ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সারের লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
বর্তমানে মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই রোগের ঝুকি বাড়লেও কম বয়সী মেয়েরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু আপনি কি জানেন এই রোগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে ?
জি হ্যাঁ আজ আপনাদের সামনে মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সার হওয়ার লক্ষণগুলো নিয়ে আলোচনা করবো। ডাক্তারের কাছে না গিয়েই কিভাবে আপনি নিজে নিজে ব্রেস্ট টিউমান চিহ্নিত করবেন তা থাকছে এই আর্টিকেলে।
ভূমিকাঃ
বাংলাদেশে নারীরা যে সব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে স্তন ক্যান্সার সবার শীর্ষে। বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটের কারণে নারীরা যেখানে প্রকাশ্যে মুখে স্তন বা ব্রেস্ট কথাটি উচ্চরণ পর্যন্ত করতে চান না, সেখানে শরীরের প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখা দিলেও তারা গোপন রাখে, এবং সে সব কারণে বেশিরভাগ রোগী ডাক্তারের কাছে যান একেবারে শেষ পর্যায়ে। তাই শুধু লক্ষণগুলো জানলেই হবেনা, ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলে চিকিৎসাও নিতে হবে।
সুচিপত্রঃ
ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ
ব্রেস্ট ক্যান্সারের ৮টি লক্ষণ ও চিকিৎসা
ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়
স্তন ক্যান্সার কেন হয় ?
ব্রেস্ট টিউমার মানেই কি ক্যান্সার
লেখকের মন্তব্যঃ
স্তন বা ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ
স্তন ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে থাকতে পারে স্তনে পিণ্ড , স্তনের আকৃতির পরিবর্তন, ত্বকের অনুজ্জ্বলতা , দুধ প্রত্যাখ্যান , স্তনবৃন্ত থেকে তরল আসা, একটি সদ্য উল্টানো স্তনবৃন্ত, বা ত্বকের লাল বা আঁশযুক্ত দাগ। যাদের রোগের দূরত্ব ছড়িয়েছে তাদের ক্ষেত্রে হাড়ের ব্যথা , লিম্ফ নোড ফোলা, শ্বাসকষ্ট বা হলুদ ত্বক হতে পারে।
ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডাক্তার নাজনীন নাহার বলেন, স্তন ক্যান্সারে শুধু নারীরা নন, পুরুষেরাও আক্রান্ত হতে পারেন। তবে নারীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকে পুরুষের তুলনায়। তবে বাংলাদেশের মেয়েদের কমন একটা সমস্যা হচ্ছে তারা লক্ষণ দেখার পরও বলতে চান না।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের ৮টি লক্ষণ ও চিকিৎসা
স্তন ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল একটি অস্বাভাবিক পিণ্ড বা স্তনে ফুলে যাওয়া, তবে স্তনের পাশে বা হাতের নিচেও পিণ্ড দেখা দিতে পারে। অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে অব্যক্ত স্তনে ব্যথা, স্তনের বোঁটা থেকে অস্বাভাবিক স্রাব, স্তনের গঠনে পরিবর্তন, বা স্তনের উপর বা চারপাশে ত্বকের পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
স্তন ক্যান্সারের এই ৮টি লক্ষণ নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ
১) স্তনে চাকা ও লাম্প বা পিন্ড অনুভব করা যা ব্যথাহীন ও খুব দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে আকারে এমন লক্ষণ।
২) স্তনের ত্বকে বিভিন্ন পরিবর্তন যেমন চামড়া কুঁচকে যাওয়া, কমলার খোসার মত ছোট ছোট ছিদ্র দেখা দেয়া, চামড়ায় টোল পড়া, দীর্ঘস্থায়ী ঘা হওয়া ইত্যাদি।
৩) নিপুল (বোঁটা) দিয়ে রস নিঃসরণ হওয়া বা রক্ত পড়া।
৪) নিপুল ও তার আশেপাশের কালো অংশ ফুঁসকুড়ি ও চুলকানি অনুভূত হওয়া।
৫) স্তনে দীর্ঘদিন ব্যথা অনুভব করা।
৬) স্তনের আকার পরিবর্তন হওয়া।
৭) গলার কাছে অথবা বগলে চাকা অনুভব করা।
৮) স্তনের বোটা ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া অথবা বোটা দিয়ে পুঁজ নির্গত হওয়া।
ব্রেস্টে যে কোন ধরনের পিন্ড বা চাকা মানেই যে তা ব্রেস্ট ক্যান্সার তা কিন্তু নয়। তাই চিকিৎসা শুরু করার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়ে গেলে সার্জারি প্রথম উপশম।
লাম্পেক্টমিঃ টিউমার ও তার আশেপাশের কিছু টিস্যু কেটে এই অপারেশন করা হয়। টিউমার আকারে ছোট থাকলে এই অপারেশন করা হয়ে থাকে।
মাস্টেক্টমিঃ এই অপারেশন-এ সম্পূর্ণ স্তন কেটে ফেলা হয় অথবা স্তন এবং এর নিচের মাংসপেশি, বগলের লসিকাগ্রন্থিসহ আনুসঙ্গিক আক্রান্ত টিস্যু কেটে ফেলা হয়। সাধারণত এখন আর তেমন করা হয় না। কোন কোন রোগীর স্তনের চামড়া সংরক্ষণ করে বিকল্পভাবে স্তন পূণর্গঠন করা হয়।
রেডিও থেরাপিঃ এই ক্ষেত্রে সাধারণত একটি বড় মেশিন-এর সাহায্যে শরীরের দিকে লক্ষ্য করে তেজস্ক্রিয় রশ্মি প্রয়োগ করে ক্যান্সারের কোষ নির্মূল করা হয়। তাছাড়া শরীরের ভেতরে তেজস্ক্রিয় পদার্থ স্থাপন করেও চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।
কেমোথেরাপিঃ যদি টিউমার বেশি বড় হয় সেক্ষেত্রে সার্জারি-এর পূর্বে কেমোথেরাপি প্রয়োগ করে টিউমার-এর সাইজ ছোট করার চেষ্টা করা হয়। যদি ক্যান্সার পুনরায় হওয়ার এবং শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার কোন আশঙ্কা থাকে তখন চিকিৎসক কেমোথেরাপি-এর পরামর্শ দিতে পারেন।
ব্রেস্ট ক্যান্সার ৯৯.৫% ক্ষেত্রে মহিলাদের হয় বটে, বাকি রইল ০.৫% পুরুষের। অনেক পুরুষের একটি বা দুইটি ব্রেস্ট স্বাভাবিকের তুলনায় বড় হতে পারে। এমন হলে ভালো সার্জারি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যার নাম গাইনাকোম্যাসিয়া। তবে সকল ক্ষেত্রেই চিকিৎসার পর নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় পর পর ফলোআপ করতে হয়।
তো এখন জেনে নেওয়া গেলো ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ থেকে শুরু করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে যাবতীয় তথ্যাদি। আশা করছি নারীরা নিজেরা সচেতন হবেন এবং অন্য সবাইকেও সচেতন করবেন। কারণ একটু সচেতনতা ও সতর্কতাই পারে নারীদের নিরাপদ রাখতে। পারে অকাল মৃত্যু ঠেকাতে।
ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়
মানবদেহের অন্যান্য অঙ্গের মতো কোষেরও একটা স্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু কিছু সময় স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন একপর্যায়ে মাংসের পিণ্ড বা চাকায় পরিণত হয়। এই চাকা বা পিণ্ডই স্তন টিউমার।
- স্তন টিউমারের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হচ্ছে শক্ত পিণ্ডের মতো অনুভব করা। অর্থাৎ রোগী নিজেই স্তনে একধরনের অস্বাভাবিক শক্ত অবস্থা অনুভব করবেন।
- স্তনের বোঁটায় অস্বাভাবিকতা দেখা দেওয়া। যেমন কালো হয়ে শক্ত হওয়া বা ভেতরে ঢুকে যাওয়া।
- স্তনের নির্দিষ্ট স্থানের চামড়ায় চুলকানি হওয়া বা স্তনের নির্দিষ্ট স্থানের চামড়ার রং বদলে যাওয়া।
- এ ছাড়া ভিন্ন ভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রে লক্ষণ ভিন্ন হতে পারে। যেমন স্তন ব্যথা করা, স্তনের বোঁটায় ঘা হওয়া, অত্যধিক চুলকানো ইত্যাদি। এই সমস্ত লক্ষণগুলো দেখে স্তন টিউমার চিনতে পারবেন।
স্তন ক্যান্সার কেন হয় ?
নারীদের কাছে একটি আতংকের নাম হচ্ছে স্তন ক্যান্সার। পুরুষের চেয়ে নারীদের স্তন ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে শতভাগ বেশি। আর নারীরা তাদের নিজেদের এই গোপন অঙ্গের রোগগুলো সহজে কারও কাছে বলতে চান না। ফলে তারা স্তন ক্যানসারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
বেশির ভাগ নারী নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন নন। স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তবে যেসব মায়েরা সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ান না,তাদের স্তন ক্যানসারে ঝুঁকি বেশি। সন্তানের জন্য আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত হচ্ছে মায়ের বুকের দুধ। আর এই নিয়ামত থেকে যারা সন্তানকে বঞ্চিত করেন তারাই এই রোগের প্রধান এবং প্রথম রোগী।
স্তন ক্যানসারের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, স্তন ক্যানসারের বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে। স্তন কিংবা বগলে চাকা বা দলা অনুভব করা, স্তনের কোথাও লালচে ভাব কিংবা ব্যথা অনুভব, গুটি অনুভব করাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। এলক্ষণগুলো দেখার পরও যারা চিকিৎসা নেই না তারাই এক সময় ক্যান্সারে ভোগেন।
নারীরা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন সবচেয়ে বেশি। এজন্য এক্ষেত্রে নারীদের সচেতন হতে হবে। কারণ একজন সুস্থ মা একজন সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশের বেশির ভাগ নারীরা তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন নন। এছাড়া তারা ডাক্তারের কাছে যেতে চান না।
বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজার নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আর মারা যান আট হাজারের মতো। আমাদের দেশে ৪০ বছরের পর নারীদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে থাকে সব থেকে বেশি।
১. প্রথমত এর জন্য দায়ী আমাদের জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তন। যেমন আজকাল আমরা প্রচুর ফাস্ট ফুড খাই, সবুজ শাকসবজি খুবই কম খাই, কম শারীরিক পরিশ্রম করে- যার ফলে নারীরা অতিরিক্ত স্থূলতায় ভুগছি। অতিরিক্ত স্থূলতা এর অন্যতম প্রধান কারণ।
২. দেরিতে সন্তান নেয়া।
৩. শিশুকে বুকের দুধ দিতে অনীহা বা অপারগতা (যেমন চাকরিজীবী নারীরা এ সমস্যায় ভোগেন বেশি)
৪. বেশি বয়স, গড় আয়ু বেড়ে যাওয়াতে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে।
৫. বগলে চাকা দেখা দেয়া।
ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ
স্তনে টিউমার হওয়ার কারণ একটি নির্দিষ্ট কারণ নেই। এটি একটি সমস্যা যা একটি কমপক্ষে সংশ্লিষ্ট অংশের সামান্য কিছু কারণের কারণে সংঘটিত হতে পারে। স্তনে টিউমার হওয়ার কিছু সাধারণ কারণগুলি হলোঃ
বয়সের উত্তরস্থানঃ বয়সের সাথে সাথে স্তনে টিউমার হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
পরিবারে স্তন ক্যান্সার এর রোগ ইতিহাসঃ স্তন ক্যান্সার রোগের জন্য পরিবারে রোগের ইতিহাস থাকলে স্তনে টিউমার হওয়ার ঝুঁকি বেশি হয়।
পুরুষদের সাথে সম্পর্কঃ একটি গবেষণার ফলে বোঝা গেছে যে, স্তনের টিউমার পুরুষদের সাথে কিছু বিশেষ সম্পর্কের কারণে হতে পারে।
ধূমপান ও পান করাঃ ধূমপান ও পান করা স্তনের টিউমার হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
মানবদেহের অন্যান্য অঙ্গের মতো কোষেরও একটা স্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু কিছু সময় স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন (বৃদ্ধি) একপর্যায়ে মাংসের পিণ্ড বা চাকায় পরিণত হয়। এই চাকা বা পিণ্ডই হচ্ছে স্তন টিউমার।
জেনেটিকসঃ জিনগত কারনে অনেক ক্ষেত্রে টিউমার হয়। টিপি ৫৩ নামক জিনের অস্বাভাবিক মিউটেশনের কারনে টিউমার কোষ তৈরি হয় অনেক সময়।
পারিবারিক কারনেঃ পরিবারের কাছের কোন আত্মীয়দের কোনো টিউমার থাকলে বংশধারায় সেই টিউমার হতে পারে। তবে এটা ছুয়াচে কোন রোগ নয়।
জীবন-যাপনঃ ধূমপান করা, মদ পান করা, মাংস বেশি খাওয়া, অতিরিক্ত ওজন হওয়া, কায়িক পরিশ্রম না করা ইত্যাদি কারনে মানব শরীরে টিউমার উৎপন্ন হয়।
লিঙ্গঃ ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের শরীরে অনেক বেশি ঝুকি থাকে টিউমার তৈরি হবার, তাদের অস্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য।
প্রজনন ও হরমনাল কারনেঃ বেশি বয়স পর্যন্ত সন্তান না নেওয়া, অনেক বেশি সময় পর্যন্ত জন্ম নিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট গ্রহন করা, বিভিন্ন হরমনাল থেরাপি দেওয়া সহ ইত্যাদি ব্যাপার আপনার শরীরে টিউমার উৎপন্নের জন্য দায়ী হতে পারে। মূলত নারিদের স্তন টিউমারের অন্যতম কারণ হচ্ছে এটি।
কসমেটিক্স পণ্যঃ শরীরে বেশি পরিমাণে বা দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন কেমিক্যালজাত কসমেটিকস পণ্য (প্রসাধনী সামগ্রী) , যেমন পারফিউম, পাউডার, ক্রিম এসবের ব্যবহার শরীরে টিউমার উৎপন্নের জন্য দায়ী হতে পারে।
ইনফেকশনঃ কিছু ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকেও দেহে টিউমার তৈরির সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।যেমনঃ হেপাটাইটিস বি, এইচপিভি ইত্যাদি। এই ভাইরাসটি জরায়ু এবং অস্থির ক্যান্সারের জন্য দায়ী। তাছাড়া হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
ব্রেস্ট টিউমার মানেই কি ক্যান্সার
না ব্রেস্ট টিউমার মানেই ক্যান্সার নয়। টিউমার এবং ক্যান্সারের মধ্যে পার্থক্য কী? একটি টিউমার হল অস্বাভাবিক কোষের একটি ভর, যা সৌম্য (ক্যান্সারবিহীন) বা ম্যালিগন্যান্ট (ক্যান্সারযুক্ত) হতে পারে। ক্যান্সার বিশেষভাবে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে বোঝায় যা কাছাকাছি টিস্যুতে আক্রমণ করতে পারে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
প্রাথমিক পর্যায়ে এই টিউমার শনাক্ত করা গেলে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। আমি আগেও বলেছি বাংলাদেশের মেয়েদের গোপনীয় স্থানে অস্বাভাবিক কিছু দেখা দিলেও সহজে কাউকে বলতে চান না। সেই ক্ষেত্রে দেরি করার কারণে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
লেখকের মন্তব্যঃ
বর্তমান সময়টা ডিজিটাল যুগ। এই সময় অন্তত তথ্যের অভাবে কেউ সঠিক অবস্থানটা জানতে পারবে না এমনটি নয়। আপানি নেটে সার্চ দিয়ে আপনার সমস্যার সাথে মিলিয়ে দেখতে পারেন। প্রয়োজনে ভিডিও দেখতে পারেন। তবে একটা কথা মনে রাখবেন রোগ আছে তার চিকিৎসাও আছে। আতংকিত না হয়ে ধর্যসহকারে চিকিৎসা করুন। আর একটু বেশি সচেতন হোন। রোগ মুক্ত থাকুন, ভালো থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url