শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি বিস্তারিত জেনে নিন
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এই কথাটি সেই ছোট্ট বেলা থেকেই শুনে আসছি। এটা ১০০% সত্য কথা। একথাও শুনে আসছি যে, শিক্ষক হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষকতা হচ্ছে মহান পেশা। এগুলো শুধু মাত্র বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে শুনা যায়। কিন্তু এই মানুষ গড়ার কারিগরদের কথা কেউ ভাবে না।
হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আমরা এই মহান পেশার মানুষদের প্রাণের দাবি জাতীয় করণ নিয়ে আলোচনা করবো। এখানে জানতে পারবেন, কেন বাংলাদেশ আজ এতো পিছিয়ে। শিক্ষকদের অর্থনৈতিক সংকটে রেখে মুখে মুখে সম্মানের কথা বললেই হবে না।
সূচীপত্রঃ
আদর্শবান শিক্ষক যা করে থাকেন
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি যা বলেছিলেন
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি যা বলেন
আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ শিক্ষা নিয়ে সরকারের অঙ্গীকার
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল যা বলেছেন
শিক্ষকরা নিজে পুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আলো ছড়ান
ফেরত যাচ্ছে এমপিও খাতের ২৫০ কোটি টাকা
লেখকের শেষকথাঃ
আদর্শবান শিক্ষক যা করে থাকেন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা শিক্ষার প্রধান শক্তি। একজন শিক্ষার্থীর মননে শিক্ষার গুরুত্ব, মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চর্চা অনুশীলন করার যে মহৎ কাজ সেটি একজন আদর্শবান শিক্ষক করেন। একজন শিক্ষক শুধু শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন না, শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীকে সবুজ পৃথিবীর শুভ স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন।
একজন সফল শিক্ষক তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের সবসময় সত্যের পথে চালিত করে থাকেন। কেননা তার কাছে অন্যায়ের কোনো প্রশ্রয় নেই। তিনি ছেলে-মেয়েদের সবসময় ন্যায়ের সাথে চলতে পরামর্শ দেন এবং সত্যের আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে নির্দেশ দিয়ে থাকেন। এক বাক্যে বলা যায়, শিক্ষার্থীদের দেখার শুদ্ধ আলো, চিন্তা করার সঠিক পদ্ধতি শিক্ষকেরাই প্রতিস্থাপন করে থাকেন।
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে শিক্ষকদের অনুরূপ কারুকার্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দৃশ্যমান হয়। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় আমাদের দেশের শিক্ষকেরা এখনো তাঁদের প্রাপ্য মর্যাদা পান না। দেশে দীর্ঘদিন ধরে মাধ্যমিক শিক্ষকেরা আন্দোলন করছেন, শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবিতে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩০ হাজার ৫৪০টি আর কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৫ লাখ ৬২ হাজার ৬৬৩ জন।
দেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ২২ হাজারের বেশি। এর মধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদে, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্র ৬৮৪টি। এই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। তাদের বিপরীতে শিক্ষক আছেন পৌনে তিন লাখের মতো।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অধিকাংশ এমপিওভুক্ত হওয়ায় শিক্ষকেরা সরকার থেকে বেতনের পাশাপাশি কিছু নামমাত্র ভাতা পেয়ে থাকেন। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বিশাল বৈষম্য, অর্থাৎ একজন সরকারি শিক্ষক পূর্ণাঙ্গ বেতন, ভাতা পেলেও একজন বেসরকারি শিক্ষক তেমনটি পান না। এ ছাড়াও শিক্ষকদের ১১ দফা দাবি রয়েছে। যা নিয়ে শিক্ষকেরা লাগাতার আন্দোলন করছেন।
গত বছরের জুলাই মাসে (১৭ জুলাই ২০২৩) আন্দোলনরত শিক্ষকরা পুলিশি হামলার শিকার হয়ে অনেক শিক্ষক আহত ও লাঞ্ছিত হন। শিক্ষকেরা জাতির মেরুদণ্ড, আর সেই শিক্ষককে পুলিশ দিয়ে লাঠিপেটা কিংবা লাঞ্ছিত করা খুবই নিন্দনীয়। এটা আমরা কোন দেশে বাস করছি। মহান কারিগরকে রাস্তায় নামতে হচ্ছে তাদের নায্য অধিকার আদায় করতে।
পরবর্তীতে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকাররের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও প্রকৃতপক্ষে মাধ্যমিক শিক্ষার জাতীয়করণ নিয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকারের পক্ষ দেয়া হয়নি। যা হতাশা ও দুঃখ জনক। শিক্ষকদের ন্যূনতম এই মৌলিক দাবি সময় যুগোপযোগী।
একটি গণতান্ত্রিক দেশে শিক্ষকদের সম্পূর্ণ পরিষেবার ব্যবস্থা যদি সরকার গ্রহণ না করে, এতে দেশের শিক্ষার উপর মারাত্মক আঘাত আসবেই আসবে। কেননা শিক্ষকেরা যদি তাঁর প্রাত্যহিক জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন, তাহলে শিক্ষা ও শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষকদের বিশেষ কোনো ভূমিকা কিংবা গুরুত্ব থাকবে না। যার ফলে দেশের শিক্ষা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনি দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্তাব্যাক্তিদের মতামত যেভাবে ব্যক্ত করেছিলেন তা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি যা বলেছিলেন
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা আন্দোলনে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষকদের বলেছিলেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সম্ভব নয়।
তবে, জাতীয়করণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে আগস্টের শেষদিকে দুটি কমিটি গঠন করা হবে জাতীয় পর্যায়ে গঠিত দুটি কমিটি দেশের বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর জাতীয়করণ সম্ভাব্যতা যাচাই করবে।
এর মধ্যে একটি কমিটি আর্থিক সম্ভাব্যতা এবং অন্যটি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা যাচাই করে দেখবে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ‘‘কিন্তু সেই কমিটি শুধু কমিটিই থেকে গেছে কোন প্রতিবেদন জমা হয়নি,,।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি যা বলেন
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ জরুরি জানিয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেন, এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ সরকারি টাকা পাচ্ছে। আরেকটু বেশি টাকা খরচ করে এসব প্রতিষ্ঠানকে সরকারীকরণ করা যেতে পারে। বিষয়টি বিবেচনা করতে শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সরকারিভাবে নিয়োগ হওয়া উচিত । এখন শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে এনটিআরসির মাধ্যমে। চাহিদা দিলে দু’বছর লেগে যাচ্ছে শিক্ষক দিতে। ম্যানেজিং কমিটি বেশিরভাগই স্বজনপ্রীতি করে।
প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (এমএলএসএস) পদে নিয়োগ যেন সরকারিভাবে হয়। অন্যথায় মানসম্মত শিক্ষক পাওয়া যাবে না। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ এড়াতে মৌখিক পরীক্ষায় নম্বর কমানোর পক্ষেও তিনি।
আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ শিক্ষা নিয়ে সরকারের অঙ্গীকার
যেহেতু আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ এ শিক্ষা নিয়ে সরকারের অঙ্গীকারের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করনের অঙ্গীকার নেই সেই ক্ষেত্রে আমরা বলতেই পারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে এখনও অপেক্ষা করুন পাঁচ বছর।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল যা বলেছেন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, সরকার ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরে ৮২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করেছে। সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের টেবিলে উপস্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৪টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৩৭৪টি কলেজ, ৩৭৪টি স্কুল এবং ৪৯টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান।
ফেনী-২ আসনের নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধকল্পে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনার জন্য প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার্থে মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা, বিটিআরসি, জেলা এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
শিক্ষকরা নিজে পুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আলো ছড়ান
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষকরা নিজেরা পুড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলো ছড়ান। তারা শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ শেখান, ভালো মানুষ হতে শেখান। রাষ্ট্রের দায়িত্ব- শিক্ষকদের জীবনমান ও আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়া। বর্তমান সরকার সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ আয়োজিত ‘শিক্ষক দিবসঃ প্রেক্ষিত বাংলাদেশে শিক্ষকদের মর্যাদা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তবে শিক্ষক নেতারা সরকারের সাথে শুধুমাত্র দালালি করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি।
একবার তো এক শিক্ষক নেতা বলেছিলেন ঈদের বোনাস হিসেবে ১০০% প্রদান করবেন সরকার। এই কথাটি বলেছিলেন ঈদের কয়েকদিন আগে। তারপর তো দেখলাম এবং এখন পর্যন্ত দেখে যাচ্ছি সেই ২৫%। যা দিয়ে একজন শিক্ষকের পরিবারের ঈদের বাজার করা একেবারে অসম্ভব।
ফেরত যাচ্ছে এমপিও খাতের ২৫০ কোটি টাকা
সারাদেশে এমপিও ভূক্তি হওয়ার যোগ্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার পরও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) এমপিওভুক্ত দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যার ফলে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এ খাতের জন্য বরাদ্দ ২৫০ কোটি টাকা ফেরত যাচ্ছে। গত কয়েক বছরে ধরে এ খাতে ২৫০ কোটি বরাদ্দ দিলেও আসন্ন অর্থ বছরের বাজেটে সেই টাকা নাও পেতে পারে।
ফলে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় থাকা শিক্ষক-কর্মচারীরা আগামী বছরে এমপিওভুক্ত নাও হতে পারেন। এ নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরের বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৪২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের জন্য ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
এরমধ্যে নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার জন্য দুই বিভাগের জন্য ২৫০ কোটি বরাদ্দ রাখা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য ২০০ কোটি এবং কারিগরি বিভাগের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু চলতি অর্থ বছরের সাধারণ ক্যাটাগরিতে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়নি।
তবে গেল সংসদ নির্বাচনের আগে মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচনী উপহার হিসেবে বিশেষ বিবেচনায় ৯১টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেশিরভাগ এখনো এমপিওভুক্ত হতে পারেন নি। তাই এ খাতের বরাদ্দ হিসেবে ২৫০ টাকা ফেরত যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সংসদে আগামী অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। আর ১ জুলাই ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে সেই বাজেট। এরমধ্যে চলতি অর্থ বছরের আয় ব্যয়ের হিসেব কষছেন তারা। সেখানে বিভিন্ন উন্নয়ন খাতের জন্য বরাদ্দের আংশিক বা অর্ধেক টাকা খরচ হলেও এমপিও খাতের জন্য বরাদ্দ টাকা খরচ হয়নি।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বাজেট শাখার যুগ্মসচিব মো. নূর-ই আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, চলতি বছরের যেহেতু নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেন নি তাই এখাতের জন্য বরাদ্দ টাকা খরচ হয়নি। সংগত কারণে এ টাকা ফেরত যাবে। তবে বিশেষ বিবেচনায় ৯১টি এবং গত অর্থ বছরে যে-সব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছিল সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী চলতি অর্থ বছরে এমপিওভুক্ত হবেন। তাদের বেতন ভাতা বাবদ কিছু টাকা কাটা হতে পারে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শাখার উপসচিব (এমপিও) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ বিভাগের জন্য নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০ কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এ খাতের কোনো টাকা খরচ হয়নি। ফলে এ টাকা ফেরত যাবে।
লেখকের শেষকথাঃ
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের কোন বিকল্প নেই। শিক্ষকদের অভূক্ত রেখে জাতির মেরুদন্ড মজবুত করা সহজ নয়। শিক্ষকরা মাস শেষে যে বেতন পান সেটা মুদির দোকানে আর ধার বাকি পরিশোধ করতে শেষ হয়ে যায়।
তাই সরকারের প্রতি বেসরকারি শিক্ষকদের আবেদন কালবিলম্ব না করে খুব শিঘ্রেই সকল বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করে শিক্ষকদের মর্যাদা ও সম্মান বাড়িয়ে জাতিকে অভিসাপ মুক্ত করবেন এই পত্যাশায় রইল। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url