গ্রীন ভ্যালি পার্ক, লালপুর (নাটোর) পিকনিক স্পট সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনারা শিক্ষা প্রতিষ্টানের পক্ষ থেকে অথবা বন্ধু-বান্ধব মিলে শিক্ষা সফর বা পিননিক করতে কোথায় যাবেন, জায়গা ঠিক করতে পারছেন না ? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্যই। দেরি না করে গ্রীন ভ্যালি পার্ক, লালপুর (নাটোর) পিকনিক স্পট সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
গ্রীন ভ্যালী পার্ক শিক্ষা সফর কিংবা পিকনিকের জন্য আদর্শ স্পট। এখানে আরো যা দেখতে পাবেন- গ্রীন ভ্যালি পার্ক সুইমিং পুল। দেশ-বিদেশের হরেক রকমের পশু পাখি এবং মন মাতানো বিভিন্ন রাইডস।
ভূমিকা
বনলতা সেন, রানী ভবানী, উত্তরা গণভবন, চলনবিল, মিনি কক্সবাজার পাটুল আর কাচাগোল্লার জন্য আগে থেকেই দেশবাসীর কাছে বিখ্যাত হয়ে আছে নাটোর। নাটোরের পর্যটন খাতে আরো একটি নতুন আকর্ষণ গ্রীন ভ্যালী পার্ক। সর্বশেষ গ্রীন ভ্যালী পার্ক-এর অবস্থা, নতুন আকর্ষণ আর স্পট ভাড়া নিয়ে যাবতীয় খুঁটিনাটি থাকছে আজকের আলোচনায়।
নিচের তথ্যগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে গ্রীন ভ্যালি পার্ক, লালপুর (নাটোর) পিকনিক স্পট সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
সূচীপত্র
গ্রীন ভ্যালি পার্ক লালপুর নাটোর
গ্রীন ভ্যালি পার্ক সুইমিং পুল
পার্কে প্রবশের টিকেট মূল্য ও গাড়ি পার্কিং খরচ
গ্রীন ভ্যালি পার্কের নতুন চকম
নাটোর গ্রীন ভ্যালি পার্ক কত কিলোমিটার
নাটোরের দর্শনীয় স্থান সমূহ
গ্রীন ভ্যালি পার্ক লালপুর নাটোর
রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার লালপুর উপজেলা সদর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রীন ভ্যালী পার্ক একটি চমৎকার বিনোদন কেন্দ্র বা পিকনিক স্পট। প্রায় ১২৩ বিঘার উপর নির্মিত গ্রীন ভ্যালী পার্কটিতে সকল বয়সী দর্শনার্থীদের চিত্তবিনোদনের জন্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় রাইডের মধ্যে আছে মিনি ট্রেন, বুলেট ট্রেন, নাগরদোলা,
ম্যারিগো রাউন্ড, পাইরেট শীপ, হানি সুইং, স্পীডবোট, প্যাডেল বোট প্রভৃতি। এছাড়াও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মণ্ডিত মনোরম পরিবেশের এই পার্কের মধ্যে রয়েছে নয়নাভিরাম লেক। অনেক প্রজাতির ফুল, গাছ-পালা এবং পরিপাটি পরিবেশ দেখে আপনার মনটা শীতল হয়ে যাবে।
গ্রীন ভ্যালী পার্কের অন্যান্য সুযোগ সুবিধার মধ্যে আছে শ্যুটিং স্পট, আধুনিক পিকনিক স্পট, এ্যাডভেঞ্চার রাইডস, কনসার্ট এন্ড প্লে গ্রাউন্ড, সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, নামাজের স্থান, ডেকোরেটর, কার পার্কিং, ক্যাফেটেরিয়া, শপ, সভা-সেমিনারের স্থান এবং আবাসিক ব্যবস্থা।
গ্রীন ভ্যালি পার্ক সুইমিং পুল
গ্রীন ভ্যালি পার্কে রয়েছে একটি অত্যাধুনিক সুইমিং পুল। যা তরুণ-তরুণীদের ব্যাপক আনন্দ দিয়ে থাকে। বলা চলে নাটোর গ্রিন ভ্যালি পার্কের এই সুইমিংপুলও অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। প্রতিদিন যারা এখানে ঘুরতে আসে তাদের অনেকেই এই সুইমিংপুলে গোসল করে আনন্দ উপভোগ করে। সুইমিংপুলের পাশে রয়েছে গান বাজনার ব্যবস্থা। মাঝারি আকৃতির সুইমিংপুল হওয়ায় অনেক সময় দর্শনার্থীরা গোসল করার সুযোগ পান।
কারন সুইমিংপুলের পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দেখে কেউ নিজেকে সামলাতে পারেননা। অনেকে হয়তো গোসল করার জন্য প্রিপারেশন নিয়ে আসেনা কিন্তু সুইমিংপুলের পানি দেখে লোভও সামলাতে পারেনা। তাই এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে বাচার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে ৷ সুমিংপুলের পাশে খুব অল্প টাকায় ছেলে-মেয়েদের পোশাক ভাড়ায় পাওয়া যায়।
স্কুল কলেজ থেকে পিকনিকে আসা ছেলে-মেয়েরা এখানে গোসলের টানে। সুইমিংপুলে গোসল করার জন্য খুব বেশি টাকা গুনতে হয়না ৷ ওয়াটার পুলে পছন্দের মানুষকে বা ফ্যামিলির যে কাউকে এনে অনেক আনন্দ করতে পারবেন। ওয়াটার পুলের মাঝখানে গোল গোল চাকার মত কিছু রিং দেখতে পাবেন।
নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার জন্য এখানে রয়েছে লকার। লকারে আপনার গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রেখে নিশ্চিন্তে সুইমিং করতে পারবেন। লকারে জিনিস রাখার জন্য আপনাকে ১০০ টাকা দিতে হবে ৷ জিনিস নেয়ার সময় ৫০ টাকা ফেরত পাবেন। ওয়াটার পুলের টিকেট মূল্য ২৫০ টাকা।
পার্কে প্রবশের টিকেট মূল্য ও গাড়ি পার্কিং খরচ
পার্কের প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা খোলা থাকে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। (ঋতু পরিবর্তনেরসাথে পার্ক খোলার সময় পরিবর্তিত হয়) ওয়াটার পার্ক ২৫০ টাকা। গাড়ী পার্কিং মটর সাইকেল- ১০ টাকা এবং বাসের জন্য ৩০০ টাকা নিয়ে থাকে।
সপ্তাহের ৭ দিন গ্রীন ভ্যালি পার্ক খোলা থাকে। প্রায় ১৬ টির মতো রাইড রয়েছে। রাইড ভেদে প্রতিটির মূল্য ৩০-৬০ টাকা পর্যন্ত। ভ্রমন পিয়াসীদের জন্য সুখবর। গ্রীন ভ্যালী পার্ক লিমিটেডে সংযোজন করা হয়েছে নতুন রাইড 'ফেইরি হুইল'। সবাইকে সু- স্বাগতম।
গ্রীন ভ্যালি পার্কের নতুন চকম
গ্রীন ভ্যালি পার্কে এমনিতেই অনেক কিছু দেখার আছে। যা দেখে আপনার মন প্রফুল্লো হবে। তবে ভিড়ের কারণে সবগুলো দৃশ্য উপভোগ করা যায় না। ২০২৩ সালে গ্রীন ভ্যালি পার্কে নতুন সংযোজন হয়েছে ড্রিম ফরেষ্ট যেখানে প্রবেশ করতে হলে ৪০ টাকায় একটি টিকেট কেটে প্রবেশ করতে হবে। গেটে ঢোকার পর প্রথমে দেখতে পাবেন কৃত্রিম একটি ঝর্ণা।
ড্রিম ফরেষ্ট বলা হলেও এখানে তেমন কোন গাছ বা জঙ্গল নেই। আছে অনেক ধরনের পশু-পাখি এবং হাঁস, মুরগি। আরো একটি টিকেট কাটতে হবে ২০ টাকা দিয়ে ফ্লাওয়ার ভ্যালি নামক একটি বাগানে। সেখানে অনেক ফল রয়েছে। একটি পাহাড় তৈরি করা আছে যার পুরোটায় ফুল দিয়ে সাজানো, তবে অরজিনাল ফুল নয় সব আর্টিফিসিয়াল ফল।
নাটোর গ্রীন ভ্যালি পার্ক কত কিলোমিটার
বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলা শহর হতে ৪০ কিলোমিটার দূরে উপজেলা লালপুরের সন্নিকটে অবস্থিত। লালপুর থেকে গ্রীন ভ্যালি পার্কের দুরত্ব হচ্ছে ২ কিলোমিটার। বাস, সিএনজি, অটো অথবা বাইকেও যেতে পারবেন। ট্রেনে যেতে চাইলে আব্দুলপর স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে অটোতে চটে ১০/২০ টাকায় গ্রীন ভ্যালি পার্কে যেতে পারবেন খুব তাড়াতাড়ি।
নাটোরের দর্শনীয় স্থান সমূহ
নাটোর এমনিতেই অনেক কিছুর জন্য বিখ্যাত। নাটোরের বনলতা সেন, নাটোরের কাঁচা গোল্লা, বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ চলন বিল। নাটোরে অনেক দর্শনীয় স্থান আছে। সেগুলো নিম্নরুপ- উত্তরা গণভবন, রাণী ভবানী রাজবাড়ী, হালতির বিল, চলন বিল ইত্যাদি।
উত্তরা গণভবন
নাটোরের বিখ্যাত দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি বর্তমানে উত্তরা গণভবন নামে পরিচিত। নাটোরের রানী ভবানী তাঁর নায়েব দয়ারাম রায়কে দিঘাপতিয়া পরগনা উপহার দেন। পরবর্তীতে নায়েব সেখানে কয়েকটি প্রাসাদ গড়ে তোলেন। প্রায় ৪৩ একর আয়তনের লেক ও প্রাচীর বেষ্টিত রাজবাড়িটিতে মোট ১২ টি ভবন রয়েছে।
উত্তরা গণভবনের পিরামিড আকৃতির চারতলা প্রবেশ দ্বারের চূড়ায় বিখ্যাত কোক অ্যান্ড টেলভি কোম্পানির তৈরি একটি ঘণ্টা ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছে। আর মূল প্রাসাদ ভবনে প্রবেশ করলে রাজার সিংহাসন, আক্রমণ ঠেকানোর বর্ম এবং তলোয়ার দেখতে পাবেন। রাজ প্রাসাদের প্রাঙ্গণে ইতালি থেকে সংগৃহীত ভাস্কর্যে সুসজ্জিত বাগান রয়েছে।
মনোমুগ্ধকর এই বাগানে স্থান পেয়েছে হাপরমালি, নীলমণিলতা, রাজ-অশোক, পারিজাত, কর্পূর, সৌরভী, হৈমন্তী, যষ্টিমধু, বনপুলক, পেয়ালি, সেঁউতি, তারাঝরা, সাইকাস, মাধবী ইত্যাদি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এছাড়া আছে রাজা প্রসন্ননাথের অবক্ষমূর্তি, জমিদার দয়ারামের ভাস্কর্য, চারটি কামান, কুমার ভবন, তহশিল অফিস ও অতিথিশালা।
নাটোর জেলা শহর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উত্তরা গণভবনটি বর্তমানে উত্তরবঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্থানীয় কার্যালয় এবং বাসভবন হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই উত্তরা গণভবন পরিদর্শন করতে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়।
রাণী ভবানী রাজবাড়ী
প্রাচীন জনপদ নাটোর জেলায় সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত রাণী ভবানী রাজবাড়ী কে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৬ সালে রাণী ভবানী কেন্দ্রীয় পার্ক হিসাবে ঘোষনা করে। রাণী ভবানী কেন্দ্রীয় পার্কে রয়েছে ৬ টি দীঘি এবং শ্যামসুন্দর, তারকেশ্বর শিব এবং আনন্দময়ী কালিবাডী নামের ৩ টি মন্দির, যেগুলাতে এককালে রাজকীয় ভাবে পূজা – আর্চনার আয়োজন করা হত।
রাণী ভবানী রাজবাড়ী নাটোর রাজবাড়ি নামেই অধিক পরিচিত সকলের কাছে। রানী ভবানী রাজবাড়ী বড় তোরফ ও ছোট তরফ নামক দুটি অংশে বিভক্ত। ১২০ একর আয়তনের রানী ভবানী রাজবাড়ী কমপ্লেক্সে ছোট বড় মোট ৮ টি ভবন রয়েছে।
কিছুটা মতভেদ থাকলেও নিশ্চিত ভাবে বলা যায় ১৭০৬ থেকে ১৭১০ সালের মধ্যে নাটোরের রানী ভবানী রাজবাড়ী নির্মাণ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। তৎকালীন পুঠিয়ার রাজা দর্পনারায়ণের কাছ থেকে ১৮০ বিঘা আয়তনের একটি বিল রাজা রাম জীবন দান হিসাবে গ্রহন করে এই রাজবাড়ী ও অন্যান্য স্থাপনা গড়ে তোলেন।
বড় তরফ অংশের মূল কমপ্লেক্সটিই রানী ভবানীর রাজ প্রসাদ হিসাবে ব্যবহৃত হত। নাটোর রাজবাড়ী প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটক দেখতে আসেন এই রাজবাড়ীটি।
হালতির বিল
দিগন্তজুড়ে স্বচ্ছ জলরাশি। দৃষ্টিজুড়ে শুধু জল আর জল। তাতে খেলা করছে ছোট-বড় ঢেউ। সেই ঢেউ ভেঙে ছুটে চলেছে নৌকা। নৌকাগুলো এই বিল থেকে ওই বিল পাড়ি দিয়ে ফিরছে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে। স্বচ্ছ জলরাশিতে নৌকা ভ্রমণে ভিন্ন স্বাদ মেটাচ্ছে নাটোরের হালতি বিল। বিলটি ভ্রমণপিপাসুদের কাছে ‘মিনি কক্সবাজার’ নামেও পরিচিত।
তবে মজার বিষয় হচ্ছে- আকাশের রঙ অনায়াসে মেখে নেয় এই বিলের পানি। কারণ ফাঁকা বিল হওয়ায় আকাশের পুরো রূপ পানিতে দেখা যায়। ফলে আকাশের রঙ মেঘলা হলে পানি অন্ধকার দেখায়, আবার আকাশের রঙ নীল হলে পানি নীল দেখায়। তাই আকাশের ওপর নির্ভর করে হালতির বিলের পানির রঙ।
নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলে বর্ষা মৌসুমে চলে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত অসংখ্য নৌকা। মৌসুমের এই সময়ে অথই জলরাশি এই বিলে দেখা যায়। শুধু বিলের পানিতে নৌকা ভ্রমণের জন্য পিপাসুদের আনাগোনা ঘটে না। ভ্রমণপিপাসুদের আনাগোনা ঘটে বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ডুব দিতেও। বিলের মধ্যে রয়েছে ছোট ছোট গ্রাম।
গ্রামগুলো অনেকটাই ছবির মতো সুন্দর। সবুজ গাছপালায় ঘেরা একেকটি গ্রাম বেশ চমৎকার। প্রতিটি গ্রামের চারপাশে আবার দিগন্তজোড়া জলরাশি। এ যেন সাগরের বুকে একগুচ্ছ ছোট ছোট দ্বীপ। দ্বীপগুলোতে মাটির একতলার পাশাপাশি চোখে পড়বে ইটের দোতলা দালান। এমন অপরূপ দৃশ্য হালতি বিল ছাড়া অন্য কোথাও দেখা মিলবে না।
চলন বিল
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিলের নাম চলন বিল। নাটোর, সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা জেলা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট অনেকগুলো বিলের সমষ্টি এই চলন বিল। বর্ষায় দ্বীপের মত ভাসমান সবুজ গ্রাম, শীতে অতিথি পাখির কলতান, সুনীল আকাশ এবং শরতে বিলের পাড় ধরে ফোটে থাকা কাশবনের সৌন্দর্য আগত দর্শনার্থীদের মনমুগ্ধ করে রাখে।
শুধুমাত্র ভরা বর্ষায় চলন বিলের প্রকৃত রূপ ধরা পড়ে। আর তখন প্রায় ৩৬৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পানিতে একাকার হয়ে যায়। বর্ষাকাল ছাড়াও প্রায় সারাবছরই চলন বিলের বুকে নৌকায় ভেসে বেড়াতে কিংবা বিলের বৈচিত্রপূর্ণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে অসংখ্য পর্যটক ছুটে আসেন।
চলন বিলের বুকে মিশে গেছে করতোয়া, আত্রাই, গুড়, বড়াল, মরা বড়াল, তুলসী, ভাদাই সহ বেশ কয়েকটি নদী। মাছে সমৃদ্ধ চলন বিলে আছে চিতল, মাগুর, কৈ, শিং, বোয়াল, টাকি, শোল, মৃগেল, চিংড়ি, টেংরা, কালিবাউশ, রিটা, মৌসি, গজার, বৌ, সরপুটি, পুঁটি, গুজা, গাগর, বাঘাইর কাঁটা, তিতপুটি সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
শেষ কথাঃ
সংসারের একঘেয়ামী বা প্রতিদিনের একই কাজ করতে করতে আপনি যখন ক্লান্ত অনুভব করবেন ঠিক তখনই মনটাকে ফ্রেস ও ক্লান্তিভাব দুর করতে চলে আসুন গ্রীন ভ্যালি পার্কে। কিছুটা সময় বিনোদনের মধ্যে ডুবে থাকুন। আর কত সারা জীবন তো সংসারের জন্য দিয়ে যাচ্ছেন ? নিজের জন্যও তো ভাবতে হবে। নিজের ভালো লাগাকে প্রাধাণ্য দিন ।
কিছু টাকা তো খরচ হবেই। অন্য দিক দিয়ে আবার টাকা পয়সা চলে আসবে। সপরিবারে বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরে আসতে পাবেন গ্রীন ভ্যালি পার্কে। এখানকার মজার মজার রাইড এবং সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আপনার মনকে প্রফুল্লো করে তুলবে, ইন্শআল্লাহ। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url