ইয়াওমুল আরাফাহ - আরাফার রোজার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
ইয়াওমুল আরাফাহ বা আরাফার রোজা অনেকেই আমরা থাকি। কিন্তু অনেকেই জানিনা এই রোজার ফজিলত ও তাৎপর্য সম্পর্কে। হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের সামনে ইয়াওমুল আরাফাহ বা আরাফার রোজার ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করবো।
এখানে জানতে পারবেন, ইসলামী দিন পঞ্জিকা অনুসারে জিলহাজ মাসের কত তারিখে আরাফার রোজা রাখতে হয়। বাংলাদেশে এই রোজা কবে রাখতে হবে সেই সম্পর্কে।
সূচীপত্রঃ
আরাফার রোজার ফজিলত
আরাফার রোজা রাখা কি ফরজ
আরাফার দিনের রোজার আমল সমূহ
আরাফার রোজা কয়টিি
আরাফার রোজা কোন দিন
আরাফার দিন কবে ২০২৪
যেসব দিনে রোজা রাখতে মানা
আইয়ামে বিজের রোজা
আশুরার দিনের রোজা
কোরবানির মাংস বন্টনের হাদিস
কোরবানির মাংস দিয়ে কসাইয়ের পারিশ্রমিক দেয়ার ইসলামী বিধান
লেখকের শেষকথাঃ
আরাফার রোজার ফজিলত
এই দিনটি ইসলামিক চন্দ্র পঞ্জিকা অনুসারে জিলহজ মাসের ৯ তারিখে সংগঠিত হয়, যা রমজান মাস শেষ হওয়ার প্রায় ৭০ দিন পর ঘটে। এই দিনটির শেষ ভাগে, মুসলিম হজ্জ্ব যাত্রীরা মিনা থেকে যাত্রা করে নিকটবর্তী পাহাড়ের সন্নিকটবর্তী-সমভূমি আরাফাতের ভূমিতে এসে সমবেত হন।
বছরের যেকোনো সময়ই যেকোনো নেক আমল আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয়। তবে কিছু কিছু সময়ে কিছু আমলের ফজিলত অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ । তেমনি এক আমল আরাফার দিনের রোজা। এই রোজার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বান্দার পূর্বের এক বছর এবং পরের এক বছরের গোনাহ মাফ করেন।
জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখকে ইয়াওমে আরাফা বা আরাফা দিবস বলে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ইয়াওমে আরাফার রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী, তিনি এর দ্বারা আগের এক বছরের ও পরের এক বছরের গোনাহ মাফ করবেন’। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ১১৬২)।
আরাফার এ রোজা ফরয ওয়াজিব বা মুস্তাহাব এরকম কিছু না। এ রোজা না রাখলে গোনাহ হবে না। তবে এ রোজার ফজিলত অন্যান্য নফল রোজার চেয়ে অনেক।
হাজিদের জন্য আরাফার ময়দানে রোজা রাখা মুস্তাহাব নয়। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফার ময়দানে রোজাবিহীন অবস্থায় ছিলেন।মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আরাফা দিবসের রোজা পালনের মাধ্যমে হাদীসে বর্ণিত ফজিলত হাসিল নসিব করুন।
আরাফার রোজা রাখা কি ফরজ
রমজানের বিপরীতে, এই সময়ে উপবাস মুসলমানদের জন্য ঐচ্ছিক, তবে যারা আরাফাতে হজ করেন না তাদের জন্য প্রত্যাশিত। কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের উপবাস আমাদের অনেক উপকার করবে, এবং নিশ্চিত করবে যে আমাদের পাপ ক্ষমা করা হবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে আমাদের গুনাহ মাফ চাওয়া।
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ, হজের দিনঃ এই দিন হাজিরা মক্কা শরিফের আরাফা প্রান্তরে অবস্থান করা হজের ফরজিয়াতের একটিঃ তাই এই দিনকে ইয়াওমুল আরাফা বা আরাফা দিবস বলা হয়। এই দিন হাজিরা ছাড়া অন্যদের জন্য রোজা পালন করা সুন্নত। হযরত কাতাদাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘আরাফার দিবসের রোজা তার আগের এক বছর ও পরের এক বছরের গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়।’ (তিরমিজি)।
আরাফার দিনের রোজার আমল সমূহ
একজন মুমিনের কাছে বছরের যে কোনো দিনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ দিন হল আরাফার দিন। আল্লাহ তায়ালা ওইদিন যত বেশি মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন বছরের অন্য কোনো দিনে এত বেশি মানুষকে মুক্তি দান করেন না।
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ হল আরাফার দিন। এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। এ দিনে হাজিগণ মিনা থেকে আরাফার ময়দানে সমবেত হন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। এটিই হজের প্রধান রুকন।
হাদিস শরিফে রাসুল (স.) বলেছেন, সারা বছরজুড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে মানুষ যত দোয়া করে না কেন তার থেকে সবচেয়ে উত্তম দোয়া হলো আরাফার দিনের দোয়া। এ দিনে যে হাজিগণ আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন তারা ছাড়াও যারা হজ করছেন না তাদের জন্য রাসুল (স.) কতগুলো আমলের কথা বলেছে।
১. আরাফার দিনে যারা হজ করছেন না তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হল ওইদিন নফল রোজা রাখা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আরাফার দিনের (৯ জিলহজের) রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি যে তিনি আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)
২. আরাফার দিনে রাসুল (সাঃ) একটি দোয়া বেশি বেশি করে পাঠ করতে বিশেষ ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। রাসুল (সৎ) হাদিসে ইরশাদ করেন, আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ যত দোয়া পড়েছেন তার থেকে সবচেয়ে উত্তম দোয়া হচ্ছে এটি-‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ইন কাদীর।’
(অর্থ) আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তাঁর জন্য, আর তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৮৫)
৩. বেশি বেশি দোয়া ও এস্তেগফার পড়া। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, সর্বোত্তম দোয়া হচ্ছে আরাফার দিনের দোয়া। এ দিনে দোয়া ও তওবা কবুলের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
আরাফার দিন বছরের শ্রেষ্ঠ দিন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আরাফাতের দিনের তুলনায় উত্তম কোনো দিন নেই।’ (মাজমাউল জাওয়াইদ, হাদিস : ৩/২৫৬)
আরাফার রোজা কয়টিি
আরাফার দিনের রোজা মূলত একটি। হাদিসে আরাফাতের দিনের একটি রোজার কথাই এসেছে। যারা বলছেন, একদিন রোজা রাখলে হবে না, তাদের কথা সঠিক নয়। আরাফাতের দিনে একটি রোজা রাখলে বান্দার দুই বছরের গুনাহ মাফ হয় বলে হাদিসে এসেছে। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আরাফাতের দিনের রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি যে, তিনি আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (মুসলিম: ১১৬২)
অন্য হাদিসে এসেছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী বর্ণনা করেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৯ জিলহজ তারিখে রোজা রাখতেন। (আবু দাউদ: ২৪৩৭) তবে উত্তম হচ্ছে- যারা জিলহজ মাসের ১ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখেন।
এতে আরাফাত দিবসের রোজা তো পাওয়া যাবেই, একইসঙ্গে তারা অনেক সওয়াব ও ফজিলত লাভ করবেন। জিলহজের প্রথম দশদিন মহান আল্লাহর কাছে খুব বেশি প্রিয়। এ সময়ে সামান্য আমলে অতি সহজে মহান আল্লাহর প্রিয়পাত্র হওয়া যায়। মহান আল্লাহ সুরা ফজরের ২ নম্বর আয়াতে দশ রাতের কসম করে বলেন,
আরাফার রোজা কোন দিন
যেহেতু এই রোজার নামই হচ্ছে, ইয়াওমুল আরাফাহ বা আরাফার রোজা, তাই সোজা একটা হিসাব মনে রাখবেন, যেদিন হাজী সাহেবরা আরাফার ময়দানে অবস্থান করবেন সেই দিনই এই রোজা রাখতে হবে। চাঁদের কোন দেশে কত তারিখ হলো এটা দেখার অবকাশ নেই। আর কোন হিসাব করা লাগবেনা।
যেহেতু এই জিলহজ মাসের প্রথম থেকেও রোজা রাখা যায়, তাই কেউ যদি প্রথম থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রোজা রাখে তাহলে তার আর হিসেব করা লাগলো না। আবার কেই চাইলে দুইদিন রোজা রাখেতে পারেন। অর্থাৎ জিলহজ মাসের ৮ আর ৯ তারিখ।
সেই মোতাবেক এ বছর (১৪৪৫ হিজরি, ২০২৪ খৃষ্টাব্দ) সৌদি আরবে অবস্থানকারীদের জন্য আরাফার দিন হলো আগামী ১৫ জুন, শনিবার। বাংলাদেশে ১৬ জুন, রোববার। যারা আরাফার দিনের রোজা রাখতে চান, তারা শনিবার শেষ রাতে সাহরি করে রোববার রোজা পালন করবেন।
আরাফার দিন কবে ২০২৪
এই বছর, আরাফার দিনটি শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪ এ পড়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর পরিবারবর্গ বলেছেন, "আরাফাহ দিবসের রোজা রাখলে, আমি আশা করি যে আল্লাহ তার আগের এবং পরের ১ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন।". তবে কেউ চাইলে ১৫ এবং ১৬ জুন দুইদিন রোজা রাখতে পারেন।
যেসব দিনে রোজা রাখতে মানা
রোজা আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার কাছে অত্যান্ত প্রিয় এবাদত। রমজান মাসের ফরজ রোজা রাখার পাশাপাশি কেউ যদি মনে করে প্রায় সারা বছর রাখবে, তবে সে রোজা রাখতে পারবে ৫টি দিন ব্যতীত। বছরে মোট পাঁচ দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ। দিনগুলি হলো- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দুই দিন এবং ঈদুল আজহার পরের আইয়ামে তাশরিকের তিন দিন। অর্থাৎ এগারো জিলহজ থেকে তেরো জিলহর পর্যন্ত।
আইয়ামে বিজের রোজা
প্রতি চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজার বিশেষ ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে। এই দিনগুলোকে ইসলামি পরিভাষায় ‘আইয়ামে বিজ’ বলা হয়। আবু জর (রাঃ)-কে নবীজি (সঃ) বলেছেন, তুমি যদি প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখতে চাও, তাহলে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখো। (সুনানে তিরমিজি: ৭৬১) এ ছাড়া মাসের যেকোনো তিন দিন রোজা রাখলে সারাবছর রোজা রাখার সওয়াব হবে মর্মেও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। (সুনানে তিরমিজি: ৭৬২)
আশুরার দিনের রোজা
আশুরা হলো মহররমের ১০ তারিখ। এই দিনের রোজা সম্পর্কে নবীজি (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আশুরার দিন রোজা রাখল, আমি আশা করি আল্লাহ তাআলা তার আগের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন। (সুনানে তিরমিজি: ৭৫২)
কোরবানির মাংস বন্টনের হাদিস
কোরবানির মাংস সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা কোরআনুল কারিমে বলেন, তোমরা উহা হতে আহার করো এবং দুস্থ অভাবগ্রস্তদের আহার করাও (সুরা হজ, আয়াত ২৮)। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরবানি সম্পর্কে বলেছেন, তোমরা নিজেরা খাও এবং অন্যদের আহার করাও আর সংরক্ষণ করো (বোখারি হাদিস ৫৫ ৬৯)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) কোরবানির গোশত সম্পর্কে বলেছেন- ‘তোমরা নিজেরা খাও ও অন্যকে আহার করাও এবং সংরক্ষণ কর।’(বোখারি-৫৫৬৯)। ‘আহার করাও’ বাক্য দ্বারা অভাবগ্রস্থকে দান করা ও ধনীদের উপহার হিসেবে দেওয়াকে বুঝায়। আমাদের সমাজে যে প্রচলিত নিয়ম আছে, তিন ভাগে ভাগ করা সেটি মূলত ঠিক নয়।
আসলে তিন ভাগে মাংস কে বন্টন করতে বলা হয়েছে। তিনটা সমান ভাবে ভাগ করতে হবে এমন নয়। যার বাড়িতে সদস্য সংখ্যা বেশি তিনি বেশি মাংস রাখবেন। আর যার বাড়িতে মানুষের সংখ্যা কম তিনি কম মাংস রাখবেন এবং বেশি মাংস বিতরণ করে দিবেন। কারণ তিনি বেশি মাংস রেখে কি করবেন। উনার তো সামর্থ আছে উনি পরে প্রয়োজনে মাংস কিনে খাবেন।
কোরবানির মাংস দিয়ে কসাইয়ের পারিশ্রমিক দেয়ার ইসলামী বিধান
শুরুতেই বলে রাখা ভালো- ঈদের জামাতের পরপরই পশু কোরবানি করা যাবে। ঈদের পরের দুদিনও কুরবানি করা যাবে। তবে কোনোভাবেই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে নয়। নিজেই কুরবানির পশু জবাই করা উত্তম। নিজে জবাই করতে না পারলে জবাইয়ের সময় স্বশরীরে উপস্থিত থাকুন।
জবাইয়ের জন্য ব্যবহৃত ছুরি বা চাকু ভালোভাবে ধার করে নিন। জবাইয়ের পূর্বে পশুকে ভালোভাবে দানা-পানি খেতে দিন। পশুকে কেবলার দিক মুখ করে শোয়াতে চেষ্টা করুন। পশু পড়ে যাওয়ার পর টানা-হেঁচড়া করবেন না। কেননা পশুকে কষ্ট দেওয়া উচিৎ না।
যিনি ছুরি চালাবেন তিনি ছুরি চালানোর সময়- ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’- বলবেন। তার সাথে সাথে অন্যরাও বলতে পারেন। তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়। একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন, যিনি জবাই করবেন, তিনি যে এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসি হন, তিনি যেন শির্ক বিদাত মুক্ত হন, তিনি যেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি হন।
কুরবানির পশু জবাই করা এবং গোশত বানানোর জন্য কসাইর পারিশ্রমিক আগে থেকেই ঠিক করে নিন। মনে রাখবেন, কোনোভাবেই কুরবানির মাংস দিয়ে কসাইয়ের পারিশ্রমিক পরিশোধ করা যাবে না। ইসলাম কখনোই এটা সমর্থন করে না। কসাইকে গোশত উপহার দিতে পারবেন কিন্তু পারিশ্রমিক হিসেবে মোটেও না।
কেননা কুরবানির গোশতের দাবির নির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। কুরবানির গোশত আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে, গরিব-মিসকিনদের মাঝে এবং নিজের পরিবার-পরিজনদের জন্য রাখুন। প্রয়োজনে অনেক দিন সংরক্ষণ করে খেতে পারবেন। তবে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কুরবানির গোশত উপহার দেওয়া যায়।
লেখকের শেষকথাঃ
জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন মুমিন-মুসলমানদের জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার। রাত ও দিন সবই গুরুত্বপূর্ণ এই সময়। এই দশ দিন বেশি বেশি আমল করার কথা বলা হয়েছে ফজিলতের কারণে। এই সময় প্রথম থেকে ৯দিন রোজা রাখার ফজিলত অনেক।
এই ৯ দিন রোজা না রাখতে পারলেও আরাফার দিন আমরা সবাই রোজা রাখার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আরাফার রোজা মূলত ১টি। তবে কেউ চাইলে ২টি রোজা রাখতে পারেন। উপরে বর্ণিত পদ্ধতি মেনে আমল করুন ইনশাআল্লাহ অনেক শওয়াব অর্জণ করতে পারবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url