সস্তায় বিমান টিকিট কেনার কয়েকটি টিপস এবং জরুরী কিছু তথ্য সম্পর্কে জানুন
বিমানে ভ্রমণ অনেকের কাছে স্বপ্ন মনে হলেও কারো কারো কাছে এটা নিত্যনৈত্তিক ব্যাপার। বিমানে ভ্রমণ সত্যি অনেক ব্যয় বহুল। তবে কিছু টিপস জানলে সস্তায় বিমানের টিকিট কেনা যায়। আপনি কি জানতে চান সে টিপস সম্পর্কে ?
হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের সাথে সস্তায় বিমানের টিকেট কেনার কিছু কৌশল নিয়ে আলোচনা করবো। নিচের আলোচনাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আর সস্তায় ঘুরে আসুন আপনরা পছন্দের জায়গায়। তো বন্ধুরা আর দেরি না করে আসুন শুরু করা যাক।
ভূমিকাঃ
অনেকে সময় বাচাতে এবং ঝামেলা মুক্ত ভ্রমণ হিসেবে বিমানকে বেছে নেন। বিমানে ভ্রমণ আরামদায়ক হলেও অনেক ব্যয় বহুল এবং ঝুকিপূর্ণ। টিকিট যেহেতু অনলাইনে দেয়া হয়, তাই আগে থেকেই আপনি চাইলে টিকিট কেটে রাখতে পারেন। অভ্যন্তরীন এবং আন্তর্জাতিক দুই ধরনের যাত্রায় কিছু টিপস অবলম্বন করলেই এই খচর কমাতে পারেন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ
সস্তায় বিমান টিকিট কেনার ৭টি টিপস
বিমান যাত্রার নিয়ম
বিমানবন্দরে প্রবেশের নিয়ম
ইমিগ্রেশন ফরম পূরণ করার নিয়ম
প্রথম বিমান উন্ডয়ন ও ভ্রমণ
লেখকের মন্তব্য
সস্তায় বিমান টিকিট কেনার ৭টি টিপস
বিমানে ভ্রমণ করলে সময় বাচে এবং রাস্তায় যে দূর্ভোগ সেটা এড়িয়ে চলা যায়। বিমান ভ্রমণ ঝুকিপূর্ণ ও ব্যয় বহুল। তবে কিছু কৌশল অবলম্বণ করলে আপনি অনেকটা কম খরচে বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন। সেই পদ্ধতিগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে।
মঙ্গল ও বুধবার বুক করুন
মঙ্গলবার এবং বুধবার হল বিমান টিকিট কেনার সেরা দিনগুলির মধ্যে একটি। বেশিরভাগ এয়ারলাইনস সাধারণত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭:০০ টায় তাদের বুকিং সিস্টেম আপডেট করে। কারণ এয়ারলাইনস জানে যে বেশিরভাগ যাত্রী শুধুমাত্র সপ্তাহের দিনগুলোতে টিকিট বুক করার সময় পান। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রমাণিত হয়েছে, আমাদের বেশিরভাগই সাধারণত শুক্রবার, শনিবার বা রবিবার টিকিটের দাম দেখেন।
আগে বুক করুন, তবে খুব বেশি আগে নয়
অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, ভ্রমণের তারিখের কমপক্ষে ২১ দিন আগে টিকিট বুক করা উচিত। বেশিরভাগ এয়ারলাইনস তাদের সিস্টেমগুলো এমনভাবে সেট করেছে যাতে যত বেশি সম্ভব টিকিট বিক্রি করতে পারে। তাই, সিস্টেমের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট কোটা থাকে সস্তা টিকিটের জন্য।
উদাহরণস্বরূপ, কুয়ালালামপুর থেকে লন্ডনের ফ্লাইটের জন্য সিস্টেমে নির্ধারণ করা হয় যে প্রথম ২০ জন যাত্রী সবচেয়ে কম দাম পাবেন। পরবর্তী ২০০ জন মাঝারি দাম পাবেন, এবং বাকিরা সম্ভবত আরও বেশি মূল্য দিতে হতে পারে। সংক্ষেপে, এয়ারলাইন্সের সিস্টেম কুয়ালালামপুর থেকে লন্ডন যাওয়ার সময় তারা যে মার্জিন চায় তার উপর ভিত্তি করে টিকিটের দাম নির্ধারণ করবে।
উড়ার জন্য উপযুক্ত দিন
মঙ্গলবার বা বুধবার উড়ার জন্য টিকিট বুক করার চেষ্টা করুন। বেশিরভাগ এয়ারলাইনস এই দুই দিনকে ‘কম ব্যস্ত দিন’ হিসেবে নির্ধারণ করে বুকিং সিস্টেমের জন্য। এয়ারপোর্টও সাধারণত এই দুই দিন অন্যান্য দিনের তুলনায় কম ব্যস্ত থাকে, বিশেষ করে শুক্রবার এবং রবিবার যখন বুকিং সিস্টেম এবং এয়ারপোর্ট অনেক ব্যস্ত হয়ে ওঠে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য 'বেস্ট ডিল' খুঁজুন
বেশিরভাগ এয়ারলাইনস আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য প্রায় ১১ থেকে ১২ সপ্তাহ আগে 'বেস্ট ডিল' অফার করে। তাই, এই সময়ের মধ্যে নিয়মিত টিকিটের দাম পরীক্ষা করুন। পরীক্ষা করতে করতে সেদিন দেখবেন টিকিটের মূল্য অনেক কম সেদিনই টিকিট বুক করুন।
ছোট এয়ারপোর্ট বেছে নিন
এই পদ্ধতিতে চেষ্টা করতে পারেন, যা হল প্রধান এয়ারপোর্টে না নেমে গন্তব্যের কাছাকাছি একটি ছোট এয়ারপোর্টে নামা। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি লন্ডনে যেতে চান, অনেকেই সাধারণত হিথ্রোতে নামেন। পরের বার, হিথ্রোতে না নেমে, হিথ্রোর কাছাকাছি একটি ছোট এয়ারপোর্ট যেমন ম্যানচেস্টারের এয়ারপোর্টে নামার চেষ্টা করুন। তারপর ম্যানচেস্টার থেকে আপনি ট্রেনে করে লন্ডনে যেতে পারেন। এই পদ্ধতি চেষ্টা করুন, এটি সস্তা হওয়া উচিত!
'কুকিজ' ক্লিয়ার করুন
অনেকে এটা জানেন না। যদি আপনি ৩০ দিনের মধ্যে এয়ারলাইনের ওয়েবসাইটে গিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার ল্যাপটপ, স্মার্টফোন এবং পিসি থেকে কুকিজ ক্লিয়ার করুন। কারণ এই কুকিজের মাধ্যমে এয়ারলাইনের বুকিং সিস্টেম মনে করবে যে আপনি বারবার তাদের ওয়েবসাইট দেখেছেন।
তাই, বুকিং সিস্টেম একই দাম দেখাবে এমনকি যদি আপনি বহুবার ওয়েবসাইটে যান। কখনও কখনও দাম বাড়তেও পারে! তাই, আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারের কুকিজ ক্লিয়ার করার অভ্যাস তৈরি করুন। আপনি যদি জানেন না কিভাবে তা মুছতে হয়, তাহলে গুগলকে জিজ্ঞাসা করুন!
দাম তুলনা বা যাচাই করুন
গুগল করতে এবং আপনি যে টিকিট কিনতে চান তার দাম অন্যান্য ওয়েবসাইটে তুলনা করতে অলস হবেন না। শুধু এক ওয়েবসাইটে ফোকাস করবেন না। আপনি অবাক হবেন, কারণ কখনও কখনও আপনি একই এয়ারলাইনের টিকিট আরও সস্তায় পাবেন। এখানে কিছু সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে যা আমি প্রায়ই ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করি।
1. Skyscanner
2. CheapFlight
3. Momondo
4. Kayak
5. Google Flight
6. Ita Software
বিমান যাত্রার নিয়ম
বিমানে যাত্রার সময় কিছু নিয়ম-কানুন আছে যেগুলো মেনে চললে সবার উপকার হয়। স্কাইরিফান্ড সাইটের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিমানে যাত্রার নিয়ম-কানুন। চলুন দেখে নেই।
বিমানের শৌচাগারের ব্যবহারঃ বিমানের শৌচাগারে বেশি সময় না নেওয়াই ভালো। এ ছাড়া বাসার শৌচাগারের মতো নোংরা অবস্থায় রেখে আসা উচিত নয়।
তীব্র গন্ধযুক্ত কিছু নিয়ে বিমানে না ওঠাঃ মনে রাখবেন, তীব্র গন্ধযুক্ত কোনো আতর বা পারফিউম মেখে বিমান ভ্রমণ না করাই ভালো। এতে আপনার জন্য অন্য যাত্রীরা অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন। এ ছাড়া বিমানে এমন খাবার নিয়ে ওঠা উচিত নয়, যা তীব্র গন্ধ ছড়ায়।
নিজের সন্তানদের দেখে রাখুনঃ বিমানে ওঠার আগে নানা ধরনের নিয়ম-কানুন মানতে গিয়ে হয়তো আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন; কিন্তু সন্তানকে দেখে রাখা আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তেমনি অন্য বাচ্চারা দুষ্টুমি করলে আপনার উচিত তাদের বাবা-মাকে বিষয়টি জানানো।
ভেবে রাখুন বিমানে কীভাবে ঘুমাবেনঃ বিমানে উঠে ঘুমানোর জন্য আপনি একটি নেক পিলো (ঘুমানোর জন্য বিশেষ এক বালিশ, যা ঘাড়ে জড়িয়ে নেওয়া যায়) চাইতেই পারেন। নেক পিলোর বিশেষ সুবিধা হলো ঘুমের মধ্যে আপনার মাথা অন্য কারো ঘাড়ে চলে যাবে না।
মাঝখানের আসনের যাত্রীর আর্মরেস্টের অধিকার বেশি ঃ বিমানের আসনের সঙ্গে লাগানো হাত রাখার জায়গাকে আর্মরেস্ট বলা হয়। বিমানের জানালার পাশের আসন বা করিডরের পাশের আসনের মতো হাত-পা ছড়ানোর সুযোগ মাঝখানের আসনের যাত্রীর কম।সঠিক সময়ে আসন থেকে উঠুন
বাথরুমে যাওয়ার জন্য আসন ছাড়ার আগে আরেকবার ভেবে দেখুন, যদি দেখেন বিমানের আসনের মধ্যবর্তী পথে বিমানবালার হাতে খাবারের ট্রে, তাহলে আপনার আসনে বসে থাকা উচিত। বিমানবালার হাত থেকে খাবার সংগ্রহ না করে আসন ছাড়া ঠিক নয়।
মালপত্র ঠিক জায়গায় রাখুনঃ বিমানে মাথার ওপর মালপত্র রাখাকে ‘বিন’ বলা হয়। আর বিমানের প্রতিটি ব্যাগের জন্যই মূল্য দিতে হয়। তাই প্রতিটি ‘বিন’ই মূল্যবান। আনুভূমিকভাবে নিজের ব্যাগ বিনে রেখে অন্যের জায়গা দখল করা উচিত নয়।
বিমানে হেলান দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন ঃ বিমানে আপনি চাইলে আধশোয়া হয়ে ঘুমাতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আসনটিকে আধশোয়া করে শোয়ার উপযুক্ত করে নিতে হবে। আর সেটি করার সময় আপনার পেছনের যাত্রীর দিকে খেয়াল রাখুন।
ফোন ও ল্যাপটপ ব্যবহার ঃ বিমানে ওঠার পরপরই আপনার মোবাইল ফোনটিকে অ্যারোপ্লেন মুডে নিয়ে নিন। বিমানে সময় কাটানোর জন্য অনেক যাত্রীই তার ফোনে বা ল্যাপটপে গান শোনেন। এ সময় হেডফোন ব্যবহার করুন।
বিমানবালাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করুন ঃ বিমানবালাদের অন্যতম কাজ হচ্ছে বিমানের সব নিয়ম-কানুন আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়া। সিটবেল্ট বাঁধা, খাবার দেওয়া, বিমান অবতরণের আগে আরেকবার সিটবেল্ট বেঁধে নেওয়ার পরামর্শ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিমানবালা যাত্রীদের সহযোগিতা করেন।
বিমানবন্দরে প্রবেশের নিয়ম
বিমান ভ্রমণ এখন অনেকের কাছেই নিয়মিত যাতায়াতের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ঢাকাসহ সারা দেশের বিমানবন্দর ব্যবহারকারীদের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এয়ারপোর্টে ঢোকার নিয়ম সম্পর্কে জ্ঞান থাকা খুবই জরুরি। এটি আপনার ভ্রমণকে নিরাপদ ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে।
এয়ারপোর্টে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বিমান টিকিটঃ এটি আপনার ভ্রমণের প্রমাণ। প্রিন্টেড বা ইলেকট্রনিক, যেকোনো ফর্ম্যাটে টিকিট গ্রহণযোগ্য।
পাসপোর্ট ও ভিসা (প্রযোজ্য হলে)ঃ আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট ও ভিসা অপরিহার্য। নির্ধারিত মেয়াদের জন্য এটি বৈধ থাকতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র (বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য)ঃ ঘরোয়া ভ্রমণের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র যথেষ্ট।
COVID-19 টেস্ট রিপোর্ট (প্রযোজ্য হলে)ঃ কিছু দেশে ভ্রমণের জন্য COVID-19 টেস্ট রিপোর্ট বা ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
এয়ারপোর্টে চেক-ইন
টার্মিনালে প্রবেশঃ টিকিট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে বিমানবন্দরের প্রবেশপথে যান। নিরাপত্তা কর্মীরা আপনার কাগজপত্র পরীক্ষা করবেন এবং প্রবেশের অনুমতি দেবেন।
চেক-ইন কাউন্টারঃ আপনার এয়ারলাইন্সের চেক-ইন কাউন্টারে যান। টিকিট ও পরিচয়পত্র দেখিয়ে বোর্ডিং পাস ও লাগেজ ট্যাগ সংগ্রহ করুন।
লাগেজ জমাঃ আপনার চেক-ইন করা লাগেজ নির্ধারিত স্থানে জমা দিন। লাগেজের ওজন ও আকার-আকৃতি সম্পর্কে এয়ারলাইন্সের নিয়মকানুন জেনে নিন।
সিকিউরিটি চেকঃ হাতের লাগেজ ও শরীর স্ক্যানারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরীক্ষায় যান। তরল পদার্থ, ধারালো জিনিসপত্র ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ মেনে চলুন।
বিমানে ওঠার আগে
বোর্ডিং গেটঃ বোর্ডিং পাসে উল্লিখিত গেটে যান। ফ্লাইটের ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করুন।
ইমিগ্রেশন (আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য)ঃ বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে পাসপোর্ট ও ভিসা দেখাতে হবে।
কাস্টমস (আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য)ঃ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্মীদের কাছে আপনার জিনিসপত্র ঘোষণা করতে হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
সময়মত পৌঁছানঃ চেক-ইন ও নিরাপত্তা পরীক্ষায় সময় লাগতে পারে। তাই ফ্লাইটের অন্তত দুই ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।
নিয়মকানুন মেনে চলুনঃ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশাবলী মনোযোগ সহকারে শুনুন ও মেনে চলুন।
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাথে রাখুনঃ টিকিট, পরিচয়পত্র, ওষুধ (প্রয়োজনে) ইত্যাদি জিনিসপত্র সাবধানে সাথে রাখুন।
দ্রব্যের পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন থাকুনঃ হাতের লাগেজে তরল পদার্থের পরিমাণ সীমিত থাকে। বিধিনিষেধ সম্পর্কে জেনে নিন।
মূল্যবান জিনিসপত্রের যত্ন নিনঃ মূল্যবান জিনিসপত্র সবসময় আপনার কাছে রাখুন।
সহায়তা চাইতে দ্বিধা করবেন নাঃ কোন বিষয়ে সাহায্যের প্রয়োজন হলে নির্দ্বিধায় বিমানবন্দর কর্মীদের জিজ্ঞাসা করুন।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার এয়ারপোর্টে প্রবেশ ও ভ্রমণ আরও সহজ ও নিরাপদ হবে।
ইমিগ্রেশন ফরম পূরণ করার নিয়ম
- সরকারি কর্মকর্তা/ কর্মচারী, সরকারি চাকরিজীবীগণের স্বামী/স্ত্রী এবং তাদের নির্ভরশীল ১৫ (পনের) বছরের কম বয়সী সন্তান। এক্ষেত্রে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ইস্যুকৃত এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে আপলোড কৃত অনাপত্তি সনদ (NOC) দাখিল করতে হবে। এবং তাঁরা সাধারণ ফি জমা করে জরুরি সুবিধা পাবেন।
- সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাষিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা/ কর্মচারী, যাদের প্রাসঙ্গিক এনওসি(NOC)/ জিও (GO) আছে তাঁরা সাধারণ ফি জমা করে জরুরি সুবিধা পাবেন । এক্ষেত্রে এনওসি(NOC)/ জিও (GO) আবশ্যিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ওয়েব সাইটে আপলোড থাকতে হবে।
- অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী ও তাদের স্বামী/স্ত্রী। তারা সাধারণ ফি জমা করে জরুরি সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে অবসর গ্রহণের সপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র(পেনশন বই-এর কপি/ পিআরএল মঞ্জুরির আদেশ) দাখিল করতে হবে।
- ইতোপূর্বে যাদের বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে(মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়নি এমন, তবে ইস্যূর তারিখ থেকে ১২ বছরের অনধিক) তারা আবেদনের সময় উক্ত পাসপোর্ট সমর্পন করলে একটি ফরম পূরন করতে হবে।
- ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট হতে ডাউনলোডকৃত ফরম অথবা অনলাইনের পূরণকৃত ফরম অবশ্যই উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করতে হবে।
প্রথম বিমান উন্ডয়ন ও ভ্রমণ
রাইট ব্রাদার্স উইলবার রাইট এবং অরভিল রাইট প্রথম উড়োজাহাজ আবিষ্কার করেন। তাঁরা বারবার উড়োজাহাজ তৈরি করার চেষ্টা করেন এবং বারবারই ব্যর্থ হন, কিন্তু চেষ্টা থামান নি। ১৮৯৯ সালের জুলাই মাসে উইলবার রাইট পাঁচ ফুট উচ্চতার একটি বাক্স ঘুরিতে বেধেঁ ওড়ার চেষ্টা করে। ঠিক তারপরের বছরই তাঁরা গ্লাইডার তৈরি করতে সক্ষম হন।
চুক্তি মোতাবেক বড় ভাই উইলবার রাইট ফ্রান্সে এবং ছোট ভাই অরভিল রাইট ওয়াশিংটন ডিসিতে কাজ করেন। উইলবার রাইট ১৯০৮ সালের ৮ই আগস্ট বিমান নিয়ে সফলভাবে আকাশে ওড়েন। ওই বছরই ১৪মে ডেটনের ফারসান নামের একজন সহকারী প্রথম যাত্রী হিসেবে উইলবারের সাথে ফিক্সড উইং এয়ারক্রাফেট ভ্রমণ করেন।
লেখকের মন্তব্যঃ
বিমান যাত্রা বেশির ভাগ মানুষের কাছে স্বপ্ন মনে হলেও অনেকের কাছে এখন নিত্যদিনের ব্যাপার। গরিব আর ধনী বলে কথা নয়, বাইরের দেশে কাজের জন্য যেতে বর্তমানে বিমানই একমাত্র ভরসা। সব কিছুরই একটা নিয়ম নীতিমালা আছে, বিমানের ক্ষেত্রেও তাই। এক্ষেত্রে বিমানে ভ্রমণের জন্য অবশ্যই নিয়মগুলো মেনে চলুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url