পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম, আশা আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। প্রতিনিয়ত আমরা কলা খেয়ে থাকি। কিন্ত আমরা সবায় কি জানি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পড়ে পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন।
পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন

এখানে আরো জানতে পারবেন- গর্ভবতী মেয়ে কাঁচা কলা খেলে কি উপকারিতা পাবে এবং চুলের যত্নে ও ত্বকের যত্নে কলার খোসার ব্যবহার। কলার খোসার ব্যবহারের উপকারিতা।

ভূমিকা

কলা আমাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি ফল। আমাদের দেশে সব জায়গায় এবং সব মৌসুমে ও খুব সহজে কলা পাওয়া যায়। কলা যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। কাঁচা কলা আমরা সবজি হিসেবে এবং পাকা কলা ক্ষুধা মিটাতে নাস্তায় বা অন্য যে কোন সময় খেয়ে থাকি। 

সবায় যদি জানতো বিভিন্ন রোগের পথ্য হিসেবে কাঁচা কলার কদরের কথা তাহলে সবায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কাঁচা কলা রাখতো। তাহলে আর দেরি নয় চলুন পাকা কলা খাওয়ার উপকারিত ও কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা যাক।

সূচীপত্র

কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ
কাঁচা কলার অপকারিতা
পাকা কলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
কলার খোসার উপকারিতা
গর্বাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়া উপকারিতা
চুলের যত্নে কলার খোসা ব্যবহার
ত্বকের যত্নে কলার খোসা ব্যবহার

কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা কলাতেও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে কাঁচাকলা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কাঁচা কলায় থাকে এনজাইম, যা ডায়েরিয়া এবং পেটের নানা সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। তাই ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকেরা কাঁচা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

১. নিয়মিত কাঁচাকলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন কাঁচা কলার ঝোল খেতে পারেন। এতে হৃদযন্ত্রে চাপ কম পড়বে।

২. রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় কাঁচা কলা। ফলে যারা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য দারুণ কাজ করে কাঁচা কলা।

৩. যারা অ্যাসিডিটি, গ্যাস বা পেটের জটিল সমস্যায় ভুগছেন, তারা খাবার তালিকায় কাঁচা কলা রাখতে পারেন। এতে সমস্যা কমবে।

৪.কাঁচা কলা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়।

৫. কাঁচা কলায় রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন। এগুলো রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়িয়ে দেয়।

কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ

কলা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। ফল হিসেবে কলার যেমন কদর রয়েছে ঠিক তেমনি সবজি হিসেবেও বেশ ভালো সুনাম রয়েছে সুস্বাদু পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলের। পুষ্টিবিদরা বলেন, কলা খাওয়ার ফলে পেটের অসুখে অনেক উপকার পাওয়া যায়। 

পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলকে সবজি হিসেবে খাওয়ার ফলে আলসার, সংক্রমণ, ডায়রিয়াসহ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এতে কার্বোহাইড্রেড, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি এবং আরও নানা উপকারী উপাদান রয়েছে। কলায় থাকা ভিটামিন-সি রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। 

কাঁচাকলা ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এতে করে ক্যালরিবহুল অন্যান্য খাবার থেকে দীর্ঘ সময় নিজেকে বিরত রাকা যাায় । আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় খুব সহজেই হজম হয় এটি। নিয়মিত কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। 

কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে ক্ষতিকর সকল ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু এবং ইনফেকশনকে দূর করে কোলনকে ভালো রাখে। দীর্ঘমেয়াদী কোলন সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক ভূমিকা রাখে। নিয়মিত কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে শরীরের হাড় মজবুত এবং হাড় ক্ষয় হ্রাস পায়।

কলার অপকারিতা

অনিদ্রার সমস্যা হতে পারে, তাই রাতের বেলা কলা না খাওয়ায় ভালো। যদি ঠান্ডা লেগে থাকে তবে কলাকে এড়িয়ে চলুন, তার কারণ বেশি পরিমাণ কলা খেলে আমাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা আরো বেড়ে যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে সচেতন থাকাটা খুবই জরুরী। 

 খুব বেশি কলা খেলে আমাদের শরীরের ওজন বাড়তে পারে। যেটা আরো একটি বড় সমস্যা। কলাতে সুগার এবং কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে তাই খুব বেশি কলা খেলে আমাদের দাঁতের সমস্যা হতে পারে।

পাকা কলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

(১ ) হৃদযন্ত্র ভালো রাখেঃ পাকা কলা পটাশিয়ামের আধার। প্রতিদিন একটি বা দুটি কলা খেলে আপনার হৃদযন্ত্র অনেক বেশি সচল থাকবে এবং হার্ট এ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে

(২) ভালোভাবে প্রসব হওয়ার জন্য গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কলা খাওয়া প্রয়োজন। কলা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। এটি গর্ভাবস্থায় সকালের ক্লান্তি ভাব দূর করে

(৩) কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়ঃ কলা হজমে সহায়তা করে এবং পেট ফাঁপা সমস্যা সমাধান করে। এছাড়াও কলা পাকস্থলীতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে।

(৪) রক্ত শূন্যতা দূর করতেঃ কলায় প্রচুর আয়রন আছে যা রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে যারা রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য কলা খুবই উপকারী একটি ফল।

(৫) কলার ফাইবার এবং প্রোবায়োটিক অলিগোস্যাকারাইজড হজমে দারুণ সহায়ক। এর ফলে আপনার শরীর আরও বেশি পরিমাণে পুষ্টি সঞ্চয় করতে পারে।

(৬) পাকস্থলির আলসার এবং বুক-জ্বালা রোধ করেঃ যারা নিয়মিত বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা প্রতিদিন একটি করে কলা খান ভরা পেটে। কলা বুক জ্বালা পোড়া কমায় এবং পাকস্থলীতে ক্ষতিকর এসিড হতে দেয় না

(৭) প্রায় দুই মিনিট ধরে কলার খোসা দাঁতের উপর ঘষলে এটি দাঁতের উপরে থাকা ময়লা ও দাগ দূর করে দাঁতকে সাদা করে তুলবে। মিনারেলে ভরপুর কলার খোসা দাঁতকে সাদা ঝকঝকে করে তুলতে পারে

(৮) কলায় ফ্যাটি এসিডের চেইন আছে যা ত্বকের কোষের জন্য ভালো এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

(৯) মশার কামড়ে ফুলে, লাল হয়ে ওঠা ত্বকের যত্ন নিতে ক্রিম ব্যবহার করার আগে কলার খোসা ঘষে দেখুন ত্বকের ফুলে ওঠা অংশে।

(১০) কলায় থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি যা স্নায়ুকে শান্ত করে। মানসিক চাপ কাটাতে ফ্যাটি ফুডের থেকে বেশি প্রয়োজনীয় কলা। কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ হওয়ায় কলা রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে স্নায়বিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

(১১) ক্যন্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ সাম্প্রতিক কিছু গবেষনায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত পাকা কলা শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক ধরণের যৌগ সরবরাহ করে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। এতে করে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

(১২) ত্বক সজীব করেঃ কলার চামড়ায় কিছু পরিমাণে ফ্যাটি উপাদান আছে, যা ত্বকে ঘষলে ময়েশ্চারাইজারের মতো উপকার পেতে পারেন। আবার ব্রণ দূর করার জন্যও কলার চামড়া ব্যবহার করা হয়। তবে সব ধরণের ত্বকের জন্য তা কাজ নাও করতে পারে। তবু একবার চেষ্টা করে দেখতে তো দোষ নেই।

কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড় কে শক্ত, দৃঢ় এবং উন্নত করে। শুধু তাই নয় ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁতের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।

কলা বিভিন্ন গুণাগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। এর পুষ্টিগুণ অধিক। এতে রয়েছে দৃঢ় টিস্যু গঠনকারী উপদান যথা আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ। কলা ক্যালরির একটি ভাল উৎস।

প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ কলায় পানি ৭০.১%,আমিষ ১.২%,ফ্যাট ০.৩%,খনিজ লবণ ০.৮%,আঁশ ০.৪%,শর্করা ৭.২%।খনিজ লবণ এবং ভিটামিন:ক্যালসিয়াম৮৫মি.গ্রা.,ফসফরাস ৫০মি.গ্রাম, আয়রন ০.৬মি.গ্রাম, ভিটামিন-সি, অল্প ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স ৮মি.গ্রাম।

কলার খোসার উপকারিতা

রূপচর্চার জন্য কলার খোসা খুব উপকারী। খোসায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা দূর করে। এছারাও শুষ্ক ও খসখসে ত্বকে কলার খোসা থেঁতো করে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক কোমল হবে। কাঁচা কলার খোসা বেটে রান্না করলে তা খুব সুস্বাদু হয়। বিশেষত ওপার বাংলায় এই পদ খাওয়ার চল আছে। 

মুখের কালো দাগ বা ছপ ছপ দাগ দূর করতে কলার খোসার ভূমিকা অপরিসীম। সামান্য মধুর সঙ্গে এটি মিশিয়ে ভাল করে মুখে ঘষলেই মুখের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। কলার খোসা দিয়ে চামড়ার জুতো, রুপোর গয়না পরিষ্কার করতে পারেন। কলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে মুড-নিয়ন্ত্রণ রাসায়নিক সেরোটোনিন থাকে৷ যেটি শরীরের অবসাদ দূর করে। 

পোকা-মাকড় কামড়ালে সেই স্থানে কলার খোসা লাগালে দ্রুত ব্যথা ও চুলকানি সেরে যায়। দাদের জাদুকরী ওষুধ কলার খোসা। এটি লাগালে চুলকানি বন্ধ হওয়ার পাশাপআশি দ্রুত দাদ সেরে যাবে।

গর্বাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়া উপকারিতা

গর্ভাবস্থার খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কলা। এটা উচ্চ কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ এবং এই সময়ের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদা পূরণ করে। কলা নারীদের জন্য খুবই উপকারী। রয়েছে হিমোগ্লোবিন যা রক্তস্বল্পতার মাত্রা কমায়।

চুলের যত্নে কলার খোসা ব্যবহার

পানি হালকা গরম হয়ে এলে তাতে ২টি কলার খোসা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন । এবার এই পানিটি সকালে ভালো করে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে নিন । লম্বা চুলের জন্য কলার খোসার পানি প্রস্তুত । এইভাবে ব্যবহার করুন কলার খোসার পানি ৷ কলার খোসা থেকে তৈরি এই পানি কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ।

ত্বকের যত্নে কলার খোসা ব্যবহার

পাকা কলা দামে সস্তা, সহজলভ্য কিন্তু পুষ্টির গোদাম। যেকোনো ডায়েট প্লানে কলা অপরিহার্য। এটুকু সবাই জানি এবং মানি । কিন্তু কলার মতো কলার খোসাও দুর্দান্ত উপকারি। বিশেষ করে রূপচর্চায় কলার খোসা অতুলনীয়।

কলার খোসায় প্রচুর প্রয়োজনীয় মিনারেল আর পর্যাপ্ত অ্যান্টি-অক্সিডান্ট রয়েছে। ফলে সস্তায় রূপচর্চা করতে হলে এখন থেকে আর কলা খেয়ে খোসাটা ফেলে দেবেন না। চোখ-মুখে কালো ছোপ থাকলে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। 

খোসা ছোট ছোট করে কেটে নিন। তারপর মুখে এবং গলায় ভালভাবে ঘষে নিন। অন্তত ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর দেখবেন ত্বকের তেল তেল ভাব চলে গেছে। পরপর কয়েক দিন এভাবে কলার খোসা ব্যবহার করলে চোখের তলার কালিও উধাও হবে।

লেখকের কথাঃ

কলা হচ্ছে একটি ১২ মাসি ফল। বাংলাদেশে সব এলাকায় সব সময় কলা চাষাবাদ হয়ে থাকে। এজন্য এই ফলটি সহজলভ্য। কম মূল্যে এতো বেশি উপকারি ফল আর দ্বিতীয়টি নেই। শারীরিক সুস্থ্যতা বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন কম পক্ষে ১টি অথবা ২টি করে কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিৎ।

 অনেক আগের একটি প্রচলিত কথা আছে, বেশি করে কলা খান, ঘরের কাছের ডাক্তার তাড়ান। ছোট-বাড় ছেলে-মেয়ে বৃদ্ধ-যুবক সবায় কলা খায় এবং সুস্থ্য সবল জীবন যাপন করি। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হলে এবং ভালো লাগলে অন্যদের পড়তে উৎসাহিত করুন । পারলে শেয়ার করে দিন। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪