পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
আপনি কি দাম্পত্য জীবনে অসুখী ? আপনার স্ত্রীর শারীরিক চাহিদা পূরণে অক্ষম ? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আসুন পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।
এখানে আরো জানতে পারবেন, কোন পদ্ধতিতে খেজুর খেলে পুরুষের যৌন শক্তি দ্বীগুন হবে এবং দিনে কয়টা করে খেজুর খেতে হবে। তাহলে আর দেরি না করে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন নিচের লেখাগুলো পড়ে নিন।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন যে, অনেক সময় শারীরিক সমস্যার কারণে নারী বা পুরুষ যৌন সম্পর্কে অক্ষম হয়ে পড়েন। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন কতটা খেজুর খেলে পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়। খেজুর ভিজিয়ে খেলে কি উপকার হয়? কোন সময় খেজুর খেলে বেশি উপকার হবে। এর পাশাপাশি পুরুষদের স্ট্যামিনাও বাড়ে। তাই পুরুষদের অবশ্যই খেজুর খাওয়া উচিত।
সূচীপত্রঃ
সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
কি খেলে ছেলেদের দ্রুত বীর্য তৈরি হয়
কোন খেজুরে উপকার বেশি
খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয়
শুকনা খেজুর খেলে কি হয়
খেজুর খাওয়ার নিয়ম
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুরে আছে প্রচুর পরিমান শক্তি, এমিনো অ্যাসিড, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। প্রতিদিন রোজায় আমাদের দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকতে হয় যার কারণে আমাদের দেহে প্রচুর গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। তখন এই খেজুর আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
সকালে খালিপেটে খেজুর খেলে যে উপকারগুলো হয় তা জানলে অবাক হবেন। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা-
কোলেস্টেরল এবং ফ্যাটঃ খেজুরে কোনো কোলেস্টেরল এবং বাড়তি পরিমাণে চর্বি থাকে না। যার ফলে আপনি যখন সহজেই খেজুর খাওয়া শুরু করবেন তখন অন্যান্য ক্ষতিকর ও চর্বিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
প্রোটিনঃ আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন জরুরি একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। খেজুর হলো প্রোটিনসমৃদ্ধ একটি ফল। এই ফলে আমাদের পেশি গঠন করতে সহায়তা করে এবং শরীরের জন্য খুব অপরিহার্য প্রোটিন সরবরাহ করে।
ভিটামিনঃ খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য আবশ্যক। যেমন, বি-১, বি-২, বি-৩ এবং বি-৫। এ ছাড়া ভিটামিন এ-১ এবং সি ভিটামিন পাওয়ার আরও একটি সহজ মাধ্যম হচ্ছে খেজুর। সেই সঙ্গে খেজুরে দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর।
আয়রনঃ আয়রন মানবদেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। খেজুরে প্রচুর আয়রন রয়েছে। ফলে এটা হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই যাদের দুর্বল হৃৎপিণ্ড, তাদের জন্য খেজুর হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ ঔষধ।
ক্যালসিয়ামঃ ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। যা হাড়কে মজবুত করে। খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।
ক্যানসার প্রতিরোধঃ খেজুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ। এক গবেষণায় দেখা যায়, খেজুর পেটের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। খুব সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে খেজুর Abdominal ক্যানসার রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং অবাক করা বিষয় হচ্ছে এটি অনেক সময় ঔষধের চেয়েও ভালো কাজ করে।
কি খেলে দ্রুত বীর্য তৈরি হয়
প্রাকৃতিক ফলমূল,দুধ,মুরগির ডিম,কাকড়া খেয়েও বীর্য্য বৃদ্ধি হয়। তবে প্রধানত তাল মাখনা,খেজুর,কিসমিস, ভেজানো ছোলা ও অস্বগন্ধার মূল সেবন করলে অবশ্যই বীর্য্য বৃদ্ধি হবে। অশ্বগন্ধার মূল যদি না মেলে তবে হোমিওপ্যাথি অস্বগন্ধা মাদার টিনকচার সেবন করলে সমস্ত ধরনের যৌণ দুর্বলতা দূর করে। বীর্য্য উৎপাদনে অশ্বগন্ধার কোনো জুড়ি নেই।
খেজুর খেলে বীর্য ঘন হতে পারে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বীর্য উৎপাদন এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। খনিজ পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, এবং জিঙ্ক: এই খনিজগুলি বীর্য উৎপাদন, পরিবহন, এবং কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়।
খেজুরে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলি বীর্য উৎপাদনকারী কোষগুলিকে সুস্থ রাখতে এবং তাদের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এইভাবে, খেজুর খেলে বীর্য ঘন হতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন ৫০ গ্রাম খেজুর খেলে বীর্য ঘনত্ব এবং মোট বীর্য সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
বীর্য ঘন করার জন্য খেজুরের পাশাপাশি অন্যান্য খাবারও খাওয়া যেতে পারে, যেমনঃ-
বাদাম এবং বীজঃ বাদাম এবং বীজ জিঙ্কের ভালো উৎস।
লাল মাংসঃ লাল মাংস প্রোটিন এবং জিঙ্কের ভালো উৎস।
সামুদ্রিক খাবারঃ সামুদ্রিক খাবার জিঙ্কের ভালো উৎস।
ডিমঃ ডিম প্রোটিন, জিঙ্ক, এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের ভালো উৎস।
সবুজ শাকসবজিঃ সবুজ শাকসবজি ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের ভালো উৎস।
ফলঃ ফল ভিটামিন, খনিজ, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
কোন খেজুরে উপকার বেশি
অতি প্রাচীন কাল থেকেই খেজুর একটি জনপ্রিয় ফল। খেজুরের উপকারিতা এতো বেশি যে গুণে সহজে শেষ করা যাবে না। বিশেষ করে মুসলমানদের নিকট এই ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। খেজুর খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এটি নানা ধরণের পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর। তবে খেজুরের মধ্যেও ভিন্নতা রয়েছে।
স্বাদের দিক থেকে আমরা বিভিন্ন ধরণের খেজুর দেখতে পাই। যেমন- আজওয়া, মরিয়ম, আনবারা, সাফাওয়ি, মুসকানি, খালাস, ওয়াসালি, বেরহি, শালাবি, ডেইরি, মাবরুম, ওয়ান্নাহ, সেফরি, সুক্কারি, খুদর প্রভৃতি খেজুর। এদের মধ্যে আমাদের নিকট সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো আজওয়া এবং মরিয়ম খেজুর। এটি খুবই সুস্বাদু এবং উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খেজুর।
মরিয়মঃ গবেষকদের মতে শুকনো খেজুরের মধ্যে মরিয়ম খেজুর সবচেয়ে বেশি উপকারী ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। বিশেষ করে রমজান মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর মরিয়ম খেজুরের পুষ্টিগুণ শরীরের ব্যাপক উপকারে আসে। তবে ইসলাম ধর্মে রমজান মাস ছাড়াও নিয়মিত খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আজওয়াঃ দেখতে কালো, নরম এই খেজুর খুব পুষ্টি সমৃদ্ধ। খেতেও বেশ ভালো। মূলত সৌদি আরবের মদিনাতে এই খেজুর চাষ হয়।
খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয়
খেজুরের উপকারিতার কথা কম-বেশি সবার জানা। এই ফলে থাকে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। খেজুরে থাকা ফাইবার ও আয়রন শরীরের অনেক উপকারে আসে। খেজুরে প্রাকৃতিক মিষ্টি থাকে, যে কারণে এটি চিনির বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। নানা ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে এতে।
নিয়মিত খেজুর খেলে তা স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখে, রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিজিয়ে রাখা খেজুর সকালে খালি পেটে খেতে হবে। তাহলেই এটি শরীরের অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেবে। খেজুর কেন ভিজিয়ে রেখে তারপর খাবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
খেজুর ভিজিয়ে রাখলে তাতে উপস্থিত ট্যানিন বা ফাইটিক অ্যাসিড দূর হয়, যা এর পুষ্টিগুণকে সহজে শোষণ করে। ভিজিয়ে রাখলে এই ফল সহজে হজম হয়। আপনার যদি এই অভ্যাস আগে থেকে না থাকে তবে শুরু করতে পারেন। ভিজিয়ে রাখা খেজুর নিয়মিত খেলে উপকারিতা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
আপনি যদি খেজুরের স্বাদ নিতে চান এবং সেগুলো থেকে পুষ্টিও শোষণ করতে চান তবে খাওয়ার আগে সারারাত (অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা) ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সকালে উঠে খালি পেটে সেই খেজুর খান। এতে সারাদিন সতেজ অনুভব করবেন। খেজুর দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে কাজ করবে।
শুকনা খেজুর খেলে কি হয়
শুকিয়ে যাওয়া শুকনো খেজুর খেলে শরীরের কী উপকার হয়; তা হয়তো অনেকেরই অজানা।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের অত্যন্ত সুস্বাদু ও পরিচিত ফল খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়ামসহ নানান পুষ্টিগুণ। আর এই সব উপাদানই অতীব প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে শীতের মৌসুমে।
আসুন এবার জেনে নিই শীতে শুকিয়ে যাওয়া খেজুর খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
বয়সের ছাপ প্রথমে ত্বকেই ধরা পড়ে। আর এ ত্বকই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শীতকালে। তাই ত্বকের যত্নে খেজুর কাজে লাগাতে পারেন। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচায়। ত্বকের নানা সমস্যা থেকেও খেজুর মুক্তি দেয়। ত্বকের বলিরেখা নিয়ন্ত্রণ করতেও খেজুর সিদ্ধহস্ত। এ ছাড়া ত্বকের ফ্যাকাশে ভাব ও হরমোনের সমস্যা কমাতে খেজুর কার্যকরী।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল বিদ্যমান থাকায় নানান রোগ নিরাময় করার ক্ষমতা রয়েছে এই ফলটির। পাশাপাশি এর পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটায়।ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে মজবুত করে। সেই সঙ্গে মাড়ির স্বাস্থ্যও সুরক্ষিত রাখে।শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে খেজুর।
একই সঙ্গে খেজুরের মিষ্টতা চিনির বিকল্প হিসেবে কাজ করে।শীতে হজমশক্তি কমতে শুরু করে। তাই এ সময় খেজুর খাওয়ার অভ্যাসে আপনার হজমশক্তি বাড়বে। কারণ, অন্ত্রের কৃমি ও ক্ষতিকারক পরজীবী প্রতিরোধে খেজুর বেশ সহায়ক। খেজুরে আছে এমনসব পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এই আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। শরীরে রক্তাল্পতা দেখা দিলে বা হিমোগ্লোবিনের কমতি হলে খেজুর খাওয়া শুরু করুন। এর ফলে শরীরের আয়রনের মাত্রা বজায় থাকবে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক হবে এবং রক্তের কোষ উৎপন্ন হবে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর শরীরের খারাপ ধরনের কোলেস্টেরল কমায় (এলডিএল) এবং ভালো কোলেস্টেরলের (এইচডিএল) পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করতে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
খেজুর নানা ভিটামিনে পরিপূর্ণ থাকায় এটি মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার গতি বৃদ্ধি রাখে, সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।যকৃতের সংক্রমণ কিংবা অ্যালকোহলজনিত বিষক্রিয়ায় খেজুর বেশ উপকারী। এ ছাড়া শীতকালীন সমস্যা যেমনঃ গলাব্যথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি এবং ঠান্ডার সমস্যা দূর করতে খেজুর দারুণ কাজ করে।
শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকেরই অলসতা আর ঝিমুনি ভাব দেখা দেয়। এ সমস্যার সমাধান হিসেবেও খেতে পারেন খেজুর। প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে খেজুর খুব দ্রুত কর্মশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই শীতে নিয়মিত খেতে পারেন ড্রাই ফ্রুট বা শুকনো ফল খেজুর।
খেজুর খাওয়ার নিয়ম
খেজুর একটি উপকারী ফল এ বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যেই জেনে গেছি৷ কিন্তু কখন বা কি নিয়মে খেলে বেশি উপকার পাবো?
সকালে খেজুর খেলে ভালো, এতে সারাদিন দেহে শক্তি পাওয়া যায় প্রচুর। ব্যায়াম করার কমপক্ষে আধা ঘন্টা আগে এটি খেলে দেহে সহজে ক্লান্তি আসে না, পাশাপাশি পেট থেকে দূষিত পদার্থও বেরিয়ে যায়।
আবার সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখেও খেতে পারেন এই ফল। সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও ঘুমানোর আগেও খেতে পারেন এটি। তবে ডায়রিয়া বা পেট খারাপের সমস্যা থাকলে এটি না খাওয়াই ভালো। এছাড়া হজমের সমস্যা থাকলেও এটি না খাওয়া উচিৎ।
অত্যন্ত উপকারী একটি ফলের তালিকায় খেজুরের স্থান উপরের দিকেই হওয়া উচিৎ। এটি যেমন দেহের শক্তি জোগায়, তেমনি অন্যান্য পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ করে।
এই ফল একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। নিয়মিত এটি খেতে পারলে দিনশেষে আপনার দেহেরই উপকার হবে। এতে করে আপনার পুষ্টির চাহিদা যেমন পূরণ হবে তেমনি অন্যান্য ঘাটতিও পূরণ হবে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত খেজুর রাখুন। তাতে করে দেহের সুস্থতা বাড়বে ও কর্মক্ষমতাও ঠিক থাকবে।
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত খেজুর খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন কতগুলি খেজুর খাওয়া উচিত তা একেকজনের ব্যক্তিগত চাহিদার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে একবারে অনেক খেজুর না খাওয়াই ভালো। কারণ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা বেশি পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
সেক্ষেত্রে ডায়েটে কতগুলি খেজুর অন্তর্ভুক্ত করবেন তা নিয়ে খাদ্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। খেজুর একটি ভিটামিন,প্রোটিন ও ফাইভার যুক্ত ফল। এই ফলটি দিনে কতটি খাবেন এর কোন লিমিট নেই। এবং কখন খাবেন তার কোন সময় নির্ধারণ নেই। আপনার যখন ইচ্ছা, যতটুক পারবেন ঠিক ততটুকু খাবেন।
তবে হাদিসে বর্ণনা আছে যে কোন ব্যক্তি যদি সকালবেলায় ৭ টি আজওয়া খেজুর খেয়ে থাকে তাহলে ওই দিন তাকে কোন বিষধর বিশ প্রাণনাশ করতে পারবেনা। এ থেকে আমরা একটি সংখ্যা পেয়ে যাই। অপরদিকে এক গবেষণায় জানা গেছে যে একজন ব্যক্তি দিনে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত খেজুর খেতে পারে, এতে করে তার পেটের কোন সমস্যা হবে না।
তবে যাদের ডায়াবেটিকস আছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেজুর খেতে পারে। বলে রাখা ভালো যে, সাতটি আজয়া খেজুরের ওজন কিন্তু প্রায় ৩০০ গ্রাম হয়ে থাকে।
উপসংহার
আপনার খাবার মেনুতে প্রতিদিন কিছু পরিমাণ খেজুর রাখার চেষ্টা করুন যদি সম্ভব হয়। আর আপনি যদি উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন তাহলে এই সম্ভাবনাময় ফল, যা বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে অনেকেই চাষ করছে। আপনি যদি মনে করেন এই ফলটা নিয়ে কাজ করবেন তাহলে ট্রাই করতে পারেন। খেজুর খেলে বীর্য ঘন হতে পারে।
খেজুরে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলি বীর্য উৎপাদনকারী কোষগুলিকে সুস্থ রাখতে এবং তাদের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। খেজুরে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলি বীর্য উৎপাদনকারী কোষগুলিকে সুস্থ রাখে। সুস্থ বীর্য উৎপাদনকারী কোষগুলি আরও বেশি বীর্য উৎপাদন করে। বীর্য ঘন হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url