যৌবন ধরে রাখার সহজ-সেরা ও প্রাকৃতিক উপায় বিস্তারিত জেনে নিন

বয়স বাড়বেই, সেটা নিয়ে চিন্তিত হবেন না। কারণ বয়স আপনি ধরে রাখতে পারবেন না। তাই বলে বয়সের ছাপ শরীরে বা চেহারায় পড়তে দেবেন কেন ? তাই আসুন যৌবন ধরে রাখার সহজ-সেরা ও প্রাকৃতিক উপায় বিস্তারিত জেনে নিন।
যৌবন ধরে রাখার সহজ-সেরা ও প্রাকৃতিক উপায় বিস্তারিত জেনে নিন

বেড়ে চলা বয়স কেবল যে আপনার সৌন্দর্যকেই প্রভাবিত করে তা কিন্তু নয়। প্রভাব ফেলে আপনার শরীরে, মনে, আপনার দাম্পত্য জীবনে সহ কমবেশি সকল সম্পর্কে। তাইতো আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং যৌবনের সব সমস্য দূর করুন।

ভূমিকা

আমরা সবাই সৌন্দর্যের পূজারী। নারী-পুরুষ সবায় নিজেকে সুন্দর দেখাতে পছন্দ করি এবং দীর্ঘ দিন নিজেকে তরুণ দেখতে চাই। কিছু পদ্ধতি বা নিয়ম মেনে চললে যৌবনকে ধরে রাখা যায়। যৌবন বা তারুণ্য যে কত বড় নিয়ামত, সেই জানে যে বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন। 

তাই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন কিভাবে যৌবনকে ধরে রেখে চির তরুণ হয়ে থাকবেন শারীরিক ও মানসিক ভাবে। আসুন আর দেরি না করে যৌবন ধরে রাখার সহজ ও সেরা উপায় বিস্তারিত জেনে নিন।

সূচীপত্রঃ

যৌবন ধরে রাখার সহজ উপায়
নারীদের যৌবন ধরে রাখার উপায়
পুরুষের যৌবন ধরে রাখার উপায়
চেহারায় লাবণ্য ধরে রাখার উপায়
ভিটামিন ই যৌবন ধরে রাখার কৌশল
যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
যৌবন শক্তি বৃদ্ধির উপায়
কি খেলে যৌবন বাড়ে
হারানো যৌবন ফিরে পাওয়ার

যৌবন ধরে রাখার সহজ উপায়

পৃথিবীর সব মানুষই চান যৌবন ধরে রাখতে। কিন্তু বাস্তবে কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। বার্ধক্য আসেই। সেই সঙ্গে মুখে পড়ে বলিরেখা। ত্বক হয় শিথিল। কিন্তু বয়সকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সেজন্য অবশ্যই সুস্থ জীবনযাপন দরকার। সেই সঙ্গে আরও কিছু টোটকা আছে। 

হালফিলের বোটক্স বা কোনো সার্জারি নয়, বরং কয়েকটি খাবারেই রয়েছে বয়স কমানোর টোটকা। যা অ্যান্টি-এজিং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। মুখে বয়সের ছাপ পড়ে না। বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াটিকে ধীর করে দেয়।

হলুদ

হলুদে কারকিউমিন নামক একটি যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টি-এজিং গুণসম্পন্ন। এটি কোষগুলোকে রক্ষা করে যা বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। তাই হলুদকে খাদ্যতালিকায় যোগ করুন।

রসুন

রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান, যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। দৈহিক সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

আদা

সুস্থ যৌনজীবন বজায় রাখতেও অপরিহার্য হতে পারে আদা। আদার মধ্যে থাকা ভোলাটাইল অয়েল স্নায়ুর উত্তেজনা বাড়ায় ও রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ঠিক রাখে। প্রতিদিন একটি সিদ্ধ ডিমের সঙ্গে আদার রস ও মধু খেতে পারেন।

দই

দই মেদ ও কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। যারা যৌবন ধরে রাখতে চান তাদের জন্য আশার কথা হচ্ছে নিয়মিত দই খান। দইয়ে প্রচুর প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম আছে যা শরীরের গঠন ভালো রাখে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। দই বয়সজনিত কারণে হওয়া রোগগুলো প্রতিরোধ করে। এছাড়াও দই ত্বককে রাখে বলিরেখামুক্ত। তাই যৌবন ধরে রাখতে চাইলে প্রতিদিন দই খান।

সামুদ্রিক মাছ

সামুদ্রিক মাছ যৌবন ধরে রাখতে সহায়ক। তাই নিয়মিত খাবার তালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখুন। তাতে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে, পাশাপাশি ধরে রাখা যাবে যৌবনও।

ডালিম

ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে ডালিম অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। ডালিমে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের নমনীয়তা বজায় রেখে তাকে টানটান রাখতে সাহায্য করে। তাই দিন শুরু করুন ১ গ্লাস ডালিমের রস খেয়ে।

কলা

যৌবন ধরে রাখতে কলার জুড়ি নেই। এতে আছে ব্রোমেলিয়ান, যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে যৌবনকে সজীব করে। এছাড়া কলায় আছে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। পটাশিয়ামের অভাবে ত্বক রুক্ষ হয়। কলা সেই অভাব পূরণ করে। ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম মানবদেহের যৌনরস উৎপাদন বাড়ায়।

গ্রিন টি

গ্রিন টিকে অ্যান্টি-এজিং ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কারণ এতে পলিফেনল রয়েছে। পলিফেনল বার্ধক্যের গতি কমিয়ে দেয়। তাই সকালে এবং সন্ধ্যায় গ্রিন টি খান। এছাড়াও গ্রিন টি একটি ফেস মাস্কও কার্যকর। গ্রিন টি-র সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।

টমেটো

লাইকোপিন হল রক্ত ​​এবং টিস্যুতে পাওয়া একটি পদার্থ যা ত্বককে সূর্যের রশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। টমেটো এবং তরমুজে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন পাওয়া যায়।

আঙুর

রেসভেরাট্রল, যা একটি পলিফেনল, এটা পাওয়া যায় আঙুরে। এই ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের জন্য ভাল। এটি ব্লুবেরি, ডার্ক চকোলেট এবং কোকোতেও পাওয়া যায়।

পেপে

বলিরেখা পড়বে না এমন ত্বক চাইলে পেঁপে খেতেই হবে। পেঁপে-তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। মৃত ত্বকের কোষগুলোকে ঝরিয়ে উজ্জ্বল করে তোলে।

পালং শাক

পালং শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়েম, ফাইবার, ভিটামিন আর মিনারেল (খনিজ)। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেণ্ট রয়েছে যা শরীরের ‘ফ্রি র‌্যাডিকেল’ ধ্বংস করে দিয়ে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

ব্রকলি

ব্রকলিতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ব্রকলি। যা শরীরকে সুস্থ রাখে। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। যা ত্বকের প্রধান প্রোটিন। এতে ত্বক টানটান থাকে।

বাদাম

বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার এবং প্রোটিন ছাড়াও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা হার্টে ও ত্বকের জন্য ভাল। খাদ্যতালিকায় বাদাম, কাজু, আখরোট এবং আমন্ড অন্তর্ভুক্ত করুন।

পানি

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি খাওয়ার পরিমাণও কমে যায়। কিন্তু পানিহীন শরীর অর্থাৎ তেলহীন একটি যন্ত্র। তেলহীন যন্ত্র যেমন কাজ করতে পারে না তেমনই পানি ছাড়া শরীর। সহজ কথায়, প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল খেতেই হবে। তৃষ্ণার্ত না থাকলেও নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন পানি খেয়ে।

মিষ্টি কুমড়ার বিচি

সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়া যেমন ভিটামিন সমৃদ্ধ, তেমনি এর বিচি পুরুষের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এতে আছে প্রচুর সাইটোস্টেরোল। যা পুরুষের দেহে টেসটোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি এসিড পুরুষের শক্তি বাড়ায় ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

সজনে ডাঁটা

আমেরিকান জার্নাল অফ নিউরোসায়েন্স জানাচ্ছে পুরুষদের লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা বা উদ্দীপনার ঘাটতিতে খুব ভাল কাজ করে সজনে ডাঁটা। প্রতিদিনের ডায়েট রাখতে পারেন সজনে ডাঁটা। অথবা এক গ্লাস দুধে সজনে ফুল, লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে প্রতিদিন খেলেও উপকার পাবেন।

জিরা

জিরার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম ও জিঙ্ক যৌনাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে বাড়ে যৌন উদ্দীপনা। জানাচ্ছে জার্নাল অফ দ্য সায়েন্স অফ ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার। প্রতিদিন এক কাপ গরম চায়ে জিরা ফেলে খান।

অলিভ অয়েল

অলিভ তেল যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায় এবং সহজে মেদ জমে না। এছাড়া প্রতিদিন ত্বকে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে ঘুমালে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না। যার ফলে যৌবন হয় দীর্ঘস্থায়ী।

ডার্ক চকলেট

ডার্ক চকলেট বয়স ধরে রাখতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যারা নিয়মিত ছোট এক টুকরা ডার্ক চকলেট খান, তাদের যৌবন হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী।

নারীদের যৌবন ধরে রাখার উপায়

জাপানি নারীরা নিজেদের বয়স ধরে রাখে জাদুর মতো। যার ফলে ৫০ বছর বয়সেও তাদের দেখে ৩০ বছর বয়সী নারী মনে হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নারীদের থেকে জাপানি নারীদের ত্বক ও সৌন্দর্য একদমই আলাদা।

একবাক্যে বলতে গেলে, তাদের ত্বক ও ত্বকের জেল্লা পুরো দুনিয়াতেই তারিফের যোগ্য। আর এর পেছনে তাদের রয়েছে গোপন রহস্য। দীর্ঘ জীবন ও সুস্বাস্থ্যের রহস্য লুকিয়ে আছে তাদের জীবনাচরণের মধ্যেই।

গ্রীন টি পান করা

গ্রীন টি বা সবুজ চা বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে পরিচিত। এটি অষ্টম শতাব্দী থেকেই চীনে পান করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ভেষজ রোগের চিকিৎসায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রীন টি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ভারতীয় সংস্কৃতিতে এটি রক্তপাত বন্ধে ও ক্ষত সারানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এটি মানসিক স্বাস্থ্য ও হৃদযন্ত্র ভালো রাখে।এটি শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। 

গ্রীন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টিতে ভরপুর একটি পানীয়। এছাড়া গ্রীন টিতে রয়েছে ক্যাফেইন এবং অ্যামাইনো এসিড এল-থেনাইন, এই দুইটি উপাদানের সংমিশ্রণ একসঙ্গে মস্তিষ্কের গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। নিয়মিত গ্রীন টি পান করলে স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়। গ্রীন টি থেকে সর্বোচ্চ উপকার পেতে দিনে দুই থেকে তিন কাপ গ্রীন টি পান করা উচিত।

ফারমেন্টেড খাবার গ্রহণ

ফারমেন্টেড খাবার গ্রহণের প্রক্রিয়া দেখতে ভালো না লাগলে বা শুনতে খুব ভালো না শোনালেও এর কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ফারমেন্টেশন বা গাঁজানো প্রক্রিয়াটি ব্যাকটেরিয়া বা ইস্টকে সুগার বা স্টার্চ খাওয়ানোর একটি প্রক্রিয়া। 

এর মাধ্যমে খাদ্যে উপকারী এনজাইম, বি-ভিটামিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং প্রোবায়োটিক ইত্যাদি উপাদান নষ্ট হয় না। পরিচিত ফারমেন্টেড খাবারের মধ্যে রয়েছে সাওয়ারক্রাউট, কিমচি, দই, আচার এবং মিসো সুপ। পানীয়ের মধ্যে রয়েছে কম্বুচা, কেফির ইত্যাদি।

সামুদ্রিক খাবার

দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ায় জাপানে সামুদ্রিক খাবারের কোনো অভাব নেই। দেশটির খাবার টেবিলে অহরহই দেখতে পাওয়া যায় স্কুইড, মাছ, অক্টোপাস, ঈল কিংবা শেলফিশ। এছাড়া জাপানি খাবার সুশি, সালাদ, কারি এবং টেম্পুরাতেও সামুদ্রিক খাবার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। 

কখনো গ্রীল, আবার কখনো জাপানী নিজস্ব ভাত ও মিসো সুপের সঙ্গে দেখতে পাওয়া যায় সামুদ্রিক খাবার। সামুদ্রিক খাবার প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ইত্যাদিতে পরিপূর্ণ থাকে। কাজেই খাবারের টেবিলে এসব খাবারের উপস্থিতি একটি শক্তিশালী হৃদযন্ত্রের নিশ্চয়তা দেয়।

চলতি পথে খাবার নয়

খাবার গ্রহণকে জাপানে প্রায় উপাসনার পর্যায়ে দেখা হয়। ফলে ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে চলার পথে বা হাঁটতে চলতে তারা কখনোই খাবার গ্রহণ করে না। আর দিনের মাঝে যত ব্যস্ততাই থাকুক, খাবার গ্রহণের সময়টা তারা খুবই মনোযোগ দিয়ে নিয়ম মেনে খাবার গ্রহণ করে।

স্বল্প আহারের অভ্যাস

জাপানী সংস্কৃতিতে 'ইচিজু-সানসাই' বা 'ওয়ান স্যুপ, থ্রি সাইডস' নামে একটি কথা প্রচলিত আছে যা খাবারের সময় মেনে চলা হয়। সাধারনত একবেলার জাপানি খাবারে সামান্য ভাত বা নুডলস থাকে, এরসঙ্গে প্রধান খাবার হিসেবে থাকে মাছ, মুরগী, শূকরের মাংস বা গরুর মাংস। এর সঙ্গে 'সাইড ডিশ' হিসেবে থাকে আচার দেওয়া সবজি এবং মিসো স্যুপ। 

প্রথমে শুনতে এটাকে অনেক বেশি খাবার মনে হলেও প্রতিটি খাবারই থাকে সামান্য পরিমাণে। ফলে প্রতি বেলায় শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের সমন্বয় ঘটে। এছাড়া জাপানি আদবকায়দা অনুযায়ী, প্রতিটি খাবারই থাকে আলাদা আলাদা পাত্রে যেন একটার সঙ্গে আরেকটি খাবারের স্বাদ মিশে না যায়। ফলে প্রত্যেকে কতোটুকু খাবার গ্রহণ করছে তা সে সহজেই বুঝতে পারে।বন ধরে রাখার উপায়

পুরুষের যৌবন ধরে রাখার উপায়

বয়স বাড়া টা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমরা চাইলেও যেমন সকাল বেলার সুর্য্য কে সারাদিন ধরে রাখতে পারি না , প্রকৃতির নিজস্ব নিয়মেই সকাল গড়িয়ে দুপুর , বিকেল এবং সন্ধ্যা হয় ঠিক তেমনি ভাবে শৈশব , কৈশোর , যৌবণ ও বার্ধক্য জীবনের ক্রম পর্যায়। এই স্বাভাবিকতা কে স্বীকার করে নিয়েই কিছু টিপস ফলো করতে পারেন। এতে বয়স বাড়লেও , বয়স বাড়ার লক্ষণগুলি কিছুটা দেরীতে প্রকাশ পাবে।

পুরুষদের যৌবন ধরে রাখার জন্য সঠিক পুষ্টি, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া উচিত। প্রতিদিন প্রযুক্তিবদ্ধ খাবার, ফল, সবজি, গরুর মাংস, মাছ, ডেয়রি প্রোডাক্টস, খাবারে থাকা গুলিতে নিশ্চিত হোন। যোগাযোগ মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সমর্থন করুন এবং নিরাপদ যৌন জীবন নিশ্চিত করার জন্য যোগাযোগ বজায় রাখুন।

অধিক সংখ্যক মানুষ তাদের সচেতনতার অভাবের কারণে গোপন শক্তি হারিয়ে ফেলে। বিশেষ করে এই জামানায় এই সময়ে পর্নোগ্রাফির পরিমাণ এতই বেড়েছে যে নেট দুনিয়াতে পূর্ণগ্রাফির শুধু ঝড় আর ঝড় । মোবাইল খুললেই চোখে পড়ে যায় অনেক বিশৃঙ্খল অবস্থা। 

এখন যে পরিমাণে হারবালের বিভিন্ন পোস্টার এবং লিফলেট রাস্তায় রাস্তায় দেখা যায় আজ থেকে ১৫ বছর আগে এগুলো চোখেও পড়েনি। সুতরাং সামনে যে কত খারাপ ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। তবে বিভিন্ন খাবারের দ্বারা খুব সহজে আমরা গোপন শক্তি ধরে রাখতে পারি। খাবারগুলো এই দেখতে এই সাইটে যেতে পারেন ।

চেহারায় লাবণ্য ধরে রাখার উপায়

এমন কাউকেই পাওয়া যাবে না যে, যৌবন রেখে বার্ধক্যকে পছন্দ করে। বার্ধক্য একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। তবে দেখা গেছে কেউ কেউ তুলনামূলক দ্রুত বুড়িয়ে যান। আবার কারও চেহারা দেখে বয়স বোঝার উপায় থাকে না। বয়সের তুলনায় চেহারায় তারুণ্যের ছাপ দেখা যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চেষ্টা করলে অর্থাৎ কিছু নিয়ম মেনে চললে নিজের তারুণ্য ধরে রাখা যায়। অন্যভাবে বলতে গেলে, সেসব নিয়মের মধ্যে চললে বয়স বাড়ার প্রক্রিয়ার কারণে শরীরে যেসব পরিবর্তন হয়, সেগুলো ধীর গতির করতে সক্ষম। এ বিষয়ে তারুণ্য ধরে রাখতে কয়েকটি পরামর্শ জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।

তাদের দেয়া ১০টি টিপস উল্লেখ করা গেল-

১। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে প্রথমেই যা প্রয়োজন তা হলো পর্যাপ্ত ঘুম। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে বলা হয়েছে।

২। ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। তারুণ্যকে দ্রুত বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দিতে এদের জুড়ি নেই।

৩। তারুণ্য ধরে রাখতে মানসিক চাপ অবশ্যই কমাতে। আমাদের দেশে বিভিন্নরকম মানসিক চাপে পড়েই কম বয়সে বুড়িয়ে যান অনেকে। তাই মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান, ব্যায়াম, যোগব্যায়াম ইত্যাদি করা যেতে পারে। কোনো মতেই টেনশন করা যাবে না। মন উদ্বিগ্ন থাকলে মানুষ দ্রুত বুড়িয়ে যায়।

৪। মূলত তারুণ্যের ঘাটতি আর বার্ধক্যে পরিণত হওয়ার ছোঁয়া প্রথমেই ত্বকের ওপর পড়ে। টানটান ত্বক কুঁচকে যেতে থাকা মানেই আপনি দিনদিন বুড়িয়ে যাচ্ছেন।

সেজন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভালোভাবে ত্বকের যত্ন নিতে। এ ক্ষেত্রে একটি ভালো মানের ক্লিনজার দিয়ে সকাল ও রাতে ত্বক পরিষ্কার করতে বলছেন তারা। আর ক্লিনজার কেনার সময় এতে যেন উচ্চমানের অ্যালকোহোল ও ড্রাইয়িং অ্যাজেন্ট না থাকে সে বিষয়টি দেখে কিনতে বলা হয়েছে ।

৫। এবার ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। কমপক্ষে দিনে দুইবার। কেবল মুখ নয়, ঘাড় ও হাতেও এটি লাগাতে হবে।

৬। ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সপ্তাহে অন্তত একবার স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও চকচকে।

৭। বার্ধক্যকে রুখতে সবচেয়ে বড় উপায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার, ফল, সবজি বেশি খেলে দেহ সতেজ থাকে ও তারুণ্যকে ধরে রাখতে কাজ করে।

৮। অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারে বরাবরই অনীহা দেখিয়েছেন ত্বক বিশ্লেষকরা। অতিরিক্ত কসমেটিক বা প্রসাধনী ব্যবহারকে কৃত্রিমতা বলছেন তারা। আর বিভিন্ন কসমেটিকের রাসায়নিক পদার্থ বাহ্যিক সুদর্শন করে তুললেও পরে দেখা যায় ওই প্রসাধনী ত্বকের জন্য মোটেই ভালো ছিল না। 

এছাড়া প্রসাধনী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেটি যেন ভালো মানের হয় এবং নির্দিষ্ট ত্বকের জন্য উপযোগী সেই বিষয়ে পরীক্ষার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

৯। ত্বককে ক্ষতিকর বেগুনি রস্মি থেকে রক্ষা করে সানস্ক্রিন। বিশেষকরে গরমপ্রধান দেশে সানস্ক্রিন ব্যভহার অতীব জরুরী। যারা বাইরে বেশি হন, যাদের ত্বকে সূর্যের আলো বেশি পড়ে তাকে অবশ্যই বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার কতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। শীত, বর্ষা, গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

১০। সবশেষে প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম আপনার তারুণ্যকে উজ্জীবিত রাখতে সাহায্য করে। জিমে গিয়ে ব্যায়াম না করতে পারলে প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটতে বলা হয়েছে। ব্যায়াম না করলে বা ছেড়ে দিলে দেহে আলসেমি চলে আসে আর স্থুলকায় হয়ে মানুষ তার তারুণ্য হারাতে থাকে।

ভিটামিন ই যৌবন ধরে রাখার কৌশল

ভিটামিন ই-ক্যাপ সেক্স সমস্যায় বেশ কিছু উপায়ে কাজ করতে পারে। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি রক্ত ​​প্রবাহকে উন্নত করতেও সাহায্য করতে পারে, যা ইরেকশন এবং যৌন উত্তেজনাকে উন্নত করতে পারে।

ভিটামিন ই-ক্যাপের সেক্স সমস্যায় কাজ করার কিছু নির্দিষ্ট উপায় হলঃ

কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষাঃ ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি লিঙ্গের অঙ্গগুলির কোষগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে, যা ইরেকশন এবং যৌন উত্তেজনাকে উন্নত করতে পারে।

রক্ত ​​প্রবাহ উন্নতঃ ভিটামিন ই রক্ত ​​প্রবাহকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি পুরুষদের মধ্যে ইরেকশনকে উন্নত করতে এবং মহিলাদের মধ্যে যৌন উত্তেজনাকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

হরমোন স্তর নিয়ন্ত্রণঃ ভিটামিন ই হরমোন স্তর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এটি পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে এবং মহিলাদের মধ্যে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়

আমাদের শরীরে অনেক ধরনের হরমোন থাকে। যা আমাদের বডির প্রোডাক্টিভিটিতে কাজ করে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ একটা হরমোন যেটাকে বলা হয় টেস্টোস্টেরন হরমোন। যেটা দিয়ে একজন পুরুষের ক্ষমতা নির্ণয় করা হয়। একজন পুরুষ তিনি বন্ধাত্ত্বাই ভুগছেন কিনা সেটাও নির্ধারণ করা হয়।

পুরুষের এই হরমোন কম থাকলে তিনি কিন্তু পুরুষত্বহীনতায় ভুগবেন। এই হরমোন টাই হলো পুরুষের যৌন হরমোন। এই হরমোন যখন কমে যায় একজন পুরুষের তখন তিনি তার যৌন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এই হরমন একজন পুরুষের শরীরে যত বেশি থাকবে তত বেশি যৌন ক্ষমতা অর্জন করবে।

এই হরমোন কমে যাওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। আমরা অনেক সময় রাস্তার ফুড খেয়ে থাকি। এ সমস্ত বাজে অভ্যাস এর কারণে এই হরমোন কমে যেতে পারে। পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে আপনি আপনার এই হরমোন বৃদ্ধি করতে পারেন। প্রথমেই মধুর কথা বলব কারণ মধু প্রাকৃতিক নিরাময়কারী একটি খাবার।

এক্ষেত্রে আপনাকে পিওর মধু খেতে হবে এর সাথে আদা কুচি মিক্স করে আপনি চিবিয়ে খেতে পারেন যেটা আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধি করবে। সবজির মধ্যে বাঁধাকপি রয়েছে বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস থাকে যা এই হরমোনকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

আর গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফল রয়েছে যেমন- কলা, আনার এবং খেজুরের কথা বলব। এই ফ্রুটসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, মিনারেলস থাকে যা এই হরমোনকে অনেক বৃদ্ধি করে থাকে। তাই খাদ্য তালিকায় এ ফলগুলো আপনি যুক্ত করতে পারেন।

এই সমস্ত খাবারগুলোকে আপনার খাদ্য তালিকায় এক-দুই দিনের জন্য রাখলে হবে না, কন্টিনিউ করার চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত ডিম খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে কারণ ডিমে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আপনার স্ট্রেস নেওয়ার ক্ষমতা বাড়াবে এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি করবে।

শুধুমাত্র ডিম থেকে আপনি মাল্টিভিটামিন, মিনারেলস, ভালো ফ্যাট, প্রোটিন ইত্যাদি পেতে পারেন। তাই আপনার খাবারের তালিকায় প্রতিদিন ২ থেকে তিনটি ডিম রাখতে পারেন।

যৌবন শক্তি বৃদ্ধির উপায়

যৌন শক্তি বাড়ানোর স্থায়ী ও স্বাস্থ্যসম্মত কোন উপায় আজ পর্যন্ত বের হয় নাই। এটা সবাই প্রাকৃ‌তিকভাবেই পেয়ে থাকে। বাকিটা মহান আল্লাহর ইচ্ছা।

কিভাবে যৌন শক্তি বাড়ানো যায়?

যে‌হেতু যৌনতা প্রকৃ‌তি প্রদত্ত আল্লাহর এক বি‌শেষ নেয়ামত সে‌হেতু প্রকৃ‌তিগতভা‌বেই এর কিছুটা সমাধানও সম্ভব। যেমন :

ডিমঃ

ডিম সিদ্ধ হোক বা ভাজি, সব ভাবেই ডিম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

দুধঃ

যৌন শক্তি বাড়া‌নোর জন্য দুধের ভূমিকা অতুলনীয়। বিশেষ করে ছাগলের দুধ পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভুমিকা রাখে। দুধ রতিশক্তি সৃষ্টি করে দেহের শুস্কতা দূর করে এবং দ্রুত হজম হয়ে খাদ্যের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়, বীর্য সৃষ্টি করে, চেহারা লাল বর্ণকরে, দেহের অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং মস্তিস্ক শক্তিশালী করে।

রঙিন ফলমূলঃ

যৌন জীবন ভালো রাখতে হ‌লে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, খেজুর, কলা, কমলা লেবু, তরমুজ, ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্র‌তি‌দিন ৫\৭টি খেজুর সকা‌লের নাস্তা হি‌সে‌বে খান আর যৌনতায় জাদু দেখুন।

রসুনঃ

যৌন অক্ষমতা দূর কর‌তে রসুন খুব ভালো কাজ ক‌রে। রসুন কে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয়। কারণ এটি অ্যান্টিসেপ্টিক হিসাবে কাজ করে। হারা‌নো যৌন ইচ্ছা ফিরি‌য়ে আনতে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী। কোন রোগে বা কার‌ণে যৌন ইচ্ছা কমে গেলে, তা পুনরুজ্জী‌বিত ক‌রে। 

এছাড়াও যৌন ইচ্ছা খুব বেশী হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রেও রসুন ভারসাম্য আনে। প্রতিদিন তিন থে‌কে চার‌টি রসুনের কোয়া চিবিয়ে খান। যৌন ইচ্ছা কমে গিয়ে থাকলে তা বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া গমের তৈরি রুটির সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা শরীরে স্পার্ম উৎপাদন এবং সুস্থ্য স্পার্ম তৈরিতে খুব কার্যকর।

পেঁয়াজঃ

কাম-উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসাবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন। 

এইভাবে প্রতিদিন খেলে দ্রুত বীর্যপাত বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন (যাকে spermatorrhea বলা হয়) ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হয়। এছাড়া পেঁয়াজের রসের সঙ্গে কালো খোসা সমেত বিউলির ডালের গুঁড়ো সাত দিন পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে তাকে শুকিয়ে নিন। এটির নিয়মিত ব্যবহার কাম-উত্তেজনা এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় রাখবে।

মধুঃ

মধুর রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। সকালে খালি পেটে মধু খে‌লে মস্তিস্ক শক্তি লাভ করে, স্বাভাবিক তাপে শক্তি আসে, রতি শক্তি বৃদ্ধি হয়, প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়, গ্যাস নির্গত হয় ও ক্ষুধা বাড়ায়। মধু হাজারো রকম ফুল ও দানার নির্যাস। দুনিয়ার সকল গবেষকগণ একত্রিত হয়ে এমন নির্যাস প্রস্তুত করতে চাইলেও কখনো বানাতে পারবে কিনা এ বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

বাদাম ও বিভিন্ন বীজঃ

কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে। সেক্স হরমোন গুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

কাজেই যৌন শ‌ক্তি বাড়া‌নোর দু‌শ্চিন্তা বাদ দিন। যৌনতা বিষয়ে সক‌লের স‌ঠিক জ্ঞান থাক‌তে হ‌বে তাহ‌লে সকল প্রকার বিভ্রান্তি থে‌কে মু‌ক্তি সম্ভব।

কি খেলে যৌবন বাড়ে




এমন কিছু খাবার আছে যা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে যৌন ইচ্ছা ও ক্ষমতা দুই-ই বৃদ্ধি পায়।

তরমুজঃ ভায়াগ্রার সমান কাজ করে এই ফল।

আমন্ড এবং পেস্তাঃ আমন্ডে প্রচুর ভিটামিন ই রয়েছে।

জাফরানঃ যৌনশক্তি বৃদ্ধি ও কামেচ্ছাকে স্বাভাবিক রাখতে এই ফলের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

হারানো যৌবন ফিরে পাওয়ার

ফলের উপকারিতা যে ঠিক কতটা এবং তা কোন কোন ক্ষেত্রে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আজন্মকাল ধরে মানুষ খুঁজে আসছেন যৌবন ধরে রাখার উপায়। আর তার উপায়ও রয়েছে ফলেই। এক একরকম ফলে আছে এক একরকম গুণ। যা যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। বার্ধক্য এড়াতে এই ফলের কার্যকারিতা অনেক। জমতে দেয় না মেদ।

দৈনিক এক গাদা ভিটামিন ট্যাবলেট না খেয়ে খেতে পারেন একটি করে আমলকি কিংবা রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন আমলকির পাউডার । এই সামান্য আমলকি আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারি ৷ তাহলে এবার জেনে নিন আমলকি খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা ৷ আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

এটি শুধুমাত্র চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুল বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। আমলকি চুলের খুসকির সমস্যাও দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে। আমলকি কিংবা রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন আমলকির পাউডার । এই সামান্য আমলকি আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারি ৷ এছাড়াও আপনার যৌবন ধরে রাখতে পারে আমলকি।

আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি শুধুমাত্র চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুল বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। আমলকি চুলের খুসকির সমস্যাও দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে। তরমুজ- ওজন কমানোর জন্য তরমুজের কোনও বিকল্প হয় না ৷

এতে অত্যন্ত কম মাত্রায় ক্যালারি রয়েছে ৷ USDA অনুযায়ী, ১০০ গ্রাম তরমুজে ৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে ৷ ব্ল্যাকবেরি- মেদ কমাতে অত্যন্ত উপকারি ৷ তবে খেয়াল রাখতে হবে অন্য কোনও কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যাবে না ৷ ১০০ গ্রাম ব্ল্যাকবেরিতে রয়েছে মাত্র ১০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ৷

আঙুরঃ ১০০ গ্রাম আঙুরে মাত্র ১০ গ্রাম কার্ব রয়েছে ৷ পাশাপাশি এর গ্লাইকেমিক ইনডেক্সও কমই হয় ৷ ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত উপকারি ৷

খরমুজঃ ১০০ গ্রাম খরমুজে রয়েছে মাত্র ৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ৷

রসুনঃ প্রতিদিন নিয়ম করে দুই কোঁয়া রসুন খেলেই আপনার যৌনজীবন হবে দীর্ঘস্থায়ী৷

উপসংহারঃ

আজীবন যৌবন ধরে রাখতে চায় সবাই। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকেও বয়সের চিহ্ন লক্ষ করা যায়। চোখে মুখে বয়সের ছাপ পড়ে, ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়। ত্বক কুচকে যায়, বলিরেখা দেখা দেয়। প্রাকৃতিক উপায়ে সুস্থ থাকতে এবং তারুণ্য ও যৌবন ধরে রাখতে পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। উপরের ‍উল্লেখিত খাবারগুলো নিয়ম করে খেলে আপনার যৌবন থাকবে অটুট। 

আজকের আলোচনা থেকে সামান্য উপকৃত হলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।













এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪