বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজে যুক্ত হয়েছে অনেকে ইনকাম করছেন। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে কোন সেক্টরে কাজের চাহিদা বেশি তাকি জানেন ?
হ্যাঁ বন্ধুরা আপনাদের সামনে ফ্রিল্যান্সিং গজতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ঘরে বসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন সে সম্পর্কে জানাবো। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ শুরু করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ভূমিকাঃ
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা। যে পেশায় নারী-পুরুষ, ছোট-বড়, ছাত্র, চাকুরিজীবি, বেকার সবায় যুক্ত হয়ে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন। এই কাজে যুক্ত হয়ে ঘরে বসেই প্রচুর পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন। আসুন জেনে নিন বর্তমান সময়ে কোন কাজের সব চাইতে বেশি চাহিদা।
পেজ সূচীপত্রঃ
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
অনলাইনে এই সময়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ কত নম্বরে
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কাজের চাহিদা বেশি
লেখকের মন্তব্য
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এ নিয়ে আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। আজকে এই অংশে আমরা আপনাদেরকে বলব যে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতের সবচেয়ে চাহিদা বেশি কোন কাজগুলা। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং খুবই জনপ্রিয় একটি পেশা।
পড়াশোনার পাশাপাশি অথবা যে কোন পেশার পাশাপাশি আপনি ঘরে বসেই এই ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু এই ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বে আপনাকে কয়েকটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। আপনি যে ফ্রিল্যান্সিং করবেন কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মধ্যে কোন কাজগুলোর চাহিদা সব থেকে বেশি।
অর্থাৎ কোন কাজগুলো শিখলে যেকোনো সময় খুব সহজে কাজ পেতে পারেন এবং এই কাজটি দীর্ঘ্যদিন লাস্টিং করবে। আচ্ছা আমি এমন একটা ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখলাম যে কাজটা শিখে আমি মার্কেটপ্লেসে কোন কাজ পাচ্ছি না অথবা লোকাল মার্কেটে কোন কাজ পাচ্ছি না। এরকম কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজ যদি আমি শিখি তাহলে কি আমার কোন লাভ হবে! মোটেও না।
এজন্য আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এমন কিছু কাজ শিখতে হবে যেটার ডিমান্ড বর্তমান মার্কেটে অনেক বেশি রয়েছে তাহলে চলুন এরকমই কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ যেগুলোর চাহিদা এখন বর্তমানে অনেক বেশি রয়েছে সেগুলো নিয়ে এবার আলোচনা করা যাক।
ডিজিটাল মার্কেটিংঃ বর্তমান সময়ের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সবচেয়ে ডিমান্ডেবল কাজ হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং মহাসমুদ্রের নাম, মানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে আপনি অনেকগুলো বিষয় একসঙ্গে শিখতে পারবেন। আপনাকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার কোন প্রয়োজন হবে না।
আপনি যদি এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে কোন একটা স্পেসিফিক সেক্টর নিয়ে কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনি প্রতি মাসে ঘরে বসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন অনায়াসে। বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কিছু ফ্রিল্যান্সিং সেন্টার রয়েছে যেখানে খুব সফলভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।
এছাড়াও আপনি গুগলে সার্চ করতে পারেন অথবা ইউটিউবে রিসার্চ করতে পারেন যে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সিলেবাসে কারা ডিজিটাল মার্কেটিং সরবরাহ করছে এবং আপনি এমন একজন ফ্রিল্যান্সারের কাছে কোর্স করবেন যার বাস্তব ইনকামের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরে ফ্রিল্যান্সিং যে কাজের চাহিদা সব থেকে বর্তমানে বেশি সেটি হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মত গ্রাফিক্স ডিজাইনও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস একটি বড় জায়গা দখল করে আছে। আপনি যদি একজন ক্রিয়েটিভ ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনার জন্য সবচেয়ে সেরা হিসাবে গণ্য হবে।
ডিজাইন করার জন্য আপনাকে অনেক ক্রিয়েটিভ হতে হবে বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা মাথায় নিয়ে এবং অনুভূতিগুলোকে নিজের ডিজাইনের মধ্যে প্রকাশ করে তোলাই হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। বর্তমান সময়ে একটা লোগো ডিজাইন করে দিয়ে প্রতি ঘন্টায় একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ৬০ থেকে ৭০ ডলার পেয়ে থাকে।
ভিডিও এডিটিংঃ বর্তমান সময়ে আরো একটি জনপ্রিয় এবং ডিমান্ডেবল কাজ হচ্ছে ভিডিও এডিটিং। যদিও ভিডিও এডিটিং কয়েক বছর পূর্বে ততটা জনপ্রিয় ছিল না বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং দিন দিন এর চাহিদা আরো বাড়ছে।
আমরা ফেসবুকে ইউটিউবে বিভিন্ন শর্ট ভিডিও গুলো দেখতে পছন্দ করি। আর এ শর্ট ভিডিওগুলাই আপনার আমার মত ভিডিও এডিটররা ডিজাইন করে থাকেন। বর্তমান সময়ে যেভাবে শর্ট ভিডিও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সেই অনুযায়ী অনুমান করা যায় আগামী বছরগুলোতে এই ভিডিও এডিটিং এর কর্ম ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে।
কন্টেন্ট রাইটিংঃ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি বর্তমান সময়ের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কাজ হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সবচেয়ে সহজ কাজগুলোর মধ্যে কন্টেন্ট রাইটিং হচ্ছে অন্যতম। মানুষ যে সব বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করে তাই নিয়ে কন্টেন্ট লিখতে হবে।
আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে না পারেন এর মানে হচ্ছে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের অন্যান্য কোন কাজ করতে পারবেন না। আপনি যে কোন ভাষায় কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন সেটা বাংলাতেও হতে পারে আবার ইংরেজিতে হতে পারে। ।
ওয়েবসাইট ডিজাইনঃ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের আরো একটি চাহিদা সম্পূর্ণ কাজ হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন। বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট ডেভেলপারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে। বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানি ও প্রতিটি বিজনেসের এখন একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে।
আর এই ওয়েবসাইটগুলো ডিজাইন করে থাকে ওয়েবসাইট ডিজাইনাররা। তাই আপনি যদি ভালোভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করা শিখতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেস থেকে ভালো কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ভালো কাজ পেলে অবশ্যয় ভালো ইনকাম আশা করা যায়।
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টঃ বর্তমানে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট করে ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে ভালো পরিমাণ ইনকাম জেনারেট করা যায়। অথবা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেও আপনারা ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।
আমরা প্লে স্টোরে বিভিন্ন অ্যাপ পেয়ে থাকি এই অ্যাপগুলা আপনার আমার মত এপ্লিকেশন ডেভেলপাররা তৈরি করে থাকেন এবং সেটাকে প্লে স্টোরে যুক্ত করে গুগল এডসেন্সের অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে সেখান থেকেও কিন্তু খুব ভালো পরিমাণ ইনকাম করা যায়।
ডাটা এন্ট্রিঃ ফ্রিল্যান্সিং এ আরো একটি চাহিদা সম্পন্ন কাজ হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। যদিও ডাটা এন্ট্রি কাজটি এখন আর আগের মত অনেকে করতে চায় না। তবে নতুন একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি ডাটা এন্টি দিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
কেননা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবচেয়ে সহজ কাজগুলোর মধ্যে এটি একটি। আপনি যদি শুধুমাত্র ভালো টাইপিং করতে পারেন এবং microsoft excel বা microsoft word সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ডাটা এন্ট্রি করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
এছাড়াও ওপরের কাজগুলো বাদেও আপনি আরও বেশ কিছু কাজ করার মাধ্যমে ভালো ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম করতে পারবেন এবং এইসব কাজ গুলা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে করে এখন চাহিদা সবচেয়ে বেশি। যেমনঃ
- কপিরাইটিং
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- ভয়েস ওভার
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
- ট্রান্সক্রাইবিং
- ট্রান্সলেটিং
- ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট
- ডাটা এনালাইসিস
- ইউএক্স / ইউ আই ডিজাইনার
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সব থেকে জনপ্রিয় এবং ডিমান্ডেবল সেক্টর সবগুলোই। তবে সেগুলোর মধ্যে নতুনদের জন্য খুবই সহজ এবং যেই সেক্টরের মাধ্যমে একটি পুরো কোম্পানির অনলাইন মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ নির্ভর করে সেটি হল “ডিজিটাল মার্কেটিং”। এ সেক্টর এই কথা বলার একটি কারণ সেটি হল একটি কোম্পানি অনলাইনে তাদের প্রচার-প্রচারণা
অথবা বিক্রির উদ্দেশ্যে যদি কোন বেস্ট ওয়েবসাইট তৈরি করে কিন্তু সেই ওয়েবসাইট থেকে বিক্রির জন্য যদি কোন ডিজিটাল মার্কেটার হায়ার না করে তাহলে সেই বেস্ট ওয়েবসাইটের আর কোন মূল্য থাকে না। এবং কখনোই অনলাইন থেকে সেই কোম্পানির আন্ডারে কোনরকম সেল আসবে না।
আর এজন্য কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর এর ফ্রিল্যান্সারদের একটু বেশি ভ্যালু প্রোভাইড করে থাকেন। এজন্য আমরা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এই তালিকা তে সর্বপ্রথম ডিজিটাল মার্কেটিং কে জায়গা দিয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং শুধু একটি বিষয় নয় এর ভিতরে অনেকগুলো বিষয় অর্ন্তভূক্ত রয়েছে।
তবে সবচেয়ে ভালো একটি দিক হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেকোনো একটি কাজ যদি কোন ফ্রিল্যান্সার ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারে তাহলে মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসের বাহিরে তার আর কোন কাজের ঘাটতি হবে না। এর কারণ হচ্ছে যত দিন যাচ্ছে মানুষ অনলাইনের দিকে ততই আকৃষ্ট হচ্ছে। বাজার ঘাটে না গিয়ে এখন অনেক মানুষ আছেন যারা অনলাইনে কেনাকাটা করে থাকেন।
আর সেই সকল কোম্পানিগুলো তাই যেন তাদের প্রোডাক্টগুলো খুব সহজেই যেন ক্রেতার কাছে পৌঁছে যায়। এতে করে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়েরই অর্থ এবং সময় দুটোই খচর কম হচ্ছে। মাঝখান থেকে একজন ফ্রিল্যান্সার তার কিছু অংশ তার পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়ে যাচ্ছেন।
এতে করে সকলেই লাভবান হচ্ছেন। ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিষয় মনে হলেও এর অনেকগুলো শাখা-প্রশাখা রয়েছে তাহলে আসুন ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টরগুলো কি কি সেটা জেনে নিই।
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
- কনটেন্ট মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
- ইমেইল মার্কেটিং
- ভিডিও মার্কেটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর গুলি মার্কেটপ্লেসে ব্যাপকভাবে চাহিদা সম্পন্ন। কারণ উক্ত মার্কেটিংগুলোর যেকোনো একটি বিষয়ে যদি ব্র্যান্ডের প্রচার-প্রচারণা করা হয়। সে ক্ষেত্রেও ব্যাপকভাবে সেল চলে আসে আবার কোম্পানি যদি মোটামুটি সবগুলো বিষয়েই তাদের প্রচারণা চালাতে যায়। তাহলে সে ক্ষেত্রে সেলের পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে।
আপনাদের মনে এখন বারবার প্রশ্ন আসতে পারে যে বারবার সেল বা বিক্রির কথা কেন আসছে এর কারণ হচ্ছে আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কোন ক্লায়েন্টের কাজ হাতে নেন এবং পরবর্তী সময়ে দেখা যাচ্ছে বিক্রি এমন একটা হচ্ছে না আবার প্রথম অবস্থায় বিক্রি হলেও পরবর্তীতে কাস্টমার টার্গেট করার ক্ষেত্রে অজ্ঞ হওয়ার ফলে বিক্রি আগের মত নেই।
তাহলে সেই ক্ষেত্রে সেই ক্লায়েন্ট আপনাকে আর কাজ দেবে না পরিপ্রেক্ষিতে আপনার মার্কেটপ্লেসের আইডিতে খারাপ রিভিউ প্রদান করবে। যার ফলে আপনার আইডি ডাউন হয়ে যাবে পরবর্তীতে কোন ক্লায়েন্ট এসে আপনাকে অর্ডার দিতে চাইবে না। তাই বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এ বিষয়টি জেনে দক্ষতা অর্জন না করতে পারলে কখনোই এই প্রতিযোগিতায় সে টিকে থাকতে পারবেন না।
অনলাইনে এই সময়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি
অনলাইন ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য দুই ধরনের পদ্ধতিতে কাজ করা যায়। এগুলো হলো একটিভ ইনকাম এবং প্যাসিভ ইনকাম। এক্টিভ ইনকামগুলো হল একটি নির্দিষ্ট স্কিলে পারদর্শী হওয়ার পর সেই স্কিলটি মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে হয় এবং সে অনুযায়ী কাজের অর্ডার আসে তারপর ক্লায়েন্ট সরাসরি ফ্রিল্যান্সার কে টাকা দিয়ে থাকে।
তাই একজন ফ্রিল্যান্সারকে সবসময়ই অনলাইনে একটিভ থাকার মাধ্যমে ক্লায়েন্টের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে অর্ডার নিতে হয় বলে এটাকে একটিভ ইনকাম বলা হয়। আর প্যাসিভ ইনকাম হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা অথবা ব্লগিং করে ডলার ইনকাম করা।
কেউ যদি আমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেল করে তাহলে সেখান থেকে তার একটি কমিশন চলে আসে। এখানে তার সবসময়ই অনলাইনে একটিভ থাকার প্রয়োজন হয় না। যতজন প্রোডাক্ট পারচেজ করবেন সেখান থেকে কমিশন চলে আসবে।
পাশাপাশি ব্লগিং করে বিভিন্ন তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে সেখান থেকেও ডলার ইনকাম করা সম্ভব। আর এই কাজেও সবসময় একটিভ থাকার প্রয়োজন নেই। তাই এগুলোকে প্যাসিভ ইনকাম বলা হয়। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেকগুলো জনপ্রিয় মার্কেট প্লেস রয়েছে তবে বর্তমানে
ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা অধিক হওয়ার কারণে মার্কেটপ্লেসে প্রতিযোগিতাও অনেক গুণ বেড়ে গেছে। তবে একজন ফ্রিল্যান্সার যদি অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে এ বিষয়টি ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারে এবং সে অনুযায়ী স্কিল তৈরি করতে পারে তাহলে তার আর কাজের অভাব হয় না।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ কত নম্বরে
যাঁরা ফ্রিল্যান্সারদের কাজ দিচ্ছেন, তাঁদের ভাষ্যে সিইওওয়ার্ল্ড সাময়িকী ২০২৪ সালের সেরা কয়েকটি দেশের ফ্রিল্যান্সারদের তালিকা প্রকাশ করেছেন। কাজের ধরন, ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা, আর্থিক অবস্থানসহ প্রযুক্তিগত সক্ষমতার বিষয় যুক্ত করে বিভিন্ন দেশের জন্য নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেই নম্বর বা স্কোর অনুসারে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই তালিকায় ৯৭ দশমিক ৪৬ নম্বর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। তালিকায় ৯৫ দশমিক ৭১ ও ৯৪ দশমিক ৮১ নম্বর নিয়ে ভারত ও যুক্তরাজ্য যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে। এরপরের তালিকায় ফিলিপাইন, ইউক্রেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, ব্রাজিল ও পর্তুগালের নাম দেখা যায়। চীনের অবস্থান ২২, পাকিস্তানের অবস্থান ২৮ ও বাংলাদেশের অবস্থান ২৯তম।
লেখকের মন্তব্যঃ
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আশাকরি উপরের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। এই আর্টিকেলের মূল লক্ষ্য হচ্ছে কেউ যেন বেকার হয়ে ঘরে বসে না থাকে। অনলাইনের মাধ্যমে সে যেন কোন একটা কাজের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারে এবং দেশের জন্য রেমিটেন্স আনতে পারে। তবে একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন পৃথিবীতে সব থেকে কঠিন কাজ হচ্ছে টাকা ইনকাম করা।
অনলাইন থেকে ইনকাম মানে এই নয় যে আপনি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নিয়ে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে শুধু ক্লিক করবেন আর টাকা চলে আসবে। এখান থেকে ইনকাম করতে হলে অবশ্যয় আপনাকে কাজ জানতে হবে এর পর ধৈর্য সহকারে সময় ব্যয় করে কাজ করতে হবে, তবেই ইনকাম আসবে। অনলাইনের সাথে থাকুন, আরো জানুন, এবং ক্যারিয়ার গড়ুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url