মসজিদে গিয়ে জামাতের সহিত নামাজ আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ অন্যতম। বালেগ মুসলিম নর-নারীর উপর নামাজকে ফরজ করেছেন আল্লাহ। কিন্তু আমরা কি জানি মসজিদে গিয়ে জামাতের সহিত নামাজ আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে ।
হ্যা বন্ধুরা আজ আপনাদের সামনে জামাতের সাথে মসজিদে গিয়ে সাতাল আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করবো। এখানে আরো জানতে পারবেন মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করার সুফল সম্পর্কে।
সূচীপত্রঃ
মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত
কোন মসজিদে নামাজ পড়লে কত সওয়াব
কুরআন হাদিসের আলোকে জামাতে নামাজের গুরুত্ব
মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত
জামায়াতে নামাজ না পড়ার শাস্তি
মসজিদে নামাজ পড়া কি ফরজ
বড় জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত
চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত
লেখকের শেষকথাঃ
মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ। তার মধ্যে নামাজ অন্যতম। প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম নর-নারীর উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় স্থান হলো মসজিদ এবং নিকৃষ্ট স্থান হলো বাজার। প্রত্যেক সুস্থ-সবল-বালেগ পুরুষের কর্তব্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে আদায় করা।
জামাতের ফজিলত ও উপকারিতা অনেক। এতে দৈনিক অন্তত পাঁচবার নিজের ঈমান-আমলের হিসাব নেয়ার সুযোগ হয়। নিয়মিত এবং সময় মতো নামাজ পড়ার সৌভাগ্য হয় এবং পারস্পরিক ঐক্য-সম্প্রীতি রক্ষার প্রেরণা জাগে ইত্যাদি। হাদীসে এসেছে, একা নামাজের চেয়ে জামাতের নামাজের মর্যাদা সাতাশ গুণ বেশি। (সহীহ বুখারী : ৬৪৫)।
অন্য এক হাদীসে এসেছে, যে সবচেয়ে দূর থেকে (মসজিদে) আসে তার নামাজের সওয়াব সবচেয়ে বেশি। তারপর যে তার চেয়ে কম দূর থেকে আসে। আর যে ইমামের সাথে নামাজ আদায়ের জন্য অপেক্ষা করে, সে ওই ব্যক্তি অপেক্ষা বেশি সওয়াব লাভ করবে যে নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যায়। (সহীহ বুখারী : ৬৪৫)।
এ থেকে বোঝা যায়, মসজিদ দূরে হলেও সেখানে গিয়েই নামাজ আদায় করতে হবে এবং দূরত্ব অনুযায়ী সওয়াবের পরিমাণও বেশি হবে।
পক্ষান্তরে জামাতের ব্যাপারে কোনোরূপ অবহেলা অতি নিন্দনীয়। হাদীসে এ বিষয়ে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেন, ওই সত্তার কসম যার হাতে আমার জান! আমার ইচ্ছে হয়, আমি লাকড়ি জমা করার নির্দেশ দেই। তারপর আজানের হুকুম করি। এরপর কাউকে ইমামতির আদেশ দেই।
আর আমি ওই সব লোকের কাছে যাই, যারা নামাজে আসে না। অতঃপর তাদেরসহ তাদের ঘর জ্বালিয়ে দেই। (সহীহ বুখারী : ৬৪৪)। এ থেকে যে কেউ উপলব্ধি করতে পারবেন যে, জামাতের ব্যাপারে অবহেলা করা কত ভয়াবহ! নবীযুগে এটাকে মুনাফিকের আলামত মনে করা হত। কারণ মুনাফিক বা অসুস্থ ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ জামাতের নামাজ পরিত্যাগ করত না।
বরং কোনো কোনো অসুস্থ ব্যক্তিও অন্যের কাঁধে ভর করে জামাতে অংশগ্রহণ করত। (দ্রষ্টব্য : সহীহ মুসলিম : ৬৫৪)। মসজিদ শুধু নামাজ আদায় নয়, কোরআন-হাদীস, মাসআলা-মাসাইল ও ইসলমি শিক্ষা নির্দেশনা শেখা এবং শেখানোর জায়গা। নবীযুগ থেকে সাহাবা, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন ও পরবর্তী অনেক সময় পর্যন্ত এ কাজগুলো প্রধানত মসজিদেই সম্পন্ন হত।
পরবর্তীতে এসবের জন্য স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হলেও মসজিদে তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি এবং তা সমীচীনও নয়। কারণ মসজিদে উপস্থিতি এক স্বতন্ত্র আমল (দৈনিক অন্তত পাঁচবার)। তাই এর আগে বা পরে কিছু তালীম হওয়া শুধু সহজই নয়, বরকতময়ও বটে।
হাদীসে এসেছে, যখন কিছু লোক আল্লাহর কোনো ঘরে একত্রিত হয়ে তাঁর কিতাব তিলাওয়াত করে, এর ইলম অর্জন করে এবং তা পরস্পর আলোচনা করে তখন তাদের উপর ‘সাকীনা’ নাজিল হয়, রহমত তাদের আচ্ছন্ন করে ফেলে, ফেরেশতারা তাদের বেষ্টন করে ফেলে এবং আল্লাহ তাঁর কাছে যারা থাকেন তাদের সাথে তাদের আলোচনা করেন। (সহীহ মুসলিম : ২৬৯৯)।
সুতরাং সকলের কর্তব্য মসজিদে তালীমের ব্যবস্থা করা এবং তাতে নিয়মিত উপস্থিতির চেষ্টা করা। আর এই তালীমে ব্যাপকতা কাম্যÑ তালীমে দ্বীন, তালীমে কোরআন, দরসে কোরআন, তালীমে সুন্নাহ, তালীমে হাদীস, তালীমে ফাজাইল, তালীমে মাসাইল ইত্যাদি।
কোন মসজিদে নামাজ পড়লে কত সওয়াব
পৃথিবীর সকল মসজিদই আল্লাহর ঘর। তবে তিনটি মসজিদের মর্যাদা আলাদা। পৃথিবীর প্রথম ঘর মক্বার কাবাগৃহ বা মসজিদুল হারাম ।এ মসজিদে হারাম বলে কাবাগৃহসহ চারিদিক পরিবেষ্টিত মসজিদকে। এ মসজিদের মধ্যখানে কাবাঘর অবস্থিত। মসজিদে হারামে এক নামাজ ১ লাখ নামাজের সমান।
মসজিদে নববীঃ মসজিদে নববী হলো ইসলামের সোনালি যুগের সব কর্মকাণ্ডের প্রথম কেন্দ্র। এ মসজিদের এক নামাজ ৫০ হাজার নামাজের সমান। তবে অন্য একটি হাদিসে আছে যে, মসজিদে নববির এক নামাজ ১ হাজার নামাজের সমান। এ হাদিসটি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। -মেশকাত: ৬৪০
মসজিদে আকসাঃ মসজিদে আকসার বিবরণ কোরআনে কারিমে একাধিকবার এসেছে। হজরত নবী করিম (সা.) মিরাজ রজনীতে সেখানে গমন করেন। রাসূল (সা.) বলেন, মসজিদে আকসার এক নামাজ ৫০ হাজার নামাজের সমান।
জামে মসজিদঃ মসজিদে হারাম, মসজিদে আকসা ও মসজিদে নববী ব্যতীত অন্যকোনো মসজিদে মুসলমানরা সমবেত হয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ জুমার নামাজ জামাতে আদায় করা হলে তাকে জামে মসজিদ বলে। এ মসজিদের এক নামাজ ৫০০ নামাজের সমান।
পাঞ্জেগানা বা ওয়াক্তিয়া মসজিদঃ যে মসজিদে জুমার নামাজ ব্যতীত শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়া হয়, তাকে পাঞ্জেগানা বা ওয়াক্তিয়া মসজিদ বলে। এ মসজিদের এক রাকাত নামাজ ২৫ রাকাত নামাজের সমান।
ঘর বা দোকানে নামাজ পড়া : মসজিদের বাইরে ঘরে বা দোকান ইত্যাদি জায়গায় নামাজ আদায় করলে এক নামাজের পরিবর্তে এক নামাজের সমান সওয়াব দেওয়া হবে। -মেশকাত: ৬৯৬
কুরআন হাদিসের আলোকে জামাতে নামাজের গুরুত্ব
«وَرَجُلٌ مُعَلَّقٌ بِالْـمَسْجِدِ إِذَا خَرَجَ مِنْهُ حَتَّى يَعُودَ اِلَيْهِ».
“তৃতীয় শ্রেণি হচ্ছে এমন ব্যক্তি যার অন্তর সর্বদা মসজিদের সাথেই লাগানো থাকে যখন সে মসজিদ থেকে বের হয় যতক্ষণ না সে মসজিদে ফিরে আসে”। মসজিদের সাথে অন্তর লেগে থাকা মানে মসজিদকে অধিক ভালোবাসা এবং তাতে জামা‘আতে সালাত আদায়ের প্রতি অধিক নিষ্ঠাবান হওয়া।
আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ
«وَمَا مِنْ رَجُلٍ يَتَطَهَّرُ فَيُحْسِنُ الطُّهُوْرَ ثُمَّ يَعْمَدُ إِلَى مَسْجِدٍ مِنْ هَذِهِ الـْمَسَاجِدِ إِلاَّ كَتَبَ اللهُ لَهُ بِكُلِّ خُطْوَةٍ يَخْطُوْهَا حَسَنَةً وَيَرْفَعَهُ بِهَا دَرَجَةً، وَيَحُطُّ عَنْهُ بِهَا سَيِّئَةً».
“যে কেউ সুন্দরভাবে পবিত্রতার্জন করে মসজিদগামী হয় আল্লাহ তা‘আলা তাকে প্রতি কদমের বদৌলতে একটি করে পুণ্য দিবেন ও একটি করে তার মর্যাদা উন্নীত করবেন এবং একটি করে তার গুনাহ মুছে দিবেন”
জামা‘আতে সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে গেলে যেমনিভাবে মসজিদগামী ব্যক্তির মসজিদে যাওয়ার প্রতিটি কদম তার আমলনামায় লেখা হবে তেমনিভাবে তার মসজিদ থেকে ঘরে ফেরার প্রতিটি কদমও তার আমলনামায় লেখা হবে। অর্থাৎ প্রতিটি কদমে নেকি অর্জণ করবে এবং গুনাহ মাফ হবে।
মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত
রাসুল (সাঃ) বলেন, সবচেয়ে বেশি নেকি পান ওই ব্যক্তি যিনি সবচেয়ে দূর থেকে মসজিদে আসেন এবং ওই ব্যক্তি বেশি পুরস্কৃত হন, যিনি আগে এসে (নামাজের) অপেক্ষায় থাকেন। এরপর ইমামের সঙ্গে নামাজ পড়েন।’ (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত) [ মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৬৯৯।]
মসজিদে নামাজ পড়ার সওয়াব ও মর্যাদা অনেক বেশি। বুখারির বর্ণনায় এসেছে- যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় (৫ ওয়াক্তে) মসজিদে যাতায়াত করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের মেহমানদারী প্রস্তুত রাখেন মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বনবি।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি নেকি পান ওই ব্যক্তি যিনি সবচেয়ে দূর থেকে মসজিদে আসেন এবং ওই ব্যক্তি বেশি পুরস্কৃত হন, যিনি আগে এসে (নামাজের) অপেক্ষায় থাকেন। এরপর ইমামের সঙ্গে নামাজ পড়েন।’ (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত) [মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৬৯৯।]
জামায়াতে নামাজ না পড়ার শাস্তি
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নামাজ পড়ো নামাজিদের সঙ্গে।’ অর্থাৎ তোমারা জামাতসহকারে নামাজ পড়ো। (সূরা বাকারা)।
يَوْمَ يُكْشَفُ عَن سَاقٍ وَيُدْعَوْنَ إِلَى السُّجُودِ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ
خَاشِعَةً أَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌ وَقَدْ كَانُوا يُدْعَوْنَ إِلَى السُّجُودِ وَهُمْ سَالِمُونَ
‘পায়ের গোছা পর্যন্ত উন্মুক্ত করার দিনের কথা স্মরন কর, সে দিন তাদেরকে সিজদা করতে বলা হবে, অতঃপর তারা সক্ষম হবে না। তাদের দৃষ্টি অবনত থাকবে, তারা লাঞ্ছনাগ্রস্ত হবে, অথচ যখন তারা সুস্থ অবস্থায় ছিল, তখন তাদেরকে সিজদা করার জন্য আহ্বান জানানো হত। কিন্তু তারা সাড়া দিত না। (সূরা কালাম-৪২-৪৩)।
তিনি আরো ইরশাদ করেন, ‘একা নামাজ পড়া অপেক্ষা দু’জনে জামাতে নামাজ পড়া উত্তম। দু’জন অপেক্ষা বহুজন মিলে জামাতে নামাজ পড়া আল্লাহর কাছে আরো বেশি পছন্দনীয় এবং উত্তম।’ (আবু দাউদ)।
তিনি আরো ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতের সঙ্গে পড়বে, সে অর্ধরাত বন্দেগির সওয়াব পাবে। যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়বে, পূর্ণ রাত বন্দেগি করার পূণ্য লাভ করবে।’ (তিরমিযি)।
এজন্য নবীজি (সাঃ) কখনো জামাত তরক করতেন না। এমনকি অসুস্থ অবস্থায় যখন তিনি হাঁটতে পারতেন না, তখনো দুই সাহাবির কাঁধে ভর করে পা টেনে টেনে নামাজের জামাতে হাজির হয়েছেন। জামাতবিহীন একা একা নামাজ পড়েননি।
এমন কী নবীজি (সা.) তো এতটুকুও বলেছে, ‘আমার তো মনে চায় মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে বলব এবং কাউকে নামাজ পড়াতে বলব আর আমি আগুনের অঙ্গার নিয়ে যাব, যে আজান শুনার পরও মসজিদে জামাতে হাজির হওয়ার জন্য বের হয়নি- তার ঘর জ্বালিয়ে দিই।’ (বুখারি, মুসলিম)।
তিনি আরো বলেন- ‘কোথাও যদি তিনজন মানুষ থাকে, আর তারা যদি জামাতে নামাজ না পড়ে, তাহলে শয়তান তাদের ওপর বিজয়ী হয়ে যাবে। কাজেই তুমি জামাতে নামাজ পড়াকে কর্তব্য মনে করো।’ (নাসায়ি)
মসজিদে নামাজ পড়া কি ফরজ
মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া ওয়াজিব। পুরুষের জন্য মসজিদে যাওয়া ওয়াজিব। মেয়েরা ঘরে ফরজ নামাজ পড়তে পারে। পুরুষের জন্য মসজিদে ফরজ নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক।
হ্যাঁ বাধ্যতামূলক। যদি আপনার কোন অসুবিধা না হয় তাহলে। যেমন অনেকে প্যারালাইসড তাদের জন্য ঘরে নামাজ পড়া উত্তম । আপনি যদি এ ধরনের কোন রোগে না বুঝেন তাহলে আপনার জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক।
এক হাদীসে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন যারা ফজরের নামাজ ঘরে আদায় করে যদি নারী ও শিশু না থাকতো তাহলে ওই ঘরে আমি আগুন লাগিয়ে দিতাম।
কতটা কঠোর ভাষায় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর কথা বলেছেন এবং তিনি বিভিন্ন হাদিসে জামায়াতের নামাজ পড়তে অনেক গুরুত্ব সহকারে নির্দেশ দিয়েছেন।, তাই সাধ্যমত চেষ্টা করবেন মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে।
বড় জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত
মসজিদে গিয়ে একাকি নামাজ আদায় করলে যতখানি সওয়াব হবে, দুজন মিলে জামাত করে পড়লে বেশি নেকি হবে, তারচেয়ে বহুগুণ বেশি লোক একসাথে জামাতে নামাজ পড়লে অনেক বেশি সওয়াব হবে। তবে বেশি সওয়াবের আশায় তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন দুরের মসজিদে নামাজের জন্য যেতে নিষেধ আছে।
চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত
ইসলামে নামাজ আদায়ের প্রতি যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি জামাতে তাকবিরে উলার (প্রথম তাকবির) সঙ্গে নামাজ আদায়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ আদায় করবে।
তার জন্য দুইটি মুক্তির পরওয়ানা লেখা হবে- (এক) জাহান্নাম থেকে মুক্তি; (দুই) নেফাক থেকে মুক্তি।’ -(সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৪১) সুতরাং ইমামের তাকবীরে তাহরীমার বলার সঙ্গে সঙ্গে নামাজে শরিক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কোনও কোনও আলেমের মতে সূরা ফাতেহা শেষ হওয়ার আগে জামাতে শরিক হতে পারলেও তাকবীরে উলার সওয়াব অর্জন হবে।
লেখকের শেষকথাঃ
মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায়ের ফজিলতের পাশাপাশি আরো যে লাভটি হবে তা হচ্ছে, হাসিমুখে একে অন্যের সাথে সাক্ষাত হবে, পারস্পারিক মহব্বত-ভালোবাসা তৈরি হয়, পরস্পর খোজ খবর নেওয়া হয়। মুসল্লিদের একে অপরের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করুন, ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url