবেন। দেখবেন আপনার সব কথাই শুনবে। আপনি যা চান তা না বলার আগেই হয়ে যাবে। আর যদি পকেটের অবস্থা ভালো থাকে, তবে স্বর্ণের কিছু কিনে দিতে পারেন।
আবার আরও একটা কাজ করতে পারেন, সেই হচ্ছে উপহার দেওয়া। স্ত্রীকে না জানিয়ে তার পছন্দের একটা কিছু কিনে তাকে উপহার দিবেন। দেখবেন আপনার উপর খুশি হয়ে যাবে। উপহার পেতে সবায় ভালোবাসে, দেখবেন আপনাদের মধ্যে অন্য রকম একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে। তবে বউকে কখনোই কন্ট্রোল করতে যাবেন না। তাকে ভালোবাসা দিয়ে জয় করুন।
ভালোবাসার শক্তি অনেক। ভালোবাসা পারেনা এমন কোন কাজ নেই। ভালোবাসলে শত্রুও বন্ধুতে পরিনত হয়। আর সে তো আপনার স্ত্রী। আরো একটা বিষয় মনে রাখবেন, স্ত্রীর সাথে সব কিছু শেয়ার করবেন। কোন কিছু গোপন করবেন না। যে কোন কাজ করার আগে বউ এর সাথে পরামর্শ করুন। তার সিদ্ধান্তের মূল্য দিতে শিখুন।
যদি আপনার স্ত্রী বাইরে খেতে পছন্দ করে, তবে মাঝে মধ্যে বাইরে খাবার খেতে নিয়ে যাবেন। তবে বাইরে বের হওয়ার সময় পর্দা করে বের হবেন। কোন অবস্থাতেই বেপর্দা অবস্থায় বাইরে নিয়ে যাবেন না। ঘুরতে হোক, শপিং এ হোক বা বাইরে খেতে যেতে হোক অবশ্যই পোশাকের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।
স্ত্রীকে রাতে আদর করে ঘাম দেওয়া
আপনার স্ত্রীকে রাতে আদর করে ঘুম পাড়িয়ে দিন। সারা দিন অনেক কাজ করে সেই কাজের প্রসংশা করুন। রান্নার প্রসংশা করুন। জানি দিন শেষে আপনিও অনেক ক্লান্ত, তবুও আপনার স্ত্রীর হাত-পা, মাথা মাসাজ করে দিন, আদর করে ঘুম পাড়িয়ে দিন। দেখবেন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়বে। আর ভালো ঘুম হলে সে আপনাকে ছাড়া আর কিছু ভাববে না। সে আপনার পরিশ্রমের পতিদান দিবেই দিবে।
লেখকের মন্তব্যঃ
স্ত্রীকে কন্ট্রোল করতে চাইলে তাকে সময় দিন, তাকে ভালোবাসুন। ছোট ছোট দিক গুলো একটু খেয়াল করুন। মেয়েরা ছোট ছোট দিকগুলো বেশি দেখে। শুধু একজন নয়, বিয়ের দুজন দুজনার অপরাধগুলেঅ সেক্রিফাইস করুন। স্ত্রীকে নিয়ে গবেষনা করুন, সে কি চায়, কেন চায়। বৈধ সকল চাওয়া পাওয়া পুরণ করুন সম্ভব হলে। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url