যে খাবার খেলে বউয়ের কাছে ১ঘন্টা থাকতে পারবেন গ্যারান্টি বিস্তারিত জানুন
সংসারে সুখ-শান্তি নির্ভর করে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবনের উপর। তবে বিবাহিত জীবনে প্রথম দিকে স্বামীর যৌন শক্তি ঠিক থাকলেও অনেকের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে তা কমতে থাকে। আপনি এমন সমস্যায় ভূগছেন ? হারানো যৌন শক্তি কি ফিরে পেতে চান ?
হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি এমন কিছু খাবারের তথ্য নিয়ে যেগুলো খেলে আপনি আপনার হারানো যৌবন ফিরে পাবেন। কিছু খাবার আছে যে খেলে আপনি পুরো ১ ঘন্টা থাকতে পারবেন আপনার স্ত্রীর কাছে।
ভূমিকাঃ
দাম্পত্য জীবনের সুখকে অনেকে জান্নাতী সুখ বলে আখ্যাদিয়ে থাকেন। আর এখানে ব্যর্থ হলে এর মত আর লজ্জার কিছু নেই। অনেকের সংসার ভেঙ্গে যায়, সংসারে নেমে আসে অশান্তি। যৌনশক্তি বাড়ানোর জন্য সঠিক পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হয়। একটি সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাবার দ্বারা শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি হয় এবং যৌনশক্তির স্তরও উন্নত হয়।
পেজ সূচিপত্রঃ
যে খাবার খেলে যৌন শক্তি বাড়ে
প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় যে খাবার রাখবেন
পুরুষের মধ্যে যৌন সক্ষমতা কমে যায় কেন
যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায়
কোন দেশের মানুষ বেশি যৌন উত্তেজক ঔষধ খায়
সেক্স করমোন বাড়ানোর সহজ ব্যায়াম
লেখকের মন্তব্য
যে খাবার খেলে যৌন শক্তি বাড়ে
যৌবনদীপ্ত সময়টাতে সহবাসকে দাম্পত্য সুখের ভিত্তি বলা যেতে পারে। এসময় দম্পতি পরস্পরের কাছ থেকে ভালো পারফরম্যান্স আশা করে। বিশেষ করে পুরুষের পারফরম্যান্স যথেষ্ট না হলে নারী পরকীয়ায় জড়িয়ে পরতে পারেন। পরিণামে বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে। সুখবর হলো, কিছু খাবার বিছানায় পুরুষের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করতে পারে। এখানে তেমন কিছু খাবার সম্পর্কে বলা হলো, যা মিলনের আগে খেলে উপকার পেতে পারেন।
চিয়া বীজঃ চিয়া বীজ হলো শক্তির শক্তিঘর। অন্যান্য পুষ্টি তো আছেই। এই খাবার স্ট্যামিনা ধরে রাখতে সাহায্য করে। মিলনের আগে শক্তিবর্ধক চিয়া বীজ খেতে পারেন।
গ্রীন টিঃ গ্রিন টি-ও শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে। ব্ল্যাক টি’র ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সহবাসের আগে গ্রিন টি অথবা ব্ল্যাক টি পান করতে পারেন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারঃ ভিটামিন সি পুরুষ হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা যৌন তাড়না বাড়িয়ে থাকে। এটি শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতিশীলতাও বৃদ্ধি করে। তাই সহবাসের আগে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন।
আপেলঃ আপেল মুখের দুর্গন্ধ কমায় এবং দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্যকণা দূর করে। সুন্দর সহবাস অভিজ্ঞতার জন্য মুখের স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক আদর-সোহাগের সময় মুখের দুর্গন্ধ যৌনতায় কিছুটা হলেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সহবাসের আগে একটি আপেল খেতে পারেন।
সামদ্রিক মাছঃ কিছু সামুদ্রিক খাবার যৌনকামনা বৃদ্ধি করে, যেমনঃ- কাঁকড়া ও চিংড়ি। এসব খাবার মস্তিষ্কে সেরোটোনিনও বৃদ্ধি করে, যা মেজাজকে সহবাসের জন্য প্রস্তুত করতে পারে। সামুদ্রিক খাবার খাওয়ার পর একটি আপেল খেতে পারেন, যেন এসব খাবারের দুর্গন্ধ দূর হয়। মুখের কিন্তু সবার কাছেই খারাপ লাগে কথাটা মনে রাখবেন।
আদার ও লেবুর সরবতঃ আদার পানীয়তে লেবুর রস মিশিয়ে সহবাসের আগে পান করতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে- আদা লেবুর পানীয় শরীরে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে পারে, বিশেষ করে লিঙ্গ অঞ্চলে। আদা যৌন তাড়নাও বৃদ্ধি করতে পারে।
ডিমঃ ডিমের ভিটামিন বি৫ এবং ভিটামিন বি৬ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে। পুরুষের লিঙ্গ উত্থান সমস্যায় ভোগার অন্যতম কারণ হলো কিছু হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, যেমনঃ- টেস্টোস্টেরন। তাই সহবাসের আগে ডিম খেলে ভালো ফল পারেন।
পালংশাকঃ সহবাসের আগে পালংশাক খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এই খাবার গোপনাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে যৌনতাকে উদ্দীপ্ত করতে পারে। সহবাসের আগে পালংশাক খেলে সুখকর অনুভূতি বাড়বে।
প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় যে খাবার রাখবেন
বিবাহিত জীবনের অন্যতম সৌন্দর্য হলো যৌনতা। একটি সুন্দর ও সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাতে যৌনতার অপরিহার্যতা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই একটা সময় গিয়ে যৌন ইচ্ছায় শিথিলতা দেখা দেয়। এটি হতে পারে নানা কারণে। আর এর ফলে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ও অস্থিরতা বাড়ে।
তবে বেশ কিছু পুষ্টিকর খাবার রয়েছে যা আমাদের শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের ভারসাম্য রক্ষা করে এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেম কার্যকর রাখে। এন্ড্রোক্রাইনের কাজ শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করা আর এই ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন আপনার যৌন ইচ্ছা জাগানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। নিচে ১০টি খাবারের নাম উল্লেখ করা হলো যা যৌনজীবন সতেজ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- পালং শাক
- রসুন
- তৈলাক্ত মাছ
- আপেল
- দুধ
- ডিম
- কলা
- বিট
- বাদাম
- চেরি
পুরুষের মধ্যে যৌন সক্ষমতা কমে যায় কেন
যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া বা এ ধরনের কোন কাজে উৎসাহ না পাওয়ার মতো উপসর্গ অনেকের মধ্যে থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ কী তা জানেন না অনেকেই। স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থা এবং চিকিৎসকরা বলছেন, এ ধরনের উপসর্গের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরন নামে এক ধরনের লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া। একে বলা হয় টেস্টোস্টেরন ঘাটতি।
“বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত এই হরমোন খুব বেশি মাত্রায় না বাড়লেও ছেলেদের মধ্যে এটির মাত্রা বেশি থাকে। বয়ঃসন্ধিকালের পর এই হরমোনের মাত্রাটা হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং সে একজন পরিপূর্ণ পুরুষ হওয়ার জন্য তৈরি হয়। ওর দাঁড়ি-গোঁফ তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে যৌনাঙ্গের পরিপক্বতা, জননাঙ্গের পরিপূর্ণ আকার, ঘাম, মানসিকভাবে পুরুষালি আচরণ- টোটালটাই এই হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন।”
টেস্টোস্টেরন হচ্ছে এক ধরনের হরমোন যা পুরুষের মধ্যে পুরুষালি বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটায়। এ কারণে একে অ্যান্ড্রোজেন বা সেক্স হরমোন বা লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনও বলা হয়। এই হরমোন অণ্ডকোষে তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের টুইন্সবার্গ ফ্যামিলি হেলথ এন্ড সার্জারি সেন্টারের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট কেভিন এম প্যান্টালোন বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার মধ্যেই টেস্টোস্টেরন হরমোন থাকে।
তবে পুরুষের মধ্যে এই হরমোনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি থাকে। যার কারণে পুরুষের প্রজনন কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে ও যৌনাঙ্গ গঠিত হয়। ছেলেদের হাড় ও মাংসপেশীর ঘনত্ব বাড়ে, রক্তে লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়ে, কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন হয়ে তা ভারী হয়, মুখে দাড়ি হয়, শরীরের অন্যান্য অংশ লোম বাড়ে, যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে। একই সাথে যৌন ক্রিয়া এবং প্রজনন সক্ষমতা জাগ্রত হয়।
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট কেভিন এম প্যান্টালোন বলেন, টেস্টোস্টেরনের ঘাটতিকে মেল হাইপোগোনাডিজম বা লো-টি(Low-T) ও বলা হয়। এটা এমন একটা অবস্থা যখন অণ্ডকোষ পর্যাপ্ত টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করতে পারে না।
তিনি বলেন, বয়সের সাথে সাথে এই হরমোন কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক। ত্রিশ বছর বয়সের পর সাধারণত প্রতিবছর এক শতাংশ হারে এটি কমতে থাকে। তবে যখন এই কমতির হার বয়স ছাড়াও অন্যান্য নানা বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হয়, তখনই এটিকে ঘাটতি হিসেবে ধরা হয়। আর এই ঘাটতির ফলে পুরুষের যৌন সক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায়
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের যৌন ক্ষমতা যেমন কমতে থাকে তেমনই পুরুষদেরও যৌন শক্তি হ্রাস পায়। চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষদের মধ্যে অনেকেই নিজের সঙ্গিনীকে শারীরিকভাবে তৃপ্ত করতে পারার অক্ষমতায় ভোগেন। তুলনামূলকভাবে পুরুষের যৌন ক্ষমতা অটুট রাখার কিছু সহজ ঘরোয়া কৌশল বাতলে দিতে পারে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র।
আয়ুর্বেদিক রিসার্চ অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দেওয়া হয়েছে এমনকিছু খাবারের কথা যেগুলির নিয়মিত সেবন প্রাকৃতিক উপায়ে পুরুষের যৌন ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
১. আমলকিঃ কাঁচা আমলকিতে থাকে ভিটামিন সি, আয়রন এবং জিংক। এগুলো পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই বিছানায় বেশিক্ষণ ভালবাসার শক্তিও জোগায়। তাছাড়া যৌন চাহিদা বৃদ্ধিতেও আমলকি অদ্বিতীয়।
২. শুকনো ফলঃ বাদাম, আখরোট, কিসমিস, কিংবা পেস্তার মতো শুকনো ফল শুধু যে আপনার স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতি সাধন করে তা-ই নয়, এর ফলে শরীরে রক্ত আর কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। পরিণামে পুরুষদের মধ্যে বেড়ে যায় যৌন চাহিদা এবং যৌন ক্ষমতা।
৩. ভিটামিন ডিঃ তেলওয়ালা মাছ, চিজ বা ডিম-এর মতো খাবারে ভিটামিন ডি থাকে প্রচুর পরিমাণে। ভিটামিন ডি শরীরে টেস্টোস্টেরন বাড়াতে সাহায্য করে।
৪. বাদামঃ বাদামে থাকে আর্জিনিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। পরিণামে যৌন ইচ্ছা এবং ইরেকশন বাড়ে পুরুষ শরীরে। এই সমস্ত খাবারগুলো নিয়মিত খান দেখবেন আপনি অনেকটা সুস্থ হয়ে গেছেন।
৫. গমের রুটিঃ সম্ভব হলে সকালে ও রাতে গমের রুটি খান। তবে বাজারে যে ময়দা পাওয়া যায় সেটা নয়, প্রয়োজন হলে বাজার থেকে গম কিনে পানিতে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে মেশিনে ভাঙ্গিয়ে নিন। এতে করে শরীরিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
৬. মধু ও কালোজিরাঃ মধু ও কালোজিরা মহিলা-পুরুষ সবার জন্যই উপকারি। মধু ও কালোজিরা সকল রোগের ঔষধ বলা হয়ে থাকে। মধু ও কালোজিরা যৌন শক্তি বর্ধক হিসেবে দারুন কাজ করে।
৭. পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ শারীরিক ও মানসিক সুস্থ্যতার জন্য সকলকেই পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিৎ। বিশেষ করে দিনের বেলায় কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে। পানি কম খেলে নানাবিধও সমস্যা দেখাদিতে পারে।
কোন দেশের মানুষ বেশি যৌন উত্তেজক ঔষধ খায়
বিভিন্ন গবেষনায় ও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে- আরব তরুণরাই বেশি যৌন উত্তেজক ঔষধ খেয়ে থাকেন। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তরুণ আরব পুরুষরা এখন আরও বেশি হারে সিলডানাফিল (বাণিজ্যিকভাবে ভায়াগ্রা নামে পরিচিত), ভারডেনাফিল (লেভিট্রা, স্ট্যাক্সিন) এবং টাডালাফিলের (সিয়ালিস) মতো ঔষধ ব্যবহার করছে।
কায়রোর কেন্দ্রস্থলের ঐতিহাসিক এলাকা বাব আল-শারিয়ায় নিজের কবিরাজি দোকানে কবিরাজ রাবি আল-হাবাশি আমাদের যে জিনিস দেখাচ্ছিলেন, সেটিকে তিনি বলেন তার "যাদুকরী মিশ্রণ।" তবে গত কয়েক বছর ধরে তিনি তার ক্রেতাদের চাহিদায় একটা পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন। "এখন বেশিরভাগ পুরুষ নীল বড়ি কিনতে চায়, যেটা তারা পশ্চিমা কোম্পানিগুলো থেকে পায়," বলছিলেন তিনি।
কিন্তু ২০১২ সালের এক গবেষণায় যেটা বলা হচ্ছে, আরব বিশ্বে কামোদ্দীপক এবং ধ্বজভঙ্গের ঔষধের মাথাপিছু ব্যবহারের দিক থেকে মিশরের অবস্থান দুনম্বরে। সবার শীর্ষে আছে সৌদি আরব। মিশরের অবস্থান এখনো বেশ উপরের দিকেই। ২০২১ সালের সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সেখানে বছরে পুরুষত্বহীনতার ঔষধ বিক্রি হয় ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলারের। এটি মিশরের পুরো ঔষধের বাজারের ২ দশমিক ৮ শতাংশ।
সেক্স করমোন বাড়ানোর সহজ ব্যায়াম
যে কোন মানুষের সুস্থ্যতার জন্য ব্যায়াম অত্যান্ত জরুরী। বিশেষ করে যারা যৌন সমস্যায় ভূগছেন তারা নিয়মিত কয়েকটি ব্যায়াম করলে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। যেকোনো ধরনের ব্যায়াম বা শরীরচর্চা রক্তে টেস্টোস্টেরন বাড়াতে সহায়ক। তবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম, যেমন স্কোয়াট, ডেডলিফট, বেঞ্চ প্রেস, পুশ আপ বেশি উপকারী।
বর্তমানে মানুষের খাদ্যাভাসের অনেক পরিবর্তণ ঘটেছে যার ফলে কয়েক পুরুষ আগেও যে শক্তি ছিলো সেই শক্তি আর নেই। আগেকার দিনে একজন পুরুষ একের অধীক নারীকে বিয়ে করতেন এবং ঠিকঠাক তাদের সকল চাহিদা মিটাতেন। তাদের শারীরিক পরিশ্রমটা ব্যায়ামের কাজ করতো তাই তাদের আতিরিক্ত ব্যায়ামের প্রয়োজন মতো না।
আমদের জীবন যাত্রায় এসেছে অনেক পরিবর্তন। আগের মতো পরিশ্রম নেই, ব্যায়াম করার সময় নেই, সুষম খাদ্য গ্রহণেও অবহেলা। যার ফলে সব রকম ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। এগুলো সবার ক্ষেত্রেই ঘটে নারী-পুরুষ উভয়ের। তাই নারী-পুরুষ সকলকেই দিনের কিছু সময় ব্যায়ামের মাধ্যমে শারীরি মিটনেশ ধরে রাখতে হবে।
লেখকের মন্তব্যঃ
আমি মনে করি একজন পুরুষ বড় হওয়ার সাথে সাথে তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটার পাশাপাশি যে যৌবনে প্রবেশ করে সেই সময়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় কিছু বদ অভ্যাসে না জড়ালে এবং সঠিক মাত্রায় সুষম খাবার খেলে বয়স বাড়লেও তার যৌন সমস্যা তৈরি হবে না। কোনক্রমে এই সমস্যা তৈরি হলে উপরে বর্ণিত পদ্ধতিগুলো অবলম্বণ করুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url