পা কামড়ায় কেন ? পা কামড়ানো দুর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
রাতে পা কামড়ানো বা লেগ ক্র্যাম্পের সমস্যা আপনাকে অনেক সময় পুরো রাত জাগিয়ে রাখে। আপনি কি জানেন কেন এমন হয় ? কি বা তার প্রতিকার ? এই সমস্যা কি শুধু আপনার একার ?
হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের সামনে পা কামড়ানোর কারণ ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে এর প্রতিকার করা যায় কিভাবে সে সম্পর্কে আলোচনা করবো। তো আর দেরি না করে আসুন শুরু করা যাক।
ভূমিকাঃ রাতে পা কামড়ানো বা লেগ ক্র্যাম্পের সমস্যা আপনাকে পুরো রাতের ঘুম নষ্ট করে দেয়। আপনি একা নন, আমেরিকান ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান-এ প্রকাশিত ২০১২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, প্রায় ষাট শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কখনো না কখনো রাতে পা কামড়ানোর সমস্যা ভুগে থাকেন।
পায়ের এই ক্র্যাম্প রাতের ঘুম নষ্ট করে। সেইসঙ্গে ব্যথা ও অস্বস্তি তো রয়েছেই। আসুন পা কামড়ায় কেন ? পা কামড়ানো দুর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন-
সূচীপত্রঃ
পা কামড়ায় কেন ?
পা কামড়ানো দুর করার ঘরোয়া উপায়
হাত পা চাবানোর ঘরোয়া চিকিৎসা
পা চাবানো কমানোর উপায়
পা কামড়ানো কমানোর ঔষধ
পায়ের মাংসপেশিতে কামড়ানো ঔষধ
হাত পা চাবানোর চিকিৎসা
পা কামড়ানো কমানোর ব্যায়াম
লেখকের মন্তব্যঃ
পা কামড়ায় কেন ?
পা কামড়ানো- এটা অনেক পরিচিত একটা কথা। কিন্তু কেন ? এই পা কামড়ানোর জন্য অনেকেই রাতে ঘুমাতে পারেন না। সারাদিন কোনো ব্যথা নেই, রাত হলেই এই ব্যথা হানা দেয়। পা কামড়ানো প্রচলিত থাকলেও চিকিৎসকের ভাষায় একে বলেন মাসল ক্র্যাম্প হওয়া। কিন্তু কেনই বা হয় এই মাসল ক্র্যাম্প ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত রক্তে লবণের ঘাটতি হলে বা মাংসপেশিতে রক্তপ্রবাহ কমে গেলে পা কামড়াতে পারে। ডায়াবেটিক রোগী ও ধূমপায়ীদের পা কামড়ায় পায়ে রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটার কারণে। শিশুরা অনেক ছোটাছুটি করে বলে তাদের পায়ের পেশিতে রক্তপ্রবাহে টান পড়তে পারে। কিন্তু খানিক বিশ্রাম নিলেই তা সেরে যাবে।
অনেকক্ষণ রোদে বা গরমে হাঁটাহাঁটি করলে লবণের ঘাটতি হয়। ফলে পা কামড়ায়। এছাড়াও ঋতু পরিবর্তন, পুষ্টির অভাব, পানিশূন্যতা, প্রচণ্ড ব্যায়াম, দাঁড়িয়ে থাকা, গর্ভাবস্থাও, বাত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এমনকি হতাশাও পা কামড়ানোর অন্যতম কারণ হতে পারে।
আর চিকিৎসকরা বলছেন, পা কামড়ানো হতে পারে কোনো মাংসপেশি বা স্নায়ু জটিলতার লক্ষণ, যেমন মায়োপ্যাথি বা ডিসটোনিয়া-জাতীয় জটিল রোগের উপসর্গ। কিছু ঔষুধেরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে হতে পারে। আপনি ডাইউরেটিক, সালবিউটামল, ল্যাসিডিপিন, টেলমিসারটান বা থাইরক্সিন-জাতীয় ঔষুধ সেবন করছেন কি না খেয়াল করুন।
তবে বেশির ভাগ পা কামড়ানোর কারণ সাময়িক। বিচলিত হওয়ার মতো মোটেও বিষয় নয়। যথেষ্ট বিশ্রাম, প্রচুর তরল পান, রাতের বেলা পায়ের কিছু প্যাসিভ এক্সারসাইজ বা পরোক্ষ ব্যায়াম এবং কখনো কখনো কুইনিন সালফেট-জাতীয় ঔষুধই এর প্রতিকার।
পা কামড়ানোর দুর করার ঘরোয়া উপায়
পায়ের ব্যায়ামঃ যখন আপনার পায়ের রগে টান লাগা বা পা কামড়ানো শুরু হবে তখনই দাঁড়িয়ে যাবেন। এরপর পায়ের পাতা দুটিকে কিছুটা ভেতরের দিকে নিবেন। এরপর পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে উঁচু হতে চেষ্টা করবেন, যেন আপনি উঁচুতে থাকা কোনো কিছুর নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এভাবে পায়ের পেছনের পেশি টানটান করার চেষ্টা করবেন। এতে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে।
পা কামড়ানো শুরু হওয়ার সাথে সাথে কিছুদূর হেঁটে অথবা পা ঝাঁকিয়ে এরপর পা উঁচু করলে এই অনুভূতি উপশম হতে পারে।
পায়ের আঙুলগুলো সজোরে ওপরের দিকে টানটান করলে অথবা পায়ের পেশি জোরে জোরে ঘষলে কামড়ানো উপশম হতে পারে।
গরম পানি দিয়ে গোসলঃ কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে স্বস্তি পেতে পারেন। এ ছাড়া পায়ের পেছনে হাঁটুর ঠিক নিচের মাংসল অংশে হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে গরম সেঁক দিতে পারেন। তবে হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করার সময়ে সাবধান থাকবেন। পানি সহনীয় তাপমাত্রায় আছে কি না এবং ব্যাগের মুখ ভালোভাবে আটকানো আছে কি না তা দেখে নিবেন। নির্দিষ্ট সময় পরপর ব্যাগ উল্টেপাল্টে দিবেন।
বরফের সেঁকঃ পায়ে আলতোভাবে ঘষে ঘষে বরফ লাগাতে পারেন।
ব্যায়ামঃ পা কামড়ানো ঠেকাতে পায়ের কিছু ব্যায়াম করে দেখতে পারেন। এসব ব্যায়াম পায়ের পেশির ওপর কাজ করে এবং ব্যথা ও খিঁচ ধরা কমাতে সাহায্য করে।
ব্যায়াম ১ঃ স্ট্রেচিং
১। ওপরের ছবির মতো দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়ান। এমনভাবে দাঁড়াবেন যেন দুই পা একত্র থাকে আর পা দেয়াল থেকে প্রায় ২ ফুট দূরে থাকে। খেয়াল রাখবেন যেন আপনি সোজা হয়ে দাঁড়ালে আপনার দুই পা মেঝেতে সমান হয়ে থাকে। আর দুই হাত সোজা করলে যেন হাতদুটো দেয়ালকে স্পর্শ করে।
২। এবার শরীর সোজা রেখে, অর্থাৎ হাঁটু ও কোমর কোনোদিকে ভাঁজ না করে দেয়ালের দিকে সামান্য ঝুঁকে যান।
৩। সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে হাতের তালু দিয়ে দেয়ালে চাপ দিন, যেন মনে হয় আপনি দেয়ালকে ধাক্কা দিচ্ছেন। এই অবস্থায় দেখবেন যে আপনার পায়ের পেছনের পেশিগুলোতে টান লাগছে। ২০ সেকেন্ড ধরে এই অবস্থানে থাকুন। এরপর সোজা হয়ে দাঁড়ান।
৪। আবারও প্রথম থেকে ব্যায়াম করুন। এভাবে পরপর মোট তিনবার ১ থেকে ৩ নম্বর ধাপ অনুসরণ করুন।
৫। এভাবে দিনে চারবার করে এক সপ্তাহ ব্যায়াম করবেন। এরপর থেকে দিনে দুইবার করে ব্যায়াম করা চালিয়ে যাবেন।
ব্যায়াম ২ঃ পায়ের গোড়ালির ব্যায়াম
১. পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ পর্যাপ্ত পানি পান করার মাধ্যমে পা কামড়ানো উপশম করা যেতে পারে।
২. আরামদায়ক জুতা পরাঃ পায়ের গোড়ালিকে সাপোর্ট দেয় এমন আরামদায়ক জুতা বেছে নিতে পারেন।
৩. শরীর সচল রাখাঃ নিয়মিত শরীর সচল রাখার মাধ্যমে পায়ে খিঁচ ধরার সম্ভাবনা কমানো যেতে পারে। নিয়মিত হাঁটার চেষ্টা করবেন। হাঁটার পরিবর্তে আপনার জন্য সুবিধাজনক কয়েকটি ব্যায়াম বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া একই অবস্থানে অনেকক্ষণ বসে অথবা দাঁড়িয়ে থাকা এড়িয়ে চলবেন। কেউ কেউ বসার সময়ে পায়ের ওপরে পা তুলে বসা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।
৪. কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়াঃ সারাদিনের কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিয়ে নিবেন। একটানা অনেকক্ষণ কাজ করা এবং একটানা শুয়ে থাকা-দুটোই এড়িয়ে চলবেন। যখন বসে সময় পার করতে হবে, চেষ্টা করবেন পা দুটো উঁচু অবস্থানে রাখতে। এজন্য একটা টুলের ওপরে পা রাখতে পারেন। এ ছাড়া বসে বিশ্রাম নিতে নিতে, খেতে খেতে অথবা টিভি দেখতে দেখতে পায়ের আঙুলগুলো নাড়াচাড়া করবেন এবং পায়ের পাতা একটু ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নিবেন।
৫. সুষম খাবার খাওয়াঃ আপনার খাবারে যেন প্রয়োজনীয় সব ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সুষম খাবার তালিকা মেনে চলার মাধ্যমে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও বিভিন্ন ভিটামিনের অভাব প্রতিরোধ করা যাবে।
হাত পা চাবানোর ঘরোয়া চিকিৎসা
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাত, পায়ে যন্ত্রণা দু’রকমের। একটি মাংসপেশির এবং আরেকটি গাঁটে গাঁটে ব্যথা। যন্ত্রণার নেপথ্যে আমাদের ব্যস্ত জীবনযাত্রার ভূমিকা অনেকটাই। প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে শামিল আমরা। সকাল থেকে রাত শুধুই লক্ষ্যপূরণের চেষ্টা। অফিসের কাজের চাপ, ঠিকমতো কাজ না মেটাতে পারলে কী হবে সেই চাপ – সব মিলিয়ে জেরবার বেশিরভাগ চাকুরিজীবী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অবসাদের ফলে নিজেকে দুর্বল মনে হতে পারে। আর তার ফলে হাত, পায়ে যন্ত্রণার সম্ভাবনা। এই সমস্যার দ্বিতীয় কারণও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জল কম খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। যাঁরা কম জল খান তাঁরাও মাঝেমধ্যেই হাত, পায়ের যন্ত্রণা অনুভব করেন।
খিদে পাচ্ছে বলে খাবার খাচ্ছেন, এই মানসিকতা বদলে ফেলুন। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখুন যাতে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো উপাদান রয়েছে। ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বেশি তেল মশলা দিয়ে রান্না করবেন না। তবে রান্নায় অবশ্যই আদা, রসুন, হলুদ, দারচিনি ব্যবহার করুন। কারণ, এই সমস্ত মশলারও কিছু খাদ্যগুণ রয়েছে।
কাজের মাঝে জল খাওয়ার কথা ভুলে যাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। বদভ্যাস ত্যাগ করুন। বারবার অল্প অল্প করে জল খান। জল কম খেলে হাত, পায়ে যন্ত্রণা হতেই পারে।
পা চাবানো কমানোর উপায়
ছোটখাটো ব্যথার চিকিৎসা শুরু করতে পারেন ঘরেই—
পায়ে ব্যথা এবং সামান্য ফোলা থাকলে বিশ্রাম নিন। শোয়ার সময় পায়ের নিচে একটা বালিশ দিয়ে নিন। বসে কাজ করার সময়ও পা খানিকটা উঁচুতে রাখুন। এ ক্ষেত্রে ছোট টুল আপনার কাজে আসবে। ব্যথার জায়গাটায় আরাম পেতে উষ্ণতার সাহায্য নিন। গরম পানির ব্যাগ কিংবা গরম কাপড় কাজে লাগাতে পারেন। তবে যেভাবেই উত্তাপ নেওয়া হোক না কেন, খুব বেশি সময় নেওয়া যাবে না।
সর্বোচ্চ ১৫-২০ মিনিট করে সারা দিনে ২-৩ বার। উষ্ণতা নেওয়ার জন্য খুব বেশি উত্তপ্ত কিছু ব্যবহার করবেন না। এতে সাময়িক আরাম লাগলেও ত্বক পুড়ে যেতে পারে। মেনথল কিংবা ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম মিশ্রিত মলম লাগাতে পারেন দুই বেলা।
প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন।
পা কামড়ানো কমানোর ঔষধ
গর্ভাবস্থায় পা কামড়ানোর জন্য ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি এর মতো বিভিন্ন ঔষধ নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। তবে সেগুলোর কার্যকারিতা এবং মা ও শিশুর ওপর এসবের প্রভাব গবেষণা থেকে পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। তাই ঘরোয়া উপদেশ মেনে চলার পরেও কোনো উন্নতি না হলে নিজে নিজে ঔষধ সেবন না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পা কামড়ানো ব্যাথা থেকে সমাধান পেতে আপনি হয়তো অনেক রকম ঔষধ সেবন করেও ভালো উপকার পাচ্ছেন না। তা হলে আপনার জন্য পারফেক্ট ঔষধ হচ্ছে Arthodex ক্যাপসুল। সকালে ও রাতে খাবার পরে ১টি ক্যাপসুল সেবন করুন এবং উপভোগ করুন ব্যাথামুক্ত জীবন। তবে খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে একটি Digedex ক্যাপসুল অবশযই খেয়ে নিবেন।
পায়ের মাংসপেশিতে কামড়ানো ঔষধ
Fenak Plus 50mg/325mg Tablet
Diclowin Plus Tablet.
ইন্টাজেসিক ৫০ এম জি/৩২৫ এম জি ট্যাবলেট (Intagesic 50 mg/325 mg Tablet)
ক্যাডিনেক্সট প্লাস ৫০এম জি/৩২৫এম জি ট্যাবলেট (Cadinxt Plus 50Mg/325Mg Tablet)
Rhumacort 50 Mg/325 Mg Tablet.
পেন্টথলেন ক্রিম (Pentothal)ঃ এটি প্রথমবারে পেন্টথল নামে পরিচিত হয়েছিল। এটি বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে চাবানোর সময় ব্যবহৃত হয়। এটি একটি সংক্রামক ওষুধ এবং এটি মন্দর চাবানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে।
নভাল্ডিন (Novocain)ঃ নভাল্ডিন হলো বেশ পরিচিত একটি পাইপ্রোকেইন এনালজেজিক ওষুধ। এটি সাধারণত ডেন্টিস্ট্রি অথবা মুখোশ চিকিৎসকরা চাবানোর সময় ব্যবহৃত হয়।
ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen)ঃ ইবুপ্রোফেন হলো একটি আন্তিকল্পী ওষুধ যা প্রায় সাধারণত পেট ব্যথায় ও স্নায়ু সম্পর্কিত সমস্যায় চাবানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
হাত পা চাবানোর চিকিৎসা
আপনি ডেল্টাসোন অথবা ডেল্টাকর্ট ট্যাবলেট খাবেন যখন আপনার হাত/পা কামড়াবে তখনই খাবেন। আর সাথে গ্যাস্টিকের ঔষধ ও সেবন করতে পারেন যদি আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা থাকে তাহলে। আশাকরি আপনার সমস্যা সমাধান হবে।
আর আপনি ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাবেন,বা ক্যালসিয়ামের ঔষধ ও খেতে পারেন, তারপরে ও যদি আপনার সমস্যা সমাধান না হয় তাহলে ভালো একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অনেকেই হাত পা চাবানোর ঔষধের নাম কি বা হাত পা চাবানোর জন্য কি ঔষধ খেতে হবে এই বিষয়ে প্রশ্ন করে থাকেন। যাদের হাত-পা চাবানোর সমস্যা রয়েছে calmate d3 , ডেল্টাসন ট্যাবলেট ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া যেতে পারে।
একেবারে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। তবে কারো যদি গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ডেলটেশন ট্যাবলেট খাওয়ার পাশাপাশি গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট খেতে পারেন। হাত পা চাবানোর ওষুধঃ
Indomet SR Capsule 75 mg
Napa One1000 mg
পা কামড়ানো কমানোর ব্যায়াম
সেগুলো দেখে দেখেও এই ব্যায়াম করতে পারেন। পা কামড়ানো শুরু হওয়ার সাথে সাথে কিছুদূর হেঁটে অথবা পা ঝাঁকিয়ে এরপর পা উঁচু করলে এই অনুভূতি উপশম হতে পারে। পায়ের আঙুলগুলো সজোরে ওপরের দিকে টানটান করলে অথবা পায়ের পেশি জোরে জোরে ঘষলে কামড়ানো উপশম হতে পারে।
তাই, পা ভালো ও শক্তিশালী রাখতে ব্যায়াম জরুরি। এমন কিছু ব্যায়ামের পদ্ধতি নিচে তুলে ধরা হলো।
মার্বেল পিকআপঃ
একটি পাত্র নিন এবং ১০-২০টি মার্বেল মেঝেতে রাখুন। সোজা হয়ে বসুন এবং পাকে মেঝের মধ্যে রাখুন। এই ব্যায়ামে পায়ের আঙুল ব্যবহার করুন। একটি পায়ের আঙুল দিয়ে একটি মার্বেল উঠিয়ে পাত্রে রাখুন।এভাবে আরেকটি পায়ে করুন। প্রতিদিন একবার এই ব্যায়াম করুন। এই ব্যায়াম পা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
গলফ বল রোলঃ
একটি গলফ বল মেঝেতে রাখুন। চেয়ারে বসুন । এরপর পা সোজা করুন। গলফ বলের ওপর একটি পা রাখুন এবং পা দিয়ে বলটি ঘোরান। দুই থেকে তিন মিনিট এমন করুন। এরপর আরেকটি পা দিয়ে এ রকম করুন। দিনে দুই থেকে তিনবার এমন করুন। পা ভালো রাখতে সবাই এই ব্যায়ামটি করতে পারে। এটি কেবল পাকে নমনীয়ই করে না, শক্তিশালীও করে।
টাওয়েল কার্লঃ
একটি তোয়ালেকে মেঝেতে রাখুন। এবার একটি চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। তোয়ালের মধ্যে পা রাখুন। পায়ের আঙুল দিয়ে তোয়ালেটি ধরুন। আবার ছেড়ে দিন। এভাবে ছয় থেকে আটবার করুন। এই ব্যায়াম পা ও পায়ের পাতার পেশিকে শক্ত করে। পায়ের ক্র্যাম্প, হেমারটোস ইত্যাদি সমস্যায় এই ব্যায়াম উপকারী।
লেখকের মন্তব্যঃ
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আশা করছি ্উপরের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং পা কেন কামড়ায় ও এর প্রতিকার কিভাবে করা যায় সে সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। এর থেকে আপনারা উপকৃত হলে আমার লেখাটি সার্থক হবে। শুধু হাত-পায়ের ব্যাথার জন্যই নয়, আমাদের শরীর ফিট রাখতে হলে প্রতিদিন অল্প সময়ের জন্য হলেও ব্যায়াম করা জরুরী।
আসলে আমাদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ি। দিন দিন আমাদের লাইফ স্টাইল চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে নতুন নতুন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ক্ষতিকর খাবার খুব জমাদার হলেও এড়িয়ে চলবো, বেশি করে পানি পান করবো, নিয়মিত ব্যায়াম করবো। তাহলে আশা করা যায় কিছুটা হলেও ভালো থাকবো ইনশাআল্লাহ। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url