দ্রুত বীর্যপাতের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি কি দাম্পত্য জীবনে হতাশায় ভূগছেন ? দ্রুত বীর্যপাতের কারণে স্ত্রীকে সুখ দিতে পারছেন না ? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে দ্রুত বীর্যপাতের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
এখানে আরো জানতে পারবেন- পুরুষের বীর্য পাতলা হওয়ার কারণ এবং বীর্য ঘন করার জন্য কি খেতে হয়? কি খেলে দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ হবে এবং এর প্রাকৃতিক চিকিৎসা সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
ভূমিকা
স্ত্রী সহবাসের সমময় দ্রুত বীর্যপাত হওয়া। মাঝে মাঝে অনেক আপনার যৌনমিলনের সময় আপনার অথবা যৌন সঙ্গিনীর চাহিদার তুলনায় দ্রুত বীর্যপাত করে ফেলেন। যদি এটা কদাচিৎ ঘটে তাহলে তেমন সতর্ক হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু যদি নিয়মিতভাবে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর ইচ্ছার চেয়ে আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটে।
অর্থাৎ যৌনসঙ্গম শুরু করার আগেই কিংবা যৌনসঙ্গম শুরু করার একটু পরে আপনার বীর্যপাত ঘটে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার যে সমস্যাটি হচ্ছে তার নাম প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বিভিন্ন ঔষধ, মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সিলিং এবং বিভিন্ন যৌনপদ্ধতির শিক্ষা। এগুলো আপনার বীর্যপাতকে বিলম্ব করে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর যৌনজীবনকে মধুর করে তুলবে।
সূচীপত্রঃ
পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের কারণ
কি খেলে বীর্য অনেক ঘন হয় এবং দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ হয়
দ্রুত বীর্যপাতের ট্যাবলেট
দ্রুত বীর্যপাতের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
দ্রুত বীর্যপাতের স্থায়ী সমাধান
দ্রুত বীর্যপাতের স্থায়ী চিকিৎসা ঔষধ
যৌন মিলনের কত মিনিট পর বীর্যপাত হওয়া স্বাভাবিক
দ্রুত বীর্যপাতের ইসলামিক চিকিৎসা
কি খেলে দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ হয়
পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের কারণ
জৈবিক কারণ সমূহঃ
ডায়াবেটিস
হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা
মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান বা নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা
বীর্যস্খলন ব্যবস্থার অস্বাভাবিক ক্রিয়া
থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
হৃদরোগ
মূত্রনালির সংক্রমন ও প্রদাহ
বিভিন্ন রোগ, যেমনঃ সিফিলিস, গনোরিয়া ইত্যাদি
বিভিন্ন ওষুধ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নারকোটিকস বা মাদক কিংবা দুশ্চিন্তার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ট্রাইফ্লুপেরাজিন প্রত্যাহার করা এবং অন্য মানসিক সমস্যা থাকা।
সার্জারি বা আঘাত জনিত কারণে স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে
ব্যর্থতার আশঙ্কা
ধর্মীয় কুসংস্কার
দুজনের সম্পর্কের মধ্যে সমস্যা
মানসিক কারণ
দুশ্চিন্তা। দ্রুত বীর্যপাত হয় এমন অনেক পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের একটি প্রধান কারণ দুশ্চিন্তা। সেটা যৌনকাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারবেন কি না সে বিষয়ে হতে পারে। আবার অন্য কারণেও হতে পারে
লোকজনের দৃষ্টি এড়ানোর জন্য তড়িঘড়ি করে চরম পুলকে পৌঁছানোর তাগিদ অপরাধ বোধ, যার কারণে যৌনক্রিয়ার সময় হঠাৎ করেই বীর্যপাত ঘটে যায়। অন্য কিছু বিষয়ও আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে পুরুষত্বহীনতা যেসব পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের লিঙ্গের উত্থান ঠিকমতো হবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন, কিংবা কতক্ষণ লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন সেসব পুরুষের দ্রুত বীর্যস্থলন ঘটে।
শারীরিক দূর্বলতা
দ্রুত বীর্যপাতের আরেকটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত উত্তেজনা।
মাদকাসক্ত /নেশাগ্রস্ত
সঠিক যৌন শিক্ষার অভাব
সম্পর্ক অবনতি /দাম্পত্য কলহ
প্রি ম্যারাইটাল বা বিবাহ পূর্ব কাউন্সিলিং এর অভাব
সেক্স সম্পর্কে ভুল ধারনা
কম বয়সে সহবাস
অতিরিক্ত প্রত্যাশা
আগের ব্যর্থতা বার বার মনে করা
সেক্সুয়াল এবিউজ
চাকরি -ব্যবসা জনিত কারণে দূরে থাকেন এবং অনেকদিন পরপর শারীরিক সম্পর্কের সুযোগ পান
কি খেলে বীর্য অনেক ঘন হয় এবং দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ হয়
বিবাহিত জীবনে যৌনতায় ১০০% ফিট থাকতে হলে আপনাকে দৈনন্দিন খাবার দাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে। কারণ মানুষ তাদের যৌন শক্তি লাভ করে থাকে তাদের খাবার দাবার থেকেই।
সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকার পাশাপাশি দরকার স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন। অথচ প্রায়ই দেখা যায় যৌন সমস্যার কারনে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে, এমনকি বিচ্ছেদ পর্যন্ত হয়। কিন্তু যৌন স্বাস্থ্যে সমস্যা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যৌন সমস্যা নিয়ে লজ্জায় কেউ আলোচনা করে না।
যার ফলে মনে নানা প্রকার কুসংস্কার লুকিয়ে থাকার দরুন অনেকই চিকিৎসা নিতে গিয়েও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। কারণ আমাদের আশেপাশে তথাকথিত হারবাল, কবিরাজ, ভেষজ নামধারী ভুয়া যৌন ডাক্তারদের অভাব নেই। দেখা যায়, সাধারণ মানুষজনই তাদের খপ্পরে বেশি পড়ে থাকে আর যৌন শক্তি আগে যতটুকু ছিল তাদের চিকিৎসা নিতে নিতে একসময় সেটাও হারাতে বসে।
ভাল ভাবে শুনে রাখুন - প্রকৃত কোন সমস্যা না থাকলে আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোন প্রকার ঔষধের প্রয়োজন নেই, তার জন্য দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবারই যথেষ্ট। বীর্য ঘন করার আসল প্রাকৃতিক ঔষুধ হল মধু। প্রতিদিন তিন বেলা খাবার পর এক চা-চামচ বা তার কিছু কম খাবেন. তিন দিনের মধ্যে ফলাফল না পেলে চিকিতসকের পরামর্শ নিবেন।
অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন বীর্য ঘন করার উপায় সম্পর্কে। অনেকে আবার ওষুধ খেয়ে ঘন করতে না পেরে অতিষ্ঠ । তারা জানতে চান আসলেই কি বীর্য ঘন করার কোন উপায় আছে কিনা! হাঁ প্রাকৃতিক কিছু জিনিস যা আমদের হাতের কাছেই পাওয়া যায় যেমন রসুন হতে পারে আপনার বিবাহিত জীবনের নতুন বন্ধু।
প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের যৌবন দীর্ঘ স্থায়ী হয় । যারা পড়ন্ত যৌবনে চলে গিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দু'কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম পানি বা দুধ খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
যৌবন রক্ষার জন্য রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। কাঁচা আমলকির রস ২ বা ১ চামচ নিয়ে তার সঙ্গে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা খাওয়া যায়। এতে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ি হয়।
রাতে শুবার সময় ইসুপগুলের ভুসি পানি দিয়ে খাবেন ৭ দিন খান ফলাফল নিজেই পাবেন। কোথায় আছে দাদা খেলে দাদি খুশি নানা খেলে নানি খুশি এরেই নাম ইসুপগুলের ভুসি। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলে এমনিতেই পুরুষের বীর্য ঘন হয়ে থাকে। যেমন প্রতিদিন দুধ, ডিম, মধু গ্রহণ করলে সাধারণত আর কোনো কিছুরই দরকার পড়ে না।
প্রথমত দ্রুত বীর্যপাত রোধের জন্য আপনি কিছু সেক্সের সময় কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। যেমন-
কৌশল-১ঃপুরুষরা দ্রুত উত্তেজিত হয় আবার দ্রুত বীর্যপাত করে। তাই আগে সঙ্গীনিকে চরম উত্তেজিত করুন। সেক্সের আগে লক্ষ্য নারীর যোনীতে হাত দিয়ে অথবা পেনিস দিয়ে আন্দাজ করবেন। নারীর যোনী যদি রসে চুপসে থাকে তাহলে সেক্স শুরু করুন। তাহলে আপনার আগে নারীরটা শেষ হবে।
কৌশল-২ঃ একটানা পনের কাঁচা রসুনের কোয়া খান তিনবেলা। এই সময় সেক্স করবেন না। তবে পুরুষাঙ্গ সবসময় সেক্সের জন্য সায় দিতে থাকবে। ১৫ দিন পর থেকে সেক্স শুরু করুন। গ্যারান্টি ৩০ মিনিটের আগে বীর্যপাত ঘটবে না। যদি ঘটেও যায় তারপরে ৩০/৪০ মিনিট লিঙ্গ শক্ত হয়ে থাকবে।
কৌশল-৩ঃ সেক্স শুরু করুন। কিছুক্ষণ পর পর স্টাইল পরিবর্তন করুন। মাঝে মাঝে কোমর সঞ্চালন বন্ধ করুন। আপনার সঙ্গীনীর সাথে কথা বলুন, জিজ্ঞাসা করুন কেমন লাগছে, তবে বুঝতে দিবেন না আপনি সময় পার করছেন, আপনার সঙ্গীনি বলবে করার জন্য,, কিন্তু আপনি কথার জালে কিছুক্ষণ সময় নিবেন,, তবে পুরুষাঙ্গ যোনীতেই রাখবেন।
কৌশল-৪ঃ মনে হচ্ছে এখন বীর্যপাত ঘটতে পারে। তখন লিঙ্গ বের করুন। সঙ্গীনিকে বুঝতে দিবেন না। তার সাথে রোমাঞ্চ করুন। যেন মন অন্য দিকে যায়। দেখন লিঙ্গ একটু শিতল হচ্ছে। তখন আবার সেক্স শুরু করুন। দেখন পুনরায় নতুন করে সময় পাবেন।
কৌশল-৫ঃ যদি সামান্য বীর্যপাত ঘটে, তাহলে সেক্স বন্ধ করুন। হাত দিয়ে বীর্যপাত ঘটাবেন না। যতটুকু বীর্য বের হওয়ার হবে, তবে কিছু থেকে যাবে, যদি হাত না দেন,, বা ঘষাঘষি না করেন তাহলে বীর্য থেকেই যাবে। একটু পরে আবার সেক্স করুন,, প্রথমে লিঙ্গ হালনা নিস্তেজ এর মতো থাকবে। কিন্তু একটু পরেই শক্ত হবে। আর সহজে বীর্যপাত ঘটবে না,, আপনি চাইলেও বীর্যপাত ঘটাতে পারবে না।
কৌশল-৬ঃ বীর্যপাতের ১৫ মিনিট পরেই লিঙ্গ পুনরায় শক্ত হতে পারে ও নতুন বীর্যশুরু হতে থাকে। অর্থাৎ সেক্সের আগে সামান্য বীর্যপাত করে নিবেন। তার ২০.৩০ মিনিট পর সেক্স শুরু করুন। চাইলেও দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারবেন না।
দ্রুত বীর্যপাতের ট্যাবলেট
বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে দ্রুত বীর্যপাত,পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। যার ফলে একদিকে যেমন দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ও কলহের সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে বাড়ছে ডিভোর্সও।তাই দ্রুত বীর্যপাতের ট্যাবলেট সম্পর্কে অনেকে জানতে চান।নিচে দ্রুত বীর্য পাতের ট্যাবলেট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
দ্রুত বীর্য পাতের ট্যাবলেট
Daxetin 30 MG (ACI)
Depotin 30 MG (insepta)
Susten 30 MG (Square)
Ejalong 30 MG ( Drug)
Depoxen 30 MG (Opsonin)
সেবন বিধিঃ শারীরিক মিলনের এক থেকে তিন ঘন্টা পূর্বে একটা ক্যাপসুল খেতে হবে এবং তা ২৪ ঘন্টার মধ্যে আর সেবন করা যাবে না। যে সকল ব্যক্তিদের হার্টের সমস্যা এবং উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে এবং যারা ১৮ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে তাদের এই ঔষধ বা ট্যাবলেট সেবন করা যাবে না।
দ্রুত বীর্যপাতের ট্যাবলেট সেবন করলে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত বীর্যপাতের ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
হোমিও চিকিৎসাঃ কোনিয়াম, সালিক্স নায়াগ্রা, এসিড ফস,টার্নেরা, লাইকোপডিয়াম।
ভেষজ চিকিৎসাঃ মধু, রসুন,ইসপগুলের ভুসি, শতমূলী, রাম তুলসী
বীর্য দেরিতে ফেলার ঔষধঃ কোনিয়াম,সোবান সেরুলেটা, সেলিনিয়াম।
দ্রুত বীর্যপাতের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
লাইফষ্টাইল পরিবর্তন
নির্দিষ্ট লাইফষ্টাইল পরিবর্তন করা দ্রুত বীর্যপাতের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এখানে বিবেচনা করার জন্য কিছু কার্যকর কৌশল রয়েছেঃ
ব্যায়াম এবং শারীরিক কার্যকলাপ
নিয়মিত ব্যায়াম এবং শারীরিক কার্যকলাপ সামগ্রিক যৌন স্বাস্থ্য এবং স্ট্যামিনা উন্নত করতে পারে। জগিং, সাঁতার বা ভারোত্তোলনের মতো ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত থাকা চাপ কমাতে, রক্তের প্রবাহ বাড়াতে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং পুষ্টি
ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য বজায় রাখা যৌন সুস্থতাকে সমর্থন করতে পারে। তরমুজ, পালং শাক এবং বাদামের মতো খাবারগুলি যৌন কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং দ্রুত বীর্যপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পরিচিত।
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কৌশল
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কৌশল শেখা যেমন গভীর শ্বাসের ব্যায়াম, ধ্যান এবং যোগব্যায়াম উদ্বেগ কমাতে এবং শিথিলতাকে উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে। কার্যকরভাবে স্ট্রেস পরিচালনা করে, আপনি দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি কমাতে পারেন।
দ্রুত বীর্যপাতের স্থায়ী সমাধান
আমরা অনেকেই যৌন সমস্যা গুলো নিয়ে ডক্টরের কাছে কথা বলতে লজ্জা পাই। আর সে কারণে আমরা অধিকাংশ সময় ঘরোয়া চিকিৎসা ফলো করার চেষ্টা করি।
তো যদি আপনি এই ঘরোয়া চিকিৎসা গুলোকে সঠিক ভাবে ফলো করতে পারেন। তাহলে কিন্তুু আপনার দ্রুত বীর্য পাতের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। সেজন্য নিচে দেখানো পদ্ধতি গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন। যেমন,
ভিটামনি যুক্ত খাবার গ্রহন করুন
আমরা সকলেই জানি যে, ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে। প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়।
আর যদি আপনার দ্রুত বীর্যপাত হয়। তাহলে সবার আগে আপনাকে খাবারের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
এছাড়াও আপনাকে সেই খাবার গুলো নিয়মিত গ্রহন করতে হবে। যে খাবার গুলো প্রচুর পরিমান ভিটামিন আছে। যেমন-
আপনি প্রতিদিন সকালে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করুন।
রাতে ঘুমানোর আগে মধু খাওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রতিদিন নিয়ম করে ফলমূল খান।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে রসুন খেতে ভুলবেন না।
প্রাথমিক পর্যায়ে উপরে উল্লেখিত এই খাবার গুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা, এগুলো একজন মানুষের দেহের যৌন চাহিদা কে অনেক গুন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
তবে এর পাশাপাশি আপনার খাদ্য তালিকায় আরো কিছু খাবার রাখবেন। যেগুলো আপনার শরীরে ভিটামিন এর যোগান দিতে সাহায্য করবে। যেমন,
মিষ্টি কুমড়ার বীজ,
রসুন,
সূর্যমুখীর বীজ,
চিনা বাদাম,
কাজু বাদাম,
পেস্তো বাদাম,
লেবু,
মাল্টা,
ডালিম,
আঙ্গুর,
কমলা,
তরমুজ,
পেয়ারা,
উপরের তালিকা তে আপনি যে সকল খাবারের নাম দেখতে পাচ্ছেন। সেই খাবার গুলো নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন যাতে করে আপনার শরীরের ভিটামিনের অভাব পূরন হয়।
আমাদের ব্লগে সেক্স বৃদ্ধির খাবার কি কি? সেক্স বৃদ্ধির খাবারের তালিকা নিয়ে একটি বিস্তারিত লেখা আছে, আপনি চাইলে দ্রুত বীর্য পাতের ভেষজ চিকিৎসার জন্যে এই ভেষজ বা ফলমূল খেতে পারেন। এসব ফল ও খাবার নিয়মিত খেলে দ্রুত বীর্য পাত বন্ধ হয় ও সেই সাথে আপনি দীর্ঘক্ষণ স্ত্রী সহবাস করতে পারবেন।
নিয়ম মেনে মিলন করুন
যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনার বীর্য দ্রুত পতন হচ্ছে। তখন আপনাকে সেক্স করার সময় বেশ কিছু নিয়ম মেনে সেক্স করতে হবে। আর যখন আপনি দীর্ঘদিন এই নিয়ম গুলো ফলো করবেন। তখন আপনি নিজে থেকেই বুঝতে পারবেন যে, আপনার আগের তুলনায় কতটা ইমপ্রুভ হয়েছে।
দ্রুত বীর্যপাতের স্থায়ী চিকিৎসা ঔষধ
দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে-
প্রোজেস্টেরন হরমোনঃ প্রোজেস্টেরন হরমোন বীর্যপাতের সময়কাল বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এই ওষুধটি সাধারণত মুখের মাধ্যমে বা ইনজেকশনের মাধ্যমে সেবন করা হয়।
ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টসঃ ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যকে নিয়ন্ত্রণ করে বীর্যপাতের সময়কাল বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এই ওষুধগুলি সাধারণত মুখের মাধ্যমে সেবন করা হয়।
সেলট্রালিনঃ সেলট্রালিন একটি সেরোটোনিন পুনরায় গ্রহণ রোধক (SSRI) যা বীর্যপাতের সময়কাল বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এই ওষুধটি সাধারণত মুখের মাধ্যমে সেবন করা হয়।
যৌন মিলনের কত মিনিট পর বীর্যপাত হওয়া স্বাভাবিক
সর্বনিম্ন ৫ মিনিট।তবে প্রথম যৌন মিলন করলে খুব কম সময়ে বীর্যপাত হবে। তবে এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। পরবর্তীতে তা ঠিক হয়ে যাবে।
৫ থেকে ৭ মিনিট, সর্বোচ্চ ১০-১৫ মিনিট। তবে সহবাস করার পূর্বে স্ত্রীকে অধিক পরিমাণ চুম্বন, বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ নেড়ে চেড়ে উত্তেজিত করে তুলতে হবে। আল্লাহর রাসুল সা: বলেছেন তোমরা স্ত্রী সহবাসের পূর্বে দুত প্রেরণ করো। সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রাসুলল্লাহ দুত কি? তিনি বললেন চুম্বন করা।
আর দ্রুত বীর্যপাত এড়ানোর জন্য কি করা যায়? সহবাসের সময় জটিল কোন অংকের চিন্তা করুন। নিজের জীবনের শৈশবের স্মৃতি বা পূর্বে র কোন বিশেষ স্মৃতি মনে করার চেস্টা করুন, অন্য মনোযোগী হন অথবা সহবাস করা অবস্থায় মোবাইলে গেম খেলতে পারেন। তাহলে অনেকক্ষন পর আউট হবে।
দ্রুত বীর্যপাতের ইসলামিক চিকিৎসা
দোয়া ও আমলঃ দ্রুত বীর্যপাতের জন্য অনেক দোয়া ও আমল রয়েছে। এর মধ্যে কিছু দোয়া হল:
“আল্লাহুম্মা বারিক লী ফী নাফসী ওয়া ফী তারক্বী ওয়া ফী মারদ্দি ওয়া ফী ওয়ালাদিনী ওয়া ফী মালি ওয়া ফী উম্মাতী”
“আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি ওয়াল আজাবি ওয়াল ক্বাব্রি”
“আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল মাজবুলি ওয়াল হারামি ওয়াল ফাজাইরি ওয়াল কুফরি”
সুস্থ খাদ্যাভ্যাসঃ দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা সমাধানে সুস্থ খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রচুর পরিমাণে ফলমূল, শাকসবজি, এবং বাদাম খাওয়া উচিত। এছাড়াও, অতিরিক্ত চা, কফি, এবং অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
নিয়মিত ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
মানসিক চাপ কমানোঃ দ্রুত বীর্যপাতের অন্যতম কারণ হল মানসিক চাপ। তাই মানসিক চাপ কমানো জরুরি। এর জন্য যোগব্যায়াম, ধ্যান, বা অন্য কোনো মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার কৌশল অনুশীলন করা যেতে পারে।
ঔষধপত্রঃ দ্রুত বীর্যপাতের ক্ষেত্রে কিছু ঔষধপত্রও কার্যকর হতে পারে। তবে ঔষধপত্র সেবনের আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
উল্লেখ্য যে, দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যার জন্য একটি নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। উপরে উল্লেখিত চিকিৎসাগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বা একাধিক চিকিৎসার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হতে পারে।
কি খেলে দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ হয়
রসুন রোষ্ট করে খেলে কি দ্রুত বীর্যপাত রোধ হবে? দ্রুত বীর্যপাত রোধে,, বীর্য ঘন ও আঠালো করতে রসুনের দ্রুত কাজ করে। রসুন রোষ্ট করে খাওয়ার চেয়ে রসুনের হালুয়া করে খাইলে দ্রুত ও ভালো ফলাফল পাবেন। আপনি দুধ,ডিম খেতে পারেন
আপনি প্রতিদিন একটি করে পেঁয়াজ খাবেন। এবং সকালে ও রাতে মধু ও কালোজিরা একসাথে খাবেন।অথবা হোমিও প্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কালোজিরার তৈল ও খাটি মধু। রাত্রে ও সকালে সেবন করবেন। ও আতব চালের ভাতের মাড় লবন দিয়ে সেবন করুন। আর সহায়ক ঔষধ হিসাবে হোমিও ঈগলফোলিয়া ৩০ ও এভেনা স্যাট মাদার সেবন করতে পারেন।
দ্রুত বীর্যপাতের হোমিও চিকিৎসা--সালিক্স নায়াগ্রা,,কোনিয়াম,,এসিড ফস,,টার্নেরা,,লাইকোপোডিয়াম
দ্রুত বীর্যপাতের ভেষজ/প্রাকৃতিক চিকিৎসা--মধু,রসুন,ইসুপগুলের ভুসি,শতমূলী,রামতুলসী
বীর্য দেরিতে ফেলার ঔষধ--কোনিয়াম,,সোবাল সেরুলেটা,,সেলিনিয়াম
উপসংহারঃ
আশা করছি দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা নিয়ে পুরো পোষ্ট পড়ার ফলে অপনার অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর জানতে পেরেছেন। ফিরে আসবো আবার যৌন সংক্রান্ত আরও বিভিন্ন চিকিৎসা বিষয়ক কোন কিছু নিয়ে। শেষ পর্যন্ত অপানারা সবাই সুস্থ, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের যত্ন নিন, এবং সাবধানে থাকুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, চিকিৎসকের সহযোগিতা নিন। এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলে শেয়ার, লাইক কমান্ড করবেন। প্রয়োজনে বন্ধদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url