২০২৪ সালের ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি কী ঈদুল আজহার তারিখ নিয়ে চিন্তিত ? হ্যাঁ বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি তাহলে আপনার জন্যই। আজ আপনাদের জানাবো ২০২৪ সালে ঈদুল আজহা কত তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
এখানে জানতে পারবেন, ঈদুল আজহা বা কোরবানীর ঈদ পাললের সঠিত নিয়ম। ঈদুল আজহার অন্যান্য আমল সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পারবেন।
সূচীপত্রঃ
২০২৪ সালে ঈদুল আজহা কত তারিখে
কোরবানীর ঈদ ২০২৪
হিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সমূহ
হিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখের রোজার ফজিলত
কোরবানীর পশু কেমন হওয়া উচিৎ
একটি পশুতে কয়জন কোরবানী দিতে পারবেন
কোন ধরণের পশু কোরবানী করা যাবে না
২৪ সালে কোরবানীর ঈদে সরকারি ছুটি মিলবে কয় দিন ?
লেখকের শেষকথাঃ
২০২৪ সালে ঈদুল আজহা কত তারিখে
এবার (২০২৪ সালে) ১০ই জিলহজ বা কোরবানির ঈদ হতে পারে জুন মাসের ১৭ তারিখ। সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী জুন মাসের ১৬ তারিখে দেশটিতে কোরবানির ঈদ পালিত হবে। বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাত এই সকল দেশের পরের দিন কোরবানির ঈদ পালন করা হয়।
বাংলাদেশে কোরবানীর ঈদ ২০২৪ /
বাংলাদেশে কুরবানির ঈদ কবে
নিউজ ডেস্ক এপ্রিল ১৬, ২০২৪, ০৯:১৫ পিএমবাংলাদেশে কুরবানির ঈদ কবে
ঢাকাঃ বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হয়েছে গত ১১ এপ্রিল। তার এক দিন আগে ১০ এপ্রিল সৌদি আরবে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের ঠিক দুই মাস ১০ দিন পর ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পালিত হয়।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী এবার (২০২৪ সালে) সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ১৬ জুন। সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদ উদযাপনের পরের দিন বাংলাদেশে ঈদ উদযাপিত হয়।
সেই হিসাবে জুন মাসের ১৭ তারিখ বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ উদযাপন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। তবে বাংলাদেশের কিছু কিছু এলাকায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উৎযাপন করে থাকেন। যেটা একেবারে ঠিক নয়।
হিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সমূহ
আরবি ১২ মাসের মধ্যে জিলহজ্জ মাস অত্যন্ত গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। বিশেষ করে এ মাসের প্রথম ১০ দিন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এ মাসের প্রথম ১০ রাতের কসম খেয়েছেন। ‘শপথ ফজর-কালের এবং ১০ রাতের’। (আল ফাজর : ১-২) মুফাসসিরিনদের মতে, ওই ১০ রাত বলতে জিলহজ্জের প্রথম ১০ দিন উদ্দেশ্য।
তাছাড়া এ মাসের প্রথম ১০ দিন গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, এ মাসে মুসলিম উম্মাহর বিশেষ দু’টি ইবাদত রয়েছে। কোরবানি ও হজ। ৮ জিলহজ্জ থেকে হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু। ৮ তারিখে মিনা গমন দিয়ে ৯ তারিখে আরাফার প্রান্তরে অবস্থান, সূর্যাস্তের পর মাগরিব-ইশা একসাথে আদায় করতঃ মুজদালিফায় রাত্রি যাপন।
১০ তারিখ সকাল হওয়ার পর মিনায় গিয়ে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করে কোরবানি, হলক ও তাওয়াফ। এরপর ১১, ১২ ও সম্ভব হলে ১৩ তারিখ শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করার মাধ্যমে হজের কাজ সম্পন্ন হয়। অন্যদিকে এই মাসের ১০-১২ তারিখ পুরো মুসলিম উম্মাহ পবিত্র ঈদুল আজহা ও কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর সান্নিধ্য লাভ করে থাকে।
এসব কারণে এ মাসের প্রথম দশক অতি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ মাসের প্রথম দশকের আমল বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় আল্লাহ তায়ালার কাছে অধিক পছন্দনীয় ও ফজিলতপূর্ণ। এক হাদিসে রাসূল (সাঃ) এ ১০ দিনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে জিহাদের চেয়েও এ দিনগুলোর আমলকে ফজিলতপূর্ণ বলেছেন।
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী সা: বলেছেন, ‘জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমলই উত্তম নয়।’ তারা জিজ্ঞেস করলেন, জিহাদও কি (উত্তম) নয়? নবী (সাঃ) বললেন, ‘জিহাদও নয়। তবে সে ব্যক্তির কথা ছাড়া যে নিজের জান ও মালের ঝুঁকি নিয়েও জিহাদে যায় ও কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না।’ (সহিহ বুখারি-৯৬৯)
এই দিনগুলোর বিশেষ কিছু আমল-
একঃ
তাকবির ও তাসবিহ পড়াঃ এই দিনগুলোতে তাকবির (আল্লাহু আকবার), তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাসবিহ (সুবহান আল্লাহ) পড়া সুন্নত। হজরত আবদুুল্লাহ ইবনে উমর রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘এ ১০ দিনের নেক আমল করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় ও মহান কোনো আমল নেই। তাই তোমরা এ সময়ে তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) ও তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) বেশি বেশি করে পাঠ করো।’ (মুসনাদে আহমদ-৫৪৪৬)
দুইঃ
দিনে সিয়াম পালন ও রাতে নফল ইবাদতঃ এই দিনগুলোর বিশেষ একটি আমল হলো দিনের বেলায় সিয়াম পালন করা ও রাতের বেলায় যথাসম্ভব নফল ইবাদতে মশগুল থাকা। হাদিস শরিফে রাসূল (সাঃ) এই দিনগুলোর প্রতিটি রোজাকে পুরো বছরের রোজা এবং এ রাতের ইবাদতকে শবেকদরের ইবাদতের সমতুল্য বলেছেন।
আবু বকর ইবনে নাফি আল বাসরি (রাঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত- রাসূল (সাঃ) বলেন, ‘এমন কোনো দিন নেই যে দিনসমূহের ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজ মাসের ১০ দিনের ইবাদত অপেক্ষা অধিক প্রিয়। এর প্রতিটি দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য। এর প্রতিটি রাতের ইবাদত লায়লাতুল কদরের ইবাদতের সমতুল্য।’
(তিরমিজি-৭৫৮, ইবনে মাজাহ-১৭২৮) তাই রাসূল (সাঃ) এই দিনগুলোতে রোজা রাখতেন। মুসাদ্দাদ হুনায়দা ইবনে খালিদ তার স্ত্রী হতে এবং তিনি নবী করিম (সাঃ) এর কোনো এক স্ত্রী থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জিলহজ্জের প্রথম ৯ দিন ও আশুরার দিন রোজা রাখতেন। আর তিনি প্রতি মাসে তিন দিন, মাসের সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন।’ (আবু দাউদ-২৪২৯)
তিনঃ
আরাফার দিনের রোজাঃ এই দশক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার বড় একটি কারণ হলো এই দশকে ইয়াওমে আরাফাহ রয়েছে। যা বছরের গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ দিন। এই দিনের ব্যাপারে হাদিস শরিফে পৃথক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। হজরত কাতাদাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, ‘আরাফার দিনের একটি রোজার দ্বারা পূর্বের ও পরের এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
আশুরার রোজার দ্বারাও পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।’ (তিরমিজি-১৫৭, মুসনাদে আহমদ-২২৫৩৫) তবে আরাফায় অবস্থানকারী হাজীদের জন্য রোজা রাখা মুস্তাহাব নয়। কেননা, মহানবী (সাঃ) আরাফায় অবস্থান করেছিলেন রোজাবিহীন অবস্থায়। এ ছাড়া ভিন্ন এক বর্ণনায় এসেছে, আরাফা তথা ৯ জিলহজ্জ আল্লাহ তায়ালা বছরের অন্যদিনের তুলনায় অধিক সংখ্যক জাহান্নামিকে মুক্তি দেন।
সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব রহ. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘আরাফাহ দিবসের তুলনায় এমন কোনো দিন নেই যেদিন আল্লাহ তায়ালা সর্বাধিক লোককে দোজখের আগুন থেকে মুক্তি দান করেন। আল্লাহ তায়ালা নিকটবর্তী হন, অতঃপর বান্দাদের সম্পর্কে মালায়িকার সামনে গৌরব করেন ও বলেন, তারা কী উদ্দেশে সমবেত হয়েছে (বা তারা কী চায়)?’ (সহিহ মুসলিম-৩১৭৯)
চারঃ
বিশেষ আমল এ ছাড়াও এ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানির পশু জবাই করা পর্যন্ত কোরবানি আদায়কারীর জন্য বিশেষ একটি আমল রয়েছে। তা হলো, উপরোক্ত সময়সীমার মধ্যে নখ, চুল ও শরীরের অবাঞ্ছিত লোম না কাটা। এটি মুস্তাহাব। যে ব্যক্তি এ নিয়ম পালন করবে, হাজীদের সাথে এটুকু সাদৃশ্য গ্রহণ করায় সে সওয়াবের অধিকারী হবে।
হিলহজ মাসের ৯ তারিখের রোজার ফজিলত
জিলহজ্জ মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা সুন্নত। এসব দিনে রোজার বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। হাফসা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, চারটি আমল নবী কারিম (সাঃ) কখনো ছাড়তেন না। আশুরার রোজা, জিলহজ্জের প্রথম দশকের রোজা, প্রতি মাসের তিনদিনের রোজা, ফজরের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ। (সুনানে নাসায়িঃ ২৪১৫)
এই মাসের নবম দিনের রোজা সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আরাফার দিনের (৯ তারিখের) রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে তিনি এর দ্বারা বিগত এক বছর ও আগামী বছরের গুনাহ মাফ করবেন। ( সহিহ মুসলিম: ১১৬২; আবু দাউদ: ২৪২৫)
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, মহান আল্লাহর কাছে জিলহজ্জের ১০ দিনের চেয়ে উত্তম কোনো দিন নেই। (সহিহ ইবনে হিববান: ২৮৪২) তাই এই ১০ দিন বেশি বেশি নেক আমল করার ফজিলত অনেক বেশি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিলহজ্জ মাসে বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। সুন্নতের অনুসরণে প্রথম নয়দিন রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।
কোরবানীর পশু কেমন হওয়া উচিৎ
উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ছাড়া অন্য কোনো পশু কোরবানি করেননি কিংবা অনুমোদনও করেননি। তাই এসব পশু দিয়েই কোরবানি করা সুন্নত। শরিয়তের পরামর্শ হল, হৃষ্টপুষ্ট, বেশি গোশত, নিখুঁত এবং দেখতে সুন্দর পশু কোরবানি করা। কোরবানির পশু সব ধরনের দোষ-ত্রুটিমুক্ত হওয়া চাই।
ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার ক্ষেত্রে কোরবানি করার জন্য শর্ত হলো, বয়স কমপক্ষে এক বছর পূর্ণ হতে হবে। অবশ্য ছয় মাসের ভেড়া যদি মোটাতাজা হয় এবং দেখতে এক বছর বয়সের মতো মনে হয়, তাহলে তা দিয়েই কোরবানি করা যাবে। গরু-মহিষের ক্ষেত্রে শর্ত হলো, দুই বছর পূর্ণ হতে হবে। আর উটের ক্ষেত্রে শর্ত হলো, পাঁচ বছর পূর্ণ হতে হবে। (হিদায়া: ৪/ ১০৩)
একটি পশুতে কয়জন কোরবানী দিতে পারবেন
ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ইত্যাদির ক্ষেত্রে একটি পশু শুধু এক ব্যক্তিই কোরবানি দিতে পারবেন। তাতে একজনের বেশি অংশ নিতে পারবেন না। গরু, মহিষ ও উটে সর্বোচ্চ সাত ব্যক্তি অংশ নিতে পারবেন। এ ব্যাপারে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) হাদিসে বলেছেন, ‘একটি উট ও গরু-মহিষে সাত ব্যক্তি কোরবানির জন্য শরিক হতে পারে।’ (মুসলিম: ১৩১৮)
কোন ধরণের পশু কোরবানী করা যাবে না
খুঁতবিশিষ্ট যে সব প্রাণিতে কুরবানি বৈধ নয়- সুন্নাহর আলোকে ইসলামী স্কলারগণ তা নির্ধারণ করেছেন।
যেমন- যে পশু তিন পায়ে চলে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা ভর করতে পারে না এমন খোঁড়া পশুর কুরবানি জায়েজ নয়। এমন রুগ্ন দুর্বল পশু, যা জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না তা দ্বারাও কুরবানি করা জায়েজ নয়।
যে পশুর একটি দাঁতও নেই বা এত বেশি দাঁত পড়ে গেছে যে, ঘাস বা খাদ্য চিবাতে পারে না- এমন পশু দ্বারাও কুরবানি করা জায়েজ নয়। যে পশুর শিং একেবারে গোড়া থেকে ভেঙ্গে গেছে, যে কারণে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে পশুও কুরবানি জায়েজ নয়। তবে যে পশুর অর্ধেক শিং বা কিছু শিং ফেটে বা ভেঙ্গে গেছে বা শিং একেবারে উঠেইনি সে পশু কুরবানি করা জায়েজ আছে।
যে পশুর লেজ বা কোনো কান অর্ধেক বা তারও বেশি কাটা সে পশুর কুরবানি জায়েজ নয়। আর যদি অর্ধেকের বেশি থাকে তাহলে তার কুরবানি জায়েজ আছে। তবে জন্মগতভাবেই যদি কান ছোট হয় তাহলে অসুবিধা নেই।
যে পশুর দুটি চোখই অন্ধ বা এক চোখ পুরো নষ্ট সে পশু কুরবানি করা জায়েজ নয়। গর্ভবতী পশু কুরবানি করা জায়েজ। জবাইয়ের পর যদি বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তাহলে সেটাও জবাই করতে হবে। তবে প্রসবের সময় আসন্ন হলে সে পশু কুরবানি করা মাকরূহ।
কুরবানির নিয়তে ভালো পশু কেনার পর যদি তাতে এমন কোনো দোষ দেখা দেয় যে কারণে কুরবানি জায়েজ হয় না- তাহলে ওই পশুর কুরবানি সহীহ হবে না। এর স্থলে আরেকটি পশু কুরবানি করতে হবে। তবে ক্রেতা গরিব হলে ত্রুটিযুক্ত পশু দ্বারাই কুরবানি করতে পারবেন।
নিশ্চিত অবগতি না থাকলে যদি বিক্রেতা কুরবানির পশুর বয়স পূর্ণ হয়েছে বলে স্বীকার করে আর পশুর শরীরের অবস্থা দেখেও তাই মনে হয় তাহলে বিক্রেতার কথার ওপর নির্ভর করে পশু কেনা এবং তা দ্বারা কুরবানি করা যাবে।
২৪ সালে কোরবানীর ঈদে সরকারি ছুটি মিলবে কয় দিন ?
এবার ঈদুল আজহার সম্ভাব্য ছুটি ১৬-১৮ জুন। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন শুক্র ও শনিবার। সব মিলিয়ে এবারের ঈদে সরকারি চাকরিজীবীরা ছুটি পেতে পারেন কমপক্ষে পাঁচ দিন।
গত বছরের ঈদুল আজহাতেও পাঁচ দিনের ছুটি পেয়েছিলেন কর্মজীবীরা। প্রতিবার ঈদের আগে ছুটি বাড়ানোর জন্য আবেদন করেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এবারও সেই আবেদন করলে এবং তা কার্যকর হলে বাড়তে পারে ছুটির দিন।
আরবি চান্দ্র বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন।
লেখকের শেষকথাঃ
২০২৪ সালে ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে ১৬ বা ১৭ জুন। এটা নির্ধারিত হবে চাঁদ দেখার উপরে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো দেশগুলিতে যেই দিন ঈদ হবে ঠিক তার পরের দিন বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উৎযাপিত হবে। ঈদুল আজহার দিন কোটি কোটি মুসলমান পশু কোরবানীর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তষ্টির অর্জনের করেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url