স্ত্রীর কোন কোন স্থানে স্পর্শ করলে মিলনের জন্য অস্থির হয়ে পড়ে জানুন

বৈবাহিক জীবনে সুখ-শান্তি নির্ভর করে মনের মিলের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক। পুরুষরা প্রায় সব সময় যৌন মিলনের জন্য প্রস্তুত থাকলেও নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। তাদেরকে যৌন মিলনের জন্য প্রস্তুত করতে হয়। কিন্তু কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় আপনি কি জানেন ?
স্ত্রীর কোন কোন স্থানে স্পর্শ করলে মিলনের জন্য অস্থির হয়ে পড়ে জানুন

হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন সুখের করতে উভয়ের যে কর্তব্য আছে তা সরণ করিয়ে দিতে। বিশেষ করে পুরুষের ভূমিকাঃ স্ত্রীর কোন কোন স্থান স্পর্শ করলে আপনার সঙ্গে ব্যাকুল হয়ে পড়বে তা জানাতে।

ভূমিকাঃ

যৌন মিলন শুরু করার আগে স্ত্রীকে ভালো ভাবে উত্তেজিত করার মাধ্যমে স্ত্রীকে পূর্ণ তৃপ্তি দেওয়া যায়। তাই যৌন মিলন শুরু করার পূর্বে স্ত্রীকে ভালোভাবে উত্তেজিত করে নিবেন। কিছু কলা-কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে স্ত্রীকে দ্রুত উত্তেজিত করা যায়। নিচে স্ত্রীকে দ্রুত উত্তেজিত করার নিয়ম ও টিপস গুলো দেওয়া হলো।

সূচীপত্রঃ

মেয়েদের উত্তেজনা প্রবণ স্থানগুলো কি কি
মিলনের পূর্বে স্ত্রীর সাথে কোন কোন কাজগুলো করা জরুরী
রানীরা রাতে আর পুরুষরা সকালে যৌন উত্তেজনা বোধ করে কেন
নারীদের অর্গাজম কম পুরুষের তুলনায়
স্বামী-স্ত্রী সহবাসের ইসলামিক নিয়ম
স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পূর্বে দোয়া পড়ুন
লেখকের মন্তব্যঃ

মেয়েদের উত্তেজনা প্রবণ স্থানগুলো কি কি

মেয়েদের শরীরে এমন অনেক স্থান আছে যা অত্যন্ত সংবেদশীল। সব মেয়েদের একই স্থানে অনুভূতি লাকিয়ে থাকে না। একেক মেয়ের ক্ষেত্রে একেক জায়গায় থাকে। আপনার স্ত্রীর সংবেদনশীল স্থানগুলো আপনাকেই চিহ্নিত করতে হবে। পুরুষদের উত্তেজনা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু মেয়ের ক্ষেত্রে একেবারেই উল্টো।

হাত-পায়ের পাতা, কব্জি, আঙ্গুল এবং গোড়ালিঃ স্ত্রীকে অসীম সুখ দিতে হলে হাত-পায়ের পাতা, গোড়ালি, আঙ্গুল আঙ্গুল ম্যাসাজ করুন তীব্র উত্তেজনা অনুভব করে। মাঝে মাঝে এই সব অংশগুলোতে জিভের ডগা দিয়ে সুড়সুড়ি দিন। হাতেনাতে ফল পাবেন।

কোমর ও তার নিচের অংশ উরু

মেয়েদের কোমর ও তার নিচের অংশ উরু অত্যন্ত অনুভূতি প্রবণ জায়গা। একটা কথা মনে রাখবেন, এই সব জায়গা সব সময় আলতো ভাবে স্পর্শ করবেন। কোমরের ভাঁজে জিভ বুলিয়ে দিলে সুখে আতিশয্যে নারী হন পাগলপারা। কোন সময় তাড়াহুড়া করবেন না। তবে ভুল করেও এই সময় তাঁর যৌনাঙ্গ স্পর্শ করবেন না। তার জন্য আরও সময় চাই।

পেটঃ স্ত্রীর পেট অত্যন্ত স্পর্শ কাতর জায়গা। এটা প্রায় সবার স্ত্রীর ক্ষেত্রেই হতে পারে। আপনার স্ত্রীর পুরো পেটটা আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করতে থাকুন। স্তনের নিচ থেকে পেটের নিচ পর্যন্ত হালকা ভাবে ম্যাসাজ করুন, নাভি মধ্যে আঙ্গুল দিয়ে নাড়াচাড়া করুন, প্রয়োজনে জিভ দিয়ে নাভির চারপাশ বুলিয়েদিন এবং দেখবেন এক সময় সে উত্তেজিত হয়ে পড়বে।

কানের লতিঃ নেক মেয়ের কানের লতি স্পর্শ করলে উত্তেজনা অনুভব করে। প্রথমে হাত দিয়ে এবং পরে সম্ভব হলে দুই ঠোট দিয়ে কানের লতি স্পর্শ করুন এক সময় সে শিহরণ অনুভব করবে। পুরুষদের উত্তেজন তাড়াতাড়ি আসে আবার তাড়াতাড়ি চলেও যায়। সেই ক্ষেত্রে আপনার স্ত্রী উত্তেজিত হওয়ার আগেই যদি আপনি মিলন শেষ করে ফেলেন, তবে আপনার স্ত্রী অতৃপ্ত থেকে যাবে।

গলা ও ঘড়ের নিচেঃ কিছু কিছু মেয়ের গলাতে আবার কারো ঘাড়ের নিচের অংশ সংবেদনশীল হয়। এই সমস্ত জায়গায় আলতো ভাবে স্পর্শ করুন এবং চুমু দিন। গলা ও বুকের ওপরের অংশে হাল্কা ছোঁয়ায় নারী হৃদয় বিগলিত হয়, জেগে ওঠে শরীর।

হাটুর নিচের অংশঃ স্ত্রীর হাঁটুর পিছনের অংশে হাত বোলানোর মতো উদ্ভট চিন্তা বেশির ভাগ পুরুষের মাথাতেই আসে না। একবার চেষ্টা করেই দেখুন না! ওই স্থানে যুগপত্‍ তর্জনী ও ঠোঁট বুলিয়ে দিতে থাকলে কয়েক মিনিটেই দেখবেন আপনার থেকে আরও কিছু আশা করছেন স্বপ্নের নারী।

পিঠের অংশঃ পিঠের ওপর আলতো হাত রাখলে একই সঙ্গে নারী হৃদয়ে ভরসা ও অনুরাগের ভাব বিস্তার হয়। ঘনিষ্ঠ অবস্থায় তাঁর মেরুদণ্ড বরাবর জিভ বুলিয়ে যান, দেখবে সঙ্গিনীর গায়ে সুখের প্রাবল্যে কাঁটা দিয়ে উঠেছে।

মাথার কেশঃ নারীর কেশ তাঁর সৌন্দর্য্য বাড়াতেই শুধু সাহায্য করে না, তা স্পর্শ করলে তিনি সুখের সাগরে তলিয়ে যান। বিউটি পার্লারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেশচর্চায় শুধুমাত্র রূপ খোলতাই হয় না, স্ট্রেস রিলিভার হিসেবেও কাজে দেয়। কপাল থেকে ঘাড় পর্যন্ত কেশদাম ম্যাসাজ করতে পারলে আপনার প্রিয় স্ত্রী মজবেই।

স্তনঃ স্ত্রীর শরীরের মধ্যে স্তন হচ্ছে সব চেয়ে বেশি সংবেদনশীল জায়গা। তবে প্রথমেই তাড়াহুড়া করে স্তন টেপা যাবে না। এই ক্ষেত্রে পুরুষরা বড় ভূল করে থাকে। আপনি স্তনের আশেপাশে আলতো ভাবে স্পর্শ করুন। এই ভাবে কিছু সময় পার করুন এরপর আস্তে আস্তে স্তনের উপর স্পর্শ করুন। স্তনের বোটাগুলো আঙ্গুল দিয়ে আস্তে আস্তে মর্দণ করুন।

ঠোটঃ বেশির ভাগ মেয়েদের ঠোট হচ্ছে আরো একটি সংবেদনশীল স্থান। তাই বলে প্রথমেই ঠোটে মুখ লাগাতে যাবেন না। ঠোটের উপর হাতের আঙ্গুল দিয়ে হালকা স্পর্শ করতে পারেন প্রথমে। তারপর চুমু খান কপালে, গালে ও ঠোটে। স্ত্রীর যদি সম্মতি থাকে তবে তার ঠোটটি আপনার মুখের মধ্যে নিয়ে হালকা ভাবে চুসতে থাকুন। কখনোই জোরে কামড় দিবেন না।

মিলনের পূর্বে স্ত্রীর সাথে কোন কোন কাজগুলো করা জরুরী

স্বামী-স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্কে যৌনতা খুব নিবিড় অনুভূতি। শারীরিক মিলন দুজন মানুষকে আরোও কাছাকাছি নিয়ে আসে। কিন্তু একান্ত ব্যক্তিগত এই অনুভূতিতেও অনেক সময় ছন্দপতন ঘটতে পারে। সমীক্ষা বলছে, শারীরিক মিলন আরও বেশি তৃপ্তিদায়ক করে তুলতে সঙ্গমের আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিৎ। যৌনজীবন আরও সুখের করে তুলতে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার আগে কোন কাজগুলি করা জরুরী।

পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা

যৌন মিলনে মেতে ওঠার আগে স্নান করা জরুরি। উত্তেজনার বশে এমন কিছু ভুলবেন না, যাতে পরে পস্তাতে হয়। যৌন মিলনের আগে অতি অবশ্যই স্নান করে পরিষ্কার থাকা জরুরি। বিশেষ করে ‘ইউটিআই’-এর মতো সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগে গোসল করতে না পারলেও অতি অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা প্রয়োজন।

ভরা পেটে মিলন না করা

শারীরিক মিলনের আগে পেট ভরে খাবার না খাওয়াই ভাল। এমনকি, ভারী কোনও খাবার এড়িয়ে চলবেন। বদলে হালকা কোনও স্যুপ বা চকোলেট জাতীয় কিছু খেতে পারেন। আসলে চকোলেট সেরোটোনিন হরমোন ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ভিতর থেকে আলাদা শক্তি এবং বাড়তি উত্তেজনা টের পাওয়া যায়।

মদ্যপান বা নেশা না করা

একান্ত মুহূর্তে মানেই এক ধরনের প্রেমের উদ্‌যাপন। তবে উদ্‌যাপন যেন মদ্যপান বা নেশা করে না হয়। সমীক্ষা বলছে, যৌনতার আগে মদ্যপান বা নেশা এড়িয়ে চলাই ভাল। মদ্যপানের ফলে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়লে যৌনতার আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন দুজনেই।

তাড়াহুড়ো না করা

মনে রাখবেন স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন কোন যুদ্ধ নয়। এখানে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। অবশ্যয় আপনাকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। পুরুষ মানুষ সব সময় প্রস্তুত থাকে মিলনের জন্য, কিন্তু মেয়ের দেহ একটু আলাদা। তাদের যৌনতার বাসনা জাগাতে সময় লাগবে। উপরে বর্ণিত কাজগুলো নিয়ম মেনে করুন তাহলেই চলবে।

জোর জবরদস্তি নয়

স্ত্রীর সাথে কোন সময় জোর জবরদস্তি করা যাবে না। হ্যাঁ তারা কিন্তু সব সময় মিলনের জন্য প্রস্তুত থাকেনা। তাদের মন ও দেহটা একটু আলাদা। এই জন্য তাদেরকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাবেন। মাঝে মাঝে পছন্দের খাবার ও গিফ্ট দিবেন, রোমান্টিক গল্প করবেন। ওকে বুঝাবেন আমরা একজন অপর জনের সুখ-দুঃখের অংশিদার।

নারীরা রাতে আর পুরুষরা সকালে যৌন উত্তেজনা বোধ করে কেন

বিশেষজ্ঞরা বলেন, নারীরা রাতের সময়টিতে যৌন উত্তেজনা অনুভব করেন। তবে পুরুষরা করেন সকালের দিকে। রাতের সময়টি যৌনতার জন্যে আদর্শ সময় মনে করা হলেও পুরুষদের কেন এমন হয়? তার সঠিক উত্তর জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। একদিনের বিভিন্ন সময়ে নারী-পুরুষের দেহে যৌন অনুভূতি সৃষ্টিকারী হরমোন ক্ষরণের মাত্রা নিয়েও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

১. ভোর ৫টাঃ এ সময় পুরুষরা ঘুম থেকে না উঠলেও সেক্স হরমোন টেস্টোসটেরনের ক্ষরণ অন্যান্য সময়ের তুলনায় ২৫-৫০ শতাংশ বেড়ে যায়। এই হরমোনের ক্ষরণ ঘটে রাত থেকে এবং তা সকাল পর্যন্ত চলে।

২. ভোট ৬টাঃ গভীর একটা ঘুমের পর যৌন উত্তেজনা দারুণভাবে অনুভূত হয়। জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, রাতে টানা ৫ ঘণ্টা ঘুমের কারণে সেক্স হরমোনের ক্ষরণ ১৫ শতাংশ বেড়ে যায়।

৩. সকাল ৭টাঃ এ সময়ে প্রায় সবাই ঘুম থেকে উঠে যায়। পুরুষদের ঘুম থেকে ওঠার পর সেক্স হরমোন সবচেয়ে বেশি থাকে। আবার এ সময়টিতে মেয়েদের থাকে সবচেয়ে কম। তবে রাত যত আসতে থাকে নারীদের হরমোন ক্ষরণের মাত্রাও তত বাড়তে থাকে বলে জানান ওয়েস্ট বার্মিংহাম হসপিটালের গাইনকোলজিস্ট গ্যাব্রিয়েলে ডাউনি।

৪. সকাল ৮টাঃ পুরোপুরি সজাগ হওয়ার পর স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের ক্ষণ বাড়তে থাকে এবং সেক্স হরমোনের প্রভাব করতে থাকে।

৫. দুপুর ১২টাঃ এ সময় সুন্দরী রমনী দেখলে মস্তিষ্কে ভালো বোধ হয়। তবে তখন এন্ডোফিনস হরমোনের নির্গত হয়। কিন্তু এ সময় সেক্স হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধিতে বেশ সময় ব্যয় হয়।

৬. দুপুর ১টাঃ এ সময় নারীরা কোনো সুদর্শন স্ত্রী বা কলিগের সঙ্গে লাঞ্চে বসলেও তাদের উত্তজেনা খুব বেশি একটা থাকে না।

আবার পুরুষের সঙ্গিনী সুন্দরী হলেও উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে নারীরা তার স্বামীর বা সঙ্গীর সঙ্গ পেলেই সবচেয়ে বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।

৭. সন্ধ্যা ৬টাঃ এ সময় পুরুষদের যৌন অনুভূতি কমতে থাকে। তবে নারীদের কিছুটা বাড়তে শুরু করে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণায় বলা হয়, দৈহিক পরিশ্রমের পর নারী-পুরুষ উভয়ের যৌন অনুভূতি বাড়তে পারে।

৮. সন্ধ্যা ৭টাঃ দিনের কাজ শেষে বিশ্রামের সময়। জাপানের এক গবেষণায় বলা হয়, এ সময় হালকা মিষ্টি সঙ্গীতও যৌন উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে।

৯. রাত ৮টাঃ ধরুন, প্রিয় দলের খেলা হয়েছে। এ বিষয়টিও সেক্স হরমোনে প্রভাব ফেলে। ইউতাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়, প্রিয় দল জিতে গেলে পুরুষদের যৌন হরমোন ক্ষরণের মাত্রা ২০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে।

১০. রাত ১০টাঃ এখন পুরুষের টেস্টোসটেরন হরমোনের মাত্রা সবচেয়ে কম। কিন্তু তারপরও বিকালে নারীদের চেয়ে বেশি মাত্রা দেখা যায় পুরুষদের মধ্যে। তবে এখন নারীদের দেহে হরমোনের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। কাজেই ভালোবাসাপূর্ণ সময় কাটাতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তাদের দেহ। সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস

নারীদের অর্গাজম কম পুরুষের তুলনায়

অর্গাজম বা চরম তৃপ্তিঃ সাধারণত, মানুষের পুরুষ ও নারীর অর্গাজমের মধ্যে পার্থক্য হল যে নারীর ক্লাইম্যাক্স শারীরবৃত্তীয়ভাবে পুরুষের প্রতিক্রিয়ার চেয়ে বেশি সহজে বাধাগ্রস্ত হতে পারে এবং পুরুষের প্রচণ্ড উত্তেজনা সাধারণত বীর্যপাতের সাথে থাকে, পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই প্রচণ্ড উত্তেজনার সময় ক্ষণিকের পেশী সংকোচন অনুভব করে, মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় অনেক পরে সেক্স করার জন্য উত্তেজিত হয় তাই মেয়ের অর্গাজম হতে সময় বেশী লাগে।

নারীদের জন্য অর্গাজম একেবারেই অন্য রকম একটা অনুভব। আপনার পরিচিত অন্য কোন অনুভবের সাথে এটার মিল খুঁজে পাবেন না। হ্যাঁ, এ কথা সত্যি যে আমাদের দেশে বিপুল সংখ্যক নারীর অরগাজমের সাথে পরিচয় নেই। এমনকি তাঁরা জানেন না অরগাজমের ব্যাপারে। কেননা পুরুষের চাইতে নারীর অরগাজমটা একটু ভিন্ন রকম।

পুরুষের অরগাজম যত সহজে আসে, নারীর ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। নারীর অরগাজমে সময় ও যৌন মিলনের সঠিক পজিশন প্রয়োজন। পুরুষ যেমন বীর্যপাতের কয়েক মুহূর্ত আগে টের পান, নারীর ক্ষেত্রেও তাই। যৌন মিলনের সময় অরগাজম হবার কয়েক মুহূর্ত আগেই বুঝতে পারবেন যে চরম মুহূর্ত উপস্থিত হতে যাচ্ছে।

আপনার হার্ট বিট বেড়ে যেতে শুরু করবে, মুখে রক্ত জমবে, নিঃশ্বাস ভারী হয়ে যাবে, কেউ কেউ ঘামতেও শুরু করবেন। তবে সবচাইতে নিশ্চিত ব্যাপারটি হচ্ছে নিজের যৌনিতে এমন একটা উত্তেজনাময় অনুভব তৈরি হবে যেটা আগে কখনো অনুভব করেননি!

এক রকমের অসহ্য আনন্দ। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই অনুভবের পর ভীষণ ক্লান্তি অনুভব করবেন আর যৌনির পিচ্ছিল ভাব কমে গিয়ে যৌনি শুকিয়ে আসবে। পিপাসা বোধ করতে পারেন, ক্লান্তিতে ঘুম আসবে, হুট করেই যৌন মিলনের আগ্রহ হারিয়ে যাবে, শরীর কাঁপতে পারে আবেশে, যোনির ভেতরে কম্পন অনুভূত হতে পারে।

স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পূর্বে দোয়া পড়ুন

মহান আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার সকল নিয়ামতের মধ্যে অন্যতম একটি নিয়ামত হলো স্বামী-স্ত্রী। একজন স্বামী স্ত্রীর সবচেয়ে আনন্দের মূহুর্ত হলো যৌন মিলন। ইসলাম যৌন মিলন কেবলমাত্র স্বামী স্ত্রীর জন্য বৈধ্য করেছেন। অন্য কারো সাথে নয়। প্রয়োজন হলে পুরুষ একাধিক বিয়ে করতে পারে, তবুও বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই।

স্বামী স্ত্রী সহবাসের ইসলামিক নিয়ম আছে যা আমরা অনেকেরই অজানা। এছাড়াও সহবাসের পূর্বে এবং পরে কিছু কাজ থাকে যা আমরা করি না। সমাজে স্বামী স্ত্রী সহবাসের কিছু কুসংস্কার আছে। সঠিক নিয়ম জেনে কুসংস্কার মুক্ত স্বামী-স্ত্রী যৌন মিলনে আনন্দ উপভোগ করুন। তার আগে নিচের এই দোয়াটি অবশ্যয় পড়ুন।

بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

উচ্চারনঃ ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাযাক্বতানা।’
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! তোমার নামে আরম্ভ করছি (যৌন মিলন বা সহবাস)। তুমি আমাদের কাছ থেকে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের এই মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে, সে সন্তাকেও শয়তানের আক্রমন থেকে দূরে রাখ।

লেখকের মন্তব্যঃ

স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন করার আগে নিজের সঙ্গীনীর সেনসেটিভ স্থানগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে ফোরপ্লে করে তার যৌন উত্তেজনা বাড়ানো যায়। ভালো মত ফোরপ্লে করা হলে যৌন মিলন অনেক আরামদায়ক, আনন্দদায়ক এবং উপভোগ্য হবে উভয়ের ক্ষেত্রে। ব্যক্তি বিশেষে উত্তেজনা প্রবণ স্থানগুলো ভিন্ন হলেও কিছু কমন সেনসেটিভ এরিয়া আছে যেখানে সামান্য স্পর্শ করলেই মেয়েদের শরীরে শিহরণ জাগে। 

আগে বলে রাখার ভালো যে, মেয়েদের শরীরের মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সবটাই উত্তেজনা প্রবন, স্পর্শ যদি সঠিক হয়, তাহলে হাত ধরেও উত্তেজিত করা যেতে পারে। তবে সবই নির্ভর করছে আপনার স্ত্রীর উপর। তার কোথায় স্পর্শ করলে বেশি শিহরিত হন সেটা আপনাকে চিহ্নিত করতে হবে। সুখি দাম্পত্য জীবন গড়ে তুলন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪