স্মার্টফোন হারিয়ে গেলেও ব্যক্তিগত ছবি-তথ্য সুরক্ষিত রাখার উপায় জানুন এক্ষুনি

আপনি কি আপনার স্মার্টফোন হারিয়ে দিশেহারা ? ব্যক্তিগত ও গোপনীয় অনেক তথ্য নিয়ে চিন্তিত ? আপনি কি সেই সমস্ত ছবি-তথ্য সংরক্ষণ করতে চান ? তাহলে জেনে নিন স্মার্টফোন হারিয়ে গেলেও ব্যক্তিগত ছবি-তথ্য কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন।
স্মার্টফোন হারিয়ে গেলেও ব্যক্তিগত ছবি-তথ্য সুরক্ষিত রাখার উপায় জানুন এক্ষুনি

হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে যেগুলো অনুসরণ করলে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন চুরি হলেও বা হারিয়ে গেলেও আপনার ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য হারাবে না।

ভূমিকাঃ

ফোন হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়া নতুন কোন বিষয় নয়। অনেকের কাছে ফোন হারিয়ে যাওয়ার কষ্টের চেয়েও ব্যক্তিগত ছবি-তথ্য বেহাত হয়ে যাওয়ার বেশি থাকে। তবে গুগলের কিছু সুবিধা গ্রহণ করলেই আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অন্যের কাছে চলে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন।

সূচীপত্রঃ

ফোন হারালেও ব্যক্তিগত ছবি তথ্য সুরক্ষিত থাকবে
ফোন হারালেও নিজে থেকে লক হয়ে যাবে
হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুজে দেবে গুগল
যেভাবে রাখলে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদে থাকবে
সাইলেন্ট অবস্থায় ফোন হারালেও খুজে পাবেন
লেখকের মন্তব্য

ফোন হারালেও ব্যক্তিগত ছবি তথ্য সুরক্ষিত থাকবে

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা নিজের ফোনে ‘গুগল ফাইন্ড মাই ডিভাইস’ আগে থেকে সক্রিয় করে রাখতে পারেন। তাহলেই ফোন হারালেও চিন্তার কিছু নেই। দেখে নিন কীভাবে কাজটি করবেন-
  • সেটিংস খুলুন।
  • গুগল সিলেক্ট করুন।
  • সেখানে ‘অল সার্ভিস’-এ ট্যাপ করুন।
  • সেখানে ‘ফাইন্ড মাই ডিভাইস’ সিলেক্ট করতে হবে।
  • এরপর ‘ইউজ ফাইন্ড মাই ডিভাইস’ সুইচ অন করে ফেলুন।
  • এটা এনাবল থাকলে আপনার ফোনকে অন্য কোনো ওয়েব ব্রাউজার কিংবা ডিভাইস থেকে অনুসন্ধান করা যাবে।
ফোন যদি হারিয়ে যায়, তাহলে অনায়াসে আপনি ওই অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি খুঁজে পেতে পারবেন এর সাহায্যে। এখন সব স্মার্ট ডিভাইসেই গুগল লগ ইন করা থাকে। এর সাহায্যে স্মার্টওয়াচ, ইয়ারবাড ইত্যাদি সবই খুঁজে পাবেন সার্চ করলে। তবে মাথায় রাখতে হবে এটা তখনই সম্ভব হবে যখন আপনার হারানো ডিভাইসে ইন্টারনেট চালূ করা থাকবে। 

তাই যদি কেউ সেটি সুইচ অফ করে দেয়, সেক্ষেত্রে আর লোকেশন দেখা যাবে না। তবে সুইচ অফ করার সময় যে লোকেশন ছিল সেটা দেখা যাবে। আর যদি আপনি নিশ্চিত থাকেন আপনার ফোনটি চুরি করা হয়েছে, তাহলে ইন্টারনেট চালু থাকলে দূর থেকেই ফোনটিকে নতুন পিন, পাসওয়ার্ড, প্যাটার্ন দিয়ে লক করতে পারেন। 

মুছে দিতে পারেন সব ব্যক্তিগত তথ্য। তবে এতে কিন্তু সব পরিবর্তনই হবে স্থায়ী। ফলে পরে ফোন খুঁজে পেলেও হারানো ছবি, ভিডিও বা যে কোন ডাটা আর খুঁজে পাবেন না। এছাড়াও কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখুন। প্রথমত, ফোনে সব সময় শক্তিশালী পিন বা পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখুন। কিংবা ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক অন রাখুন। 

এর ফলে কেউ ফোন চুরি করলেও চট করে তার অ্যাক্সেস পাবে না। তাছাড়া নিয়মিত ফোনের তথ্যের ব্যাক আপ রাখুন। ছবি, কন্ট্যাক্ট ও সব জরুরি তথ্য গুগল ড্রাইভ বা অন্য কোনো ক্লাউড স্টোরেজ রেখে দিলে আর চিন্তা থাকবে না। ফোন চুরি হয়ে গেলেও সব তথ্য মুছে দিলেও হারাবে না কিছুই।

ফোন হারালেও নিজে থেকে লক হয়ে যাবে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে হাতিয়ার করে অ্যান্টি-থেফট ফিচার আনতে চলেছে সার্চ ইঞ্জিন। বিশ্বের মধ্যে সর্বপ্রথম ব্রাজিলে এই সুবিধাটি চালু করতে চলেছে কোম্পানি। সব দেশের ব্যবহারকারীদের ফোনে শিগগির তা রোল আউট হবে। কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত হয় গুগলের I/O বা Input/Output ২০২৪।

সেখানে অ্যান্ড্রয়েড সম্পর্কিত নানা ফিচার্স ঘোষণা করে গুগল। তার মধ্যে একটি অ্যান্টি-থেফট ফিচার। এটি অ্যান্ড্রয়েড ১০ বা তার বেশি সব ফোনে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ আপনার ফোন কয়েক বছর আগের পুরোনো হলেও ফিচারটি পাবেন।

স্মার্টফোনে একটি নতুন অ্যালগরিদম আনতে যাচ্ছে গুগল। সহজ ভাষায় বললে, এমন একটি সিস্টেম যা এআই দ্বারা পরিচালিত। চোররা সাধারণ ফোন ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। সেই সময় এআই তার অ্যালগরিদমকে কাজে লাগিয়ে সেটি ডিটেক্ট করবে। ফোনে কিছু অস্বাভাবিক কিছু হলে তা তৎক্ষণাৎ ধরে নেবে এআই। আর ওই মুহূর্তেই লক হয়ে যাবে স্মার্টফোন।

গুগলের যে Find My Device অ্যাপ রয়েছে তাতে বাড়তি সুবিধা যোগ করবে রিমোট লক ফিচার। এক্ষেত্রে একটি সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ করে রাখতে হবে ইউজারকে। যেমন আপনার পোষ্য প্রাণি বা প্রিয় খেলোয়াড়ের নাম কী ইত্যাদি। Find My Device অ্যাপ খুলে হারিয়ে যাওয়া ফোনে Factory Reset অপশন কমান্ড করতে পারবেন।

এটি বেশ কার্যকরী হতে পারে, যদি আপনার ফোনের পিন বা পাসওয়ার্ড জেনে যায়। ফ্যাক্টরি রিসেট করে দিলে ফোনের সমস্ত তথ্য মুছে যাবে। ফলে ওই মোবাইল আর অ্যাক্সেস করা যাবে না। এই সব নিরাপত্তা ফিচার শিগগিরই আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যোগ করতে চলেছে গুগল।

হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুজে দেবে গুগল

যে কোনও স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটারে ব্রাউজার ওপেন করে ফাইন্ড মাই ডিভাইজ ওয়েবসাইট খুলুন। তার পরে নিজের গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লগ ইন করুন। আপনার কাছে একাধিক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস থাকলে, যে ডিভাইসটি হারিয়ে গিয়েছে, কেবল মাত্র সেটিই সিলেক্ট করুন। এবার একটি ম্যাপের উপরে নিজের ফোনের লোকেশন দেখতে পাবেন।

যা যা করা যাবে

ফাইন্ড মাই ডিভাইস সুবিধা দিয়ে কয়েকটি কাজ করা যাবে। আপনার যন্ত্রটি বর্তমানে কোন অবস্থানে আছে, সেটি মানচিত্রে দেখা যাবে। ওয়াই-ফাইয়ে যুক্ত থাকলে তার তথ্য ও ফোনের ব্যাটারিতে কত চার্জ আছে, তা জানা যাবে। চাইলে আপনার সেই ফোনে কল করতে পারবেন। ফোন সাইলেন্ট মুডে থাকলেও এটি করা যাবে। দূর থেকেও আপনার ফোন লক করতে পারবেন এবং চাইলে ফোনে থাকা সব তথ্য বা ডেটা মুছে দিতে পারবেন।

যেভাবে করবেন কাজটি

গুগলের ওয়েবসাইট থেকে ফাইন্ড মাই ডিভাইসে প্রবেশ করা যাবে। এ জন্য www. google. com/android/devicemanager? u= 0 ওয়েব ঠিকানায় চলে যান। আগে থেকেই অন্য কোনো জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করা আছে, এমন কোনো ব্রাউজারে এই লিংক খুলবেন না। একেবারে নতুন ব্রাউজার বা ব্রাউজারের ইনকগনিটো মোডে লিংকটি খুলুন। 

এবার এখানে লগইন উইন্ডো দেখাবে। আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনে যুক্ত থাকা জিমেইলের ই-মেইল ঠিকানা এবং সেই অ্যাকাউন্টের যথাযথ পাসওয়ার্ড দিয়ে এখানে লগইন করুন। এই জিমেইল অ্যাকাউন্টে যদি টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করা থাকে, তাহলে হারিয়ে যাওয়া ফোনে এসএমএস বা অ্যাপ লগইন করতে বলতে পারে, 

এ ক্ষেত্রে এই পাতার নিচে থাকা Try another way অপশন ব্যবহার করে বিকল্প উপায়ে সেই অ্যাকাউন্টে লগইন সম্পন্ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দক্ষ কাউকে দিয়ে লগইনের কাজটি করাতে পারেন। ঠিকমত গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন-ইন হয়ে গেলে এ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ডিভাইসগুলোকে এখানে দেখতে পাবেন। 

এখান থেকে কাঙ্ক্ষিত ডিভাইসটি নির্বাচন করুন। গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে একাধিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে সরাসরি সেই ডিভাইসের ছবি, সর্বশেষ অবস্থানের সময়, বর্তমানে এটি কোন নেটওয়ার্কে যুক্ত আছে এবং এর ব্যাটারির শতাংশের হালনাগাদ তথ্য এখানে দেখতে পাবেন। আর ডান দিকের মানচিত্রে ডিভাইসটি বর্তমানে কোথায় আছে, তা দেখা যাবে।

সেই সঙ্গে এই পাতার বাঁ দিকে PLAY SOUND, SECURE DEVICE, ERASE DEVICE মেনু গুলো দেখা যাবে। ফোনে যদি কোনো রিং পাঠাতে চান, তাহলে PLAY SOUND মেনুতে ক্লিক করতে হবে। সাইলেন্ট অবস্থায় থাকলেও সেই ফোনে পাঁচ মিনিট ধরে কল বেজেই যাবে।

যদি মনে করেন, ফোনটি ভুলে বেহাত হয়েছে, তাহলে SECURE DEVICE মেনুতে ক্লিক করে তাকে একটি বার্তা পাঠাতে পারেন। মেনুতে ক্লিক করলে আবার জিমেইলে লগইন করতে হবে। লগইন সম্পন্ন হলে ফোনে বার্তা পাঠাতে এর এই পাতার Recovery message-এর ঘরে কাঙ্ক্ষিত বার্তা লিখুন। 

এরপর Phone number-এর ঘরে যদি চান সে আপনার অন্য কোনো নম্বরে যোগাযোগ করবে, তাহলে এখানে সেই ফোন নম্বর লিখে দিন। এরপর Secure Device বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে ফোন লকড অবস্থায় থাকলেও তার কাছে (সেই ফোনে) আপনার লেখা বার্তাটি চলে যাবে।

আর যদি মনে করেন, ফোন ফিরে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়ে যাচ্ছে। তাহলে ERASE DEVICE আপনাকে সহায়তা করতে পারবে। কারণ, এই মেনু ব্যবহার করে ডিভাইসের সব তথ্য মুছে ফেলতে পারবেন।

এ মেনুতে ক্লিক করার পর আবার জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগইন করতে বলতে পারে। লগইন সম্পন্ন হয়ে গেলে সব তথ্য আসলেই ডিলিট করতে চান কি না, সেটি জানাতে আবার Erase Device বাটন চাপতে হবে। তাহলে সেই ফোনের সব তথ্য দূর থেকেই মুছে ফেলা যাবে।

ওপরের সকল পদ্ধতিই নির্ভর করবে আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনটি আদৌ সচল আছে কি না এবং ফোনকে অবশ্যই ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। আবার ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে গেলে কিংবা ফোন বন্ধ হয়ে গেলে আপনি এটি ট্র্যাক করতে পারবেন না বা দূর থেকে একে বন্ধও করে দিতে পারবেন না।

যেভাবে রাখলে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদে থাকবে

সময়ের সাথে সাথে উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। নানা পরিষেবা হচ্ছে ডিজিটাল। এক্ষেত্রে সুবিধা যেমন আছে, তেমনি আছে ঝুঁকিও। সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে ডিজিটাল দুনিয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। অনেকেই ডিজিটাল মাধ্যম সম্পর্কে পুরোপুরি জানেন না। ফলে অরক্ষিত থেকে যায় তাদের ব্যক্তিগত তথ্য।

যেকোনো ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া এক ধরনের ঝুঁকি। তাই এমন ঝুঁকি ও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কীভাবে সুরক্ষিত থাকা যায় তা জানা জরুরি। 

ইন্টারনেট সম্পর্কে জ্ঞান

ইন্টারনেট সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখতে হবে। এর মাধ্যমে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন তা আগে থেকে জানতে হবে ব্যবহারকারীকে। এসম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় অসংখ্য তরুণ-তরুণী বিপদে পড়েন। ইন্টারনেটে যদি কোনো ধরনের সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখতে পান তবে সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিন।

বন্ধু নির্বাচনে সচেতনতা

অনলাইনে নতুন মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু এই বন্ধুদের মধ্যে এমন কেউ থাকতে পারেন যিনি পরবর্তীতে ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই অনলাইনে অপরিচিত কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকুন। ঠিকমতো না জেনে কাউকে বন্ধু বানাবেন না।

সতর্ক হোন

ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্য সুরক্ষিত রাখতে অনলাইনে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ারের বিষয়ে সতর্ক হোন। অজ্ঞতার কারণে অনেকে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত করে ফেলেন। পরবর্তীতে যা বড় বিপদের কারণ হতে পারে। ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন থাকুন।

ব্যক্তিগত তথ্যযুক্ত ছবি

বিনা প্রয়োজনে কোথাও জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ছবি আপলোড করবেন না। এসব ছবিতে ব্যক্তিগত তথ্য উল্লেখ থাকে। এমন ডকুমেন্ট কোথাও সংরক্ষণ করলেও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। মনে রাখবেন এটি শুধুমাত্র আপনার নিজেস্ব তথ্য।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড

তথ্য সুরক্ষিত রাখতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা জরুরি। অনেকে নাম বা মোবাইল নম্বর পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেন। এগুলো খুব দ্রুত হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পাসওয়ার্ড যেন শক্তিশালী ও আনকমন হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। সম্ভব হলে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন সিস্টেম চালু রাখুন। এতে অ্যাকাউন্ট নিরাপদ থাকবে।

কেনাকাটায় সতর্ক

অনেকেই বর্তমানে সময় বাঁচাতে অনলাইনে কেনাকাটা করেন। এক্ষেত্রে পরিচিত ও স্বীকৃত মাধ্যম বেছে নিন। অপরিচিত জায়গায় ব্যক্তিগত তথ্য না দেওয়াই ভালো।

অনলাইন ফিশিং

অনেকেই ফিশিং-এর পাল্লায় পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এই ক্ষতি এড়াতে ইমেইল কিংবা মেসেজে পাওয়া অপরিচিত কোনো লিংকে ক্লিক করবেন না। কোনো ধরনের প্রলোভনেও পড়বেন না। উপহার, অর্থের লোভ দেখানো বেশিরভাগ লিংকই ফিশিং এর হয়ে থাকে। এগুলো থেকে সাবধান থাকবেন।

এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার

ম্যালওয়ার/র‍্যনসমওয়ার জাতীয় ক্ষতি থেকে বাঁচতে নিয়মিত তথ্য সংরক্ষণ (ডাটা ব্যাক-আপ) করুন। এর পাশাপাশি ডিভাইস সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহার করুন আপডেটেড এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার।

ডাউনলোডে সতর্ক

নানা প্রয়োজনে আমরা ফাইল, তথ্য বা আপডেট ডাউনলোড করি। এক্ষেত্রে কোথায় থেকে ডাউনলোড করছেন সেদিকে খেয়াল রাখুন। উৎস নির্ভরযোগ্য না হলে সেখান থেকে কিছু ডাউনলোড করবেন না।

ডিজিটাল মাধ্যম আমাদের জীবনযাপনকে আরও সহজ করে তুলেছে। তবে নিজের ভুলে এ মাধ্যমটিতে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। যার ফলে বিপদে পড়তে পারেন আপনি। তাই সতর্ক থাকুন সর্বক্ষণ।

সাইলেন্ট অবস্থায় ফোন হারালেও খুজে পাবেন

১. প্রথমে অন্য কোনও মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে গুগল-এর ওয়েবসাইটে যান।
২. সেখানে সার্চ বারে লিখুন ‘ফাইন্ড মাই ফোন’।
৩. তার পর গুগল অ্যাকাউন্ট বা জিমেইল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন।
৪. নিজের মোবাইলের লোকেশন দেখতে পাবেন গুগল-এ।
৫. এর পর আপনার সামনে অপশন আসবে, যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইজ ম্যানেজারটি ‘অন’ করে দিতে পারবেন।
৬. এ বার ‘রিং’ অপশনটিকে সিলেক্ট করুন।
৭. আপনার ফোন সাইলেন্ট মোডে থাকলেও সেটি ফুল ভলিউমে রিং হতে শুরু করবে। এবং যতক্ষণ না আপনি ফোনটিকে খুঁজে বার করে তার পাওয়ার বাটনটি চেপে ধরছেন, ততক্ষণ ফোন রিং হতেই থাকবে। এ বার সেই আওয়াজ অনুসরণ করে ফোনটিকে খুঁজে বার করা তো কোনও ব্যাপারই নয়।

এই একই পদ্ধতিতে আপনি আপনার হারানো অ্যান্ড্রয়েড ট্যাব-ও খুঁজে পেতে পারেন। তবে একটাই বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। সেটা এই যে, আপনার ডিভাইস থেকে অবশ্যই গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করা থাকতে হবে। নতুবা এই পদ্ধতিতে হারানো মোবাইল খুঁজে পাবেন না।

লেখকের মন্তব্যঃ

স্মার্টফোন বর্তমান সময়ে নিত্যজীবনের প্রয়োজনীয় অংশে পরিনত হয়েছে। যেকোন সময় ফোনটি চুরি, হারিয়ে যাওয়া বা ছিনতাই হয়েযেতে পারে। ফলে ফোনে থাকা ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তার শেষ থাকেনা। তাই ফোনে সকল তথ্য সুরক্ষিত রাখতে উপরের ব্যবস্থা গুলো গ্রহণ করলে আশানুরুপ ফল পাবেন ইনশাআল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪