মেথির গুণাগুণ ও মেথি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
ভেষজ উপাদান হিসেবে অনেকেই মেথি চেনেন। মেথি সাধারণত রান্নায় পাঁচ ফোড়ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন মেথির গুণাগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে ?
হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের সামনে মেথির ভেষজ গুণাগুণ ও উপকারিতা নিয়ে হাজির হয়েছি। এখানে আরো জানতে পারবেন- নিয়মিত মেথি খেলে কোন কোন রোগ ভালো হয়।
সূচীপত্রঃ
মেথির পুষ্টিগুণ
মেথির ভেষজ গুণাগুণ
পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা
গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম
পুরুষের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম
কালোজিরা ও মেথির উপকারিতা
মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
লেখকের মন্তব্যঃ
মেথির পুষ্টিগুণ
এক টেবিল চামচ মেথিতে (১১.১ গ্রাম) ৩৫ ক্যালোরি থাকে। এছাড়াও এক টেবিল চামচ মেথির পুষ্টিগুণ জেনে নিনঃ
প্রোটিন-৩ গ্রাম
ফাইবার-৩ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট- ৬ গ্রাম
চর্বি -১ গ্রাম
আইরন- দৈনিক যতটুকু প্রয়োজন তার ২০ %
ম্যাগনেসিয়াম- দৈনিক যতটুকু প্রয়োজন এর ৫%
ম্যাঙ্গানিজ- দৈনিক যতটুকু প্রয়োজন এর ৭%
মেথির ভেষজ গুণাগুণ
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মেথির নানা ভেষজ গুণ সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। আসুন মেথির উপকারিতা একে একে জেনে নিই-
- মেথিতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরির মতো উপাদান। যা হজম শক্তি বাড়ায় ও পেটের নানা সমস্যা দূর করে। ভেষজ ওষুধ হিসেবে পিরিয়ড ক্র্যাম্প, স্ট্রোক, বর্ধিত প্রোস্টেট এবং মুটিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহৃত হয়।
- মেথিতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরির মতো উপাদান। যা হজম শক্তি বাড়ায় ও পেটের নানা সমস্যা দূর করে।
- ভেষজ ঔষুধ হিসেবে পিরিয়ড ক্র্যাম্প, স্ট্রোক, বর্ধিত প্রোস্টেট এবং মুটিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহৃত হয়। বর্ষজীবী এই উদ্ভিদের রয়েছে রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করার মতো প্রাকৃতিক ক্ষমতাও।
- যাদের কৃমির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এবং সদ্য মা হয়েছেন এমন নারীর ক্ষেত্রে মেথি ভালো কাজে আসে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায় মেথি সেবনে।
- মেথিতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত ১০ গ্রাম মেথি গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সে পানি পান করলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে।
পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা
- পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে মেথি এক মহৌষধ!
- প্রতিদিন নিয়মিত মেথি খেলে পুরুষের যৌনক্ষমতা পর্যাপ্ত পরিমানে বেড়ে যায়।
- মেথি পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।
- মেথী পিত্তজনিত রোগ নিরাময় করে।
- মেথী সকল বাত ব্যথায় বিশেষ কার্যকর।
- নিয়মিত মেথি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ।
আলাদা করে পুরুষের জন্য মেথীর উপকারিতা বলতে সেক্স পাওয়ার বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা ও পুরুষের বীর্যের শুক্রানু বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ উপকারী হচ্ছে মেথী। মেথী রাতে পানিতে ভিজিয়ে সকালে মেথীসহ পানি খালি পেটে খেলে পুরুষের বীর্যের শুক্রানু বাড়ে তবে ৩ মাস নাগাতার খেতে হবে।
যাদের বাচ্চা কাচ্চা হচ্ছে না পুরুষের সমস্যার কারনে তারা তাদের শুক্রানু বাড়াতে ৩ মাস মেথী গোটা বা গুড়া পানিতে রাতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খান। শুক্রানু বেড়ে যাবে। এই পরীক্ষাটি করা হয়েছিলো ২০১৭ সালে ৫০ জন পুরুষের উপরে যারা বন্ধ্যাত্বে ভুগছিলো। তারা ৩ মাস মেথীর পানি খায়। তাদের মধ্যে ৮৫% পুরুষের শুক্রানু বেড়ে যায়।
এছাড়া, সেক্স পাওয়ার বাড়ানো মানে টেস্টেটোরেন হরমোন বাড়ানোর ক্ষেত্রে মেথী কার্যকরী। এই হরমোন কম থাকলে পুরুষের সেক্স করার ইচ্ছে কমে যায়, বউকে রাতে আদর করতে ইচ্ছে করে না। তাই এই হরমোন বাড়াতে মেথী বেশ কার্যকরী। যাদের সেক্স হরমোন কম এবং রাতে খাট কাপাতে পারেন না বা ইচ্ছে করে না তাদের উচিত নিয়মিত মেথী পানি খাওয়া।
গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম
অনিয়মিত জীবনযাপন খাদ্য প্রণালী গ্যাস্ট্রিকের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অনেকেই দীর্ঘদিন এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান দেবে আপনার ঘরে থাকা একটি উপাদান তা হলো মেথি। মেথি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় কার্যকারী একটি উপাদান যার নিয়ম মেনে খেলে আপনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
নিয়ম মেনে মেথি খেলে গ্যাস্ট্রিক দূর হয়। মেথি এমন একটি ঔষধ যা শুধুমাত্র গ্যাস্ট্রিক নয় গ্যাস্ট্রিক ছাড়া ও অন্যান্য জটিল রোগের ঔষধি হিসেবে কাজ করে। মেথিতে রয়েছেন নানারকম গুনাগুন যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
অনেক সময় আমরা দেখতে পাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে সমাধান পেতে ওষুধের পেছনে অনেকেই ছোটাছুটি করেন। কিন্তু যদি আপনার গ্যাস্ট্রিক প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তাহলে আপনি ঘরোয়া উপাদান মেথি খেয়ে এই গ্যাস্ট্রিক দূর করতে পারেন। গ্যাস্ট্রিক দূর করতে মেথি খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন:
- প্রথমে একটি গ্লাসে পানি নিয়ে তার মধ্য এক চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন।
- দশ মিনিট পর সেই মেথি ভেজানো পানি পান করুন অথবা সাত বাড়ানোর জন্য আপনি চাইলে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
- এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ আস্ত মেথি ভিজিয়ে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
- দশ মিনিট পর ওই পানিটি পান করলে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি মিলবে।
- সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে মেথি ভেজানো পানি খান।
- এক গবেষণায় দেখা গেছে অন্তত ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দিনে দুইবার করে মেথির রস নিয়মিত পান করলে এর উপকারিতা পরিপূর্ণভাবে পাওয়া যায়।
- কেউ যদি আস্ত মেথি খেতে না চান তাহলে মেথি পেস্ট করেও ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
পুরুষের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম
রাতে মেথি পানিতে ভিজিয়ে সকালে মেথি সহ পানি খালি পেটে খেলে পুরুষের বীর্যের শুক্রানু বাড়ে তবে তিন মাস লাগাতার এটি খেতে হবে। যাদের বাচ্চা হচ্ছে না পুরুষের সমস্যার কারণে তাদের শুক্রাণু বাড়াতে তিন মাস মেথি গোটা অথবা গুঁড়া পানিতে রাতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।
কালোজিরা ও মেথির উপকারিতা
কালোজিরা এবং মেথি হল দুটি ভেষজ যা সাধারণত স্বাস্থ্যের প্রচার এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য ঐতিহ্যগত ঔষুধে ব্যবহৃত হয়। যদিও কিছু সীমিত প্রমাণ রয়েছে যে সুপারিশ করার জন্য যে এই ভেষজগুলি চায়ের সাথে খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্য উপকার পাবেন। রাসুল (সাঃ) তো কালোজিরাকে মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ঔষধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা
চুল পড়া রোধে মেথি ও কালোজিরা খুব ভালো কাজ করে থাকে। নিচে এর কিছু উপকারিতা বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো-
চুল পড়া রোধ করে
মেথিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই প্রোটিন ও অন্যান্য উপাদান চুলের মূল বা গোঁড়াকে খুব শক্তিশালী করে তোলে এবং চুল পড়া রোধ করে। কালোজিরাতে থাকা ‘থাইমোকুইনন’ নামক উপাদান চুলের গোঁড়াকে শক্ত ও মজবুত করে এবং চুল ঝরে পড়া থেকে রক্ষা করে।
মাথার চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
মাথায় মেথি ব্যবহার করলে তা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং এর ফলে চুলের গোড়ায় পুষ্টি সরবরাহ করা হয়। পরিমাণমতো পুষ্টি উপাদান পাওয়ার ফলে চুল ঝরে পড়া কমে যাইয় এবং সাথে চুলের বৃদ্ধি হয়।
খুশকির সমস্যা দূর করে
মেথি ও কালোজিরা চুলে মাখলে বা স্কাল্প হিসেবে ব্যবহার করলে চুল শুষ্ক থাকে না এবং অনাকাঙ্ক্ষিত খুশকি থেকে সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া যায়। কিন্তু, মেয়েদের চুলের ক্ষেত্রে নিয়মিত মেথি ও কালোজিরার মিশ্রণ নিয়ম করে মাখিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। স্কাল্প লাগানো অবস্থায় রোদে বের না হলে বেশ ভালো হয়।
চুল ঝকঝকে ও ঘন করে
মাথায় মেথি ব্যবহার করলে মাথার চুল খুব ঝকঝকে, নরম ও পরিষ্কার হয়, সাথে চুলে মসৃণতা ফিরিয়ে আনে। সাথে কালোজিরা ব্যবহার করলে বিশেষ কোন রোগ না থাকলে মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুল ঘন হয়।
মেথিতে যথেষ্ট পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, প্রোটিন ও আয়রন থাকে যা চুলের বৃদ্ধিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করার পাশাপাশি চুল পড়া কমাতে এবং প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সেইরকম কালোজিরাতে কালোজিরাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে এক থেকে দুই মাসে খুবই ভালো ফল পাওয়া যাবে।
মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
হজমের সমস্যা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করেঃ
মেথি অনেক ধরণের হজমের সমস্যা, যেমন-পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং তলপেটে প্রদাহ ইত্যাদি থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে । মেথি ভেজানো জলে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। মেথি বীজ রক্তে এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরে এইচডিএল বৃদ্ধি করে।
রোগ প্রতিরোধকঃ এর মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকায় অনেক চিকিৎসকরা চর্বি এবং ফোলা কমানোর জন্য মেথির পরামর্শ দেন।এতে শরীরে আটকে থাকা শক্তি ভেঙে দেয় যার ফলে ফোলা কমে যায়।
ক্যানসার প্রতিরোধ করেঃ গবেষণায় দেখা গেছে, মেথির মধ্যে থাকা ফাইবার নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে । মেথি, সাপোলিন এবং মুসিজ খাবারে বিষাক্ত পদার্থকে এক করে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এই ভাবে কোলোন ক্যানসার হওয়া থেকে রক্ষা করে।
খাদ্যরোগ নিরাময়ে সাহায্য করেঃ গন্ধ বৃদ্ধির সাথে, এটি ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যার ফলে পুনরাবৃত্তি ঘটে এবং পুষ্টির গুণ পাওয়া যায়। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এবং বদহজম দূরীকরণের জন্য একটি কার্যকরী চিকিৎসা। এটি পাকস্থলীর আলসার দ্বারা সৃষ্ট কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্যঃ মেথির বীজ চর্বি আহরণ দমন করে এবং ওজন কমানোর জন্য লিপিড এবং গ্লুকোজ বিপাককে উন্নত করে।
স্তন্যপানে দুধের প্রবাহ বৃদ্ধি করেঃ এই শাকটিতে ফাইটোইস্ট্রোজেন রয়েছে যা স্তন্যপ্রদানকারী মায়েদের মধ্যে দুধ উৎপাদন ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। মেথি মহিলাদের মধ্যে দুধ সরবরাহ বাড়িয়ে তুলতে পারে কারণ এটি একটি গ্যালাক্টাগোগ হিসাবে কাজ করে।
পুরুষের কামশক্তি বৃদ্ধি করেঃ পুরুষদের জন্য মেথির কিছু উপকারের মধ্যে হার্নিয়া, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা রয়েছে। এছাড়াও মেথি যৌন উত্তেজক এবং টেস্টোস্টেরনের স্তর বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
মাসিকের চক্রে বাধা সৃষ্টি হতে দেয় নাঃ মেথি বীজ ঋতুস্রাবের ব্যথা কমানোর পাশাপাশি মাসিক চক্রের অন্যান্য সমস্যাও সমাধান করে। মেথি এমন একটি পদার্থ আছে যার নাম ডায়োসজেনিন, যা ইস্ট্রোজেনের মতই কাজ করে। এটি স্ট্রেস, মাথা ঘোরা, এবং ঘুমের অভাব ইত্যাদি মেনোপজের লক্ষণ গুলির সমাধান করে।
হার্টের আক্রান্তের ঝুঁকি কমায়ঃ মেথি বীজে ২৫% গ্যালাক্টোম্যানান আছে, যেটি এক ধরনের প্রাকৃতিক দ্রবণীয় ফাইবার যা হৃদরোগ কমাতে সাহায্য করে।
মেথির অপকারিতা
- মেথি স্বাদ এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। কিন্তু অতিরিক্ত এবং অপব্যবহার করা উচিৎ নয়। কারণ এর ফলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে বা কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে।
- বড় মাত্রায় খেলে, মেথি তার টেরাটোজেনিক সম্ভাবনার কারণে জন্ম দোষ সৃষ্টি করতে পারে।তাই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই এর ব্যবহার শুরু করুন।
- মেথি একটি জরায়ুজ উদ্দীপক তাই অতিরিক্ত পরিমাণে মেথি খেলে এটি গর্ভাশয়ে সংকোচনের কারণ হতে পারে যা প্রারম্ভিক প্রসববেদনার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
- যখন বেশি পরিমাণে মুখের মাধ্যমে মেথি নেওয়া হয় তখন তা গ্যাস, পেট ব্যথা ও ডায়রিয়া হতে পারে।
- মেথি থেকে হওয়া এলার্জি প্রতিক্রিয়ার সাধারণ লক্ষণ হল ফুসকুড়ি, বাত, শ্বাস এবং অজ্ঞানহয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
- আপনি যদি কোনো ওষুধ সেবন করেন তাহলে ওষুধগুলি গ্রহন করার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে বা পরে মেথির ব্যবহার করা উচিত।
লেখকের মন্তব্যঃ
আদিকাল থেকেই মানুষ বিশেষ করে চুলের যত্নে মেথি ব্যবহার করে আসছে। আমরা যখন খুব ছোট ছিলাম তখনো দেখেছি আমাদের মা-বোনদের মেথির সাথে আরো কয়েকটি উপাদান মিশিয়ে চুলে দিয়ে রাখতো। যার ফলে তাদের চুল কম পড়তো এবং সুন্দর থাকতো। আর একটা ব্যবহার দেখেছি রান্নায় স্বাদ বাড়াতে মসলা হিসেবে।
বর্তমানে মেথির ব্যবহার অনেকগুণে বেড়ে গেছে। কারণ সত্যিই এর বিশ্বয়কর উপকারের কারণে। এটি বর্তমানে অনেকেই ঔষধ হিসেবে নিয়মিত সেবন করছেন এবং অভাবনিয় উপকার পাচ্ছে। আর্টিকেলটি পড়ে তা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন। আপনিও মেথি বিভিন্ন উপায়ে খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পেলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url