নফল নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

মুসলিম নর-নারীর ‍উপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্তে ১৭ রাকাত নামাজ ফরজ। তিন রাকাত ওয়াজিব বিতির, বাকি চার ওয়াক্তে ১২ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজ ছাড়া অন্যান্য নামাজ হলো নফল নামাজ।
নফল নামাজের গুরুত্ব  ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

এই নফল নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আমরা কি জানি ? আজ আপনাদের সামনে নফল সালাতের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। আসুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক-

সূচীপত্রঃ

নফল নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত
নফল নামাজ পড়ার সঠিক সময়
নফল নামাজের প্রকারভেদ
নফল নামাজ সমূহ
নফল নামাজের সূরা
নফল নামাজ কখন পড়া যায় না
নফল সালাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ম
লেখকের শেষকথাঃ

নফল নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

নফল আরবি শব্দ। এর অর্থ কর্তব্যের অতিরিক্ত কাজ, ঐচ্ছিক ও অতিরিক্ত। ইসলামের পরিভাষায়, ফরজ ও ওয়াজিবের অতিরিক্ত ইসলামী শরিয়ত প্রবর্তিত বিধান বা বিষয়কে নফল বলা হয়। (মুজামুত তারিফাত, পৃ. ২৬৬) যে আমল রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিয়মিত করতেন এবং মাঝে মাঝে ছেড়ে দিতেন তাকে মুস্তাহাব, নফল বলা হয়।

এমন বিধানের ওপর আমল করা প্রশংসনীয় ও সওয়াবের কাজ। এর ত্যাগকারীকে তিরস্কার করা যাবে না। যথা তাহাজ্জুদসহ অন্যান্য নফল নামাজ, নফল রোজা, নফল সদকা, নফল হজ ইত্যাদি। নফল সালাতের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম।

ফরজ সালাতের ঘাটতি পূরণঃ হাশরের ময়দানে ফরজ সালাতের ঘাটতি পূরণ হবে নফল সালাত দ্বারা। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার সালাতের। যদি তার সালাতের হিসাব সঠিক হয়, তাহলে সে সফল হবে ও নাজাত পাবে। আর যদি সালাত বিনষ্টকারী তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

যদি ফরজ সালাতে কিছু কমতি হয়, তাহলে প্রতিপালক আল্লাহ বলবেন, দেখ আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত আছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। অতঃপর তার অন্য আমল সম্পর্কেও অনুরূপ করা হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ৪১৩)

আল্লাহর ভালোবাসা লাভঃ নফল সালাতের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো প্রিয় বান্দার সঙ্গে শত্রুতা করল, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিলাম। আমি যেসব বিষয় ফরজ করেছি, তার মাধ্যমে আমার নৈকট্য অনুসন্ধানের চেয়ে প্রিয় আমার কাছে আর কিছু নেই।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে জান্নাতে থাকার সৌভাগ্য : জান্নাতে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে থাকা বড়ই সৌভাগ্য ও মর্যাদার বিষয়। এই সৌভাগ্য তারাই অর্জন করতে পারবে, যারা অধিক হারে নফল সালাত আদায় করবে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাত নামাজ আদায় করবে এবং এগুলোর মধ্যে কোনো মন্দ কথা না বলে, তার আমলনামায় ১২ বছর ইবাদতের সওয়াব লেখা হবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১১৬৭)

নফল নামাজ পড়ার সঠিক সময়

ফজর নামাজের ওয়াক্ত হলে তখন থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত এবং আসর ওয়াক্তে ফরজ নামাজ পড়া হলে তখন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনো ধরনের নফল নামাজ পড়া নিষেধ। এই পাঁচটি সময় বাদে অন্য যেকোনো সময় নফল নামাজ পড়া যায়। নফল নামাজে দুই রাকাত করে পড়তে হয়। দুই দুই রাকাআত করে যত বার ইচ্ছা পড়া যায়।

প্রথমে ওযু করে পবিত্র হয়ে ২ রাকাআত নফল নামাজের নিয়ত করতে হবে। এরপর 'আল্লাহু আকবার' বলে হাত বেঁধে সানা পাঠ করতে হবে। এরপর সূরা ফাতিহা পাঠ করে যে কোনো একটি সূরা পাঠ করতে হবে। এরপর রুকু করতে হবে। রুকু থেকে আল্লাহু আকবর বলে সিজদাহ করতে হবে।

সিজদাহ্ থেকে দাঁড়িয়ে ১ম রাকাআতের মতই ২য় রাকাআত আদায় করতে হবে। এরপর শেষ বৈঠকের মাধ্যমে নামাজ শেষ করতে হবে। নফল নামাজ বাসা-বাড়ি, মসজিদ সব জায়গায় পড়া যায়। তবে মসজিদের তুলনায় বাসা-বাড়িতে নফল নামাজ পড়া উত্তম।

নফল নামাজের প্রকারভেদ

নফল নামাজ দুই প্রকারঃ-

১. এমন নফল নামাজ যার নির্ধারিত সময় রয়েছে।

  • তাহাজ্জুদের নামাজ,
  • ইশরাকের নামাজ,
  • চাশতের নামাজ,
  • জাওয়ালের নামাজ,
  • আউওয়াবিনের নামাজ
  • কুসুফ ও খুসুফের নামাজ ইত্যাদি।

২. এমন নফল নামাজ যার নির্ধারিত কোনো সময় নেই।

  • তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজ,
  • দুখুলিল মাসজিদের নামাজ,
  • সালাতুল সফরের নামাজ,
  • খুরুজুল মানজিলের নামাজ,
  • সালাতুল হাজল,
  • সালাতুল কাজায়িদ দাঈন,
  • সালাতুল ফাকা,
  • সালাতুস শোকর,
  • সালাতুল তাওবা,
  • সালাতুল মাতার,
  • সালাতুল নাউম,
  • সালাতুল ইস্তিখারাহ,
  • সালাতুল তাসবিহ ইত্যাদি।

নফল নামাজের সূরা

সূরা ফাতিহা পড়ার পর আপনি কুরআন থেকে অন্য একটি অধ্যায় পড়তে পারেন। তবে ন্যূনতম প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। নফল নামাজে সানা, সূরা ফাতিহা, সূরা মিলানো, বৈঠক, তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা, সব স্বাভাবিক নিয়মে পালন করতে হবে।

নফল নামাজ কখন পড়া যায় না

সূর্যোদয়ের সময় সব নামাজ নিষিদ্ধ, সূর্য মাথার ওপর স্থির থাকা অবস্থায় নামাজ পড়া মাকরুহে তাহরিমি, সূর্যাস্তের সময় চলমান আসর ব্যতীত অন্য কোনো নামাজ বৈধ নয়। এ ছাড়া ফজর নামাজের ওয়াক্ত হলে তখন থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত এবং আসর ওয়াক্তে ফরজ নামাজ পড়া হলে তখন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনো ধরনের নফল নামাজ পড়া নিষেধ।
নফল সালাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

মুমিন মুসলমানের জীবনে শ্রেষ্ঠতম ইবাদত হচ্ছে ফরজ এবাদত। তবে নফলের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর অধিকতর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করে। আর নফল ইবাদতের মধ্যে নফল নামাজ আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত নামাজের বাইরেও কিছু নফল নামাজ রয়েছে।

নফল নামাজঃ ফরজ ইবাদাতের কোনো বিকল্প নেই। ফরজ নামাজ আদায়ের পর যারা নফল নামাজ আদায় করেন তাদের প্রতি রয়েছে মহান আল্লাহর বিশেষ রহমত। নফল নামাজ ও রোজার মাধ্যমে আল্লাহ ও রাসূল (সা:)-এর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।

পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত নামাজের বাইরেও কিছু নফল নামাজ রয়েছে। হাদিসে যেসব নামাজের ব্যাপারে বিশেষভাবে তাগিদ দেওয়া হয়েছে, যেমন এক সাহাবি প্রশ্ন করেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় কাজ কী? উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন : ‘তুমি আল্লাহর জন্য বেশি বেশি সিজদা করবে (বেশি বেশি নফল নামাজ পড়বে); কারণ তুমি যখনই আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করো তখনই তার বিনিময়ে আল্লাহ তোমার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং তোমার একটি পাপ মোচন করেন। ’ (সহিহ মুসলিম : ১/৩৫৩)

তাহাজ্জুদ এর নামাজ

ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ নামাজ হলো তাহাজ্জুদ। পবিত্র কোরআনে তাহাজ্জুদ আদায়ের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা শয্যা ত্যাগ করে তাদের প্রতিপালককে ডাকে আশায় ও আশঙ্কায়। আর আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে তারা ব্যয় করে। ’ (সুরা সিজদা, আয়াত : ১৬)

মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের (তাহাজ্জুদের) নামাজ। ’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৩)

ইশরাকের নামাজ

সূর্য পরিপূর্ণভাবে উদিত হওয়ার পর ইশরাকের নামাজ আদায় করতে হয়। রাসুল (সা.) ফজরের নামাজের পর থেকে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করতেন। এ সময় দোয়া, তাসবিহ পাঠ ও দ্বীনি আলোচনা করতেন। সূর্যোদয়ের পর তিনি দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। এই আমলের প্রতি রাসুল (সা.) অন্যদেরও উৎসাহিত করেছেন।

আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করল এবং সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর জিকিরে বসে থাকল; অতঃপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করল, সে একটি পরিপূর্ণ হজ ও ওমরাহর সওয়াব পাবে। ’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৫৮৬)

দুহা এর নামার

সূর্য মধ্য আকাশে স্থির হওয়ার আগ মুহূর্তে ‘দুহা’র নামাজ আদায় করা হয়। পৃথকভাবে আদায় করার অবকাশ থাকলেও অনেকেই এটাকে ইশরাকের নামাজ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। তারা বলেছেন, সময়ের শুরুতে আদায় করলে সেটা ইশরাক আর সময়ের শেষে আদায় করলে দুহা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয়তম (রাসুল সা.) আমাকে তিনটি বিষয়ে অসিয়ত করেছেন, যেন আমি তা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ত্যাগ না করি। প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা, দুহার নামাজ ও ঘুমানোর আগে বিতর আদায় করা। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৭৮)

আউয়াবিনে নামাজ

মাগরিব ও এশার নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে আদায়কৃত ছয় রাকাত নামাজ ‘আউয়াবিন’ নামে পরিচিত। আল্লামা মাওয়ার্দি এই মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন। (মুগনির মুহতাজ : ১/৩৪৩)। তবে কেউ কেউ ‘দুহা’ নামাজকেই আউয়াবিনের নামাজ বলেছেন। নাম নিয়ে মতভিন্নতা থাকলেও এই সময় নামাজ আদায়ের গুরুত্ব হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাত নামাজ আদায় করবে এবং এগুলোর মধ্যে কোনো মন্দ কথা বলে না, তার আমলনামায় বারো বছর ইবাদতের সওয়াব লেখা হবে। ’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১১৬৭)

তাহিয়্যাতুল অজু এর নামাজ

অজুর মাধ্যমে অপবিত্র অবস্থা থেকে পবিত্র হওয়ার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ দুই রাকাত নামাজ আদায় করা হয়। এই নামাজকে বলা হয় তাহিয়্যাতুল অজু। নিষিদ্ধ সময়ের বাইরে যেকোনো সময় এই নামাজ আদায়ের অবকাশ রয়েছে। রাসুলে করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করল এবং নিষ্ঠার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করল তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৩৪)

তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর নামাজ

মসজিদে প্রবেশ করার পর আদায় করার নামাজ। আল্লাহ মসজিদে আসতে পারার কৃতজ্ঞতা ও মসজিদের সময়টুকু ফলপ্রসূ হওয়ার প্রার্থনা হিসেবে এই নামাজ পড়া হয়। নিষিদ্ধ সময় ছাড়া অন্য সময়ে মসজিদে প্রবেশের পর তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া যায়। তবে নামাজের জামাত ও ওয়াক্তের নির্ধারিত সুন্নত ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়বে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন দুই রাকাত নামাজ আদায় করার পর বসে। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৬৭)

তওবা করার নামাজ

নামাজের সময় বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়। তাই হাদিসে নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশনা রয়েছে। আবু বকর সিদ্দিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন কোনো বান্দা পাপ করে ফেলে, এরপর সে ভালোভাবে অজু করে এবং দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে। তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। ’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২১)

দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ম

প্রথমে ওযু করে পবিত্র হয়ে ২ রাকাআত নফল নামাজের নিয়ত করতে হবে। এরপর 'আল্লাহু আকবার' বলে হাত বেঁধে সানা পাঠ করতে হবে। এরপর সূরা ফাতিহা পাঠ করে যে কোনো একটি সূরা মিলিয়ে পাঠ করতে হবে। এরপর রুকু করবে, সিজদা করবে , তারপর আল্লহু আকবার বলে ২য় রাকাত আদায় করবে ১ম রাকাতের মত করে। এবার তাশাহুদ, দূরুদ শরীফ, মাসুরা পড়ে সালাম ফিরবে। নামাজ পড়ার নিয়ম একই শুধু নিয়ত করবে নফলের তাহলেই হয়ে যাবে।

লেখকের শেষকথাঃ

নফল নামাজের দ্বারা মূলত আল্লাহর প্রতি বান্দার মহব্বতের পরিমাপ করা হয়। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহকে ভালোবাসার বিষয়টি যাচাই করা হয়। বিষয়টি উদাহরণ দিয়ে এভাবে বোঝানো যায় যে, মালিকের পক্ষ থেকে কর্মচারীদের দৈনিক কাজের রুটিন ঠিক করে দেওয়া হয়, যা তাকে অবশ্যই করতে হবে। 

সেই কাজ শেষ করার পরে যদি সেই কর্মচারী মালিকের অন্য কাজ করে দেয়, (যেটা তার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না) তাহলে মালিক যেমন খুশি হন, তার যেচেও বেশি আল্লাহ নফল নামাজ আদায়কারীদের প্রতি খুশি হন। আর মুমিন জীবনের শ্রেষ্ঠতম ইবাদত ফরজ। ফরজের পাশাপাশি বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করুন। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪