সকালে খালি পেটে ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন
ছোট-বড় ছেলে-মেয়ে কম বেশি সবায় ছোলা খেতে পছন্দ করি। কিন্তু আমরা সবায় কি জানি ছোলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ? হ্যাঁ বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিত ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও ছোলা খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আরো জানতে পারবেন নিয়মিত ছোলা খেলে শরীরের কোন কোন উপকার হয়। খালি পেটে সকালে ছোলা খেলে যে অনেক উপকারিতা রয়েছে তা নিচে আলোচনা করা হলো। তাই আসুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
সূচীপত্রঃ
সকালে খালি পেটে ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
সকালে খালি পেটে ছোলা খাওয়ার নিয়ম
কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়
কাঁচা ছোলা খাওয়ার অপকারিতা
কাঁচা ছোলা খাওয়ার পরিমান
সকালে খালি পেটে ছোলা খেলে কি হয়
প্রতিদিন ছোলা খেলে কি হয়
ছোলা আর কিসমিস কি একসাথে খাওয়া যায়?
শেষকথা
সকালে খালি পেটে ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
ছোলা কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারি হিসেবেও খাওয়া যায়। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে এবং খোসা ছাড়িয়ে কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে প্রচুর আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়। আমিষ শক্তি দেয় এবং অ্যান্টিবায়োটিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ভেজানো ছোলায় রয়েছে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবার। যা হজম প্রক্রিয়া ধীর করে দেয় এবং শরীরে শর্করার শোষণ নিয়ন্ত্রণ করে। খালি পেটে কাঁচা ছোলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রাও কমায় এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
ছোলার গুণাগুণ কারোই অজানা নয়। উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হলো ছোলা। এতে রয়েছে ভিটামিন, ফাইবার ও প্রোটিন। ছোলাতে ফ্যাটের পরিমাণ খুব কম। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বেশ উপকারী এটি। সকালটা অনেকেরই শুরু করে আগের রাতের ভেজানো কাঁচা ছোলা খেয়ে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ও উপকারী।
কাঁচা ছোলা ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে। চলেন জেনে নেয়া যাক কাঁচা ছোলার কিছু স্বাস্থ্যগুণ -
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করেঃ
ভেজানো ছোলায় রয়েছে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবার। যা আমাদের হজম প্রক্রিয়া ধীর করে দেয় এবং শরীরে শর্করার শোষণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই রোজ ভেজানো ছোলা খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রাও কমায় এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
ওজন কমায়ঃ
পুষ্টিগুণে ভরপুর ভেজানো ছোলা। প্রোটিন, ফাইবারে পরিপূর্ণ এবং এতে ক্যালোরিও খুব কম। ছোলায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম থাকে। ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার ঝুঁকি থাকে না।
রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করেঃ
ছোলায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ। যা উচ্চ রক্তচাপ এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে। এছাড়া ছোলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলন, স্তন এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়ঃ
আয়রন সমৃদ্ধ কাঁচা ছোলা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে। যারা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন, তাদের জন্য খুব উপকারী কাঁচা ছোলা। এ ছাড়া, গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েরাও খেতে পারেন।
বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় নাঃ
ফাইন লাইনস বা বার্ধক্যের ছাপ কমাতে রোজ কাঁচা ছোলা খান। এতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, যা বার্ধক্য রোধ করতে সাহায্য করে।
চুল ভালো রাখেঃ
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে চাইলে প্রতিদিনের ডায়েটে ভেজানো ছোলা রাখুন। এতে রয়েছে ভিটামিন-এ, বি৬, জিঙ্ক এবং ম্যাঙ্গানিজ। এই সব উপাদানই চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে চুলের অকালপক্কতা রোধ হয়।
সকালে খালি পেটে ছোলা খাওয়ার নিয়ম
ছোলা সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে একটু নরম হয়ে এলে খালি পেটে এক মুঠো ছোলা চিবিয়ে খান। তবে খেয়াল রাখবেন যে, অতিরিক্ত ছোলা খেলে ডায়রিয়া সহ অন্যান্য রোগ হতে পারে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ভেজানো ছোলা খেলে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে বিভিন্ন ভাবে সুরক্ষিত রাখবে।
ছোলা আমাদের দেশের অতি পরিচিত একটি ডাল। যৌনশক্তি বাড়াতে এর অবদান যথেষ্ট। নিয়মিত ছোলা খেলে শারীরিক শক্তি বাড়ে। শ্বাসনালিতে জমে থাকা পুরোনো কাশি বা কফ ভালো হওয়ার জন্য কাজ করে শুকনা ছোলা ভাজা। ছোলা বা বুটের শাকও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ রয়েছে এই ছোলায় ও ছোলার শাকে।
হজমে সহায়কঃ হজমক্রিয়া সহজ করার জন্য আবশ্যক একটি উপাদান হল ভোজ্য আঁশ। আর এই ভোজ্য আঁশের অভাব পুরো বিশ্বব্যাপি একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা। ছোলা সেই ভোজ্য আঁশের ঘাটতি পূরণে অনন্য একটি খাবার।
কোলেস্টেরল কমায়ঃ সুস্থ থাকতে হলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ কোলেস্টেরল বেশি থাকার কারণে দেখা দিতে পারে হৃদরোগ, শারীরিক স্থূলতা, স্ট্রোক ইত্যাদি সহ অনেক দূরারোগ্য ও প্রাণঘাতি রোগ। আর ছোলায় থাকা দ্রবণীয় ভোজ্য আঁশ এখানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ন। অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে ওই ভোজ্য আঁশ, যা পক্ষান্তরে কমায় কোলেস্টেরল।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ আমাদের শরীর এক চমৎকার সৃষ্টি। জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে তা ধ্বংস করতে পারে, মায়ের গর্ভে নতুন মনুষ্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি করে, আশপাশের বিভিন্ন ক্ষতিকর বস্তু থেকে আমাদের সুরক্ষা দেয়, আরও কত কী। আর যখন আমরা ছোলা ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত গ্রহণ করি তখন শরীরের এই সকল প্রক্রিয়া সহযোগিতা পায়।
ছোলা পেটে গিয়ে তৈরি করে ‘বিউটারেট’ নামক ফ্যাটি অ্যাসিড। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ‘ফ্যাটি অ্যাসিড’ মানুষের শরীরের রোগাক্রান্ত ও মৃতপ্রায় কোষ দমন করে যাতে সুস্থ কোষগুলো সুরক্ষিত থাকে। এভাবেই ‘কলোরেক্টাল ক্যান্সার’ দমন করে ছোলা।
হাড় শক্ত করেঃ ছোলায় থাকা ভোজ্য আঁশ, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং তা শক্তিশালী করে তোলে।
কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়
মোটা হওয়ার প্রথম ধাপ হলো পুষ্টিকর ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া। কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায় হ্যাঁ অবশ্যই মোটা হওয়া যায়। কারণ কাঁচা ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। এই কাঁচা ছোলা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে মোটা হতে সহায়তা করে। এই কাচা ছোলা প্রতিদিন সকালে খাওয়া শরীরের জন্য প্রচুর উপকার।
এই কাঁচা ছোলাতে এতটাই ভিটামিন আছে যে এটি খেলে দেহের প্রচুর ক্যালরি আসে। ধরা যায় ৩০ গ্রাম কাঁচা ছোলাতে প্রায়ই ১০০ গ্রাম ক্যালোরি থাকে। এটি যদি আপনারা সকালে খালি পেটে প্রতিদিন খেতে পারেন তবে প্রচুর উপকার পাবেন এবং মোটাও হতে পারবেন। তাই কাঁচা ছোলা খাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ মানব দেহের জন্য।
কাঁচা ছোলা খাওয়ার অপকারিতা
এতক্ষণ আপনারা জানলেন ছোলা খাওয়ার উপকারিতা। এবার আলোচনা করা হবে অতিরিক্ত কাঁচা ছোলা খাওয়ার অপকারিতা। ছোলা খাওয়ার উপকারী দিক সবচেয়ে বেশি কিন্তু কিছু অপকারিতাও রয়েছে। যেমনঃ-
- অতিরিক্ত কাঁচা ছোলা খেলে আপনার ডায়রিয়া বা বদহজম হতে পারে। তাই তাই আপনার শরীরের গঠনঅনুযায়ী পরিমাণ মতো ছোলা খেতে হবে।
- এছাড়াও যাদের হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের ছোলা না খাওয়াই ভালো। কারণ ছোলা খেলে শরীরের রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই যারা হাই প্রেসার এর রোগী তারা অবশ্যই ছোলা খাওয়ার পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। নয়তো আপনারা অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও ছোলা খাওয়া আরো কিছু কিছু ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- এবার আসা যাক রান্না করা ছোলা নিয়ে, রান্না করা ছোলা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু কিন্তু আমরা একটি কথা ভুলে যাই এ রান্না করা ছোলাই রয়েছে অতিরিক্ত তেল ও মসলা। যা খেলে খুব সহজে আমাদের বদহজং ওয়ার্ড আইডিয়া দেখা দিতে পারে। তাই এ জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া ঠিক না। এতে করে উপকারের চাইতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি থাকে।
- কাঁচা ছোলা ভেজে খেতে আমরা সবাই খুব পছন্দ করি। কিন্তু এটা একেবারেই সঠিক নয়। অনেকেরই ওজন বৃদ্ধি পায়, মোটা হয়ে যায় বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা কাঁচা ছোলা খেতে পারেন। কিন্তু কোনোভাবেই কাঁচা ছোলা ভেজে খাওয়া যাবে না।
- যাদের বমির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কাঁচা ছোলা না খাওয়াই ভালো। কারণ কাঁচা ছোলা খাওয়ার ফলে তাদের বমি হতে পারে। এতে করে উপকারের বদলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- তেল, মসলা দিয়ে তৈরি করা ছোলা খেতেও অনেকেই কাছে খুব পছন্দের খাবার। যাকে চানা মসলাও বলা হয়ে থাকে। যাদের ওজন বেশি তারা এ ধরনের ছোলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ অতিরিক্ত তেল মসলা তাদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।
- যাদের হজম শক্তি কম থাকে, তারা কাঁচা ছোলা সহজে হজম করতে পারে না। এছাড়াও যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে। যাদের রক্তের ডায়ালসিস চলছে, যাদের শরীরে কিটেনিন ও ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেশি রয়েছে তারা যেকোনো রকমের ছোলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
কাঁচা ছোলা খাওয়ার পরিমান
কোনো খাবারই অতিরিক্ত গ্রহণ করা শরীরের জন্য ভালো নয়। একজন সুস্থ ব্যক্তি প্রতিদিন ২৫-৩০ গ্রাম ছোলা খেতে পারবেন। বিভিন্ন রোগে আক্রান্তরা কতটুকু ছোলা খেতে পারবেন এ বিষয়ে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
সতর্কতা
- ছোলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। তাই কিডনি জনিত সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ছোলা খাওয়া ক্ষতিকর।
- পেটে ব্যাথা থাকলে ছোলা খাওয়া উচিত নয়।
- কৌটাজাত ছোলা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ কৌটাজাত খাবার থেকে বটুলিজম নামক বিষক্রিয়া হতে পারে।
সকালে খালি পেটে ছোলা খেলে কি হয়
ছোলায় উপস্থিত জটিল কার্বোহাইড্রেট হজমকে ধীর করে তোলে এবং রক্তে চিনির শোষণ নিয়ন্ত্রণ করে। কালো ছোলাতে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমায়। কালো ছোলায় উপস্থিত ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্তন ক্যান্সার এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায়তা করে।
প্রতিদিন ছোলা খেলে কি হয়
- নিয়মিত ছোলা খেলে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। ছোলায় প্রচুর আয়রন আছে। ফলে এটি দেহে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে রক্ত স্বল্পতার সমস্যা প্রতিরোধ করে। ছোলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম অর্থাৎ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায়।
- এতে ভিটামিন, ফাইবার, ও প্রোটিন-তিনটিই থাকে। ছোলাতে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। যারা ওজন কমাতে চান এবং পেশি সুষম করতে চান তাঁরা প্রতিদিন সকালে উঠে ছোলা ভেজানো খেতে পারেন। এ ছাড়াও কোলেস্টেরল ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হৃদ্যন্ত্রকে ভাল রাখতে ছোলা খুবই উপকারী।
- ছোলায় থাকা প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি দীর্ঘক্ষণ ধরে শরীরে শক্তির যোগান দেয়। ছোলা খাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে হজম হয় এবং ছোলার আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যপযোগী ছোলায় আমিষ প্রায় ১৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট প্রায় ৬৫ গ্রাম, ফ্যাট মাত্র ৫ গ্রাম, ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ভিটামিন – এ, প্রায় ১৯২ মাইক্রোগ্রাম , প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি-১, এবং ভিটামিন বি-২ রয়েছে।
ছোলা আর কিসমিস কি একসাথে খাওয়া যায়
কাঁচা ছোলা আর কিসমিস একত্রে খেতে পারেন। এমনকি রাত্রে একত্রে ভিজাতেও পারবেন তবে ভালো করে ধৌত করে নিবেন। আর পরিমাণ কম নিবেন ২০ ও ১৫ টা। পেট যদি ভালো না থাকে তবে কাঁচা ছোলা না খাওয়াই ভালো হবে। আর ছোলা ভালভাবে চিবিয়ে খাবেন। রাত্রের ভিজিয়ে রাখা ছোলার পানিটুকু কিন্তু উপকারী।
তবে কিসমিসটা আলাদা ভাবে ভিজালে ভালো হবে। কারন কিসমিস সারা রাত যে পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন সে পানিটা আপনার সবচেয়ে বেশি উপকারী খাবারের জন্যে। ঘুমানোর সময় একটা আলাদা পাত্রতে পরিস্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখবেন।পরবর্তীে সকালে খালি পেটে পানিটা খাবেন। পানি পান করার পর কিসমিস গুলো খেয়ে নিবেন।
শেষকথাঃ
বন্ধরা, আশা করি উপরের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। ফলে আপনারা জেনে গেছেন ছোলার উপকারি দিকগুলো এবং এটি নিয়মিত খেলে আপনি শারীরিকভাবে কতটা সুস্থ থাকবেন তাও জেনে গেছেন। উপরের আর্টিকেলে বর্ণিত পদ্ধতি মেনে চললে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।
যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করতে ভূলবেন না। নিয়ম মেনে কাঁচা ছোলা খান সুস্থ্য থাকুন, ভালো থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url