যে আমলের মাধ্যমে রিজিক বাড়ে - রিজিক বৃদ্ধির আমল সম্পর্কে জেনে নিন
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার এবাদত-বন্দেগী করার জন্য। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন, তোমরা আমার এবাদত করো, এবং এবাদত শেষে রিজিকের সন্ধানে জমিনে বের হয়ে যাও।
কী কী আমলের মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি পায় এবং আয় রোজগারে বরকত আসে তা কি আপনি জানেন ? তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্যই। এখানে জানতে পারবেন কোন কোন আমলের মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি পায়।
সূচীপত্রঃ
তওবা-ইস্তিগফার করা
পরহেজগারি অবলম্বন এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা
হজ-ওমরাহ পালন করা
হিজরত করা এবং জিহাদে অংশ নেওয়া
সময়মতো নামাজ আদায় এবং ইবাদতের জন্য নিজেকে মুক্ত করা
আত্নীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা
আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় এবং দান-সদকা করা
শোকর আদায় বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা
বিয়ে করা
গরিব-অসহায়ের প্রতি সদয় হওয়া
আল্লহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা
রিজিক অর্জনের চেষ্টায় থাকা
লেখকের শেষকথাঃ
তওবা-ইস্তিগফার করা
তাওবা এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে- অনুতপ্ত হওয়া, ফিরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা। আর পারিভাষিকভাবে গুনাহ করার পর অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করা ও উক্ত গুনাহের কাজ বর্জন ও তা পূণরায় না করার দৃঢ় অঙ্গিকার করাকে তাওবা বলে। অপরদিকে ইস্তিগফার মানে হলো ক্ষমা প্রার্থনা করা। তওবা ও ইস্তিগফার আল্লাহ তাআলার অতি পছন্দের একটি ইবাদত।
এ সম্পর্কে বুখারি শরীফের এক হাদিসে এসেছে রাসূল (সাঃ) বলেনঃ যদি কোন পথচারী মরুভূমির মধ্যে নির্জন স্থানে উট বেধে রেখে ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার উট, ও গচ্ছিত খাবার-দাবার উধাও হয়ে গেছে। মৃত্যুর প্রহর গুনতে গুনতে আবার ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুম থেকে উঠে দেখে তার হারানো উট ফিরে এসেছে এবং তার খাবার দাবার ও তার কাধে রয়েছে। এটা দেখে সে যত খুশি হয় আল্লাহ তায়ালা কোন বান্দার তাওবাতে তার চেয়ে অনেক বেশী গুণে খুশি হন।
ইস্তেগফার কিংবা তাওবার মাধ্যমে যে মুমিন কেবল তার স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন করে তা নয় বরং এর মাধ্যমে রিজিকও বৃদ্ধি হয়! পবিত্র কুরআন মাজিদে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন ‘অতঃপর বলেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অবিরাম বৃষ্টিধারা প্রেরণ করবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান তৈরি করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদী-নালা প্রবাহিত করবেন।’ (সুরা নুহ: ১০-১২)
এই আয়াতে বৃষ্টি, সন্তান-সন্তুতি, নদী-নালা ও বাগান ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে, যা রিযিক পাবার মাধ্যম। আমরা সবাই প্রতিদিন অনেক গুণাহ করে ফেলি। অতএব আমাদের উচিত বেশি বেশি করে ইস্তেগফার করা, প্রতিদিন তওবা করা। আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) দিনে ১ শতবারের অধিক তওবা করতেন। কিন্তু আমরা আজ তাওবার মাঝেও অবহেলা করি প্রতিনিয়ত।
আমাদের ধ্যান-ধারণায় মিশে আছে তাওয়া কিংবা ইস্তেগফার শুধু হাত তুলে মুখে কিছু দোয়া-দুরুদ পড়লেই বুঝি তা হয়ে যায়। কিন্তু আসলে তা নয় বরং এটি অন্তরের সাথে সম্পর্কিত বিষয়। তওবার জন্য মুমিনের করণীয় হলো, স্বীয় কৃতকর্মের প্রতি লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া, সেই অপরাধ আর না করার দৃঢ় প্রত্যয় ও সংকল্প গ্রহণ করা এবং নেক আমলের প্রতি বেশিমাত্রায় মনোযোগী হওয়া। এভাবে যদি আমরা আমাদের তাওবা ও ইস্তেগফারকে যথাযথভাবে পালন করতে পারি তবে অবশ্যই আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রিজকি বৃদ্ধি করবেনই।
পরহেজগারি অবলম্বন করা এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা
যেসব আমলে রিজিকে প্রবৃদ্ধি ঘটে, তার মধ্যে তাকওয়া-পরহেজগারি অবলম্বন করা এবং তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা অন্যতম। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আর যে আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করবে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ বের করে দেবেন এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দান করবেন, যার কল্পনাও সে করতে পারবে না ।’ (সুরা সাদ, আয়াত: ৩৫)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথার্থভাবে ভরসা রাখো, তিনি তোমাদের সেভাবে রিজিক দান করবেন, যেভাবে তিনি পাখিদের দান করে থাকেন। পাখিরা সকালে ক্ষুধার্ত অবস্থায় (খালি পেটে) বাসা থেকে বের হয় এবং সন্ধ্যায় উদর পূর্ণ করে বাসায় ফিরে আসে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২,৩৪৪; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪,১৬৪)
হজ-ওমরাহ পালন করা
বারবার হজ ও ওমরাহ পালন করার দ্বারা রিজিকে প্রবৃদ্ধি ঘটে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)–র বিবরণে আছে যে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা লাগাতার হজ ও ওমরাহ পালন করতে থাকো। কারণ, এর দ্বারা এমনভাবে অভাব ও গুনাহ দূরীভূত হয়, যেমন ভাবে কামারের হাপর লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা দূর করে দেয়।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৮১০; নাসায়ি, হাদিস: ২,৬৩১)
হিজরত করা এবং জিহাদে অংশ নেওয়া
আল্লাহ–তাআলার রাস্তায় হিজরত করা ও জিহাদে অংশগ্রহণ করার দ্বারা রিজিকে বরকত হয়। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আর যে ব্যক্তি আল্লাহ–তাআলার রাস্তায় হিজরত করবে; সে ব্যক্তি জমিনে বহু আশ্রয়স্থল ও সচ্ছলতা পাবে ।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১০০)
ইবনে উমর (রাঃ) এর বর্ণনায় আছে যে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘আমার বর্শার ছায়াতলে আমার রিজিক রাখা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৫,৬৬৭; বায়হাকি, হাদিস: ১,১৫৪)
সময়মতো নামাজ আদায় করা এবং ইবাদতের জন্য নিজেকে মুক্ত করা
সময়মতো দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে রিজিক বাড়ে। নামাজ আদায় করার ফাঁকে ফাঁকে কাজ ও ব্যবসা–বাণিজ্য করতে হবে; কাজ ও ব্যবসা–বাণিজ্য করার ফাঁকে ফাঁকে নামাজ নয়। একই সঙ্গে আল্লাহ–তাআলার ইবাদত পালনে নিজেকে ঝামেলামুক্ত করতে হবে। আল্লাহ–তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আর আপনি পরিবার-পরিজনকে নামাজ আদায়ের আদেশ দিন এবং নিজেও তার ওপর অটল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো রিজিক চাই না। আমিই আপনাকে রিজিক দিই। আর মুত্তাকিদের জন্যই শুভ পরিণাম।’ (সুরা ত্বহা, আয়াত: ১৩২)
আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ–তাআলা বলেন, ‘হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতের জন্য তুমি তোমার অন্তরকে খালি করো। আমি তোমার অন্তরকে অভাবমুক্ত হিসেবে পরিপূর্ণ করে দেব এবং তোমার দরিদ্র্যের পথ দূর করে দেব। আর যদি তা না করো; আমি তোমার হাত (দুনিয়ার) ব্যস্ততায় পূর্ণ করে দেবো এবং তোমার অভাব মেটাব না।’ (তিরমিজি, হাদিস–২,৪৬৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪,১০৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৮,৬৯৬)
আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা
রিজিক বৃদ্ধির অন্যতম আরেকটি আমল হচ্ছে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা। আত্মীয়ের সঙ্গে সদাচরণ করতে এবং তাঁদের হক যথাযথভাবে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ–তাআলা। (সুরা নিসা, আয়াত: ৩৬; সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ২৬) আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে আমি বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কামনা করে তার রিজিক প্রশস্ত করে দেওয়া হোক এবং আয়ু দীর্ঘ করা হোক—সে যেন তার আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে।’ (বুখারি, হাদিস: ৫,৯৮৫; মুসলিম, হাদিস: ৪,৬৩৯)
আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় এবং দান-সদকা করা
দান-সদকা করার মাধ্যমে রিজিক বাড়ে। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় করো; তিনি তার বিনিময় দেবেন। তিনিই উত্তম রিজিকদাতা।’ (সুরা সাবা, আয়াত: ৩৯) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিদিন সকালে দুজন ফেরেশতা অবতরণ করে। তাদের একজন বলে, হে আল্লাহ! দানকারীকে তার দানের জন্য উত্তম প্রতিদান দিন। অপরজন বলে, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস করে দিন।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৪৪২, মুসলিম, হাদিস: ১,০১০)
শোকর আদায় বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা
যেসব কাজকর্ম বা আমলে রিজিক বাড়ে, তার মধ্যে অন্যতম হলো আল্লাহ–তাআলা যেসব নিয়ামত দান করেছেন, তার শোকর আদায় করা বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। কারণ, শোকর আদায় করার দ্বারা নিয়ামত বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘যদি তোমরা শোকর আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের (নিয়ামত) বাড়িয়ে দেব। আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আজাব বড় কঠিন।’ (সুরা ইব্রাহিম, আয়াত: ৭)
বিয়ে করা
আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত এবং তোমাদের দাস–দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদের বিয়ে করিয়ে দাও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, আল্লাহ–তাআলা নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দেবেন। কারণ, আল্লাহ–তাআলা প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নূর, আয়াত: ৩২) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষকে সাহায্য করাকে আল্লাহ–তাআলা নিজ দায়িত্ব হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। তিন শ্রেণির অন্যতম হলো, বিয়ে করতে আগ্রহী সেই ব্যক্তি, যিনি বিয়ে করে পবিত্র জীবন যাপন করতে ইচ্ছুক।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১,৬৫৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২,৫১৮)
গরিব-অসহায়ের প্রতি সদয় হওয়া
যেসব কাজকর্ম বা আমলে রিজিক বাড়ে, তার অন্যতম হলো গরিব-অসহায় মানুষের প্রতি সদয় হওয়া। রাস্তাঘাটে গরিব-অসহায় মানুষকে হাত বাড়াতে দেখলেই সবাইকে এক পাল্লায় মেপে খারাপ আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র ইরশাদ করেছেন, ‘তাদের (ধনী লোকদের) সম্পদে প্রার্থী (দরিদ্র) ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত: ১৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে থাকা দুর্বলদের কারণে তোমাদের সাহায্য করা হয় এবং রিজিক প্রদান করা হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ২,৮৯৬)
আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা
যেসব কাজকর্ম বা আমলে রিজিক বাড়ে, এর মধ্যে অন্যতম হলো আল্লাহ–তাআলার কাছে প্রার্থনা করা। কারণ, আমরা এমন এক স্রষ্টার সৃষ্টি, যিনি চাইলে খুশি; না চাইলে অখুশি। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো; আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন, আয়াত: ৬০)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) এর বিবরণে আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অভাবে পতিত হওয়ার পর মানুষের কাছে সোপর্দ করে, অর্থাৎ অভাব দূরীকরণে মানুষের ওপর নির্ভরশীল হয়; তার অভাব মোচন করা হয় না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি অভাবে পতিত হওয়ার পর প্রতিকারের জন্য আল্লাহ–তাআলার ওপর নির্ভরশীল হয় (দোয়া-প্রার্থনা করে) অবিলম্বে অথবা বিলম্বে আল্লাহ–তাআলা তাকে রিজিক দান করেন।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২,৮৯৬ ও ২,৩২৬; মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ৪২১৯)
রিজিক অর্জনের চেষ্টায় থাকা
আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে (জমিনে) ছড়িয়ে পড়ো আর আল্লাহর অনুগ্রহ (রিজিক) সন্ধান করো এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো; যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ১০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি রশি নিয়ে সকালবেলা পাহাড়ের দিকে বের হয়। এরপর লাকড়ি সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে এবং দানও করে। মানুষের কাছে হাত পাতার চেয়ে তার জন্য এটা উত্তম।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৪৮০; মুসলিম, হাদিস: ১,০৪২)
লেখকের শেষকথাঃ
রিজিক বৃদ্ধির জন্য একটি তাসবিহ আমল রয়েছে, যা প্রত্যহ সুবহে সাদিকের সময়ে ১০০ বার পাঠের মাধ্যমে আয়ে বরকত পাওয়া যায়। তাসবিহটি হলো, 'সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম, আস্তাগফিরুল্লাহ। ' রিজিক বৃদ্ধি করতে চাইলে আল্লাহর ইবাদতকে প্রাধান্য দিতে হবে। ব্যস্ততাকে পেছনে ফেলে আল্লাহর ইবাদতে নিজকে সঁপে দিতে হবে।
রিজিকের সন্ধানে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি অথচ এই রিজিকের মালিক একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহর অপর একটি নাম রাজ্জাক, যার অর্থ হলো রিজিকদাতা। ইরশাদ হচ্ছে, নিশ্চয়ই আমার রব তার বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সংকুচিত করেন। আপনার যেটুকু আসে সেই নিয়েই সন্তষ্ট থাকুন এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহর এবাদত ও শুকরিয়া আদায় করুন। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url