সজনে ডাটা খাওয়ার উপকারিতা ও সজনে ডাটার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নিন
বহু গুণে গুনান্বিত সজনে ডাটা ও পাতা। অথচ আমরা অনেকেই এর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানেই না। এর গুণাগুণ না জেনেই সবজি হিসেবে আমরা প্রায় সবায় খেয়ে থাকি। হ্যাঁ বন্ধুরা আমরা আজ সজনে ডাটা ও পাতার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা করবো।
এখানে আরো যা জানতে পারবেন- কেন সজনে ডাটা ও পাতাকে অলৌকিক পুষ্টিগুণের কথা বলা হচ্ছে। এই ডাটা ও পাতা সবজিরে খেলে কোন কোন রোগের প্রতিশেধক হিসেবে কাজ করে । তো বন্ধুরা আর দেরি না করে আসুন শুরু করা যাক।
সূচীপত্রঃ
সজনে ডাটার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
সজনে ডাটার অপকারিতা
সজনে ডাটা খেলে কি হয়
সজনে পাতার উপকারিতা
সজনে পাতার পুষ্টিগুণ
ডাটা সবজির উপকারিতা
লেখকের শেষকথাঃ
সজনে ডাটার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
পুষ্টি ও খাদ্যগুণে সমৃদ্ধ সজনে ডাঁটা অনেকের কাছে বেশ পছন্দের একটি সবজি। এটির শুধু ডাঁটাই নয়, সজনের পাতা ও ফুলও খাওয়া হয়। সজনে ডাটা দিয়ে রান্না করা মজাদার তরকারি এই গরমে আমাদেরকে তৃপ্ত করে, কিন্তু এর বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা আমাদের অনেকেরই অজানা। সজনে ডাঁটা প্রায় ৩০০ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। শরীরের প্রয়োজনীয় সব ভিটামিনের সাথে অতি জরুরি এমিনো এসিড আছে সজনে পাতায়। এ কারণে এটিকে পুষ্টির ডিনামাইট বলা হয়।
বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে পেয়েছেন, সজনে পাতায় ২৭ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা (কার্বোহাইড্রেট), ২ শতাংশ ফ্যাট, ১৯ শতাংশ ফাইবার আছে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক, আয়রন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে।
পুষ্টিগুণে ভরপুর সজনে ডাঁটা, ফুল ও পাতা খেলে নানারকম অসুখের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। চলুন জেনে নিই সজনে ডাঁটার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা-
ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তাঃ
সজনে পাতা ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকারে ভূমিকা রাখে। সজনেতে নিয়াজিমাইসিন নামের এক উপাদান রয়েছে যা ক্যানসার সেল তৈরিতে বাধা দেয়। কিছু বিজ্ঞানীর মতে সজনে পাতা, গাছ, ছালে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ক্যানসার সেল ধ্বংস করে দিতে পারে।
ফ্যাটি লিভারঃ
নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে সজনে পাতা। শূকরের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, সজনে পাতা খাওয়ানো পশুদের কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসেরাইডের মাত্রা কম ছিল। এছাড়া তাদের লিভারে প্রদাহজনিত সমস্যা ছিল কম।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য সজনে ডাঁটা বেশ উপকারী। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। শুধু ডাঁটা নয়, সজনে পাতাও। উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে সজনে পাতা। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এক সপ্তাহ প্রতিদিন ১২০ গ্রাম করে রান্না করা সজনে পাতা খাওয়া ব্যক্তিদের রক্তচাপ অন্যদের তুলনায় কম ছিল।
ডায়েটিশিয়ানরা বিশ্বাস করেন, সজনে পাতায় কোয়ার্সেটিন নামে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এর মধ্যে পাওয়া আরও একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হলো ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সজনেতে পাওয়া ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরের উন্নতি করে এবং ইনসুলিনকে প্রভাবিত করতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিসঃ
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যেও সজনে অনেক উপকারী একটি সবজি। শরীরে চিনির সঠিক মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে সজনে। সজনে পাতার নির্যাস ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপকার করতে পারে। যেমন: রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ও বিভিন্ন অঙ্গকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে সজনে ডাঁটায় থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ। বিভিন্ন প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী সজনে।
বসন্ত রোগ প্রতিরোধ করেঃ
বসন্ত প্রতিরোধে সজনে ডাঁটার তরকারি বা ডাল রান্না করে খেলে জল বসন্ত ও গুটি বসন্তে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা অনেকাংশে কমে যায়।
মুখে রুচি বাড়েঃ
সজনে ডাঁটার মতো এর পাতারও রয়েছে যথেষ্ট গুণ। সজনে পাতা শাক হিসেবে, ভর্তা করেও খাওয়া যায়। এতে মুখের রুচি আসে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করেঃ
সজনে পাতায় আছে বেটা ক্যারোটিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে এবং চোখের রোগ প্রতিরোধ করে।
চিকিৎসকরা বলছেন, সজনে ডাঁটার মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রাইটিস এবং আলসারেটিভ কোলাইটিসের মতো পাচনজনিত সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। এছাড়া হজম স্বাস্থ্যের উন্নতিতে, শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি, হৃদযন্ত্র সুস্থ, শরীরের বিভিন্ন ব্যথা থেকে মুক্তি থেকে শুরু করে চুল এবং ত্বকের জন্যও উপকারী এই সবজি।
শ্বাসকষ্ট কমায়ঃ
সজনে ডাঁটা এবং পাতার রস খেলে শ্বাসকষ্ট সারে। সজনে ডাঁটায় থাকা প্রদাহ-বিরোধী এন্টি অক্সিডেন্ট ভিটামিন সি অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে, ফলে অ্যালার্জির কারণে যে শ্বাসকষ্ট হয় তা দূর করে।
এছাড়াও সজনে ডাঁটা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, লিভার ও কিডনি সুরক্ষিত রাখে। শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে সজনে। শ্বাসকষ্ট রোধে সজনে ডাঁটা খুবই উপকারী। সজনে ডাঁটায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে, ফলে অ্যালার্জির কারণে যে শ্বাসকষ্ট হয় তা দূর করে।
সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
একে পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব বলা হয়। এটাতে প্রচুর পরিমাণ মিনারেল থাকে। এই মিনারেল গুলো আমাদের শরীরে সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি। ম্যাগনেসিয়াম জিংক পটাশিয়াম এছাড়াও আমাদের শরীরে অনেক হরমোন থাকে যা মরিঙ্গা বা সজনে পাতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যারা ডায়াবেটিস, বহুমূত্র বা হাইপার টেনশন রোগে ভুগছেন তাদের জন্য সজনে পাতার গুঁড়ো খুবই উপকারি।
কচি সজনে পাতার রস নিয়মিত খেলে রক্তের উচ্চ চাপ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। সজনে পাতার বড়া, সালাদ, পাতা বাটা ও সজিনা পাতার পাউডার দ্বারা খাদ্য সুস্বাদু ও শক্তিবর্ধক হয়। খাদ্যের মান বাড়ানোর জন্য যেকোনো সুপের সাথে শুকনা সজিনা পাতার পাউডার মেশালে ভালো হয়। কফি বা চা তৈরিতে সজিনা পাতার ব্যবহার উল্লেখযোগ্য।
আপনার সুগার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ন্যাচারাল এই সজনে পাতার গুঁড়ো প্রতিদিন এক চা চামচ করে খেতে পারেন। যাদের হাত পা জ্বালা পোড়া করে ত্বক নষ্ট হয়ে যায় বা ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা সজনে পাতার গুঁড়ো পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে এটা অনেক ভাবে খেতে পারবেন।
সজনে ডাটার অপকারিতা
সজনে এর মূল অনেক সময় বিষাক্ত হতে পারে, যা স্নায়ুকে অবশ করে দিতে পারে। তাই খাওয়ার ক্ষেত্রে এটি বর্জন করাই শ্রেয়। এছাড়া এর বীজ মাছ এবং র্যাবিট এর জন্যেও বিষাক্ত হতে পারে। তাই সতর্কতা অবলম্বন আবশ্যক।
- অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ আপনার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন-
- গ্যাস রিফ্লেক্স করতে পারে।
- বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে বমি ভাব হতে পারে।
- গর্ভবতী মহিলাদের জরায়ু সংকোচনের হতে পারে।
- গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- সাজনার শিকড় খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এতে অ্যালকালয়েড স্পিরোচিন রয়েছে, যা নিউরো-প্যারালাইটিক টক্সিন কারণে পক্ষাঘাত হতে পারে।
- সাজনা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেট খারাপ হতে পারে।
- কাঁচা সেবন করলে অম্বল হতে পারে।
- গ্যাস এবং ডায়রিয়া হতে পারে।
সজনে ডাটা খেলে কি হয়
সজনে ডাটায় প্রচুর পরিমাণে আয়রণ, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন থাকে। তাই এটি সুস্থ এবং শক্তিশালী হাড়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী এছাড়াও আমাদের শরীরের রক্ত বিশুদ্ধ করতেও সজনের কোন জুড়ি নেই। সজনে ডাটায় থাকা ভিটামিন সি এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই এন্টি অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে।
সজনে পাতার উপকারিতা
বিজ্ঞানীরা সজনে পাতাকে বলছেন অলৌকিক পাতা এত কিছু থাকতে সজনে পাতাকে অলৌকিক পাতা বলা হচ্ছে কেন ? সজনে পাতার যে খাদ্যমান, এর পুষ্টি, এর গুণাগুণ যেকোনো মানুষকে বিস্মিত করবে। সে কারণেই বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন যে, এ সময়ের একটি অলৌকিক পাতা হচ্ছে সজনে পাতা।
পরিণত বয়সী বাংলাদেশিদের মধ্যে সজনের ডাটা বা সজনে শাক খাননি, এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি হবে না। মৌসুমে পাতে নিয়মিতই সজনে রাখেন অনেকে, কিন্তু তাদের সবাই কি জানেন সজনে পাতা কতটা উপকারী ? কীভাবে খেতে হয় সেটিও হয়তো জানা নেই অনেকের।
অ্যামাইনো অ্যাসিডের উৎস
সজনে পাতায় অ্যাসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে আটটি। ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘সি’ আছে। রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক, আয়রন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এতগুলো নিউট্রিয়েন্ট থাকার কারণে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, সজনে পাতা একটি অলৌকিক পাতা।
দুধের প্রায় সমান পুষ্টি
সজনে পাতায় যদি তুলনা করেন কোনো খাবারের সাথে, তাহলে আমরা সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি খাবারের সাথে তুলনা করতে পারি। সেটি হচ্ছে গরুর দুধ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গরুর দুধের পুষ্টি এবং সজনে পাতার পুষ্টি অলমোস্ট কাছাকাছি। গরুর দুধ আমরা খাই মূলত ক্যালসিয়ামের জন্য, প্রোটিনের জন্য, আমিষের জন্য। গরুর দুধ খেয়ে আমরা বলি, এটা একটা সুষম খাবার।
গরুর দুধ এবং সজনে পাতার মধ্যে পুষ্টিগত কোনো পার্থক্য নাই। গরুর দুধে যা আছে, সজনে পাতাতেও তা আছে। যে লক্ষ্যে আমরা মূলত গরুর দুধ খাই, সে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম আছে সজনে পাতায়। পর্যাপ্ত আমিষও আছে।
ঔষধি গুণ
সজনে পাতার কিছু ঔষধি গুণ আছে এবং ঔষধি গুণের কারণে আর্থ্রাইটিস নিরাময়ে এটি দারুণ কার্যকর। ইতোমধ্যেই আমরা এক্সপেরিমেন্ট করেছি। যাদের হাঁটু ব্যথা আছে, সজনে পাতার জুস খান। সজনে পাতার ভর্তা খান অথবা গুঁড়া খান। ছয় মাস খান। দেখেন আপনার আর্থ্রাইটিসের কী অবস্থা হয়।
শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে সজনে পাতা। আমরা জানি যে, আমাদের শরীরে ৭০ থেকে ১০০ ট্রিলিয়ন সেল বা কোষ আছে। প্রত্যেকটা কোষের ভেতরে লক্ষাধিক রিঅ্যাকশন হয় প্রত্যেক দিন; প্রতি মুহূর্তে এবং এই লক্ষাধিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, বিক্রিয়া হতে গিয়ে ভয়াবহ কিছু টক্সিন, কিছু বিষাণু, কিছু ক্ষতিকর পদার্থ সেলের ভেতরে তৈরি হয়।
এই বর্জ্য পদার্থকে বের করার জন্য আপনি সজনে পাতা খেতে পারেন। এটা দারুণ একটা ডিটক্স হিসেবে কাজ করতে পারে। সাত দিন, ১৫ দিন আপনি একটা বিশেষ প্রোগ্রাম ফলো করবেন, বিশেষ খাবার খাবেন, আপনার শরীরে জমানো বর্জ্য পদার্থগুলো বেরিয়ে যাবে।
সজনে পাতার পুষ্টিগুণ
প্রতি গ্রাম সজনে পাতায় একটি কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি, দুধের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও দুই গুণ বেশি প্রোটিন, গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন এ এবং কলার চেয়ে তিন গুণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান। ফলে এটি অন্ধত্ব, রক্তস্বল্পতা সহ বিভিন্ন ভিটামিন ঘাটতি জনিত রোগের বিরুদ্ধে বিশেষ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।
- সজনে ডাঁটার যেমন রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ, তেমনি এর পাতা থেকেও পাওয়া যায় শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদান। সজনে পাতা ভর্তা কিংবা ভাজি খেতেও খুব সুস্বাদু। জেনে নিন সজনে পাতা থেকে কী কী পুষ্টি পাওয়া যায়।
- প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় সজনে পাতা থেকে। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ত্বক ভালো রাখে।
- ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের চমৎকার উৎস সজনে পাতা। ফলে এটি হাড় ও দাঁত ভালো রাখে। পাশাপাশি দূরে রাখে বিভিন্ন রোগ থেকে।
- ভিটামিন এ পাওয়া যায় এই পাতা থেকে।
- সজনে পাতায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ভালো রাখে হার্ট।
ডাটা সবজির উপকারিতা
ডাঁটাশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড; যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই শাকে থাকা ভিটামিনগুলো প্রতিদিনের পুষ্টি জোগায়, ত্বক ও চুলের ক্ষয় রোধ করে, মুখের ভেতরের নরম অংশগুলোকে রক্ষা করে। এ ছাড়া এই শাকে থাকা ভিটামিন এ চোখের পুষ্টি জোগায়, রাতকানা রোগ দূর করতে ভূমিকা রাখে।
লেখকের শেষকথাঃ
বন্ধুরা এতক্ষনে জেনে গেছেন সজনে ডাটার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে। সজনে ডাটা এবং এর শাক আমাদের জন্য অন্ত্যান্ত উপকারি। আমরা প্রায় প্রতিনিয়ত এই ডাটার গুণাগুণ ও উপকারিতার কথা না জেনেই খেয়ে থাকি। এখন জানা হলো বাড়িতে গাছ লাগিয়ে নিয়মিত খেতে থাকেন। গ্রীস্মকালে বাজারে এই ডাটা অল্প দামে পাওয়া যায়। সবজি হিসেবে ডাটা ও শাক খান, ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url