আজকের রাজশাহীর সাহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৪ সম্পর্কে জেনে নিন
আজকের রাজশাহীতে ইফতার ও সাহরির সময়সূচী ২০২৪ নিয়ে আলোচনা করবো। প্রতি বছরই রমজান মাস আসার আগে থেকে ইফতার ও সাহরির সময়সূচী প্রকাশ করে থাকেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন। এখানে আমরা শুধু মাত্র রাজশাহী জেলার ইফতার ও সাহরির সময়সূচী উল্লেখ করবো।
রাজশাহী হচ্ছে শিক্ষা নগরী। তাই ঢাকা ও চট্রগ্রামের পরে রাজশাহীর গুরুত্ব। লেখা-পড়া, চাকরী এবং ব্যবসায়িক কারণে এখানে অনেক মানুষের আসা যাওয়া লেগেই থাকে। অনেকে রোজা রেখে রাজশাহীর ইফতার ও সাহরির সময়সূচী জানতে চান। তাদের জন্য আজকের এই আয়োজন।
সূচীপত্রঃ
আজকের ইফতারের সময় রাজশাহী ২০২৪
রাজশাহী জেলার ইফতারের সময়সূচি
ইফতারের দোয়া
যে কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়
ইফতারের আগে দোয়া কবুল হয় এই মর্মে হাদিস
রোজার নিয়ত করা
রমজান মাসের ফজিলত
ইফতারের সময় আমাদের করণীয়
ইফতারের সময় বর্জনীয় কাজ
উপসংহারঃ
আজকের ইফতারের সময় রাজশাহী ২০২৪
দেখতে দেখতে একটি বছর ঘুরে চলে এলো মুসলিমদের সব থেকে বড় ধর্মীয় ইবাদতের মাস রমজান মাস। এই রমজান মাসে আমাদেরকে আল্লাহতালার সন্তুষ্টির জন্য রোজা পালন করতে হয়। রোজা পালন করার জন্য আমাদেরকে সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি জেনে রাখাও দরকার। প্রতিবছর ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
এর ব্যতিক্রম না হয়ে এই বছরও ঠিক ঢাকা এবং তার পার্শ্ববর্তী যে সকল বিভাগ রয়েছে সে সকল বিভাগীয় এলাকার সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। এখন আপনি যদি রাজশাহী শহরে বা আশেপাশে বসবাস করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিজের জেলার রমজানের সাহরি এবং ইফতারের সময়সূচি সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে।
আমরা সবাই জানি যে রমজান মাস হল আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। সাধারণত এই মাসে প্রতিটি বান্দা আল্লাহতালা এবাদত পালন করে থাকে। রমজান মাসে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো সিয়াম পালন করা। সিয়াম পালন করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এগুলোর মধ্যে সাহরি ও ইফতার একটি নির্দিষ্ট সময় এর মধ্যে করতে হয়।
রাজশাহী জেলার ইফতারের সময়সূচি
রাজশাহী জেলার সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি আলোচনা করব। বাংলাদেশে যে সকল জেলা রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রাজশাহী জেলা। বিভিন্ন দিক দিয়ে রাজশাহী জেলার অনেক সুনাম রয়েছে। সৌন্দর্যের দিক দিয়ে রাজশাহী জেলা বাংলাদেশের অন্যতম একটি সেরা জেলা গুলোর মধ্যে সবার উপরে রয়েছে। আপনি যদি রাজশাহী জেলায় বসবাস করে থাকেন তাহলে রমজান মাসের সাহরি ইফতারের সময়সূচি সম্পর্কে জেনে নিন।
রাজশাহী জেলার সাহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৪ আহলে হাদীস মতে
রাজশাহী জেলার সাহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৪ ইসলামী ফাউন্ডেশন এর মতে
রমজান - মার্চ/এপ্রিল - বার - সাহরীর সতর্কতামূলক শেষ সময় - ফজরের ওয়াক্ত শুরু -ইফতারের সময়
০১ ১২ মার্চ মঙ্গলবার ৪:৫৮ am ৫:০৪ am ৬:১৬ pm
০২ ১৩ মার্চ বুধবার ৪:৫৭ am ৫:০৩ am ৬:১৬ pm
০৩ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার ৪:৫৬ am ৫:০২ am ৬:১৭ pm
০৪ ১৫ মার্চ শুক্রবার ৪:৫৫ am ৫:০১ am ৬:১৭ pm
০৫ ১৬ মার্চ শনিবার ৪:৫৪ am ৫:০০ am ৬:১৮ pm
০৬ ১৭ মার্চ রবিবার ৪:৫৩ am ৪:৫৯ am ৬:১৮ pm
০৭ ১৮ মার্চ সোমবার ৪:৫২ am ৪:৫৮ am ৬:১৮ pm
০৮ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ৪:৫১ am ৪:৫৭ am ৬:১৯ pm
০৯ ২০ মার্চ বুধবার ৪:৫০ am ৪:৫৬ am ৬:১৯ pm
১০ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার ৪:৪৯ am ৪:৫৫ am ৬:১৯ pm
১১ ২২ মার্চ শুক্রবার ৪:৪৮ am ৪:৫৪ am ৬:২০ pm
১২ ২৩ মার্চ শনিবার ৪:৪৭ am ৪:৫৩ am ৬:২০ pm
১৩ ২৪ মার্চ রবিবার ৪:৪৬ am ৪:৫২ am ৬:২০ pm
১৪ ২৫ মার্চ সোমবার ৪:৪৫ am ৪:৫১ am ৬:২১ pm
১৫ ২৬ মার্চ মঙ্গলবার ৪:৪৩ am ৪:৪৯ am ৬:২১ pm
১৬ ২৭ মার্চ বুধবার ৪:৪২ am ৪:৪৮ am ৬:২২ pm
১৭ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ৪:৪১ am ৪:৪৭ am ৬:২২ pm
১৮ ২৯ মার্চ শুক্রবার ৪:৪০ am ৪:৪৬ am ৬:২৩ pm
১৯ ৩০ মার্চ শনিবার ৪:৩৮ am ৪:৪৪ am ৬:২৩ pm
২০ ৩১ মার্চ রবিবার ৪:৩৭ am ৪:৪৩ am ৬:২৪ pm
২১ ০১ এপ্রিল সোমবার ৪:৩৬ am ৪:৪২ am ৬:২৪ pm
২২ ০২ এপ্রিল মঙ্গলবার ৪:৩৫ am ৪:৪১ am ৬:২৫ pm
২৩ ০৩ এপ্রিল বুধবার ৪:৩৪ am ৪:৪০ am ৬:২৫ pm
২৪ ০৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ৪:৩৩ am ৪:৩৯ am ৬:২৫ pm
২৫ ০৫ এপ্রিল শুক্রবার ৪:৩১ am ৪:৩৭ am ৬:২৬ pm
২৬ ০৬ এপ্রিল শনিবার ৪:৩১ am ৪:৩৭ am ৬:২৬ pm
২৭ ০৭ এপ্রিল রবিবার ৪:৩০ am ৪:৩৬ am ৬:২৭ pm
২৮ ০৮ এপ্রিল সোমবার ৪:২৯ am ৪:৩৫ am ৬:২৭ pm
২৯ ০৯ এপ্রিল মঙ্গলবার ৪:২৮ am ৪:৩৪ am ৬:২৭ pm
৩০ ১০ এপ্রিল বুধবার ৪:২৭ am ৪:৩৩ am ৬:২৮ pm
ইফতারের দোয়া
ইফতারের দোয়া আমরা অনেকেই জানিনা। যেহেতু এই আর্টিকেলে আজকের ইফতারের সময় রাজশাহী ২০২৪ নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে সেহেতু ইফতারের সময় কোন দোয়া পড়তে হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। আপনাদের একটি তথ্য জানিয়ে রাখি যে ইফতারের সময় দোয়া করলে কবুল হয়।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যখন ইফতার করতেন তখন এই দোয়া পড়তেন। {সুনানে আবু দাউদঃ ২৩৫৮} আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ইফতারের সময় আল্লাহতালার কাছে দোয়া করতেন। ইফতার করার আগে আমাদের প্রিয় নবী সাঃ যে দোয়া পড়তেন সেটি হলোঃ
আরবিঃ اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু
অর্থঃ হে আল্লাহ, আমি আপনারই জন্য রোজা রেখেছি এবং আপনার দেওয়া জীবিকা দিয়ে ইফতার করছি।
তবে এই দোয়া নিয়ে মতানৈক্য আছে। কেউ কেউ বলছেন এই দোয়া বলা যাবেনা। আবার আমরা ছোট থেকেই ইফতারের দোয়া হিসেবে এটিই জানি। তবে বিসমিল্লাহ বলে ইফতার করলেও হয়ে যাবে। রাসুল (সাঃ) যেহেতু বিসমিল্লাহ বলে সব খাবার খেতেন। তাই এটার পক্ষেই অনেকে মত পোষন করছেন।
যে কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়
কি কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় তা আমরা অনেকেই জানিনা। কিন্তু আমাদের বেশ কিছু ভুলের কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই যে যে কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় তার কারণ গুলো সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। এ বিষয় গুলো জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই রোজা ভঙ্গের হাত থেকে রক্ষা পাবো।
- যদি কেউ ভুলে কোন কিছু খেয়ে নেয় এবং এরপরে রোজা ভেঙ্গে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন কিছু খাই তখন রোজা ভেঙ্গে যায়। অনিচ্ছাকৃত অর্থাৎ ভুল করে খেলে রোজা ভঙ্গ হয় না।
- যদি কোন ব্যক্তি রোজা থাকা অবস্থায় বিড়ি, সিগারেট সেবন করে তাহলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
- আমরা অনেক সময় রোজা থাকা অবস্থায় কাঁচা চাল চিবিয়ে থাকি কিন্তু এটা নিষিদ্ধ। রোজা থাকা অবস্থায় আটার খামির, কাঁচা চাল এবং একসাথে অনেক গুলো লবণ খেলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
- যে বস্তুগুলো খাওয়া হয় না যেমন কাঠ, লোহা কাগজ পাথর মাটি সহ আর অন্যান্য বস্তুগুলা খেলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়।
- যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ পাথর কাদামাটি তুলা সুতা অথবা কাগজ গিলে ফেলে তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
- রোজা থাকা অবস্থায় কেউ যদি কানে অথবা নাকের ছিদ্র দিয়ে তরল কোন ধরনের ঔষধ দিয়ে থাকে তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
- থুথু মুখে থাকা অবস্থায় গিলে ফেললে কোন ধরনের সমস্যা নেই কিন্তু থুথু হাতে নিয়ে আবার গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
- ভুল করে যদি কেউ স্ত্রীর সাথে সহবাস করে রোজা থাকা অবস্থায় এবং সহবাস করার পর রোজা ভঙ্গ হয়ে গিয়েছে মনে করে আবার সহবাস করে তাহলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
- রোজা থাকা অবস্থায় যদি কেউ হস্তমৈথুন করে তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
- যদি কোন কারণে রোজা থাকা অবস্থায় দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ে এবং সেটি থুথুর চাইতে বেশি হয়ে যায় এবং কেউ গিলে ফেলে তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
- কেউ যদি রোজা করার নিয়তে মুখে পান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে এবং এই অবস্থায় সুবহে সাদিক হয়ে যায় তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
- কেউ যদি অন্য কাউকে জোরজবস্তি করে কোন কিছু খাইয়ে দেই তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
- যদি রোজা থাকা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত ভাবে কুলি করার সময় অথবা নাকে পানি দেওয়ার সময় সেই পানি কণ্ঠনালীতে চলে যায় তাহলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
- কেউ যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে বমি করে বা বমি আসার পরে সেগুলোকে আবার গিলে ফেলে তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
- ইফতারের সময় হয়ে গিয়েছে অথবা আযান দিয়ে দিয়েছে এরকম মনে করে কেউ যদি খেয়ে ফেলে তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
ইফতারের আগে দোয়া কবুল হয় এই মর্মে হাদিস
যখন ইফতার করার সময় হবে সেই সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত। রোজাদাররা কিভাবে ইফতার করবে সাধারণত এই ইফতার করার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। ইফতার করার প্রথম নিয়ম হলো সূর্য অস্ত যেতে হবে এবং রাত শুরু হবে। এই বিষয়ে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, "আর পানাহার কর যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোজা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত।" {সূরা বাক্বারাঃ ১৮৭} রোজা থাকা অবস্থায় রোজাদার যদি ইফতার সামনে নিয়ে দোয়া করে তবে তার দোয় কবুল হয়।
আরো বেশ কিছু হাদীস থেকে জানা যায় যে, হযরত সাহল ইবনে সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, "মানুষ ততদিন পর্যন্ত কল্যাণের মধ্যে থাকবে যতদিন তারা তাড়াতাড়ি ইফতার করবে।" (অর্থাৎ সূর্য ডোবার সাথে সাথে ইফতার করতে হবে){বোখারী শরীফঃ ১৮৫৬, মুসলিম শরীফঃ ১০৯৮} রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরো বলেছেন যে, "৩ ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেয়া হয় না। যখন রোজাদার ব্যক্তি ইফতার করে, ন্যায় পরায়ণ শাসক ও নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া।" {মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি}
রোজার নিয়ত করা
যদি আপনি রোজা রাখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই রোজা করার নিয়ত করতে হবে। আমরা অনেকেই মনে করে থাকি যে নিয়ত মুখে উচ্চারণ করে বলতে হবে কিন্তু বিষয়টা এরকম নয়। আর নিয়ত বিষয়টি হচ্ছে মনের বিষয়। আপনি কি নিয়ত করছেন এটি একমাত্র আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা'আলা ভালো জানেন। উচ্চারণ করে সবাইকে শোনাতে হবে এরকম কোন বিষয় নেই।
আমাদের সমাজে প্রচলিত যে নিয়তটি চালু আছে সেটি আসলে সহীহ নয়। নিয়ত আসলে মনে সংকল্প, এটা মুখে উচ্চারণ করে বলার কিছু নাই। রাসুল (সাঃ) বা সাহাবীগণ থেকে এই নিয়ত পড়ার কোন দলিল পাওয়া যায় না। তাই এটা পড়া থেকে বিরত থাকুন। এবং সহীহ শুদ্ধ হাদীস জেনে আমল করুন।
আরবিঃ نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক, ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
রমজান মাসের ফজিলত
রমজান মাসের ফজিলত জানা এবং সেই অনুযায়ী আমল করাটা অত্যান্ত জরুরী। রমজান মাস ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমাদের সকলের জানা রয়েছে। এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা সারা বছর অপেক্ষা করে শুধু রমজান মাসের জন্য। কারণ এই মাস হল ইবাদতের মাস আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার মাস।
ইসলাম ধর্মে কয়েকটি মাস রয়েছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রমজান মাস। আল্লাহ তায়ালার কাছে রমজান মাসের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। ঠিক একই রকম ভাবে পৃথিবীতে যে সকল মুসলিম নর নারী রয়েছে সবার কাছে রমজান মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রমজান মাসের অনেকগুলো ফজিলত রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রমজান মাসে জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেহেস্তের দরজা খুলে দেওয়া হয়। আল্লাহ আরো বলেছেন, রোজা আমার জন্য, আর আমি নিজে এর প্রতিদান দেব। রমজান মাসে সমস্ত ভালো কাজের জন্য ১০ গুন থেকে ৭০০ গুন পর্যন্ত সওয়াব বৃদ্ধি করে দেন শুধু রোজা বাদে।
অর্থাৎ অন্য মাসে কোরআন মাজিদের একটি হরফ পড়লে ১০ নেকি পাওয়া যায়, আর রজমান মাসে কোরআন মাজিদের একটি হরফ পড়লে আল্লাহ সুবহানাহু আ’আলা ১০ গুন থেকে ৭০০ গুন পর্যন্ত নেকী বৃদ্ধি করে থাকেন। অন্যান্য ইবাদতের সওয়াব আল্লাহ তার ফেরেস্তাদের দ্বারা দিয়ে থাকেন এবং এর নিদৃষ্ট একটা পরিমান আছে। আল্লাহ সুবহানাহু তা’লা বলেন, রোজা আমার জন্যই আর এর প্রতিদান আমি নিজে দিবো।
রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাকে ক্ষমা করতে থাকে। আমরা মানুষ হিসেবে সারা বছর গুনাহ করতে থাকি। এ রমজান মাস হল আমাদের সারা বছরের গুনাহ মাফ করিয়ে নেওয়ারর অন্যতম সেরা মাস। আল্লাহতালা রমজান মাসে অনেক বেশি উদার হয়ে তার সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালার খুশির উদ্দেশ্যে আমাদেরকে সিয়াম পালন করতে হয়।
ইফতারের সময় আমাদের করণীয়
ইফতারের সময় আমাদের করণীয় আমরা অনেকেই জানিনা। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই ইফতারের আগে কোন কাজগুলো করতে হবে এই বিষয়ের পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। কারণ ইফতারের আগে আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি যা একেবারেই উচিত নয়। ইফতার করার আগে ভালো ভাবে মেসওয়াক করে ওযু করে নিতে হবে।
- খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার করতে হবে।
- ইফতারের আগে এবং পরে দোয়া পড়তে হবে।
- সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করতে হবে। কোন মতেই দুই/তিন মিনিট দেরি করা যাবে না।
খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার করাঃ ইফতার করার সময় আমাদেরকে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে যেন আমাদের প্রতিদিনের ইফতার হয় যেন খেজুর অথবা পানি দিয়ে। সাধারণত খেজুর এবং পানি দিয়ে ইফতার করা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সুন্নত।
ইফতারের আগে এবং পরে দোয়া পড়তে হবেঃ ইফতারের আগে দোয়া কবুল হয়। তাই আমরা সবায় চেষ্টা করবো যেন ইফতারের সময় আমাদেরকে সবকিছু গুছিয়ে বসে যেতে হবে এরপরে কয়েক মিনিট আগে বাড়ির সবাই মিলে একসাথে অথবা একা একা আল্লাহতালার কাছে দোয়া করতে হবে ইফতার সামনে নিয়ে। ইফতারের পরে আল্লাহদুলিল্লাহ বলে আল্লাহর প্রসংশা করতে হবে।
সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করাঃ অনেক সময় দেখা যায় আমরা বিভিন্ন কাজে লিপ্ত থাকি যার ফলে সময় হওয়ার পরও ইফতার করতে পারিনা। আবার অনেকে ইচ্ছা করে দেরি করেন, বলেন যে সারা দিন থাকতে পারলাম আর ২/৩ মিনিট থাকতে পারবো না এই বলে দেরি করেন। কিন্তু এই কাজ কখনোই করা যাবে না। সূর্য ডোবার সাথে সাথে অবশ্যয় ইফতার করতে হবে।
রোজা অবস্থায় এবং ইফতারের সময় বর্জনীয় কাজ সমূহ
রোজা অবস্থায় এবং ইফতারের সময় বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার। কারণ অনেক সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি রোজা থাকা অবস্থায় এবং ইফতার সামনে নিয়ে যেগুলো করা উচিত নয়।
- ইফতারের সময় অবশ্যই আমাদেরকে নজর হেফাজতে রাখতে হবে। এই কাজটি রোজা থাকা অবস্থায় করতে হবে কিন্তু ইফতারের সময় টিভি অথবা মোবাইলে অশ্লীল কোন কিছু দেখা যাবে না।
- ইফতারের সময় অতিরিক্ত জোরে কথা বলা থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে।
- ইফতারের সময় অন্য কাউকে গালিগালাজ অথবা হাসি ঠাট্টা করা যাবে না।
- ইফতারের সময় কারো সাথে মজা করা যাবে না। এবং কাউরি সঙ্গে ঝগড়া করা যাবে না।
- ইফতারের সময় অন্য কাউকে কষ্ট দিয়ে কথা বলা যাবে না। এই কাজটি শুধু ইফতারের সময় নয় কখনোই করা যাবেনা।
- ইফতারের আগে কখনো মুখে কোন কিছু নেওয়া যাবে না।
উপসংহারঃ
আজকের ইফতারের সময় রাজশাহী ২০২৪ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি রাজশাহী বিভাগের যে কোন জেলায় বসবাস করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে আমরা রাজশাহী বিভাগের যতগুলো জেলা আছে সবগুলো জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি উল্লেখ করেছি।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। আর্টিকেলটি পড়ে যদি উপকৃত হন, তাহলে বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দিন। রমজান মাসের রোজা রাখুন, দান সদকা করুন, রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করা। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url