কচু শাকের পুষ্টিগুণ, কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

কচু শাক সবাই কম বেশি খেয়ে থাকি ভিটামিনের আধার হিসেবে। রাত কানা রোগের মহাঔষুধ বলে শুনে আসছি ছোট বেলা থেকে। কিন্তু আপনি কি জানেন কচু শাকের আসল পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা-অপকারিতা সম্পর্কে ?
কচু শাকের পুষ্টিগুণ, কচু শাকের উপকারিতা  ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের সামনে কচু শাকের পুষ্টিগুণ ও অপকারিতা-অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। এখানে জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়া যাবে কিনা সে সম্পর্কেও।

ভূমিকাঃ

কচুর শাকে পর্যাপ্ত পরিমানে আঁশ থাকে যা হজমে সহায়তা করে।কচুশাকে রয়েছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, তাই হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। আমাদের শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে সব ডাক্তাররাই কচু শাক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কচু শাক গ্রামে শহরে সব জায়গাতেই পাওয়া যায়।

পেজ সূচিপত্রঃ

কচু শাকের পুষ্টিগুণ
কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিত
গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা
কচু শাক খেলে কি এলার্জি হয়
কচু শাকে কি গ্যাস হয়
কচুর লতির পুষ্ঠিগুণ ও উপকারিতা
কচুর ডাটা খাওয়ার উপকারিতা
লেখকের মন্তব্যঃ

কচু শাকের পুষ্টিগুণ

সুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসকরা প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তেমনি একটি উপকারী শাক হচ্ছে কচু শাক। কচু শাকের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ প্রচুর। তাইতো এর চাহিদাও অনেক। কচু শাকের পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় এর চাহিদা ব্যপক। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে কচু শাকের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি।

কচুর শাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ,বি,সি,ক্যালসিয়াম ও লৌহ রয়েছে । ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্য রাতকানা প্রতিরোধ করে আর ভিটামিন সি শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তাই শিশুদের ছোট বেলা থেকেই কচুর শাক খাওয়ানো উচিত। কচুতে আছে আয়রন, যা রক্ত শূন্যতা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

কচুশাকের পুষ্টি উপাদান বেশি থাকায় সব বয়সের মানুষ খেতে পারে। এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান সমূহ। নিচে কচু শাকের পুষ্টি উপাদান আলোচনা করা হলো-

প্রতি ১০০ গ্রাম কচুশাকে থাকে, শর্করা-৬.৮ গ্রাম, প্রোটিন- ৩.৯ গ্রাম, লৌহ-১০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন)-০.২২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্লেবিন)-০.২৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ‘সি’-১২ মিলিগ্রাম, স্নেহ বা চর্বি-১.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ২২৭ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি-৫৬ কিলোক্যালরি।

কচু শাকের উপকারিতা

আমাদের দেশের রান্নাঘরে কচু শাক একটি পরিচিত উপাদান। সবুজ শাকসবজির মতো কচু শাকও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই শাকটি নিয়মিত খাওয়া শরীরের জন্য বিভিন্ন উপকারে আসতে পারে।

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখেঃ কচু শাকে ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই ভিটামিন চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখে এবং মায়োপিয়া, ছানি ও রাতকানা রোগের মতো চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ কচু শাকে ভিটামিন সি এবং পলিফেনল প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই উপাদানগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এগুলো শরীরকে ক্ষতিকারক উপাদান থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

হার্ট ভালো রাখেঃ কচুর গাঢ় সবুজ পাতা হৃদরোগের ঝুঁকি প্রায় ১৬% কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা নাইট্রেট রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। কচু পাতায় খুব কম চর্বি এবং কোনো কোলেস্টেরল নেই। এতে থাকা ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এছাড়াও, কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে জল থাকায় এটি আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি আরো কমে যায়।

ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ কচু পাতায় থ্রোনিন নামক একটি বিশেষ ধরনের অ্যামাইনো এসিড থাকে। এই অ্যামাইনো এসিড ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বকে ইলাস্টিন এবং কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে, যা ত্বককে মসৃণ এবং টানটান রাখে। ফলে ত্বকে ভাঁজ পড়া এবং বলিরেখা তৈরি হওয়া কমে যায়। তাই সুন্দর এবং তরুণ ত্বকের জন্য কচু শাক খাওয়া খুবই জরুরি।

রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ শরীরে আয়রনের অভাব হলে রক্তস্বল্পতা হয়। কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এই আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কচু শাক খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয় এবং শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়ে।

হজমে সাহায্য করেঃ কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার থাকে। এই আঁশ খাবার হজমে সাহায্য করে এবং পায়খানা নিয়মিত করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত কচু শাক খেতে পারেন।

শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করেঃ কচু শাকে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই ভিটামিন শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে এবং কচুতে থাকা লৌহকে শরীর সহজে গ্রহণ করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের খাদ্য তালিকায় কচু শাক রাখলে শারীরিক বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

দাঁতের ক্ষয় রোধ করেঃ কচু শাকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ এবং ফসফরাস প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই খনিজ উপাদানগুলো দাঁত ও হাড়ের গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত কচু শাক খেলে দাঁত ও হাড় মজবুত হয় এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ হয়।

কচু শাকের অপকারিতা

কিন্তু সব কিছুর মতো কচু শাক খাওয়ারও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। অতিরিক্ত পরিমাণে কচু শাক খাওয়া কিছু মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কী কী কারণে কিছু মানুষকে এটি এড়িয়ে চলা উচিত। সে সব আলোচনা থাকছে নিচের আলোচনায়।

গলা চুলকানিঃ কচুতে অক্সলেট নামক একটি উপাদান থাকে, যা গলা চুলকানির কারণ হতে পারে। তবে, রান্নার সময় লেবুর রস বা সিরকা ব্যবহার করে এই সমস্যা কমিয়ে আনা যায়।

অ্যালার্জিঃ যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাদের জন্য কচু শাক খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিকঃ কচু শাক গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়াতে পারে। কিছু মানষ আছে এমন যে তারা কচু শাক খেলেই গ্যাসের সমস্যা হবেই হবে। তাদেরকে কচু শাক না খাওয়াই ভালো।

গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা

সকলের জন্য কচু শাক খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। সে ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় কচু শাকের উপকারিতা রয়েছে অনেক। একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অত্যন্ত জরুরী। ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অভাবে অধিকাংশ গর্ভবতী মহিলার নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

তাই একজন গর্ভবতী মহিলা যদি গর্ভাবস্থায় কচু শাক খায় তাহলে তার শরীরে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। তাই গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম। 
  • আমরা জানি কচুশাকে প্রচুর পরিমাণ এর ভিটামিন এ রয়েছে। ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই গর্ভবতী মহিলা যদি কচু শাক খায় তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিটামিন এ এর ঘাটি পূরণ হবে এবং নবাগত শিশুর চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি পাবে।
  • কচু শাক খাওয়ার ফলে শরীরের রক্ত পরিষ্কার হয় এবং নতুন রক্ত উৎপাদনে সাহায্য করে। এর জন্য গর্ভবতী মহিলা যদি কচু শাক নিয়মিত খায় তাহলে শরীরের রক্তের ঘাটতি পূরণ হবে।
  • গর্ভবতী মহিলাদের প্রায় সময় পেটে নানান ধরনের বদহজমের সমস্যা হয়ে থাকে। নিয়মিত কচুর শাক খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মহিলা বদহজমের মতো সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারে।
  • নবাগত শিশুকে জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ পান করাতে হয়। সে ক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলা যদি কচু শাক খায় তাহলে শিশু জন্মের পর পর্যাপ্ত পরিমাণের দুধ পাবে ‌‌।
  • আমরা জানি কচুশাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। ক্যালসিয়াম একটি শিশুর হাড় গঠন করতে সাহায্য করে। তাই একজন গর্ভবতী মহিলা নিয়মিত কচু শাক খেলে তার শিশুর হাড় সুগঠিত হবে।
  • গর্ভবতী মহিলার শরীরে প্রোটিন ও ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে কচুর শাক বিশেষভাবে উপকার করে। তাই গর্ভবতী মহিলারা যদি কচু শাক খায় তাদের শরীরে প্রোটিন ও ভিটামিনের অভাব হবে না।
গর্ভবতী অবস্থায় গর্ভবতী মহিলাকে নানান ধরনের ভিটামিন ক্যাপসুল ও ক্যালসিয়াম ক্যাপসুল খেতে হয়। যদি কারো আর্থিক সমস্যা থাকে তাহলে ভিটামিন ক্যাপসুল ও ক্যালসিয়ামের পরিবর্তে কচু শাক খেতে পারেন।এতে করে সন্তানের উপকার হবে এবং সন্তানের শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে। 

কচু শাক খেলে কি এলার্জি হয়

বর্তমান সময়ে এলার্জি যে কোন বয়সের মানুষের হয়ে থাকে। এই এলার্জি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ডাক্তার আমাদেরকে নানান ধরনের এলার্জি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলে। এলার্জি জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে কচু শাক একটি। যদি প্রশ্ন করেন কচু শাক খেলে কি অ্যালার্জি হয় অথবা কচু শাকে কি অ্যালার্জি আছে তাহলে বলব কচুর শাকে এলার্জি রয়েছে।

কচুশাকে একটি উপাদান রয়েছে যার নাম ক্যালসিয়াম অক্সালেট । এটি আমাদের শরীরের এলার্জির সৃষ্টি করে। তাই যাদের এলার্জি রয়েছে তারা কচু শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আশা করি কচুর শাক খেলে কি এলার্জি হয় অথবা কচু শাকে কি এলার্জি আছে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

কচু শাক খেলে কি গ্যাস হয়

হ্যাঁ কচু শাক খেলে অনেকেরেই গ্যাসের সমস্যা হয়। কচু শাক খেলে সবারই যে গ্যাস হবে এমনটি নয়। কিছু লোক আছে যাদের কচু শাক খেলেই গ্যাসের সমস্যা হয়। তারা যদি খেতে চান তবে দুপুরের খাবারের সাথে অল্প পরিমানে খান। যাদের গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি রয়েছে তাদের জন্য কচু অনেক উপকারী। কচুর লতিতে চিনির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এটি।

কচু খাওয়ার উপকারিতা

বর্তমানে কচু একটি জনপ্রিয় সবজি হিসেবে পরিচিত। আগে শুধুমাত্র গ্রামের মানুষেরা কচু খেত, তবে এখন গ্রামের চেয়ে শহরে কচু বেশি বিক্রি হয়। কচুতে আছে প্রচুর ফাইবার, ফোলেট ও থায়ামিন যা মানব শরীরের জন্য অনেক দরকারি উপাদান। কচু খেলে রক্তের কোলেস্টরল কমে তাই উচ্চরক্ত চাপের রোগীদের জন্য ওল কচুর রস বেশ উপকারী। 

নিয়মিত কচু খেলে কোলন ক্যান্সার ও ব্রেষ্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। কচু একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ডায়েট্রি ফাইবার শরীরে ইনসুলিন উত্পাদন নিয়ন্ত্রণ করে রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখার সম্ভাবনা রাখে। ডায়েট্রি ফাইবারগুলি মানুষের ডায়েটে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এটি হজমতন্ত্রকে পরিষ্কার করে।

কচুর লতির পুষ্ঠিগুণ ও উপকারিতা

পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি কচুর লতি। এই সবজির সঙ্গে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। কচুর লতি খেতে পছন্দ করেন না এমন লোক খুব কমই আছে। খাদ্য তালিকায় অনেকেরই প্রিয় এই সুস্বাদু রসালো সবজি। এই সহজপ্রাপ্য সবজি কচুর লতিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত দরকারি এবং খুবই উপকারী।

কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ। যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মহিলাদের গর্ভাবস্থা, খেলোয়াড়, বাড়ন্ত শিশু, কেমোথেরাপি দেওয়া হয় এমন রোগীদের সুস্থতার জন্য কচুর লতি খুবই উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় শক্ত করে।

যা হাড় শক্ত করে ও চুলপড়া রোধ করে। কুচুর লতিতে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশের পরিমান খুব বেশি। যা খাবার হজমে সাহায্য করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কচুর লতিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আছে, যা সংক্রামক রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দ্বিগুন বৃদ্ধি করে। এটি কোলেস্টেরল বা চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।

কচুর ডাটা খাওয়ার উপকারিতা

কচুর শাকের মত কচুর ডাটাতেও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা। কচুর ডাটা অনেক সুস্বাদু ও ভিটামিনে ভরপুর একটি সবজি। চিংড়ি মাছ বা ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করলে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে খেতে। বর্ষাকালে বাড়ির পার্শে যেখানে পানি জমে সেই সব স্থানে কচু বেড়ে উঠে। কচুর ডাটাগুলো যখন বড় এবং মোটা হয়, তখন এগুলো খেতে ভালো লাগে। 

কচুর ডাটা খেলে পেটের কোন সমস্যা থাকবেনা। হজরশক্তি বৃদ্ধি করবে। শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করবে এবং কষ্ঠোকাঠিন্য দূর করে পেটকে পরিস্কার করতে সাহায্য করে এই কচুর ডাটা। এগুলো হাটে বাজারে বিক্রি হয়, আবার বাড়ির পার্শে বা আনাচেকানাচে খুজাখুজি করলেই পাওয়া যাবে কচুর ডাটা। তবে কিছু কিছু কচু ও কচুর ডাটা মুখ চুলকায়, এগুলো না খাওয়াই ভালো।

লেখকের মন্তব্যঃ

কচুর গাছটা পরোটাই উপকারি। কচুর পাতা ভিটামিন এ এর আধার। ডাটাতেও প্রচুর পরিমানে উপকারি উপাদান রয়েছে। এরপর কচু এবং কচুর লতি সবই যেন পুষ্টিতে ভরপুর। কচুর শাক প্রতিদিন না পারলেও মাঝে মাঝে খাবেন। এখন সব সময় এবং সব জায়গাতেই এই শাক পাওয়া যায় এবং খুব জনপ্রিয়। শুধু শাক নয়, কচু, কচুর লতি ও ডাটা নিয়মিত সবজি হিসেবে খান, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪