সৌদি আরবের খেজুর বাংলাদেশে চাষ করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
সৌদি আরবের খেজুরের চাহিদা সারা বিশ্বজুড়ে। বিশেষ করে রমজান মাসে খুরমা খেজুর ছাড়া যেন আমাদের চলেই না। সৌদির সেই খেজুর এমন বাংলাদেশেও চাষ হচ্ছে। আপনি কি সেই খেজুর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান ?
হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের সামনে সৌদি আরবের সেই সুস্বাদু খেজুরের চাষ পদ্ধতির আলোচনা নিয়ে হাজির হয়েছি। এখানে জানতে পারবেন- বাংলাদেশেও অনেকে খেজুর চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে তাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ সম্পর্কে।
ভূমিকাঃ
সারা বিশ্বে জলবায়ুর কুফল লক্ষ করা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যেমন শিল্পকারখানার নির্গত ধোঁয়া, বর্জ্য শোধন করতে হবে। পাশাপাশি বেশি করে গাছ লাগিয়ে পৃথিবীকে করে তুলতে হবে সবুজ। এ ক্ষেত্রে আমরা অন্যান্য গাছের পাশাপাশি সৌদির খেজুর গাছ লাগাতে পারি। আমাদের দেশে খেজুরের চাহিদা রয়েছে ৩০ হাজার টন। বিশাল এই চাহিদাকে অনেকাংশই পূরণ করতে পারি দেশে খেজুর গাছের চাষ করে।
সূচিপত্রঃ
সৌদি আরবের খেজুরের চাষ পদ্ধতি
খেজুরের গাছ কত দিনে পর ফল দেয়
খেজুরের গাছের যত্ন কিভাবে নিতে হবে
খেজুর গাছ আরব দেশে কী নামে খ্যাত
সৌদি আরবের খেজুরের নাম
সৌদি খেজুর চারার দাম কত
খেজুর গাছের চারা কোথায় পাওয়া যায়
পুরুষ ও স্ত্রী খেজুর গাছ চেনার উপায়
লেখকের মন্তব্যঃ
সৌদি আরবের খেজুরের চাষ পদ্ধতি
খেজুর গাছ সাধারণত সব ধরনের মাটিতে চাষ করা যায়। তারপরও বেলে ও বেলে-দো-আঁশ মাটিতে ভালো জন্মে। তবে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। বাংলাদেশের ময়মনসিংহের মোঃ মোতালেব হোসেন ভালুকায় গত ১০ বছর ধরে সৌদির খেজুর চাষ করে আসছেন। তার বাগানে বর্তমানে অনেকগুলো খেজুর গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছ থেকে প্রায় ৪৫ কেজি করে খেজুর পাচ্ছেন।
বীজ থেকে চারা উৎপাদনঃ বীজ থেকে চারা উৎপাদনের জন্য মাটির তিন ভাগের একভাগ বালি, ছাই, গোবর ও কম্পোস্ট সার এক সাথে মিশাতে হবে। ১০০ কেজি মাটির জন্য ৫০০ গ্রাম রুটোন সার মিলিয়ে তৈরি করতে হবে।
বীজ ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর মাটির আধা ইঞ্চি গর্তে বপন করতে হবে। তারপর অল্প পানি দিতে হবে যাতে কাদা না হয়। ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পানি দেবার পর ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পর চারা গজাবে। এরপর ৩ মাস পর পর ১ লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া গুলিয়ে স্প্রে করতে হবে।
রোপণ পদ্ধতিঃ একটি গাছ থেকে আরেকটি গাছের দূরত্ব হবে ১৫ থেকে ২০ ফুট। দিনে কমপক্ষে ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা যাতে রোদ থাকে এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে। তাতে গাছের বৃদ্ধি ও রোগ-বালাই কম হবে। একর প্রতি ১০০ থেকে ১২১টির বেশি গাছ রোপণ না করায় ভালো।
মাদা/গর্ত তৈরিঃ খেজুরের চারা রোপণ করতে হলে ৩ ফুট গভীর ও ৩ ফুট লম্বা এবং ৩ ফুট আড়াআড়ি গর্ত করে মাদা বানাতে হবে। উপরের মাটি নিচে এবং নিচের মাটি উপরে দিতে হবে। সম্ভব হলে গর্তের মাটিতে ১/২ দিন রোদ লাগিয়ে নিলে ভাল হবে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ যাতে না হয় তার জন্য মাটির সাথে দানাদার বিষ মিশিয়ে দেয়া যেতে পারে।
সার ব্যবস্থাপনাঃ প্রতিটি গাছের গোড়ায় সামান্য পরিমাণে হাড়ের গুঁড়ো, প্রতি গর্তে ৮ থেকে ১০ কেজি গোবর সার মেশাতে হবে। চারা রোপণের ১০ থেকে ১৫ দিন পরে মিশ্র সার গাছের কমপক্ষে ২ থেকে ৩ ফুট দূরে মাটিতে প্রয়োগ করে পানি স্প্রে করে দিতে হবে। চারা রোপণের পর চারার গোড়া যেন শুকিয়ে না যায় আবার অতিরিক্ত পানিতে যেন কাদা না জমে যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পরাগায়ণঃ খেজুর গাছের পরাগায়ণ পোকা-মাকড়, মৌমাছি কিংবা বাতাসের মাধ্যমে খুব কমই হয়ে থাকে। হাত দিয়ে অথবা মেকানিক্যাল পদ্ধতিতে পরাগায়ণ করতে হবে। বাগানে ১০০টি স্ত্রী গাছের সাথে মাত্র ১টি পুরুষ গাছ থাকলেই পরাগায়ণের জন্য যথেষ্ট। পরাগায়ণ করতে হলে স্ত্রী গাছের ফুল চুরমি ফেটে বাইরে
আসার পর পুরুষ গাছের পরাগরেণু পাউডার নিয়ে স্ত্রী গাছের পুষ্পমঞ্জুরিতে লাগিয়ে দিয়ে চুরমির অগ্রভাগ রশি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। ২/৩ দিন পর পর পুনরায় ২/৩ বার পরাগায়ণ করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। প্রয়োজনে পুরুষ গাছের পাউডার সৌদি থেকে আমদানি করে ফ্রিজে -৪ থেকে -১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ২ থেকে ৩ বছর সংরক্ষণ করা যায়।
খেজুরের গাছ কত দিনে পর ফল দেয়
খেজুর গাছ অনুর্বর এমনকি অধিক লবণাক্ত অঞ্চলে হয়ে থাকে। লাগানোর পর ৪-৫ বছর পর থেকে খেজুর দেয়া শুরু হলে এক নাগাড়ে ১৫০ বছর অর্থাৎ মরার আগ পর্যন্ত খেজুর দিয়ে থাকে। খেজুর খুবই পুষ্টিমান হওয়ার কারণে ১ কেজি খেজুর দেহকে ৩ হাজার ৪৭০ ক্যালরি শক্তি যোগান দেয়।
খেজুরের গ্লুকোজ, লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার, তামা, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসকরবিক এসিডসহ নানা উপাদানে সমৃদ্ধ। খেজুর গাছ থেকে যেমন রস পাওয়া যায় তেমনি জ্বালানি হিসেবে পাওয়া যায় গাছের কাঠ। খেজুর গাছ লবণাক্ত এলাকা, নদী ভাঙন, কৃষি কাজের উপযোগী আবহাওয়া তৈরিতে সাহায্য করে। বর্তমান দেশের নদী ভাঙন রোধে, তাপমাত্রা কমাতে সর্বোপরি নতুন কৃষি ফসল সৌদির খেজুর গাছ হতে পারে দেশের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম।
খেজুরের গাছের যত্ন কিভাবে নিতে হবে
আপনার খেজুরের চারা সহ পাত্রটি এমন একটি উষ্ণ জায়গায় রাখুন যেখানে প্রচুর সরাসরি সূর্যালোক পাওয়া যায়। যদি এটি বাইরে উষ্ণ এবং রৌদ্রোজ্জ্বল হয়, আপনি আপনার পাত্রটি বাইরে সরাতে পারেন। খেজুরের বৃদ্ধির জন্য পূর্ণ সূর্য এবং উষ্ণ তাপমাত্রা প্রয়োজন, বিশেষত শুষ্ক তাপ বা আর্দ্রতায়।
খেজুরের চারা গজানোর ১/২ মাস সময় পর প্রত্যেকটি চারা গাছে ৪/৫ গ্রাম পরিমান টিএসপি, ৪/৫ গ্রাম ইউরিয়া, ৪/৫ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে। নিয়মিত ৩/৪ মাস পর পর রাসায়নিক এবং জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। জৈব সারের ক্ষেত্রে গোবরের শুকনো ঝুরঝুরে সার দিতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি সেচ দিতে হবে।
খেজুর গাছ আরব দেশে কী নামে খ্যাত
খেজুর গাছের আরবি নাম 'নাখল'। পৃথিবীর দুই শ' কোটি মুসলমানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্মারক খেজুর। খেজুর ও খেজুর বৃক্ষের সাথে ইসলামী সভ্যতা ও ইতিহাস নিবিড়ভাবে জড়িত।
সৌদি আরবের খেজুরের নাম
সারা বিশ্বে প্রায় তিন হাজার প্রজাতির খেজুর চাষ করা হয়। তার মধ্যে কিছু জাত আছে পৃথিবীখ্যাত। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি জাত সৌদি আরবে পাওয়া যায়। খেজুরের আকার, মিষ্টতা, সৌন্দর্য, অনলাইন বিক্রি ইত্যাদি বিবেচনায় সেরা ১০ প্রজাতির খেজুরের তথ্য জেনে নিন।
আজওয়াঃ সৌদি আরবের মদিনায় একচেটিয়া ভাবে চাষ করা হয় এই খেজুর। বিশ্বের অন্যতম দামি খেজুর হিসেবে পরিচিত আজওয়া। মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর একটি হাদিস অনুসারে, আজওয়া খেজুরের রোগ নিরাময়ের গুণ রয়েছে।
আম্বারঃ অন্যান্য খেজুরের তুলনায় আকারে বড় হলেও আম্বারের বীজ ছোট। তাই এই খেজুরের খাওয়ার অংশই বেশি থাকে। এই খেজুর কয়েকটি খেলেই পেট ভরে যায়।
সাফাভিঃ সাফাভি খেজুর সাধারণত দেখতে কালো ও ভিটামিনে ভরপুর। এই খেজুর সৌদি আরবের মদিনার নরম মাটিতে চাষ করা হয়। বলা হয়ে থাকে, খালি পেটে সাফাভি খেলে পেটের কৃমি বিনাশ হয়। সাফাভি খেজুর শুষ্ক, আধা শুষ্ক ও নরম হয়ে থাকে।
বারহিঃ বারহি নামের অর্থ উষ্ণ বাতাস। বারহি হলুদ রঙের খেজুর। বাইরের আবরণ কুঁচকে যায়। পাকার পরে স্বাদ হয় ব্রাউন সুগার বা ক্যারামেলের মতো। বারহি ফাইবার, আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি, ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। সৌদি আরব ছাড়াও ইরাকের বসরাতে এই খেজুর পাওয়া যায়। যাঁরা বেশি মিষ্টি খেজুর পছন্দ করেন না, তাঁরা এটি খেয়ে দেখতে পারেন।
সাগাইঃ সৌদি আরবের রিয়াদ অঞ্চলে চাষ করা হয় সাগাই খেজুর। শক্ত বা কঠিন মাটিতে এই খেজুরের চাষ হয়। সাগাই খেজুর হালকা হলুদ থেকে বাদামি রঙের হয়।
খুদরিঃ খুদরি খেজুর গাঢ় বাদামি রঙের। বেশি চিনি থাকে বলে ডায়াবেটিক রোগীদের এই খেজুর এড়িয়ে চলাই ভালো। খুদরি খেজুর সতেজতার কারণে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়ে থাকে।
সুক্কারিঃ সুক্কারি খেজুরের নাম আরবি সুক্কুর বা চিনি শব্দ থেকে এসেছে। এই খেজুর সৌদি আরবের আল কাসিম অঞ্চলে চাষ করা হয়। খেজুরটি দাঁতের ক্ষয়রোধ করে, কোলেস্টেরল কমায় ও ক্লান্তি দূর করে।
জাহিদিঃ ডিম্বাকার এই খেজুরের রং সোনালি আর ত্বক পুরু। উচ্চ ফাইবার সামগ্রী থাকে। জাহিদি খেজুরে চিনির পরিমাণ খুবই কম। হালকা গন্ধ এবং ফ্যাকাশে রঙের জন্য জাহিদি খেজুর মাখন খেজুর হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছে।
মেডজুলঃ খেজুরের রানি হিসেবে পরিচিত মেডজুল। বড় আকার আর কড়া গন্ধের কারণে অনেকের কাছেই এটি জনপ্রিয়। এই খেজুর স্মুদি তৈরিতে বেশি জনপ্রিয়। মেডজুল খেজুরে ক্যালসিয়াম ও আয়রন বেশি থাকে। প্রতিদিন একটি মেডজুল খেলে ফাইবারের ২০ শতাংশ পাওয়া যায়।
খালাসঃ এই খেজুরকে সৌদি আরবে উৎপাদিত সেরা খেজুর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই খেজুরের স্বাদ জ্বাল দেওয়া চিনির মতো। আরবে কফির সঙ্গে এই খেজুর খাওয়া হয়। সৌদি আরবের আল খার্জ ও কাসিম অঞ্চলে এই খেজুর চাষ হয়।
সৌদি খেজুর চারার দাম কত
কয়েক বছরে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ছোট-বড় খেজুর বাগান। একজনের সাফল্য দেখে আরেকজন খেজুর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। গত প্রায় দুই যুগে চারা বিক্রি করে বিপুল আয় করেছেন মোঃ আব্দুল মোতালেব। পরিচিতরা তাকে ‘কোটিপতি খেজুর মোতালেব’ বলে অভিহিত করছে। তার বাগানে উৎপাদিত চারা যাচ্ছে সারা দেশে।
গত বছর প্রায় ১২০টি গাছ থেকে ৬ লাখ টাকার খেজুর বিক্রি করেছেন তিনি। ছোট আকৃতির প্রতিটি চারা ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং ফলধারক একটি গাছ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন। আরেকটি খেজুর বাগানের মালিক আজিজুল হক। মোতালেবের বাগান দেখে তিনিও দুই একর জায়গায় বাগান শুরু করেন। খেজুরের চেয়ে চারা বিক্রি করেই লাভবান তিনি।
খেজুর গাছের চারা কোথায় পাওয়া যায়
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় বেশ কয়েকজন চাষি সৌদি খেজুরের চারা বিক্রি করে থাকেন। একজন আছেন কোটিপতি মোঃ আব্দুল মোতালেব নামে, আরেকজন আছেন আজিজুল হক নামে চাষি তারা বর্তমানে খেজুরের চেয়ে চারা বিক্রি করেই লাভবান হচ্ছেন বেশি। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মোস্তাক (বাবলু) নামের এক যুবক চারা বিক্রি করেন।
পুরুষ ও স্ত্রী খেজুর গাছ চেনার উপায়
ছোট অবস্থায় খেজুর গাছ পুরুষ না স্ত্রী তা বোঝা যায় না। পুরুষ বা স্ত্রী চিনতে হলে চারা গাছের বয়স ১ বছর পূর্ণ হতে হবে। স্ত্রী গাছের গোড়া অনেকটা চিকন হবে এবং ডালগুলো লম্বা হবে এবং সোজা উপরের দিকে চলে যাবে আর পুরুষ গাছের গোড়া মোট হবে ও ডাকগুলো খুব বেশি লম্বা হবে না। স্ত্রী গাছের ডালপালা কম হবে এবং সোজা উপরে উঠে যাবে অর্থাৎ ছড়াবে কম আর পুরুষ গাছের ডালপালা বেশি হবে এবং অনেক ঝাকড়া হবে।
পুরুষ গাছের খুব গোড়া থেকেই কাঁটা ও পাতা শুরু হয় কিন্তু স্ত্রী গাছের পাতা শুরু হয় একটু উপর থেকে। স্ত্রী গাছ চেনার আরো একটি উপায় হলো এটির পাতাগুলো হবে ফাঁকা ফাঁকা এবং কাটাগুলো হবে চিকন এবং নরম যা হাতে বিধে যাবে না অপর পক্ষে পুরুষ গাছের পাতাগুলো একেবারে গোড়া থেকে শুরু হয়েছে ঘনঘন ও কাঁটাগুলো হবে শক্ত ও মোটা ও সুজালো যা খুব তাড়াতাড়ি হাতে বিধে যাবে।
লেখকের মন্তব্যঃ
বর্তমানে বাংলাদেশে সারা বছরেই খেজুরের চাহিদা রয়েছে। খেজুর একটি উৎকৃষ্টমানে ফল। আগে শুধুমাত্র রোজার মাসে খাওয়া হলেও বর্তমানে সারা বছরই অনেকে খেয়ে থাকেন এবং দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে। তবে রোজার মাস আসার আগে থেকেই এই খেজুরের চাহিদা বেড়ে যায় অনেকগুনে।
আপনারা চাইলেই খেজুর চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন অনায়াসে যদি বাগান করার মত পর্যাপ্ত জমি থাকে আপনার। প্রয়োজনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাহায্য নিতে পারেন। বা আপনার পাশের কোন জেলায় বা উপজেলায় এই খেজুর চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে কিনা সেই খবর নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন তার বাগান থেকেও।
একেকটি খেজুর গাছে অনেক খেজুর ধরে এবং দামও ভালো তাই স্বাবলম্বী হওয়ার অন্যতম মাধ্যম হতে পারে সৌদির খেজুর চাষ। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url