জর্দা, গুল ও সিগারেট খাওয়া কি হারাম ? ইসলামের আলোকে বিস্তারিত জেনে নিন
জর্দা এবং সিগারেট খাওয়া হারাম নাকি মাকরুহ এ নিয়ে অনেকেই তর্কে লিপ্ত হয়ে থাকেন। যিনি সিগারেট খান তিনি বলেন জর্দা হারাম। আবার যিনি জর্দা খান তিনি বলেন সিগারেট হারাম। আসলেই এগুলো হারাম?
হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের সামনে জর্দা, গুল এবং সিগারেট খাওয়া হারাম নাকি হালাল এ সম্পর্কে আলোচনা নিয়ে হাজির হয়েছি। এখানে জানতে পারবেন- কোন খাদ্যগুলো হালাল ও কোন খাদ্যগুলো হারাম এবং মাকরুহ বলে কোন খাবার আছে কিনা।
ভূমিকাঃ
জর্দা, গুল, সিগারেট এগুলো মাদকেরই আরেক রুপ। যারা এগুলো সেবন করে তারা এগুলো ছাড়া বেশিক্ষন থাকতে পারেনা। এগুলো মাদকের অন্তর্ভূক্ত এবং হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যার বেশীতে মাদকতা আনে, তার অল্পটাও হারাম' (তিরমিযী, আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩৬৪৫ 'দন্ডবিধি' অধ্যায় 'মদ্যপান' অনুচ্ছেদ)।
পেজ সূচিপত্রঃ
জর্দা, গুল ও সিগারেট খাওয়া কি হারাম
জর্দা খেলে কি ক্ষতি হয়
জর্দা দিয়ে পান খেলে নামাজ হবে কি
সিগারেট ও জর্দা খাওয়া বর্তমানে ইসলামী স্কলারদের মতে
কোন ধরনের খাবার হালাল
কোন ধরনের খাবার হারাম
লেখকের মন্তব্য
জর্দা, গুল ও সিগারেট খাওয়া কি হারাম
আমাদের দেশে পান খাওয়ার প্রচলণ অনেক আগে থেকে। শহরে কিংবা গ্রামে অনেক মানুষ আছে যারা প্রতিদিন পান খাওয়াতে অভ্যাস্থ এবং এই পানের সাথে তারা বিভিন্ন রকমের জর্দা খেয়ে থাকেন। আবার কিছু লোক আছেন যারা গুল সেবন করেন যা সরাসরি ক্ষতিকর। কিছু লোক এমন আছেন যারা নিয়মিত ধুমপান করেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে অথবা চা খাওয়ার পর সিগারেট না খেলে চলেই না।
পান পাতা ক্ষতিকর নয়। উল্টো পান পাতার উপকারী ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। চিকিৎসকদের মতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ক্ষত সারানো, মানসিক অবসাদ দূর করাসহ নানা ধরনের রোগের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে পান। তাই পান খাওয়া অপছন্দনীয় বা হারাম হওয়ার কোনো কারণ নেই।
প্রশ্ন ওঠে পানের সাথে জর্দা খাওয়া নিয়ে। জর্দার মধ্যে যেহেতু মাদকতা আছে এবং এটা শরীরের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে বেশ ক্ষতিকর, তাই আলেমদের কেউ কেউ জর্দা দিয়ে পান খাওয়াকে নাজায়েজ বলেছেন। সরাসরি হারাম বলেছেন। আবার যেই আলেমগুলো পানের সাথে জর্দা খান তারা কিন্ত এর বিপক্ষে। তাদের মত এবং যুক্তিটা একটু ভিন্য।
অনেক আলেমের মতে জর্দা দিয়ে পান খাওয়া ক্ষতিকর হওয়ার কারণে অপছন্দনীয় হলেও হারাম নয়। তারা বলেন, জর্দা তামাক পাতা বেশ পরিশোধন করে তৈরি হওয়ায় এতে তেমন নেশাই থাকে না। এটাকে কোনোভাবেই মাদকদ্রব্য বলা যায় না। পরিমিত পরিমাণ জর্দা খেয়ে কেউ মাতালও হয় না। সুতরাং জর্দাকে মাদকদ্রব্য হিসেবে হারাম বলা যায় না।
যারা জর্দা খাওয়া হারাম নয় বলছেন, তাদের যুক্তি হচ্ছে এটা খেলে নাকি মানুষ নেশাগ্রস্থ হয়না, তারপর বাজারে বিক্রির ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, একজন ভালো মানুষকে জর্দা খাওয়ানতো যে কোন দিন জর্দা খাননি, তার কি অবস্থা হয়। দেখবেন সে মাথা ঘুরে পড়ে গেছে।
তারপর বলছে বিক্রিতে নিষেধ নেই, সিগারেটও তো বিক্রিতে নিষেধ নেই, তাই বলে কি হালাল হয়ে যাবে ? অনেক আলেম উলামারা পানের সাথে জর্দা খেয়ে থাকেন, তারাই মূলত এই জর্দাকে হালালের অব্যাখ্যা দিয়ে নিজের জন্য জায়েজ বানাতে চান। এরাই হচ্ছে সমাজে সুবিধাবাদী।
গুল সেবনের বছর দুয়েকের মধ্যে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়, ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়, প্রজনন ক্ষমতা কমে যায় ও গর্ভের শিশু নষ্ট হয়। এটি হচ্ছে স্বল্পমেয়াদি অপকারিতা। আর গুল সেবনে ১৫/২০ বছরের মধ্যে ঠোঁট, জিহ্বা ও গলায় ক্যান্সার দেখা দেয়। এটি হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি অপকারিতা।
জর্দা ও সিগারেট খাওয়া কয়েকটি কারণে হারাম। তন্মধ্যে অন্যতম হল ঃ-
১. গোটা দুনিয়ার সকল স্বাস্থ্যবিদদের ঐক্যমত হলো, জর্দা ভক্ষণ ও ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে ক্যান্সারসহ ভয়ানক সব রোগের সৃষ্টি হয়। শরীয়তের মূলনীতি হলো, কারো ক্ষতি করা যাবেনা। নিজেকেও ক্ষতির সম্মুখীন করা যাবে না।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ ضَرَرَ وَلاَ ضِرَارَ " .
ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত ঃ-
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ "ক্ষতি করাও যাবে না, ক্ষতি সহাও যাবে না।"
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৩৪১
২. ধূমপানের মাধ্যমে অর্থের অপচয় হয়। অপচয় করা হারাম। কুরআনের ভাষায় অপচয়কারী শয়তানের ভাই।
وَاَنۡفِقُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَلَا تُلۡقُوۡا بِاَیۡدِیۡکُمۡ اِلَی التَّہۡلُکَۃِ ۚۖۛ وَاَحۡسِنُوۡا ۚۛ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ الۡمُحۡسِنِیۡنَ
(আল বাকারা - ১৯৫)
আর ব্যয় কর আল্লাহর পথে, তবে নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন।
حَدَّثَنَا عَبْدُ رَبِّهِ بْنُ خَالِدٍ النُّمَيْرِيُّ أَبُو الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى بْنِ الْوَلِيدِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى أَنْ " لاَ ضَرَرَ وَلاَ ضِرَارَ " .
উবাদাহ ইবনুস সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ-
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দিয়েছেন যে, "ক্ষতি করাও যাবে না, ক্ষতি সহাও যাবে না। "
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৩৪০
اِنَّ الۡمُبَذِّرِیۡنَ کَانُوۡۤا اِخۡوَانَ الشَّیٰطِیۡنِ ؕ وَکَانَ الشَّیۡطٰنُ لِرَبِّہٖ کَفُوۡرًا
(বনী-ইসরাঈল - ২৭)
নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।
জর্দা খেলে কি ক্ষতি হয়
জর্দার অ্যালকালয়েড ও নিকোটিন অধিক মাত্রায় বিষাক্ত। জর্দা মুুুুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। ক্যান্সার গবেষণার আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসি-এর মতে, যারা পানের সঙ্গে তামাক জাতীয় দ্রব্যাদি গ্রহণ করেন তাদের মুখে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জর্দায় নিকোটিন রয়েছে, একটি অত্যন্ত আসক্তিকারী পদার্থ।
জর্দা মাড়ির রোগ, দাঁতের ক্ষতি এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ সহ অন্যান্য মৌখিক স্বাস্থ্য সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। জর্দার নিয়মিত ব্যবহার হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। গর্ভাবস্থায় জর্দা ব্যবহার বিকাশশীল ভ্রূণের ক্ষতি করতে পারে এবং কম ওজনের এবং অকাল জন্মের ঝুঁকি বাড়ায়।
জর্দা দিয়ে পান খেলে নামাজ হবে কি
আর পানের সঙ্গে জর্দা বা তামাক খাওয়াও ডাক্তারি মতে শারীরিক ক্ষতির কারণ। তাই যথাসম্ভব এ থেকেও বিরত থাকা উচিত। আর কারো ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে ক্ষতিকর প্রমাণিত হলে তার জন্য তা খাওয়া নাজায়েজ হবে। গুল এবং সিগারেটও এই বিধানের মধ্যে পড়ে। এগুলোর প্যাকেটের গায়ে লিখা থাকে, ক্যান্সার ঝুকির প্রধান কারণ।
উল্লেখ্য যে, যারা পান-জর্দা খায় তাদের জন্যও নামাজ আদায়ের পূর্বে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া কর্তব্য। যেন পানের কণাগুলো বের হয়ে যায় এবং গন্ধও না থাকে। আরো উল্লেখ থাকে যে, মিসওয়াক ইসলামের দায়েমী একটি সুন্নত। এ সুন্নতটির প্রতি যত্নবান হয়ে দাঁত এবং মুখ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য।
সিগারেট ও জর্দা খাওয়া বর্তমানে ইসলামী স্কলারদের মতে
তামাক সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি অঞ্চলভেদে ভিন্ন। যদিও তামাক বা ধূমপান সাধারণভাবে কুরআন বা হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, সমসাময়িক পণ্ডিতরা এটিকে সম্পূর্ণ ক্ষতিকারক বলে নিন্দা করেছেন এবং কখনও কখনও ধূমপানকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছেন (এটিকে হারাম ঘোষণা করেছেন) ফলে এটি যে মারাত্মক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
ধূমপান করা মাকরূহে তাহরিমী তথা হারাম । এতে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও রয়েছে । এমনকি সিগারেটের গায়েও লেখা থাকে “ধূমপান মৃত্যু ঘটায়” তাই জেনে শুনে নিজের জান-মালের ক্ষতি করা মারাত্মক গোনাহ হবে। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, তোমরা নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে নিক্ষেপ করো না ।
( সূরা বাকারা, আয়াত নং ১৯৫ )
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক নেশার বস্তুই মাদক (খমার) আর প্রত্যেক নেশার জিনিসই হারাম।
( সহীহ মুসলিম হাদীস নং ২০০৩ ) সিগারেট যেহেতু নেশা জাতীয় জিনিস তাই এটা যে,মাকরূহে তাহরিমী তথা হারাম হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই ধূমপান করা থেকে বিরত থাকা জরুরী ।
আর বিনা জর্দাতে যদি কেউ পান খায় তাহলে সেটা জায়েয হবে, পানের সাথে জর্দা বা তামাক খাওয়া যেহেতু ডাক্তারি মতে নিশ্চিত শারীরিক ক্ষতি হয় এবং এতে কোন উপকারও নেই তাই জর্দা খাওয়া নাজায়েয হবে এবং গোনাহও হবে। আর যে কাজে গুনাহ হবে সেটা অবশ্যই হারাম।
কোন ধরনের খাবার হালাল
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য হালাল বা বৈধ খাবার গ্রহণ করা অপরিহার্য। হাদিসের ভাষায় হালাল খাবার গ্রহণ দোয়া কবুলের পূর্বশর্ত। কোরআনের বহু আয়াত ও হাদিসে বারবার হারাম খাবার থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ কোরো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৮)
খাদ্য ও পানীয়ের মূল প্রকৃতি হচ্ছে বৈধ ও হালাল হওয়া। সে সূত্রে বিভিন্ন উদ্ভিদ, ফল, শস্য ইত্যাদি থেকে তৈরিকৃত পানীয় হালাল। তবে যত ধরনের খাবার ও পানীয় নেশা তৈরি করে, তা খাওয়া বা পান করা জায়েজ নেই। যেমন, গাঁজা, আফিম, ইয়াবা, বিয়ার, শ্যাম্পেইন, হেরোইনসহ এ জাতীয় অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য।
এছাড়াও যা কিছু শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর, তাও জায়েজ নেই। যেমন- বিষ, সিগারেট ও এ জাতীয় অন্যান্য খাবার ও পানীয়। যেগুলোর ক্ষতি ও অপকারিতা সবার কাছে স্পষ্ট। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, অস্বাস্থ্যকর খাবার হারামের পাশাপাশি ইসলাম পবিত্র, স্বাস্থ্যসম্মত ও উপকারী সবধরনের খাবার গ্রহণে উৎসাহ দিয়েছে। মূলত ইসলাম অপবিত্র ও অবৈধ পানাহার নিষিদ্ধ করেছে।
কোন ধরনের খাবার হারাম
খাদ্য ও পানীয়ের মূল প্রকৃতি হচ্ছে বৈধ ও হালাল হওয়া। সে সূত্রে বিভিন্ন উদ্ভিদ, ফল, শস্য ইত্যাদি থেকে তৈরিকৃত পানীয় হালাল। তবে যত ধরনের খাবার ও পানীয় নেশা তৈরি করে, তা খাওয়া বা পান করা জায়েজ নেই। যেমন, গাঁজা, আফিম, ইয়াবা, বিয়ার, শ্যাম্পেইন, হেরোইনসহ এ জাতীয় অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য।
যা কিছু শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর, তাও জায়েজ নেই। যেমন, বিষ, সিগারেট ও এ জাতীয় অন্যান্য খাবার ও পানীয়। যেগুলোর ক্ষতি ও অপকারিতা সবার কাছে স্পষ্ট।
লেখকের মন্তব্যঃ
জর্দা, গুল ও সিগারেট খাওয়ার ব্যাপারে শরিয়তের বিধান না খুজে নিজের মনকে একবার জিজ্ঞাসা করুন, আপনার মন কি বলে। যারা খোর তারা খেলে কিছু হবেনা। কিন্তু যে কোন দিন এসব খান নি, তাকে অল্প পরিমানে খাওয়াইয়া দেখেন সে কখনোই ঠিক থাকতে পারবে না। অজ্ঞান হয়ে যাবে, না হয় মাথা ঘুরে পড়ে যাবে। এখান থেকেই তো বোঝা যাচ্ছে হারাম না হালাল। যাই হোক এসব খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url