পাইলস হওয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকারের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন
পাইলসে ভূগছেন এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। বর্তমানে অল্প বয়সীদের মধ্যেও এই সমস্যা বাড়ছে। কিন্তু আমরা কি জানি কেন হচ্ছে এমন, কি বা এর প্রতিকার ?
হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের পাইলসের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকারের ঘরোয়া উপায় ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। তো আর দেরি না করে আসুন শুরু করা যাক।
ভূমিকাঃ
বর্তমানে আমাদের সমাজের একটা বড় অংশ পাইলসের সমস্যায় ভূগছেন। অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন, কেউ আবার লজ্জায় কাউরি সামনে বলতে পারছেন না। অসুখ হতেই পারে, সেই অসুখের আবার চিকিৎসাও আছে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিলে এবং আমাদের নিয়মিত জীবনযাপন ও খাদ্যাভাস ঠিক রাখলে পাইলসের হাত থেকে রক্ষা পাওয় সম্ভব।
সূচীপত্রঃ
কেন পাইলস হয়
পাইলস এর লক্ষণ
পাইলস প্রতিরোধে করণীয়
পাইলস এর প্রাথমিক চিকিৎসা
কি খেলে পাইলস ভালো হয়
পাইলস থেকে ক্যান্সার এর লক্ষণ
বাহ্যিক পাইলস এর লক্ষণ
পাইলস এর ওষুধ
পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
লেখকের মন্তব্যঃ
কেন পাইলস হয়
- পায়ুপথের রোগগুলোর মধ্যে পাইলস ও ফিস্টুলা অন্যতম। এই রোগে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। সঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা না নিতে পারলে বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। অনেক সময় ক্যান্সারও হতে পারে।
- সাধারণত বৃহদান্ত্রের শেষাংশে রেকটামের ভেতরে ও বাইরে থাকা কুশনের মতো একটি রক্তশিরার জালিকা থাকে। যা প্রয়োজন সাপেক্ষে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। এর নাম হেমোরয়েডস বা পাইলস।
- যখন পায়ুপথে এসব শিরার সংক্রমণ এবং প্রদাহ হয়, চাপ পড়ে তখন হেমোরয়েডস বা পাইলসে প্রদাহ হয়। যাকে সাধারণ ভাষায় অর্শ্বরোগ বলা হয়।
- বিশেষজ্ঞদের মতে, পাইলস হলে মলদ্বারের চারপাশ ফুলে যায়। এটি এমন একটি রোগ যাতে মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের শিরাগুলো ফুলে যায়। আবার মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের অংশে কিছু মাংস জমা হয়।
- এসব মাংসপিণ্ড থেকে রক্তপাতের পাশাপাশি প্রচণ্ড ব্যথা হয়। বিশেষত খুব গরম ও মসলাদার খাবার খেলে এই সমস্যা হয়। একই সঙ্গে পরিবারের কারো যদি এ সমস্যা থাকে, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মেও রোগটি স্থানান্তরিত হয়।
- পাইলসের কারণ ও লক্ষণ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতালের বৃহদান্ত ও পায়ুপথ সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুল হক।
- পাইলসের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিণ্যে ভোগা, পুরনো ডায়রিয়া, মলত্যাগে দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে বসে থাকা ও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা। এছাড়া পারিবারিক ইতিহাস, আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, ভারি মালপত্র বহন করা, স্থুলতা, কায়িক শ্রম কম করা।
- গর্ভকালীন সময়ে, পায়ুপথে যৌনক্রিয়া, যকৃত রোগ বা লিভার সিরোসিস ইত্যাদি কারণে পাইলসের আশংকা বেড়ে যায়।
- সর্বোপরি পোর্টাল ভেনাস সিস্টেমে কোনো ভাল্ব না থাকায় উপরিউক্ত যে কোনো কারণে বায়ু অঞ্চলে শিরাগুলোতে চাপ ফলে পাইলস সৃষ্টি হয়।
পাইলস এর লক্ষণ
সাধারণত হেমোরয়েডসের উপসর্গ বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ, দুই ভাবেই প্রকট হয়ে ওঠে। আলাদাভাবে হোক কিংবা একসঙ্গে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এর চিকিৎসাও দেরি করে শুরু করার প্রবণতা দেখা যায়। পায়ুদ্বারের বিভিন্ন অসুখের ক্ষেত্রে উপসর্গ আলাদা। পাইলস এদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত অসুখ। এর মূল লক্ষণগুলি হলোঃ-
- মলত্যাগের পর ব্যথাহীন রক্তপাত পাইলসের অন্যতম উপসর্গ। পাইলস যদি প্রথম ধাপে থাকে, তবে মলদ্বারে বাড়তি মাংসের মতো কোনো কিছু থাকে না। শুধু মলত্যাগের পর রক্ত যায়।
- দ্বিতীয় ধাপের পাইলসে মলত্যাগের পর তাজা রক্ত যাওয়ার পাশাপাশি মলত্যাগের পর মনে হয়, ভেতর থেকে কী যেন একটা বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে সেটি এমনিতেই ভেতরে ঢুকে যায়।
- তৃতীয় ধাপের পাইলসে মলত্যাগের পর বাড়তি মাংসের মতো বের হওয়া অংশ এমনিতেই আর ভেতরে ঢুকে যায় না; চাপ দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হয়।
- চতুর্থ ধাপের পাইলস হলে মলত্যাগের পর বাড়তি যে মাংস বের হতো, সেটি আর ঢুকছে না বলে মনে হয়।
- অনেক সময় পাইলসের ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। একে বলা হয় থ্রম্বোসড পাইলস।
পাইলস প্রতিরোধে করণীয়
১. আশসমৃদ্ধ খাবার খান। বেশি ফলমূল, শাকসবজি এবং শস্য খান ও প্রচুর তরল পান করুন। মলকে নরম রাখতে প্রতিদিন ছয় থেকে আট গ্লাস পানি এবং অন্যান্য তরল (অ্যালকোহল, পদ, বা কোমল পানীয় নয়) পান করুন।
২. মল পাস করার চেষ্টা করার সময় শ্বাস ধরে রাখবেন না। এতে নিচের মলদ্বারের শিরাগুলোতে আরও বেশি চাপ তৈরি করে।
৩. তাগিদ অনুভব করার সঙ্গে সঙ্গে মলত্যাগ করতে হবে।
৪. দীর্ঘ সময় ধরে টয়লেটে বসে থাকা উচিৎ নয়। এতে মলদ্বারের শিরাগুলোতে চাপ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৫. ব্যায়াম করুন, যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করবে ও শিরাগুলোতে চাপ কমাবে।
পাইলস এর প্রাথমিক চিকিৎসা
প্রথম ধাপের পাইলসের শুরুতেই রোগী চিকিৎসকের কাছে গেলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না। এ ধরনের রোগীকে পায়খানা স্বাভাবিক করার জন্য খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও পানি পান করতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে মল নরম করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষুধ খেতে হবে। যদি ওষুধে কাজ না হয়, তখন বেন্ডিং বা সেক্লরো থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়-যেমন রিং লাইগেশন, ইনজেকশন।
দ্বিতীয় ধাপের পাইলসেও অস্ত্রোপচারের দরকার নেই। কিছু আধুনিক চিকিৎসার সহায়তা নেওয়া হয়।
তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের পাইলসে অস্ত্রোপচারের দরকার হয়। আধুনিক স্টেপলড হেমোরয়ডেকটমিতে বাইরে কোনো কাটাছেঁড়া হয় না, মলত্যাগের পর ড্রেসিং করারও প্রয়োজন হয় না। সাত দিন পর থেকেই রোগী স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে পারেন।
তবে কারও যদি মলদ্বার একদম বাইরে বের হয়ে আসে এবং ইনফেকশন থাকে, তবে ওপেন হেমোরয়ডেকটমি বা ক্লোজ হেমোরয়ডেকটমি করতে হবে।
কি খেলে পাইলস ভালো হয়
ব্রোকলি, গাজর, বাঁধাকপি, ফুলকপি, পেঁয়াজ, শসা, টমেটো এই সব সবুজ সবজি পাইলসের রোগীরা খেতে পারেন। ফলে বিশাল পরিমাণে পুষ্টি, খনিজ এবং ভিটামিন থাকে যা অন্ত্র আন্দোলনে সাহায্য করে। আপেল, আঙুর, আলুবোখারা, কিশমিশ ইত্যাদি তন্তুজ ফল গুলি খোসাসহ খাওয়া খুব উপকারী।
খোসা ছাড়া যে সব ফল খুব উপকারী সেগুলি হল-কলা,পেঁপে ইত্যাদি। এগুলোর পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
পাইলস থেকে ক্যান্সার এর লক্ষণ
পায়ুপথে ক্যান্সার হলে বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন- পায়খানার সঙ্গে রক্ত ও মিউকাস বা আম যাওয়া, কিছুদিন পাতলা পায়খানা এবং এরপর কিছুদিন কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া, মলদ্বারে ব্যথা হওয়া, মল ত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন, খুব সকালে পায়খানার বেগ হওয়া, মল ত্যাগের পর আরও মল রয়ে গেছে এরূপ অনুভূতি হওয়া ইত্যাদি।
যন্ত্র দিয়ে মলদ্বারের ভেতর পর্যবেক্ষণ করা যেমন- প্রকটস্কপি, সিগময়ডস্কপি, কোলনস্কপি, বেরিয়াম এনেমা পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার শনাক্ত করা হয়। পরীক্ষার মাধ্যমে এসব রোগ আগেভাগে ধরতে পারলে চিকিৎসা সহজ ও কার্যকরী হয়।
অনেক লোকের ধারণা ক্যান্সার অপারেশন না করাই ভালো। অস্ত্রোপচার করলে আরও ছড়িয়ে যায় এবং ক্ষতি হয়। এখন পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন অঙ্গের ক্যান্সারের, যেমন পরিপাকতন্ত্র, লিভার, অস্থি, মগজ, চর্ম, ফুসফুস- প্রধান চিকিৎসাই হচ্ছে অপারেশন।
বিভিন্ন অঙ্গের ক্যান্সার হলে অপারেশনের সময় কতদূর পর্যন্ত কাটতে হবে এবং কী কী অঙ্গ এর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে তার নীতিমালা নির্ধারণ করা আছে। যাকে ক্যান্সার সার্জারির ভাষায় বলা হয় অনকোলজিক্যাল প্রিন্সিপালস অব সার্জারি। শুধু ক্যান্সার আক্রান্ত টিস্যু টুকু কেটে ফেলে দিলেই ক্যান্সার অপারেশন যথার্থ হয় না।
ক্যান্সার যে পথ ধরে ছড়িয়ে পড়ে সেই অংশও মূল ক্যান্সারের সঙ্গে কেটে ফেলে দিতে হবে। এর পরেও যদি সন্দেহ থাকে যে ক্যান্সার কোষ সম্ভবতঃ আরও দূরে বিস্তৃতি লাভ করেছে কিন্তু সেই অঙ্গটি কেটে ফেলে দেওয়া সম্ভব নয় তাহলে ক্ষেত্রভেদে কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এগুলোর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল অনকোলজিস্ট ও রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট রয়েছে।
রেকটাম ক্যান্সার হলে এর প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে জলদি অপারেশন করে ফেলা। এমনকি যদি রোগী আর মাত্র কয়েক মাস বেঁচে থাকবেন বলে মনে হয় তবুও অপারেশন করা উচিত। এতে জীবন ধারণের গুণগত উন্নতি হয়। রোগীর ভোগান্তি অনেকটা লাঘব হয়।
কান্সার চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ দিক হল- এ অপারেশনের পরে পেটে কলোস্টমি করে ব্যাগ লাগাতে হবে কিনা। রেকটামের খুব গভীরে ক্যান্সার হলে পেটে মলত্যাগের ব্যাগ লাগানোর সাধারণত প্রয়োজন হয় না। কিন্তু রেকটামের নিচের দিকে অর্থাৎ মলদ্বারের খুব কাছাকাছি ক্যান্সার হলে পেটে কলোস্টমি করা বা ব্যাগ লাগানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং কখনও কখনও অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।
বাহ্যিক পাইলস এর লক্ষণ
অন্ত্রের গতিবিধি চলাকালীন যখন অত্যাধিক চাপ পড়ে তখন সেই চাপের কারণে মলদ্বারের চারপাশের শিরাগুলি প্রসারিত হয়ে ফুলে যায়, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়ারিয়ার কারণে ঘটে।
কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ দেওয়া, মিলনের সময় মলদ্বারের নীচে অত্যাধিক চাপ দেওয়া, অতিরিক্ত ওজন, কম ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ভারী বস্তু বহন করা, ইত্যাদি কারণে বাহ্যিক হেমোরয়েডস বিকাশ করতে পারে। বাহ্যিক হেমোরয়েড মলদ্বার থেকে বেরোয় এবং অত্যন্ত বেদনাদায়ক হয় কারণ মলদ্বারের বাইরের অংশ খুব সংবেদনশীল হয়।
লক্ষণ সমূহঃ
১) রক্তপাত
২) পায়ুপথে চুলকানি, জ্বালা
৩) ব্যাথা, অস্বস্তি
৪) মলদ্বারের চারপাশ ফোলা
৫) মলত্যাগে রক্ত পড়া
পাইলস এর ঔষুধ
পাইলস এবং নিচের চুলকানির জন্য হাইড্রোকর্টিসোন ব্র্যান্ডের নাম: অ্যানুসোল, অ্যানুজেসিক, জার্মালয়েডস, পেরিনাল, প্রোক্টোসেডিল, ইউনিরয়েড, জাইলোপ্রোক্ট। কীভাবে হাইড্রোকর্টিসোন ক্রিম, মলম, স্প্রে এবং সাপোজিটরিগুলি পাইলস (হেমোরয়েড) এবং চুলকানির নীচে চিকিত্সা করে এবং কীভাবে সেগুলি ব্যবহার করবেন তা জানুন।
পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
পাইলস এর চিকিৎসা; পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়’ এ ব্লগ থেকে অধিকাংশ পাঠক আশা করেন এমন টিপস ও উপায়ের যেগুলোর মাধ্যমে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যাবে। পাঠকের জন্য সে উপায়গুলো নিচে তুলে ধরা হচ্ছে:
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: প্রতিদিনি শাক সবজি, ফলমূল, মটরশুটি ও ডাল ইত্যাদি খাবার খাওয়া। ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে পায়খানা স্বাভাবিক থাকে এবং পাইলস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- পানি পান বৃদ্ধি: প্রতিদিন প্রয়োজনমত পানি পান করতে হবে। পাইলসের চিকিৎসায় অন্যতম জরুরী বিষয় হলো প্রচুর পানি পান করা। চা-কফি ও কোমল পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকা।
- ইসবগুলে ভুসি: প্রতিদিন সকালে নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে পান করলে পায়খানা স্বাভাবিক থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস থেকে মুক্ত থাকা যায়। বেশি পরিমাণে ইসবগুলের ভুসি খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা ও ব্যাথা হতে পারে। তাই প্রয়োজনমত খাওয়া।
- খাঁটি ঘি: অনেকের ধারণা প্রতিদিন পরিমাণমত ঘি খেলে পাইলস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নাই।
- টয়লেটে কম সময় ব্যয়: টয়লেটে গিয়ে অনেকে প্রচুর সময় ব্যয় করে, এটা উচিৎ নয়। স্বস্তি মেলে এ পরিমাণ পায়খানা হয়ে গেলে টয়লেট থেকে বের হয়ে যাওয়া উচিত।
লেখকের মন্তব্যঃ
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি উপরের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে পাইলস এর কারণ, লক্ষণ, ও এর প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায় গুলো জেনে গেছেন। কখন কার কোন অসুখ হবে এটা কেউ বলতে পারেনা। অসুখ যেমন আছে তেমনি তার চিকিৎসাও আছে। এখানে একটা কথা না বললেই নয়, পাইলস থেকে বাচার জন্য যে পদক্ষেপ গুলোর কথা বলা হয়েছে।
সেগুলো মেনে চললে অনেকাংশে পাইলসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। যেমন- দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য পুশে না রাখা, আঁশ যুক্ত খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবার গ্রহণ না করা। আর প্রধান কথা হচ্ছে পুরুষ-মহিলা, ছোট-বাড় যারই এই সমস্যা দেখা দিবে লজ্জা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। আজ এই পর্যন্তই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url