ঈমান ভঙ্গের বা ঈমান নষ্ট হওয়ার ১০টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
ঈমান থাকলে সে মুসলিম, আর ঈমান না থাকলে সে মুসলিম থাকে না। ঈমান না থাকা অবস্থায় মৃত্যু হলে জাহান্নাম নিশ্চত। এজন্য ঈমান যে ভাঙ্গে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। আপনারা কি জানেন ? ঈমান নষ্ট হওয়ার কারণ সম্পার্কে ?
হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের সামনে যে আলোচনা নিয়ে হাজির হয়েছি তা হচ্ছে- ঈমান ভঙ্গ বা নষ্ট হওয়ার কারণ সমূহ। এখানে জানতে পারবেন- একজন ঈমানদার মুসলিমের কোন কোন কাজ করলে ঈমান ঈমান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ভূমিকাঃ
ঈমান ভঙ্গের কারণগুলো মূলত ৩ প্রকার। বিশ্বাসগত, কর্মগত ও উক্তিগত। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের লক্ষ থাকা উচিৎ যেন আমাদের ঈমান নষ্ট না হয়ে যায়। এই ব্যাপারে আমাদেরকে খুব সাবধানতা অবলম্বণ করতে হবে। নিম্নে সেগুলোকে কয়েকটি পয়েন্টে আলোচনা করা হলো।
পেজ সূচিপত্রঃ
আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা
আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে কাউকে মধ্যস্থতাকারী বানানো
মুশরিক-কাফিরদের কাফির মনে না করা
নবীজি (সাঃ)-এর কথার চেয়ে অন্য কারও কথাকে উত্তম মনে করা
মুহাম্মাদ (সাঃ) আনীত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা
দীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা
জাদু টোনা করা
মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহযোগিতা করা
কাউকে দীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা
দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া
লেখকের মন্তব্য
আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা
ঈমান ভঙ্গের প্রথম ও প্রধান কারণ হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে কোনো কিছুকে বা কাউকে শরিক করা। আল্লাহ এটা সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করেন। কোরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা এ বিষয়ে বলেন, إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا ‘নিশ্চয় আল্লাহ তার সাথে শরীক করা ক্ষমা করবেন না। তা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন, এবং যে কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে সে এক মহাপাপ করে।’ (সুরা নিসা ৪৮)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করলে অবশ্যই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করবেন এবং তার আবাস হবে জাহান্নাম। আর জালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই। (সুরা মায়িদা ৭২)
আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে কাউকে মধ্যস্থতাকারী বানানো
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন- وَيَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَيَقُولُونَ هَؤُلَاءِ شُفَعَاؤُنَا عِنْدَ اللَّهِ قُلْ أَتُنَبِّئُونَ اللَّهَ بِمَا لَا يَعْلَمُ فِي السَّمَاوَاتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى عَمَّا يُشْرِكُونَ আর তারা আল্লাহকে ব্যতীত যার ইবাদাত করে তা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। তারা বলে, এরা আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী।
বল, তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমণ্ডলি ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিচ্ছ, যা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র এবং তারা যাকে শরিক করে তা হতে তিনি ঊর্ধ্বে। (সুরা ইউনুস ১৮) أَلَا لِلَّهِ الدِّينُ الْخَالِصُ وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءَ مَا نَعْبُدُهُمْ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَا إِلَى اللَّهِ زُلْفَى إِنَّ اللَّهَ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ فِي مَا هُمْ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي مَنْ هُوَ كَاذِبٌ كَفَّارٌ ‘জেনে রাখ, খালেস দীন কেবল আল্লাহরই জন্য।
যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা তো এদের পূজা এ জন্যই করি যে, ইহারা আমাদের আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।’ তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফয়সালা করে দিবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফির আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ (সুরা যুমার ৩)
মুশরিক-কাফিরদের কাফির মনে না করা
এমন কাফির, যার কুফরির ব্যাপারে আহলুস সুন্নাহ একমত। সেটা আসলি কাফির হতে পারে যেমন ইহুদি, খ্রিষ্টান ও হিন্দু সম্প্রদায়, আবার মুরতাদ, জিনদিকও হতে পারে, যেমন প্রকাশ্যে আল্লাহ, রসুল বা দীনের কোনো অকাট্য ব্যাপার নিয়ে কটূক্তিকারী, যাদের কুফরির ব্যাপারে হকপন্থি আলিমগণ একমত।
অনেক উদারপন্থি মানুষ আছে তারা ভাবে সব ধর্মই আল্লাহর দেয়া। যে কোনো একটা মানলেই পরকালে নাজাত পাওয়া যাবে। এমন মনে করাও কুফরি। আল্লাহর একমাত্র মনোনিত ধর্ম হচ্ছে ইসলাম।
আল্লাহ কোরআনে বলেন, যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম তালাশ করে, কশ্চিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখিরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত। (সুরা আলে ইমরান ৮৫)
নবীজি (সাঃ)-এর কথার চেয়ে অন্য কারও কথাকে উত্তম মনে করা
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন- أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ آمَنُوا بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ يُرِيدُونَ أَنْ يَتَحَاكَمُوا إِلَى الطَّاغُوتِ وَقَدْ أُمِرُوا أَنْ يَكْفُرُوا بِهِ وَيُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُضِلَّهُمْ ضَلَالًا بَعِيدًا আপনি কি তাদের দেখেননি, যারা দাবি করে যে, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছে, আমরা তার ওপর ঈমান এনেছি।
তারা বিচার-ফয়সালা নিয়ে যেতে চায় তাগুতের কাছে, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা তাকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে বহুদূরে নিয়ে যেতে চায়। (সুরা নিসা ৬০)
মুহাম্মাদ (সাঃ) আনীত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা
যে কোন বিষয়ে মুহান্মদ (সাঃ) এর মতামতকে প্রধান্য দিতে হবে। এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন- فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ‘অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক বলে মনে না করে। এরপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।’ (সুরা নিসা ৬৫)
দীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা
তুমি তাদের প্রশ্ন করলে তারা নিশ্চয়ই বলবে, আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতুক করছিলাম। বলো, তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রাসুলকে বিদ্রুপ করছিলে? তোমরা অযুহাত দেয়ার চেষ্টা করো না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফরি করেছ। (সুরা তওবা ৬৫-৬৬) অর্থাৎ দীনের ব্যাপারে কোন প্রকার হাঁসি ঠাট্টা করে কিছু বলা যাবে না।
যদি কোন মুসলিম মুহাম্মাদ (ছাঃ) আনিত ধর্মের কোন বিষয়ে অথবা ধর্মীয় ছওয়াব বা শাস্তির ব্যাপারে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে তবে সেও কাফির হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন, قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ ‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে?
ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। যারা ইসলাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে তাদের আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের কোন আশা নেই।
জাদু টোনা করা
জাদু করে নিজের উপকার ও অন্যের ক্ষতি করে যারা, তারা জান্নাতে যেতে পারবে না। কারণ জাদু হলো শয়তানের পক্ষ থেকে। শয়তানের কাছে দোয়া করলে ফলাফল পাওয়া যায়। তাই মানুষ বারবার শয়তানের দ্বারস্থ হয়। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুলাইমান কুফরি করেনি, কুফরি তো করেছিল শয়তানরাই। তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত।’ (সুরা বাকারা ১০২)
যদি কেউ যাদুর মাধ্যমে ভাল কিছু অর্জন বা মন্দ কিছু বর্জন করতে চায় অথবা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সম্পর্ক স্থাপন বা ভাঙ্গন ধরাতে গোপন, প্রকাশ্য, মন্ত্র-তন্ত্র করতে চায় অথবা কারো সাথে (ছেলে-মেয়ে) সম্পর্ক স্থাপন বা বন্ধুত্বে ফাঁটল ধরাতে চায় তবে তা সম্পূর্ণরূপে কুফরী। যে ব্যক্তি এমন কাজ করবে এবং যে ব্যক্তি এর প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে উভয়ই কুফরী করল।
মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহযোগিতা করা
হে মুমিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভাইও যদি ঈমানের বিপরীতে কুফরিকে বেছে নেয়, তবে তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করে, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। (সুরা তওবা ২৩)
হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন বলে গণ্য হবে। এবং পরকালে তাদের সাথে উঠবে।
মুসলমানদের বিরুদ্ধে মুশরিকদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা, যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি এমন কাজ করে তবে সে কুফরী করল। মহান আল্লাহ বলেন, وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللهَ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِيْنَ ‘তোমাদের মধ্যে যে তাদের (বিধর্মীদের) সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ তা‘আলা যালিমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না’ (মায়েদাহ ৫১)।
কাউকে দীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়িদা ৩) তাই দীনকে প্রভাবিত করে এমন কাজ করা যাবে না। দীনের মধ্যে নাই অথচ পীরসাহেবের কথা শুনে সেটা পালন করা যাবে না। কোন আলেম বা বুজুর্গ কি বললো সেটা বড় কথা নয়, কোরআন এবং হাদীসে থাকতে হবে পালনের জন্য।
দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذُكِّرَ بِآيَاتِ رَبِّهِ ثُمَّ أَعْرَضَ عَنْهَا إِنَّا مِنَ الْمُجْرِمِينَ مُنْتَقِمُونَ যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের নিদর্শনাবলি দ্বারা উপদিষ্ট হয়েও তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার অপেক্ষা অধিক অপরাধী আর কে? আমি অবশ্যই অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে থাকি। (সুরা সাজদা ২২) এছাড়াও সূরা কাহফের ৫৭নং আয়াতেও একই ধরনের বক্তব্য এসেছে।
অন্যত্র তিনি বলেন, وَمَنْ أَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِيْ فَإِنَّ لَهُ مَعِيْشَةً ضَنْكًا وَنَحْشُرُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْمَى، قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرْتَنِيْ أَعْمَى وَقَدْ كُنْتُ بَصِيْرًا، قَالَ كَذَلِكَ أَتَتْكَ آيَاتُنَا فَنَسِيْتَهَا وَكَذَلِكَ الْيَوْمَ تُنْسَى- ‘যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে ক্বিয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব। সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! কেন আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? আমিতো চক্ষুষ্মান ছিলাম।
আল্লাহ বলবেন, এমনিভাবে তোমার কাছে আমার আয়াত সমূহ এসেছিল। অতঃপর তুমি সেগুলো ভুলে গিয়েছিলে। তেমনিভাবে আজ তোমাকে ভুলে যাব’ (ত্ব-হা ১২৪-১২৬)।
লেখকের মন্তব্যঃ
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদেরকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়ার এবং একে আকড়ে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে কেউ এমন কাজ না করে, যা তাকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়। এ ব্যাপারে দাওয়াত দেওয়ার জন্যই আল্লাহ তা‘আলা অসংখ্য নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। মোমিন, মুসলিম ও ঈমানদার হয়ে মরতে চাইলে উপরে বর্ণিত ১০টি কাজ থেকে বিরত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url