আমলকির উপকারিতা - অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আমলকি এমন একটি ফল যাকে আমরা অনেকে অনেক উপায়ে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমলকী যত গুণেগুণান্নিত তা আমরা সবাই কি জানি ?
বন্ধুরা আজ আমরা আপনাদের সামনে আমলকির উপকারিতা - অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ নিয়ে হাজির হয়েছি। এখানে জানতে পারবেন- আমলকি শুধু ত্বক ও চুলের জন্যই উপকারী নয়, বরং অনেক রোগের মহাঔষধ হিসেবেও কাজ করে।
সূচীপত্রঃ
কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
আমলকির ক্ষতিকর দিক
আমলকির ভেসজ গুণ
আমলকির ঔধধি গুণ
আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা
রাতে আমলকি খেলে কি হয়
প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত
লেখকের মন্তব্যঃ
কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
আমলকি ফাইলান্থাসি পরিবারের ফাইলান্থুস গণের একপ্রকার ভেষজ ফল। সংস্কৃত ভাষায় এর নাম 'আমলক'। এতে সমস্ত ধরণের জরুরি মিনারেলস ও ভিটামিন থাকে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা বা জুস বানিয়ে আমলকি খেতে পারেন।
আবার আচার বা জ্যাম বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে। ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ আমলকি রোগ প্রতিরোধ শক্তি ও মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। সর্দি-কাশি ছাড়া ভাইরাল বা ব্যাক্টিরিয়াল ইনফেকশানের হাত থেকেও আমলকি রক্ষা করে। আবার ক্যান্সার সেলের সংখ্যা কমাতে পারে আমলকি। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী আমলকির রস শরীরের সমস্ত প্রক্রিয়ায় ভারসাম্য রক্ষা করে এবং বাত, কফ ও পিত্ত থেকে মুক্তি দেয়।
আমলকির ক্ষতিকর দিক
অতিরিক্ত আমলকি খেলে গলা দিয়ে টকভাব ওঠা, প্রবল অম্বল, গ্যাসের সমস্যা ইত্যাদি দেখা দেয়। আমলকিতে থাকা ফাইবার অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমলকি জুস করে খাওয়ার চেয়ে চিবিয়ে খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত আমলকি খেলে পায়খানা কষা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অ্যাসিডিটি
হজমের সমস্যা রয়েছে এমন মানুষদের বেশি আমলকী খাওয়া উচিত নয়। এতে অ্যাসিডিটি বাড়তে পারে। অতিরিক্ত আমলকী খেলে গলা দিয়ে টকভাব ওঠা, প্রবল অম্বল, গ্যাসের সমস্যা ইত্যাদি দেখা দেয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য
আমলকীতে থাকা ফাইবার অনেকসময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমলকী জুস করে খাওয়ার চেয়ে চিবিয়ে খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত আমলকী খেলে পায়খানা কষা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
হার্ট ও কিডনির ক্ষতি
আমলকি একটি শক্তিশালী কার্ডিওভ্যাসকুলার উদ্দীপক। তাই যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা আমলকী বুঝে খাওয়া ভালো। যারা উচ্চ রক্তচাপ আর কিডনির সমস্যায় বহুদিন কষ্ট পাচ্ছেন, তারা আমলকী কম খাওয়াই ভালো। অতিরিক্ত আমলকী খেলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই কিডনির সমস্যায় কষ্ট পেলে আমলকী কম খাওয়াই ভালো।
রক্তচাপ ও লিভারের জন্য ক্ষতিকর
আমলকী আর আদা একসঙ্গে খেলে লিভারে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বেশি আমলকী খেলে লিভারে এসজিপিটি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এতে হজমের সমস্যা অনেক সময় বেড়ে যায়। এছাড়া অতিরিক্ত আমলকী উচ্চরক্তচারজনিত সমস্যার কারণ হতে পারে।
আমলকির ভেসজ গুণ
আমলকির ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। ফল ও পাতা দুটিই ঔষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকীতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকীতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ
এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ দরকার। দিনে দুটো আমলকি খেলে এ পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে। স্কার্ভি বা দন্তরোগ সারাতে টাটকা আমলকি ফলের জুড়িমেলাভার। এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী।
লিভার ও জন্ডিস রোগে উপকারী বলে আমলকি ফলটি বিবেচিত। আমলকি, হরিতকী ও বহেড়াকে একত্রে ত্রিফলা বলা হয়। আয়ুর্বেদিক ঔষুধ হিসেবে ত্রিফলা স্বাস্থ্যের জন্য বহুমাত্রিক উপকারী। এ তিনটি শুকনো ফল একত্রে রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা ছেঁকে খালি পেটে শরবত হিসেবে খেলে পেটের অসুখ ভালো হয়।
বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকি ব্যবহার হয়। কাঁচা বা শুকনো আমলকি বেটে একটু মাখন মিশিয়ে মাথায় লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। কাঁচা আমলকি বেটে রস প্রতিদিন চুলে লাগিয়ে দুতিন ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এভাবে একমাস মাখলে চুলের গোড়া শক্ত, চুল উঠা এবং তাড়াতড়ি চুল পাকা বন্ধ হবে।
আমলকির ঔধধি গুণ
- আমলকি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে।
- বমি বন্ধে কাজ করে।
- দীর্ঘমেয়াদি কাশি সর্দি হতে উপকার পাওয়ার জন্য আমলকির নির্যাস উপকারী।
- এটি হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক।
- এটি দাঁত,চুল ও ত্বক ভাল রাখে।
- এটি খাওয়ার রুচি বাড়ায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, অম্ল,রক্তশূন্যতা, বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- বহুমূত্র রোগে এটি উপকারী।
- চোখ উঠলে কাঁচা আমলকির রস দিনে ২ ফোটা করে দুই বার দিলে ভাল আরাম পাওয়া যায়।
- চুল ওঠা দূর করতে আমলকি বেশ উপকারী।[২২]
- চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে।
আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
সবচেয়ে বেশি উপকার মিলবে তাজা আমলার রস পান করলে। তবে আমলকির টক ও তেঁতো স্বাদের জন্য যদি রস খেতে না পারেন তাহলে পানির সঙ্গে আমলকির গুঁড়ো মিশিয়ে পান করবেন। এ ছাড়াও আমলকি কেটে ছোট ছোট টুকরো করে অল্প লবণের সঙ্গে মিশিয়ে রোদে শুকিয়ে রেখে দিন। এটি সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে একটি শুকনো পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
কাঁচা আমলকি ছোট ছোট টুকরো করে অল্প গরম পানিতে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। আমলকি মিশ্রিত পানি সকালে খালি পেটে পান করুন। এরপর আমলকির টুকরোগুলোও খেয়ে ফেলুন। আমলকির ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। কাঁচা চিবিয়ে খান বা রস করে, উপকার পাবেন দুই পদ্ধতিতেই।
তবে আমলকি সিদ্ধ করে খেলে এর ভিটামিন সি অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। পেয়ারা, কাগজিলেবু, কমলালেবু, আম, আপেলের চেয়েও বেশি ভিটামিন সি রয়েছে আমলকিতে। তাই ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তুলতে রোজ কমপক্ষে একটা করে আমলকি খেতে পারেন। আবার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর হওয়ায় শরীরের টক্সিন বার করে দিতেও সহায়তা করে এই ফলটি।
• দীর্ঘমেয়াদি সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, জ্বরের সমস্যার পথ্য হিসেবেও আমলকী সমান কার্যকর। টিউবারকিউলোসিস (টিবি) রোগ থেকেও সুরক্ষা দেয় এটি।
• ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজ়মা থেকে মুক্তি পেতেও আমলকী অব্যর্থ।
• আমলকিতে পলিফেনল থাকায় তা ক্যানসারাস কোষের বাড়বৃদ্ধিতেও বাধা দেয়।
• নিয়মিত খেলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে। পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতেও সাহায্য করে।
• উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে অনেকটাই।
• এর ফাইবার শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সহায়ক।
• মুখের আলসার বা দাঁতের ক্ষত সারাতেও এর জুড়ি নেই।
• আমলকিতে থাকা ক্রোমিয়াম শরীরের ইনসুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে, সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
• বয়স্কদের জন্যও খুব উপকারী। এতে ক্যারোটিন থাকায় দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ছানি পড়া, চোখে চুলকানি বা জল পড়ার সমস্যা থেকেও রেহাই দেয়।
• এর রস স্ক্যাল্পে রক্তসঞ্চালন ঘটিয়ে চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে।
• আমলাকিতে অ্যান্টিএজিং উপাদান রয়েছে, যা বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে।
খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে খাওয়া হলে, আমলকির প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্সিফিকেশনের বৈশিষ্ট্যগুলো সবচেয়ে কার্যকর হয় বলে মনে করা হয়। এটি শরীরের হজম প্রক্রিয়া সহজ করে, যা টক্সিনকে আরও দক্ষভাবে নির্মূল করে। আমলকির উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সামগ্রী ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেলের প্রভাব দূর করে আরও ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, খালি পেটে আমলকি খেলে বেশ কিছু রোগ থেকে মুক্তি মেলে। কাঁচা, আমলকির চাটনি বা মিছরিও খেতে পারেন। তবে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি করে কাঁচা আমলকি খেলেই রক্ষা পাবেন কঠিন সব রোগ-ব্যাধি থেকে। জেনে নিন যেসব রোগ থেকে বাঁচবেন নিয়মিত আমলকি খেলে।
সর্দি-কাশি প্রতিরোধেঃ আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর ফলে বিভিন্ন ভাইরাল সংক্রমণ থেকে রক্ষা মেলে। সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে বাঁচতে দিনে দুই চা চামচ আমলকির গুঁড়ো সামান্য মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ৩-৪ বার পান করুন। দেখবেন, দ্রুত স্বস্তি মিলবে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়ঃ গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকির ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। প্রতিদিন আমলকি খেলে চোখের ছানির সমস্যা বা চোখের ফোলাভাব দূর করে। পাশাপাশি লালচে চোখ, চুলকানি এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যায় কমায়।
মেদ কমায়ঃ ওজন নিয়ন্ত্রণে আমলকি খুবই কার্যকরী। আমলকি নিয়মিত সেবনকারীদের অনেকরই মত, খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানিতে আমলার গুঁড়ো বা রস মিশিয়ে পান করলে পেট ভরে যায় এবং কম খাওয়া হয়। এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ আমলকির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ক্যান্সারসহ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী রোগ অক্সিডেটিভ ক্ষতির কারণে হয়। যখন দেহের কোষগুলো অক্সিজেন ব্যবহার করে; তখন তারা ফ্রি র্যাডিক্যালস নামে ক্ষতিকারক উপজাতগুলো ফেলে দেয়।
ত্বকের যত্নেঃ আমলকিতে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য আছে। প্রতিদিন সকালে মধুর সঙ্গে আমলকির রস পান করলে দাগহীন, স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ত্বক পাবেন।
কোলেস্টেরল দূর করেঃ আমলকি নিয়মিত গ্রহণের ফলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর হয়। ইনসুলিন উৎপাদন বাড়ায় আমলকি। ফলে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমে। রক্তচাপ বাড়তি হলেও প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আমলার রস পান করলে রক্তচাপের স্তর নিয়ন্ত্রণে আসবে দ্রুত।
ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়ঃ জয়েন্টে ব্যথা বা আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় দুর্দান্ত কাজ করে আমলকি। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য শারীরিক বিভিন্ন প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয়।
চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা
তেল হাতে নিয়ে মাথার তালু এবং চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মালিশ করুন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে চুলের ফলিকল মজবুত হবে, সেইসঙ্গে কমে আসবে চুল পড়ার পরিমাণও। এভাবে তেল মালিশ করলে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল ভালো হয়, যে কারণে চুলের বৃদ্ধিও ঘটে। আমলকির অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য খুশকি দূর করতে কাজ করে।
চুল সুন্দর করেঃ আমলকি পাতার মতো আমলকিও চুলের জন্য কার্যকরী এক টনিক। এটি চুল পড়া বন্ধ করে। খুশকি রোধ করে, চুলের ফলিকেলগুলো শক্তিশালী করে এবং মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। যার ফলে চুলের বৃদ্ধি ঘটে। আমলকি একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে। আমলকির হেয়ারপ্যাক ব্যবহারের ফলে চুল হয় ঝলমলে, কোমল আর শক্তিশালী।
রাতে আমলকি খেলে কি হয়
রোজ দুপুর ও রাতে খাওয়ার পর এক টুকরো আমলকী খেলে বদ হজমের কোনও আশঙ্কা থাকে না। শুকনো আমলকী ফল আধা চূর্ণ করে সেই আধ-গুঁড়ো আমলকি এক গ্লাস পানিতে খানিকক্ষণ ভিজিয়ে খেলে পেট খারাপের সমস্যা কমে যায়।
প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত
একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন 'সি' দরকার। দিনে দুটো আমলকী খেলে এ পরিমাণ ভিটামিন 'সি' পাওয়া যায়। আমলকী খেলে মুখে রুচি বাড়ে। স্কার্ভি বা দন্তরোগ সারাতে টাটকা আমলকী ফলের জুড়ি নেই।
এটি সাধারণত প্রতিদিন ১-২ টি আমলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বা আপনি আপনার স্বাদ অনুযায়ী খেতে পারেন। এটি কাঁচা বা রস আকারে খাওয়া যেতে পারে। যাইহোক, ঔষধি উদ্দেশ্যে আমলা ব্যবহার করার আগে সাধারণত একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
লেখকের মন্তব্যঃ
প্রিয় বন্ধুগণ আশা করছে উপরের আার্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং আমলকির উপকারিতা-অপকারিতা সব জেনে গেছেন। প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে আমলকি খেলে ওজন কমবে ঝটপট। পাশাপাশি শরীর ঠান্ডা রাখে, পেশী মজবুত করে, হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস ভালো রাখে, মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে।
আমলকি ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলও কমায়। যাই হোক শেষ কথা হচ্ছে আমলকি এমন একটি ফল যার গুণের কথা বলে শেষ করার নয়। সুস্থ্য থাকতে প্রতিদিন নিয়ম করে আমলকি খান, ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url