মেয়েদের রাগ ভাঙ্গানোর উপায় - প্রিয়জনের রাগ ভাঙ্গানোর অভিনব উপায় জানুন

 আপনি কি সংসার জীবনে অশান্তিতে ভূগছেন ? প্রায়িই আপনার প্রিয় মানুষটার সাথে রাগারাগি হয়ে যায় ? এই রাগ কমতে কয়েক দিন বা সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যায় ? তাহলে আজকের পোষ্টটি আপনার জন্যই।

মেয়েদের রাগ ভাঙ্গানোর উপায় - প্রিয়জনের রাগ ভাঙ্গানোর অভিনব উপায় জানুন

কিভাবে আপনার স্ত্রীর বা প্রিয়জনের রাগ ভাঙ্গাবেন তা নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। অনেকের ভাষ্যমতে পৃথিবীতে যত কাজ আছে তার মধ্যে নাকি সব চাইতে কঠিন কাজ হচ্ছে কাউরি রাগ ভাঙ্গানো। আর সেটা যদি হয় মহিলার তাহলে তো কথায় নেই।

সূচীপত্রঃ

বউ এর রাগ ভাঙ্গানোর সহজ উপায়
স্বামীর রাগ ভাঙ্গানোর উপায়
স্ত্রীর রাগ ভাঙ্গানোর সহজ উপায়
বউ এর অভিমান ভাঙ্গাতে করণীয়
প্রিয় মানুষের রাগ ভাঙ্গানোর দোয়
পেমিকের রাগ ভাঙ্গানোর উপায়
লেখকের শেষকথাঃ

বউ এর রাগ ভাঙ্গানোর সহজ উপায়

যদিও এটা অসম্ভব কাজ তাও বলছি। বউ একটি অতিপরিচিত শব্দ। কারো কাছে এটি কষ্টদায়ক, আবার কারো কাছে এটি সুখ শান্তির শব্দ। আপনি চাইলে এটিকে নিজের মতো করে সুখ শান্তির, আবার চাইলে দুঃখের সাগর তৈরি করতে পারেন। সব কষ্ট দুর করার জন্য বউয়ের ভালোবাসাই যেমন যথেষ্ট, তেমনি সব সুখ নিমিষেই পানি করতে বউয়ের জুরি হয় না।

বউ যেমন বন্ধু, তেমনি এক প্রকার বউ আছে যেটি থাকলে শত্রুর প্রয়োজন নেই। উপরের কথা গুলো কেবল মাত্র বিবাহিতরাই বুঝতে পারবে। যারা অবিবাহিত আছেন, তাদের কাছে কথা গুলি শুধু শুধুই মনে হবে। অবিবাহিতদের কাছে বউয়ের সজ্ঞা অন্য। যেটি বিবাহিতরা প্রায়ই ভূলে গেছেন।

১) রাগের সময় শান্ত থাকুন

সবচাইতে প্রথম উপায় হচ্ছে নিজেকে শান্ত রাখা। স্ত্রী যখন খিটমিট করবে তখন আপনি যদি উত্তেজিত হয়ে পড়েন, তাহলে সম্পর্ক নষ্ট হতে সময় লাগবে না। মাথা ঠাণ্ডা রাখুন, বোঝার চেষ্টা করুন যে তিনি কেন রেগে যাচ্ছেন। আপনি শান্ত থাকলে সেও ধীরে ধীর শান্ত হয়ে যাবে।

২) তাকে খুশি করার চেষ্টা করুন

মানুষ অকারণে খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যায় না, প্রচণ্ড মানসিক অশান্তি থেকে এটা হয়। তাই স্ত্রী যখন রেগে যাবে তখন চেষ্টা করুন তাকে খুশি করার। সারপ্রাইজ দিন, ওই সময় হাসুন, হাসির কথা বলুন। দেখবেন, রেগে যাওয়া থেমে যাবে এবং সেও হাসতে শুরু করবে।

৩) তার রেগে যাওয়াটা প্রশংসা করুন

স্ত্রী যখন কোন কারণে খিটখিটে ও রেগে যাবে তখন তার রাগ হওয়ার প্রশংসা করুন। রেগে গেলে তাকে খুব সুন্দর দেখায় সেটি বলুন। তার রাগ হওয়া আপনি খুব পছন্দ করেন সেটাও বলতে থাকুন। দেখবেন নিমিষেই রাগ ভেঙে যাবে।

৪) রাগ হওয়ার সময় ভালোবাসা দেখান

ভালোবাসা এমন একটি জিনিস, যা যে কোন মানুষের মন নরম করতে বাধ্য। সঙ্গী যখন খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যাবে ঠিক তখনি আপনি বাড়তি ভালোবাসা দিয়ে অভাবটা পূরণ করে দিন। রাগ থাকবে না।

৫) ধৈর্য রাখুন

আপনার স্ত্রী যখন রেগে যাবে তখন ধৈর্য ধরে শুনতে থাকুন। কেননা তার রেগে যাওয়ার সময় আপনি রাগ দেখালে সেটি আরও বড় পর্যায়ে যেতে পারে। তাই স্ত্রী রেগে গিয়ে যা যা বলছে তা নিরবে শুনুন।

৬) নিজের দোষ স্বীকার করুন

আপনার কোন ভুলের জন্য স্ত্রী রেগে গেছে। ঠিক এ সময় আন্তরিকতার সঙ্গে দোষ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করুন। দেখবেন স্ত্রী রাগ করেছে ঠিকই কিন্তু এই রাগ বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকবে না। দ্রুত সেই রাগ চলে যাবে।

স্বামীর রাগ ভাঙ্গানোর উপায়

কথায় বলে সংসার সুখে হয় রমণীর গুণে। সংসারে অনেক সমস্যা হতে পারে। তবে মিলেমিশে থাকাই হচ্ছে বড় কথা। আপনার স্বামী হয়তো আপনার মনের মতো। তবে রাগ বেশি। একটুতেই রেগে গিয়ে বাড়াবাড়ি করে ফেলেন, কখনোবা এটা-সেটা আছড়ে ফেলেন। আর এই রাগী মানুষটার সঙ্গেই গড়ে উঠেছে আপনার সংসার।

স্বামীর এমন রাগ নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তবে তিনি ভীষণ রাগী। রাগ না থাকলে হয়তো ভালোই হতো। মনে মনে এমন প্রত্যাশা অনেক স্ত্রী করে থাকেন। জেনে রাখা ভালো রাগ কোনো সমস্যা নয়। হতে হবে কৌশলী।

শান্ত থাকুন

স্বামী অতিরিক্ত রেগে গেলে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। দুজনেই চিৎকার শুরু করলে সমস্যা বাড়বে। তার রাগ প্রশমিত হতে দিন,পরে ঠাণ্ডা মাথায় রাগের কারণটা নিয়ে আলোচনা করুন। সব সমস্যায় নিজেকে মানিয়ে নিয়ে জীবনে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন, দুজনেই কোন সময় উত্তেজীত হওয়া যাবে না।

ধৈর্য ধরে কথা শোনা

কেউ কোনো কথা বললে তা ধৈর্য ধরে শোনার অভ্যাস করুন। প্রথমে শুনুন, এর পর ভালোভাবে বুঝে উত্তর দিন। তবে সব সময় সোজা ও স্বাভাবিক ভাবে উত্তর দিবেন। যদি মনে হয় উত্তর দিলে আরো উত্তেজীত হতে পারে তবে চুপ থাকুন। জানি এই সময় ধৈর্য সহকারে কথা শোনা খুব কঠিন, কিন্তু সংসারের কথা বেভে ধৈর্য ধরুন।

রাগের মাথায় সিদ্ধান্ত নয়

রাগের মাথায় কখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। কারণ রাগের মাথায় সিদ্ধান্ত আপনার বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। সবসময় মাথা ঠাণ্ডা করে সিদ্ধান্ত নিন। যারাই রাগের মাথায় সিদ্ধান্ত নেয়, তারা সব সময় পরে আফসোস করে। যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কয়েক বার ভাবুন, প্রয়োজন হলে নিকটতম কাউরি সাথে পরামর্শ করতে পারেন।

দোষারোপ

মাথা গরম হলে আপনার স্বামী আপনাকে দোষারোপ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। চুপচাপ সমস্ত দোষারোপ মেনে নেবেন না। পরিস্থিতি একটু শান্ত হলে বোঝান, তার রাগের সব দায় আপনার নয় এবং সাংসারিক সমস্ত ত্রুটিবিচ্যুতির দায়ও আপনি একাই নেবেন না। যখন একেবারে রাগ কমে যাবে তখনই কেবল তার ভূলগুলো ধরিয়ে দিন।

আলোচনা

সবরকম আলাপ আলোচনা, বোঝানোর চেষ্টা ব্যর্থ হলে পেশাদার কাউন্সেলিং ছাড়া উপায় নেই। আর উনি যদি থেরাপির সাহায্য নিতে সম্মত না হন, তা হলে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনাকেই ভাবনাচিন্তা শুরু করতে হবে। অনেক সময় নিজের ভূল নিজে ধরতে পারেনা। এই জন্য ঠান্ডা মাথায় আলোচনা করুন।

ঘুরে আসুন

রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘোরাঘুরি বেশ ভালো একটি মাধ্যম। রাগ হোক আর মন খারাপ হোক- ঘুরতে যান প্রিয় কোনো জায়গায়। হারিয়ে যান প্রকৃতির মাঝে। দেখুন, রাগ কমবে মনও ভালো থাকবে। আর সংসারের অশান্তি থেকে একটু দূরে থাকা যাবে। যদি দেখেন আপনার স্বামী বেশ রেগে আছে তাহলে একটু তার থেকে দূরে থাকার জন্য ঘুরে আসুন।

স্ত্রীর রাগ ভাঙ্গানোর সহজ উপায়

রাগ দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ডেকে আনে। দাম্পত্য জীবনে সবচেয়ে কাছের বন্ধু হচ্ছে স্ত্রী। সুখ-দুঃখের কথা সবই তার সঙ্গে ভাগাভাগি করা হয়। কিন্তু স্ত্রী যখন রেগে যায় তখন আপনার নিজেকেই অসহায় মনে হবে। তাই স্ত্রী রাগ হওয়ার সময় নিজে নিয়ন্ত্রণে থাকুন এবং কিছু উপায়ে তার রাগ কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনুন।

রাগের সময় শান্ত থাকুন

সবচাইতে প্রথম উপায় হচ্ছে নিজেকে শান্ত রাখা। স্ত্রী যখন খিটমিট করবে তখন আপনি যদি উত্তেজিত হয়ে পড়েন, তাহলে সম্পর্ক নষ্ট হতে সময় লাগবে না। মাথা ঠাণ্ডা রাখুন, বোঝার চেষ্টা করুন যে তিনি কেন রেগে যাচ্ছেন। আপনি শান্ত থাকলে সেও ধীরে ধীর শান্ত হয়ে যাবে।

তাকে খুশি করার চেষ্টা করুন

মানুষ অকারণে খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যায় না, প্রচণ্ড মানসিক অশান্তি থেকে এটা হয়। তাই স্ত্রী যখন রেগে যাবে তখন চেষ্টা করুন তাকে খুশি করার। সারপ্রাইজ দিন, ওই সময় হাসুন, হাসির কথা বলুন। দেখবেন, রেগে যাওয়া থেমে যাবে এবং সেও হাসতে শুরু করবে।

তার রেগে যাওয়াটা প্রশংসা করুন

স্ত্রী যখন কোন কারণে খিটখিটে ও রেগে যাবে তখন তার রাগ হওয়ার প্রশংসা করুন। রেগে গেলে তাকে খুব সুন্দর দেখায় সেটি বলুন। তার রাগ হওয়া আপনি খুব পছন্দ করেন সেটাও বলতে থাকুন। দেখবেন নিমিষেই রাগ ভেঙে যাবে।

রাগ হওয়ার সময় ভালোবাসা দেখান

ভালোবাসা এমন একটি জিনিস, যা যে কোন মানুষের মন নরম করে দিতে পারে। সঙ্গী যখন খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যাবে ঠিক তখনি আপনি বাড়তি ভালোবাসা দিয়ে অভাবটা পূরণ করে দিন। রাগ থাকবে না।

ধৈর্য রাখুন

আপনার স্ত্রী যখন রেগে যাবে তখন ধৈর্য ধরে শুনতে থাকুন। কেননা তার রেগে যাওয়ার সময় আপনি রাগ দেখালে সেটি আরও বড় পর্যায়ে যেতে পারে। তাই স্ত্রী রেগে গিয়ে যা যা বলছে তা নিরবে শুনুন।

নিজের দোষ স্বীকার করুন

আপনার কোন ভুলের জন্য স্ত্রী রেগে গেছে। ঠিক এ সময় আন্তরিকতার সঙ্গে দোষ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করুন। দেখবেন স্ত্রী রাগ করেছে ঠিকই কিন্তু এই রাগ বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকবে না। দ্রুত সেই রাগ চলে যাবে।

বউ এর অভিমান ভাঙ্গাতে করণীয়

মেয়ে মানুষ যেমনতর কঠিন ভাবে জানে ভালবাসতে ঠিক তেমনি কষ্ট পেলে নরক নামিয়ে আনে এটাই স্বাভাবিক।খুব জলদি তারা আপনাকে টের পাইয়ে দেবে মেয়েদের রাগানো বা কষ্ট দিয়ে কাঁদালে যে ক্ষতি আপনারই! আপনার বউ এর রাগ অনেক ধরনের হতে পারে যেমন মনমালিন্য ধরণের রাগ,ভিষম রাগ আবার অতিরিক্ত মাপের রাগ।

  • ঠান্ডা মাথায় তাকে মানাতে চেষ্টা করুন।
  • কোন মতেই রেগে বা উচ্চ স্বরে কথা বলতে যাবেন না সেই সময়।
  • তার সাথে কথা বলুন সব সময় সামনাসামনি কথা বলার চেষ্টা করবেন যদিও একটু সাতপাঁচ করবে কিন্তু সেটা স্থায়ী হবে না।
  • কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে গেলেও সে আপনার থেকে আরো বেশি কিছু আশা করবে চাইবে আপনি তাকে আরো মানান। এটা না করলে তার রাগ আবার ঊঠতে পারে
আর যদি আপনার সাথে ভিষম রাগ করে থাকে তাহলে-
  • সবচেয়ে ভাল হয় যদি তাকে আপনি সময় দেন রাগ কমানোর।
  • নিজে যদি ভুল করেন তাহলে তা অকপটে স্বীকার করুন।
  • হতে পারে সে আপনার সাথে ২/৩ ঘণ্টা কথা বলবে না, কিন্তু আপনি বড়জোর তার সাথে ২ ঘণ্টা এর বেশি কোন মতেই কথা না করে থাকবেন না।

প্রিয় মানুষের রাগ ভাঙ্গানোর দোয়

দুনিয়াতে রাগ শয়তানের কাজ। শয়তানের আক্রমণে তা আরও বেড়ে যায়। এ রাগ থেকে বেঁচে থাকতে বিশ্বনবি (সাঃ) ছোট্ট একটি বাক্য পড়ার নসিহত পেশ করেছেন। যা মানুষের রাগকে মুহূর্তের মধ্য কমিয়ে দেয়। হাদিসে এসেছে-

হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রাঃ) বর্ণনা করেন রাসুলাল্লাহ (সাঃ) এর সামনে দুই ব্যক্তি একজন অপরজনকে গালি দিতে লাগলো। তাদের একজন এত অধিক রাগান্বিত হলো যে, মনে হচ্ছিলে, রাগের প্রচণ্ডতায় তার নাক ফেটে যাবে। রাসুলাল্লাহ (সাঃ) বললেন- আমি এমন একটি বাক্য জানি, যা বললে রাগের প্রতিক্রিয়া চলে যাবে। তখন মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসুল ! তা কি ?

তিনি বললেন, ‘সে বলবে-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

উচ্চারণঃ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাশ শায়ত্বানির রাঝিম।’

অর্থঃ ‘হে আল্লাহ ! আমি আপনার কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই।’

তখন মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে তা পড়ার তাগিদ দিতে থাকলেন। কিন্তু সে তা পড়তে সম্মত হলো না আর ঝগড়া করতে থাকলো এবং তার রাগ আরও বেড়ে গেলো।

রাগমুক্ত জীবন-যাপনে মানুষ দুনিয়া ও পরকালের সব কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারে। আর তা হয় মানুষের জন্য সহজ। সুতরাং মানুষের উচিত রাগ পরিহার করা। অতিরিক্ত রাগে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে হাদিসের উপর আমল করে ছোট্ট এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শয়তানের কুমন্ত্রণায় রাগ করা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

প্রেমিকের রাগ ভাঙ্গানোর উপায়

কিছু না করেঃ প্রেমিকার রাগ ভাঙানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, তাঁকে সময় দিন, স্পেস দিন। সাধারণত ঝগড়া লাগলেই আমরা তড়িঘড়ি করে সেই ঝগড়া ঠিক করতে চাই, যুক্তিতর্ক জড়ো করে আরও বেশি কথা বলতে চাই। অথচ কয়েক ঘণ্টা বা দুই–এক দিন সময় দিলে কিন্তু রাগটা আপনা-আপনিই চলে যাবে।

মিম বা গান পাঠানঃ রাগারাগির সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কে আগে নক করবে হোয়আটসঅ্যাপে! সাধারণত এ রকম সময়ে স্বাভাবিক কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যায়। আপনি মজার একটা মিম বা পছন্দের একটা গান পাঠাতে পারেন। এতে রাগ উবে গিয়ে আপনার প্রেমিকার মুখে হাসি ফোটার সম্ভাবনা অনেকখানি।

উপহার পাঠানঃ আজকাল বিভিন্ন পেজে রাগ ভাঙানো প্যাকেজ পাওয়া যায়। বিভিন্ন দামের উপহারের ডালা পাওয়া যায়। এর সঙ্গে একটা ‘সরি’ চিরকুট জুড়ে দিলে সোনায় সোহাগা। আবার চাইলে কিছু চকলেটও গিফট করতে পারেন। উপহারটা বড় কথা নয়, আপনি যে তাঁকে ভালোবাসেন, এটা বোঝানোই বড় ব্যাপার।

হাজির হয়ে যেতে পারেন বাসার সামনেঃ কিছুটা ‘সিনেম্যাটিক’ মনে হলেও এটা কাজ করে। যত ঝগড়াই হোক, যত রাগের বরফই থাকুক, আপনি যখন সশরীর তাঁর বাসার সামনে চলে যাবেন, তখন সেই বরফ গলতে বাধ্য।

চিঠি লিখুনঃ আধুনিকতা যতই আসুক, একটা প্রেমপত্রের ওজন এখনো অনেক বেশি। চিঠি পেয়েও রাগ করে থাকবে, এমন প্রেমিকা আছে নাকি ? হতে পারে সেটা হোয়আটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারের চিঠি, হতে পারে কাগজের চিঠি। তর্কাতর্কি হওয়ার ভয় থাকে না। তাই আত্মপক্ষ সমর্থন করে গুছিয়ে লিখে ফেলুন।

লেখকের শেষকথাঃ

সংসার জীবনে একসাথে থাকতে গেলে রাগ, অভিমান, ঝগড়া, বিবাদ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সব সময় একটা কথা মনে রাখবেন, একজন রাগ করলে অপর জন চুপ থাকবেন। কখনোই রাগ দিয়ে রাগ দমাতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরিত হতে পারে। সংসার টিকাতে হলে ধৈর্য ধরুন।

হ্যাঁ সেই সময়টা ধৈর্য ধরা অনেক কঠিন জানি। নিজেকে অসহায় মনে হবে, মনে হতে পারে আমার জীবনটা এমন হয়ে গেল কেন ? এভাবে বেচে থেকে কি লাভ, যদি শান্তি না থাকে জীবনে এমনটিও মনে হতে পারে। এগুলোকে পাত্তা দিবেন না। উপরে বর্ণিত পন্থাগুলো অবলম্বণ করুন। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪