যে ৭টি খাবার ক্যান্সারের জন্য দায়ী বিস্তারিত জেনে নিন এখানে
মানুষ মরণশীল। বর্তমান সময়ে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হচ্ছে ক্যান্সার। বেশিক ভাগ সময় মানুষের খাদ্যাভ্যাসের কারণে ক্যান্সার হয়ে থাকে। আপনারা কি জানেন কোন কোন খাবারের কারণে ক্যান্সার হয়ে থাকে ?
হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের সামনে যে আলোচনা নিয়ে হাজির হয়েছি তা হচ্চে, ক্যান্সার হওয়ার জন্য যে ৭টি খাবার দায়ী। আরো জানতে পারবেন- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে যেসব খাবার খাবেন তার তালিকা।
ভূমিকাঃ
ক্যান্সার হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে জিনগত সমস্যা, জীবনযাপন, ধূমপান, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রম, কিছু নির্দিষ্ট সংক্রমণ, বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদানের কারণে হওয়া বিভিন্ন পরিবেশগত সমস্যা ইত্যাদি অন্যতম। গবেষণা বলছে, ভুলভাল খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব- একজন ব্যক্তির ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম প্রধান দুটি কারণ।
পেজ সূচিপত্রঃ
যে ৭টি খাবার ক্যান্সারের জন্য দায়ী
যে সব খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
কি খেলে ক্যান্সার হয় না
ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ
ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে হয়
ক্যান্সার হলে কত দিন বাঁচে
ক্যান্সার হলে করণীয়
ক্যানসার প্রতিরোধে করণীয়
লেখকের মন্তব্যঃ
যে ৭টি খাবার ক্যান্সারের জন্য দায়ী
স্বাস্থ্য হলো আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। স্বাস্থ্যের ওপর আমাদের খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। আপনি যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খান, তাহলে সর্বদা সুস্থ এবং ফিট বোধ করবেন। কিন্তু যদি আপনার ডায়েটে ট্রান্স ফ্যাট এবং পরিশোধিত পণ্য বেশি থাকে, তাহলেই স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা হওয়া অনিবার্য। এমনকি এসব সমস্যা থেকে ক্যান্সারও হতে পারে।
ব্রয়লার মুরগীর মাংসঃ আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য আমরা প্রায় ব্রয়লার মুরগী খেয়ে থাকি। শুধু আমিষের ঘাটতি পূরণে বা চাহিদা পূরণে নয় বর্তমানে আধুনিক সভ্যতার লোকেরা ফাস্ট ফুডের নাম চিকেন ফ্রাই, চেকেন স্যুপ আর কত কিযে খাচ্ছে সবিই ব্রয়লারের মাংসের তৈরি। ব্রয়লারের চামড়া, হাড্ডি ও কলিজা অনেকটা ক্ষতিকর। তাই অতিরিক্ত ব্রয়লারের মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
সার দিয়ে চাষ করা মাছঃ সার দিয়ে চাষ করা মাছ মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর। পুকুরের পানিতে সার প্রয়োগ করলে প্লাংটন তৈরি হয়, যা মাছ খেলে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বেশি রাসায়নিক সার ব্যবহার করে যে মাছ চাষ করা হয়, সেই মাছ বেশি খেলে শরীরে ক্যান্সার ধীরে ধীরে বাসা বাধতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত কৃত্রিম চিনিঃ প্রক্রিয়াজাত কৃত্রিম চিনি শরীরের জন্য সরাসরি ক্ষতিকর। আখ থেকে যে নিচি তৈরি করা হয়, সেই চিনিতও উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি। কৃত্রিম চিনির তো কথায় নাই। আখের চিনির চেয়ে কৃত্রিম চিনি তিনগুণ মিষ্টি হয়ে থাকে। এই চিনি অ্যাসপার্টেম, সুক্রোজ়, সুক্রালোজ়, স্যাকারিন, নিওটেম এবং স্টিভিয়া উপাদান দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে।
প্যাকেটজাত চিপস ঃ প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ক্ষতিকর খাবারের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বরাবরই বেশি। বর্তমান সময়ে মচমচে চিপস উপভোগ করাটা খারাপ নয়, বরং তা স্বাদে ভিন্নতা আনার জন্য বেশ ভালো কাজে দেয়। কিন্তু স্ন্যাকসের তালিকায় প্রতিদিন প্রায় নিয়ম করে চিপস খাওয়াটা স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে। যা থেকে ক্যান্সারও হতে পারে।
পরিশোধিত সাদা আটাঃ আটা এবং ময়দা বানানোর প্রক্রিয়া আসলে ভিন্ন। গম পিষে তৈরি করা হয় আটা। এতে গমের বীজের সঙ্গে তার খোসাও পিষে ফেলা হয়। এ কারণে আটার রং অনেকটা বাদামী হয়। যখন আটা তৈরী হয় তখন তাতে আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপদানগুলি মজুদ থাকে। যেমন ফাইবার, এই ফাইবার থাকার কারণে আটা দিয়ে তৈরী খাবার সহজ পাচ্য হয়।
এছাড়া ফাইবার আমাদের হজমে সাহায্য করে, মেটাবলিসমকে বাড়িয়ে তোলে এছাড়া কনস্টিপেশনের সমস্যা হতে দেয় না। এছাড়া এই ফাইবার আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়তে দেয়না। কিন্তু ময়দা বানাতে আটাকে পরিশোধিত করা হয়। আলাদা করা হয় খোসা। এ কাজটি কয়েক দফা করলেই ময়দা মেলে। র সুন্দর শুভ্র চেহারা ও মসৃণতা আনার জন্যে রাসায়নিক উপাদান দিয়ে ব্লিচ করা হয়। পরিশোধিত সাদা আটাতে জরুরী ভিটামিন প্রায় সমস্তই নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে সাদা আটা আমাদের শরীরের কোন উপকারে লাগে না বরং ক্ষতিকরে।
প্রক্রিয়াজাত লাল মাংসঃ আপনার ক্যান্সার হোক বা না হোক, আপনাকে সবসময় প্রক্রিয়াজাত এবং লাল মাংস থেকে দূরে থাকতে হবে। শুধুমাত্র তাজা এবং জৈব মাংস খাওয়া অপরিহার্য। প্রক্রিয়াজাত এবং লাল মাংসে বেশ কিছু রাসায়নিক থাকে যা শরীরে ক্যান্সার কোষের বিকাশ ঘটাতে পারে বা আপনার কষ্টকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
লজেন্স বা ক্যান্ডিঃ ছোটদের শরীরে এমনিতেই ইমিউনিটি কম থাকে। তার উপর যদি আপনার সন্তান রোজ রোজ একাধিক লজেন্স খায়, তাহলে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও কমে যাবে। আর এমনটা ঘটলেই তাকে ঘিরে ধরবে একাধিক সংক্রামক অসুখ। তাই সন্তানকে সুস্থ-সবল রাখতে চাইলে আপনারা তাকে ভুলেও লজেন্স খাওয়াবেন না।
যে সব খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
একক কোনো খাবার ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে না। তবে সুষম পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। একদিকে যেমন কিছু কিছু খাবার নিয়মিত পাতে রাখার অভ্যাস করতে হবে, অন্যদিকে কিছু খাবারকে ‘না’ বলতে হবে। চেরি, আঙুর, ধনেপাতা, পার্সলে পাতা, আপেলের মতো খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে এপিজেনিন যৌগ রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এসব খাবার স্তন ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, ত্বকের ক্যান্সার ও কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমায়। বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, চায়না ক্যাবেজ, ওল, কেইল ইত্যাদি) সবজি, কমলা, লাল ও হলুদ রঙের সবজি বিশেষভাবে উপকারী। ক্রুসিফেরাস সবজিতে সালফোরেন, আইসোথায়ানেট, ইনডোল এবং উচ্চমাত্রার গ্লুকোসিনোলেটস নামের ফাইটোক্যামিকেল থাকে, যা ফুসফুস, পাকস্থলী, কোলন ও স্তন ক্যানসারের বিকাশ ও অগ্রগতি ঠেকাতে সাহায্য করে।
কি খেলে ক্যান্সার হয় না
একেবারে নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে এই খাবার খেলে আর কোন দিন ক্যান্সার হবে না। তবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় খাবারে একটু সচেতন হলে। ওটস, বার্লি, লাল চাল, লাল আটা, কুইনোয়া মতো বিভিন্ন গোটা শস্যে পর্যাপ্ত ফাইবার, ফাইটোকেমিক্যাল, প্রিবায়োটিক থাকে। আর এ ধরনের খাবার স্তন ক্যানসার, কোলেস্টেরল ক্যানসারসহ বিভিন্ন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ
একজন ক্যান্সারের রোগীর আটটি লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে বলে দেওয়া যাবে তিনি আর কতদিন বাঁচবেন। নতুন এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। এ গবেষণায় গবেষকরা প্রতিদিন তাদের রোগীকে দুইবার করে পর্যবেক্ষণ করেন। তারা রোগীর দৈহিক ও মস্তিষ্কের ৫২ ধরনের পরিবর্তন শনাক্ত করেন। এ সব মিলে ৮টি লক্ষণ প্রকাশ পায়। লক্ষণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো-
১. আলোর বৃদ্ধি বা হ্রাসে চোখের পিউপিল কোনো প্রতিক্রিয়া করে না।
২. কথা বলার সশয় মুখ-জিহ্বার প্রতিক্রিয়া কমে যায়।
৩. দৃষ্টিশক্তি কমে আসে।
৪. প্রায়ই চোখের পাতা বন্ধ করতে পারেন না রোগী।
৫. নাক থেকে ঠোঁটে দুই কোণ পর্যন্ত যে রেখা পড়ে (হাসার সময় এই রেখা তৈরি হয়) তাতে ব্যাপক ভাঁজ পড়ে যায়।
৬. মাথা সামনের দিকে নুয়ে আসে।
৭. কণ্ঠনালী থেকে গর গর আওয়াজ আসে।
৮. যে প্রত্যঙ্গ খাবারের উপাদান ও পুষ্টি শুষে নেয়, অর্থাৎ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল এর ওপরের অংশে রক্তক্ষরণ হয়।
ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে হয়
রক্তের ক্যানসার বা ব্লাড ক্যানসার নানা রকম হতে পারে। যেমন লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, মাল্টিপল মায়েলোমা ইত্যাদি। ব্লাড ক্যানসার শুনলেই আতঙ্ক ভর করে মনে। এটি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই ব্লাড ক্যানসার যে কাউরি হতে পারে। তবে রেডিয়েশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল, কীটনাশক বা পেস্টিসাইড, ভেজাল খাবার,
হেয়ার ডাই, লুব্রিকেন্টস, বার্নিশ, কেমোথেরাপি ড্রাগস ও কিছু জেনেটিক অসুখ দায়ী থাকতে পারে। যেকোনো কারণে অস্থিমজ্জার ভেতরের রক্তের মাদার সেলের (স্টেম সেল) মিউটেশন বা অন্য কোনো পরিবর্তন হলে ক্যানসার সেল বা অপরিপক্ব কোষ তৈরি হয়, যা অস্থিমজ্জার ভেতরে অতি দ্রুত বৃদ্ধি হয় ও রক্তে প্রবাহিত হয়। আরো কিছু কারণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
- আগের ক্যান্সারের চিকিৎসা
- জিনগত ব্যাধি
- নির্দিষ্ট রাসায়নিকের এক্সপোজার
- ধূমপান
- কিছু ভাইরাল সংক্রমণ
- বংশগত জেনেটিক অবস্থা যেমন ডাউন সিনড্রোম, ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম, ফ্যানকোনি অ্যানিমিয়া, ব্লুম সিনড্রোম ইত্যাদি।
- লিউকেমিয়ার পারিবারিক ইতিহাস
ক্যান্সার হলে কত দিন বাঁচে
কতদিন বাঁচবে তা নির্ভর করে অনেক কিছুর উপর। হায়াত মউত আল্লাহর হাতে। ডাক্তার রোগের চিকিৎসা করে থাকেন। চিকিৎসা করে দেখা গেছে অনেক রোগী ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেয়েছে এবং স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছে। ক্যান্সারের ধরন, ক্যান্সার হবার স্থান, প্যাথলজিক্যাল গ্রেড, ক্লিনিক্যাল স্ট্যাজ, চিকিৎসার ধরন ইত্যাদির উপর নির্ভর করে বলা যায় রোগীর পরিনতি কি হতে পারে।
তবে কত দিন বাঁচবে এমন কথা কোন ডাক্তার বলেন না। তবে আমি গ্রামের আড্ডায় অনেক মুখরোচক গল্প শুনেছি এমন "আমার এক খালাতো ভাইয়ের ক্যান্সার হয়েছিল। ডাক্তার বলে দিয়েছিলো রোগী আর মাত্র ২৮ দিন বাঁচবে, যা খাওয়ার তাই খাওয়ায়ে দিন। কিন্তু রাখে আল্লাহ, মারে কে? রোগী কোন চিকিৎসা ছাড়াই ৫ বছর ধরে বেঁচে আছে।" শুনতে চমকপ্রদ মনে হলেও এমন আলাপ আমি বিশ্বাস করি না। তবে এমন আলাপই অনেকে শুনতে পছন্দ করে।
তবে ক্যান্সার হলে সাধারণত, ৫ বছরের বেঁচে থাকার হার ৯০% নির্দেশ করে যে ১০ জনের মধ্যে ৯ জন ক্যান্সার রোগী নির্ণয় হওয়ার পরে ন্যূনতম ৫ বছর বেঁচে ছিলেন। শৈশব লিউকেমিয়ার জন্য বেঁচে থাকার হারঃ তীব্র লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়া (ALL) এর জন্য ৫ বছরের বেঁচে থাকার হার - ৮৫% এর বেশি।
ক্যান্সার হলে করণীয়
ক্যান্সার হলে সাধারণত চিকিৎসার জন্যই চিকিৎসকেরা সার্জারি বা অপারেশনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ক্যান্সার যদি প্রাথমিক অবস্থায় থাকে, অর্থাৎ বেশি দূর ছড়িয়ে না পড়ে থাকে, তবে সার্জারি সাধারনতঃ বিশেষ ভাবে কার্যকরী হয়। সার্জারি ছাড়াও কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি ইত্যাদিও ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কার্যকরী হয়।
ক্যানসার প্রতিরোধে করণীয়
ক্যান্সার যেন না হয় এটা আমরা সবাই মনে মনে চাই। কিন্তু কোন কোন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে সে ব্যাপারে আমাদের মধ্যে সচেতনা বোধটুকু নেই। তাই শুধু মনে মনে এবং কথায় ক্যান্সার থেকে বাচার আশা করলেই হবে না তারজন্য কিছু করণীয় পালন করতে হবে আমাদের। সেই করণীয় নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
১. তামাক জাতীয় জিনিস ও অ্যালকোহল পরিহার করতে হবে।
২. বাল্যবিবাহ রোধ করলে, সন্তানকে স্তন্যদান করলে, ওরাল ও ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চললে ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
৩. শাকসবজি, ফলমূল, বিটা ক্যারোটিন ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে, যা ক্যানসার থেকে সুরক্ষা দেয়। একইসঙ্গে চর্বিযুক্ত, অস্বাস্থ্যকর ও জাঙ্ক ফুড পরিহার করতে হবে।
৪. ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি বাড়াতে হবে, নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস ও ব্যায়াম করতে হবে।
৫. হেপাটাইটিস 'বি'র ভ্যাকসিন নিতে হবে ক্যানসার প্রতিরোধে। এখন শিশুদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয় টিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে। এ ছাড়া অন্যরাও এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
৬. হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস, যেটা ৯৯ শতাংশ জরায়ুমুখ ক্যানসারের জন্য দায়ী, এটি প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আছে। নয় থেকে ১৪ বছর বয়স এই ভ্যাকসিনের উপযুক্ত সময়। এ ছাড়া ২৫ বা ৪০ বছর বয়সেও এই ভ্যাকসিন নিলে কিছুটা সুরক্ষা দেবে।
৭. মাল্টিপল সেক্সুয়াল পার্টনার ও অস্বাভাবিক যৌন আচরণ পরিহার করতে হবে।
৮. অপরিকল্পিত নগরায়ন বন্ধ করতে হবে। নিয়মনীতি বাস্তবায়ন, খেলার মাঠ, হাঁটার জন্য ফুটপাত রাখতে হবে।
৯. ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে সর্বস্তরে।
লেখকের মন্তব্যঃ
মরণব্যাধী ক্যান্সার কাউরি কাম্য নয়। এই ক্যান্সার যে কাউরি হতে পারে। তবে আমাদের কিছু খাদ্যাভ্যাসের কারণে মূলত এই রোগ হয়ে থাকে। এটা অনেক গবেষনায় প্রমানীত। বেশিরভাগ ক্যান্সার আমাদের অবহেলা ও খামখেয়ালীর কারণে হয়ে থাকে তা উপরে বর্ণিত কারণগুলো থেকে জেনে গেছেন নিশ্চয়। ক্যান্সার মুক্ত থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url