পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় - পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়
বন্ধুরা লেখাপড়া করতে কি ভালো লাগছে না ? পড়ার টেবিলে মন বসছে না ? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি তোমার জন্যই। আর দেরি না করে মনোযোগ সহকারে নিচের আর্টিকেলটি পড়ে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় - পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় জেনে নাও।
এখানে আরো যা জানতে পারবে- কিভাবে পড়লে পড়া মনে থাকবে। পড়ার সময় কোন কোন বিষয়গুলির প্রতি বেশি গুরুত্ব বেশি দিবে। কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে পড়তে ভালো লাগবে এবং সহজ মনে হবে।
ভূমিকা
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। মানুষ যেমন মেরুদন্ডের উপর ভর করে সোজা হয়ে দাড়িয়ে থাকতে পারে, ঠিক তেমনি শিক্ষার উপর ভর করে জাতির উন্নতির মাধ্যমে মাথা উঁচু করে বিশ্বের দরবারে দাড়াতে পারবে। শিক্ষিত জাতি দেশের সম্পদ। বর্তমানে বিশ্বের সব চেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে জ্ঞান। আর সেই জ্ঞান অর্জন করতে হলে লেখাপড়া করার কোন বিকল্প নেই।
শুধু ভালো রেজাল্ট করার জন্য পড়লে হবে না। জ্ঞান অর্জনের জন্য মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। আর লেখাপড়ায় মনোযোগ বাড়ানোর জাদুকরি কিছু কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আজকের আর্টিকেলে।
সূচীপত্র
পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায়
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার সহজ উপায়
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়=
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন
পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়
পড়াশোনা করার সঠিক সময়
পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির খাবার
শিশুর মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়
পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায়
পড়তে বসলেই ঘুম আসে। আজগুবি সব চিন্তায় সময় চলে যায়। একের পর এক বইয়ের পাতা উল্টালেও পড়ায় আর মন বসতে চাই না। এভাবেই কেটে যায় দিনের পর দিন। কিন্তু পরীক্ষার সময় বাড়ে চাপ। কি করবে বুঝতে পারছো না। কোনটা রেখে কোন বই পড়বা, সেই চাপে আবার পড়ায় মনোযোগ দেয়া দায়।
অবশেষে যা-তা পড়াশোনা করেই দিতে হয় পরীক্ষা, ফলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়াই বাড়ে হতাশা।
এটা স্বাভাবিক কোন হতাশা নয়! এর ফলে বদলে যায় অনেকের জীবনযাত্রার পথ। কেউ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পৌঁছাতে না পেরে বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ।
কেউ আবার পড়াশোনার ইতি টেনে কর্মযজ্ঞে পা বাড়ায়। তাই পড়াশোনায় মনোযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যার ব্যতিক্রম ঘটলে ছন্দহীন হতে পারে চলার পথ। সুতরাং তোমার পড়াশোনার যদি এমন অবস্থা হয়, তবে জেনে নাও সমাধানের উপায়-
সকল বিষয় সহজ (পজেটিভ) ভাবা
একটা বিষয় যতই জটিল হোক না কেন তুমি বিষয়টা তোমার জন্য সবথেকে সহজ ভাবো। এবং নিজের প্রতি সবসময় পজিটিভ ধারণা রাখ যে আমি অবশ্যই পারবো। পারবো না বলে রেখে দিবেনা। কারণ রেখে দিলে বা স্ক্রিব করলে সেটা আরো কঠিন হয়ে পড়বে তোমার জন্য। এক কথায় ভয়কে জয় করতে হবে। পারিবো না একথাটি বলিয় না আর এক বার না পারিলে দেখ শতবার।
তাই প্রচেষ্টা তোমাকে চালাতে হবে যতক্ষণ না সমাধান হয়। আর একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে অধৈর্য হওয়া যাবে না। যখনই তুমি কঠিন বিষয়কে সহজ মনে করবে তখন সেটি তোমার কাছে সত্যি সত্যি সহজ মনে হবে। তাই সব সময় পজেটিভ ভাবতে হবে, ন্যাগেটিভ ভাবা যাবে না।
অন্যের সাথে প্রতযোগিতা করা
কে হবে রোল নম্বর এক, কে পাবে সর্বোচ্চ নম্বর—তা নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকবেই। তবে এ প্রতিযোগিতা যদি শত্রুতা হয়ে যায়, তাহলে ক্ষতি কিন্তু তোমারই। শত্রুর সঙ্গে হাত মেলানো না গেলেও একজন প্রতিযোগী কিন্তু ভালো বন্ধু হতে পারে, যার কাছ থেকে শেখা যায় নতুন কিছু।
একটা বিষয় সব সময় মনে প্রাণে বিশ্বাস রেখে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে যে, আমিও একজন ভালো ছাত্র/ছাত্রী হতে পারি, অন্যের চেয়ে আমিও বেশি নম্বর পেতে পারি। পেতে আমাকে হবেই। অন্যরা পারলে আমি কেন পারবো না ? এই ভাবে মনে মনে প্রতিযোগিতা চালিয়ে যেতে হবে।
নিজেকে পুরস্কার দেওয়া
প্রতিটি লক্ষ্য অর্জনের পর কোনো কিছু পেলে আগ্রহ অনেকগুণ বাড়ে। তাই কিছু আনন্দ পাওয়ার আশায় পড়ায় মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে মন্দ কী! পুরস্কার যে সবসময় বড় হতে হবে এমন তো কথা নেই। ছোটোখাটো উদযাপন দিয়েও আনন্দ উপভোগ করা যায়।
সেটি হতে পারে তোমার প্রিয় অনুষ্ঠানের একটি সিজন দেখা, টেক-আউট খাবারের অর্ডার দেওয়া বা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া। তবে তোমর লক্ষ্য অনুযায়ী কতটুকু এগিয়েছো সেটি মাথায় রাখতে ভুলবে না। সব সময় মনে রাখবে অর্জনের পর উৎযাপন। কখনোই আগে উৎযাপন নয়।
ভালো ভাবে পড়াশোনা করতে পারলে এক সময় সব এসে তোমার কাছে ধরা দেবে। যে সব জিনিসের প্রতি তোমার আগ্রহ বেশি ছিল, বা নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পড়াশোনা ভালো করে সফলতা অর্জন করলে সব পেয়ে যাবে অল্পতেই।
ফোন থেকে দূরে থাকুন
পড়ার সময় মনোযোগ ধরে রাখার বর্তমানে প্রধান শত্রু হয়ে উঠেছে হাতে থাকা ফোন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নোটিফিকেশন বা বন্ধুদের বার্তা পেলে মনোযোগ নষ্ট হতে আর কিছু লাগে না। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একজন সাধারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী গড়ে প্রতিদিন ২ ঘণ্টা ৫০ মিনিট অ্যাপ স্ক্রল করেই ব্যয় করে।
অথচ এই সময়টুকু পড়ায় ব্যয় করতে চায় না কেউ। তাই পড়ার সময় এমন অ্যাপ ব্যবহার করো যাতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ফোন নিজে থেকেই বন্ধ থাকে। অথবা পড়ার সময় ফোনটির সুইচ অফ করে রাখো।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার সহজ উপায়
১। পড়াগুলোকে সুবিন্যস্ত করে সাজিয়ে পড়া শুরু করা
পড়া শুরু করবে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে। শুরুতেই মন থেকে পরীক্ষা ভীতি দূরে সরিয়ে ফেলবে। পড়াগুলোকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিবে। পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী কোনদিন কি পড়ব তা আগে থেকে ঠিক করে নিবে। এতে পড়তে সুবিধা হয়, পড়া মনে থাকেও বেশি।
২। পড়া না দেখে লেখার অভ্যাস তৈরি করা
আমরা যা পড়ি তা কখনোই পুরোপুরি মনে থাকে না। পরীক্ষার খাতায় হুবহু নির্ভুল লেখা তাই অনেক সময়ই সম্ভব হয় না। কিন্তু পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে নির্ভুল লেখা। পরীক্ষায় নির্ভুল লেখার জন্য পড়ার পরে তা না দেখে লেখার অভ্যাস করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
কোন কিছু পড়ার পর তা না দেখে লিখলে ভুল গুলো সহজেই ধরা যায় এবং পরবর্তীতে সেই ভুল হবার সম্ভাবনা কম থাকে।
৩। ভুল থেকে শেখা
ভুল করে শেখা জিনিস অনেকদিন মনে থাকে। তাই ‘কোথায় ভুল হচ্ছে? কেন ভুল হচ্ছে? কী বুঝতে পারছোনা?’ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করো প্রথমে। এগুলো যদি ফলো করতে পারো তবে পরীক্ষায় ভালো করার সম্ভাবনা অনেকগুণে বেড়ে যাবে।
৪। গ্রুপ স্টাডি করা
ভালো ফলাফল করার জন্য গ্রুপ স্টাডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন বিষয় একসাথে গ্রুপ করে পড়লে সেই বিষয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হয়। এতে করে পড়াগুলো আয়ত্ত করা যেমন সহজ হয়, তেমনি আলোচনার মাধ্যমে জটিল বিষয়গুলো সম্পর্কে বিশদ ধারণা লাভ করতে পারবে।
৫। ক্লাস লেকচার ফলো করা
ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত হতে হবে ও মনোযোগ দিয়ে লেকচার শুনবে। কেননা পরীক্ষায় কি আসবে বা কি আসতে পারে তা নিয়ে শিক্ষকরা ক্লাসেই কিছু না কিছু ধারণা দিয়ে থাকেন। এছাড়া কঠিন বিষয়গুলো ক্লাসেই শিক্ষকের কাছ থেকে বুঝে নিলে তা অনেকদিন পর্যন্ত মনে থাকে।
৬। নোট তৈরী করা
নোট করে পড়া ভালো ফলাফলের জন্য বেশ কার্যকর। ভালো নোট পাঠে মনোযোগ বাড়ায় এবং পাঠকে আকর্ষণীয় করে তুলে। তাছাড়া নোট করলে পরীক্ষার আগেই একবার বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবে। এতে প্রস্তুতি নিতে বেশ সুবিধা হয়।
৭। পড়ার মাঝে বিরতি নেওয়া
একটানা অনেকক্ষণ পড়ার চেয়ে বিরতি দিয়ে পড়া অনেক বেশি কার্যকর। বেশ কিছুক্ষণ ধরে পড়লে পড়ায় মনোযোগ ধরে রাখা যায় না। পড়ার সময় প্রতি ২০-২৫ মিনিট পর পর অন্তত ৫ মিনিট বিরতি দাও। বিরতি নেওয়ার ফলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং পড়া খুব সহজেই আয়ত্ত হবে।
৮। পরীক্ষার আগের রাতের জন্য পড়া জমিয়ে না রাখা
সকল পড়া পরীক্ষার আগের রাতের জন্য জমিয়ে না রেখে প্রতিদিন অল্প অল্প পড়। পরীক্ষার আগের রাতে সকল পড়া একসাথে পড়তে গেলে মানসিক চাপ বাড়বে যা পরীক্ষায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই পরীক্ষার রাতের প্রস্ততি হিসেবে নতুন কিছু না পড়ে আগে যা পড়া হয়েছে তাই রিভাইস করো।
৯। পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করা
খাবারের সাথে মস্তিষ্কের ক্রিয়াক্ষমতার সম্পর্ক রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে পরীক্ষার সময় চর্বিহীন এবং আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত। কারন এসব খাবার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য আল্লাহ আমাদের অনেক গুলো পথ তৈরি করে দিয়েছেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের অনেক পথের খোঁজ দিয়েছেন। তার মধ্যে একটি হলো দোয়া।
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য অনেক দোয়া রয়েছে তার মধ্যে নিম্নে কিছু দোয়া দেওয়া হয়েছে, এগুলো নিয়মিত আমল করলে আশা করি তোমার মুখস্ত করার ক্ষমতা বাড়বে। পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি করার জন্য এই দোয়াটি পড়তে পারো -
আল্লাহুম্মা ছাব্বিতনী ওয়াজআলনী হাদিইয়্যাম মাহদিইয়্যা।
বাংলা অর্থঃ- হে আল্লাহ! আপনি আমাকে দৃঢ় রাখুন, এবং পথ প্রদর্শক ও সুপথপ্রাপ্ত বানান। (সহীহ বুখারী-৩০, সহীহ মুসলিম-২০)
পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি করার জন্য নিচে আরো একটি দোয়া দেওয়া হয়েছে এই দোয়াটি নিয়মিত আমল করলে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়বে ইনশাআল্লাহ। পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি করার দোয়া:
(اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ)
অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।”
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন
মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে মেডিটেশন। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট মেডিটেশন করলে তোমার মনোযোগ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারবে। মাত্র ৩ মাস নিয়মিত মেডিটেশনের ফলে উচ্চ-রক্তচাপের ঝুঁকি প্রায় ৫২% কমিয়ে আনবে। নিয়মিত মেডিটেশন এর ফলে তুমি পুরো উদ্যমে পড়াশোনা করতে পারবে।
পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়
- যখন পড়তে বসবেন তখন মোবাইলের প্রতি মনোযোগী হওয়া যাবেনা।
- পড়তে বসার আগে সকল প্রকার সামাজিক মাধ্যম থেকে লগআউট করে ফেল।
- প্রয়োজনে মোবাইল বন্ধ রাখ।
- তোমার আশপাশ এবং পড়ার রুম পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখ।
- নিজের লক্ষ্য সেট করে ফেল,না হলে পড়ালেখায় মনোযোগ বসবে না।
- পড়ালেখাকে অভ্যাসে পরিণত করো।
পড়াশোনা করার সঠিক সময়
গবেষকদের একাংশের মতে, সকাল ১০ টা থেকে ২ টা এবং বিকাল ৪ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত মস্তিষ্কের অধিগ্রহণ করার ক্ষমতা সব থেকে বেশি থাকে। তখন পড়াশোনা করলে সবথেকে বেশি মনে থাকে। আর লেখাপড়া সবথেকে কম কার্যকর হয় এর মাঝের সময়টাতে। আবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ৭টা পড়াশোনার ক্ষেত্রে অন্যতম কার্যকরী সময়।
পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির খাবার
আজকের আর্টিকেলে ১০টি খাবারের নাম উল্লেখ রয়েছে যা তোমার মনোযোগ বৃদ্ধি করতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মানসিক দিক উন্নত করতে অনেকটাই কাজ করবে।
১। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে ব্লুবেরি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
২। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চর্বিযুক্ত মাছ।
৩। বুদ্ধি আর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বাদাম এবং বীজ
৪। মানসিক শক্তি উন্নত করতে ডার্ক চকলেট
৫। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ব্রকলি
৬। ডিম খাওয়া মনোযোগ বৃদ্ধির উপায় হতে পারে
৭। হলুদ
৮। অ্যাভোকাডো
৯। সবুজ শাক:
১০। আস্ত শস্যদানা
শিশুর মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়
মনোযোগ বাড়াতে গল্প শোনানোর ভূমিকা বিরাট। সে গল্প শুনছে কি না, তা বুঝতে আপনিও পরে গল্পের মধ্য থেকে প্রশ্ন করে যাচাই করে নিতে পারেন। লেখার সময়ে শিশুকে ছোট ছোট নির্দেশ দিন। ছবি আকাঁর ক্ষেত্রে 'পয়েন্টগুলোকে জুড়ে দাও, রং দিয়ে আউটলাইন টানো, ভিতরটা রং করো।
সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে যান। ওকে বলুন বাজারে যত লাল জিনিস দেখতে পাচ্ছে, সেগুলো গুনে আপনাকে বলতে। আবার কোথাও হয়তো বেড়াতে যাচ্ছেন, বাচ্চাকে বলুন দুই দিয়ে শেষ হওয়া ক'টি গাড়ির নাম্বারপ্লেট সে দেখতে পেল, আপনাকে গুনে জানাতে।'' এতেও সন্তানের মনোযোগ বাড়বে। বাচ্চার সঙ্গে কথা বলুন।
পড়াতে মনোযোগ বাড়াতে প্রথমে তাকে একটি স্কুলে ভর্তি করে দিন এবং প্রতিদিন স্কুলে নিয়ে যান, নিয়ে আসেন। রঙিন ব্যাগ কিনে দিন, খাতা ও নতুন রং পেন্সিল বক্স,পড়ার টেবিল এবং আরো অন্যান্য উপকরণ কিনে দিন। আনন্দ, বিনোদন ও খেলার ছলে পড়ান।
উপসংহারঃ
সব বাবা-মা এর ইচ্ছে থাকে তার শিশুটি একটি লেখাপড়া করে বড় হয়ে মানুষের মত মানুষ হবে। ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়র হবে, সরকারি বড় কোন চাকরি করবে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে। এমনটি সবার চাওয়া থাকে বাচ্চাদের কাছে।
আর সবের মধ্যে থেকে যে কোন একটি পেশাতে বা অন্য পেশাতে নিজেকে যুক্ত করতে হলে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। দেশের সেবা করতে হলে সত্যিকার অর্থে শিক্ষাই শিক্ষিত হতে হবে। সেই জন্য পড়ার সময় ফাঁকি দেওয়া যাবেনা। যদি তুমি পড়ায় ফাঁকি দাও, তবে এটাই একদিন তোমাকে কাঁদাবে। আফসোস করবে।
আর এই আফসোসটা শুরু হবে পরীক্ষার রুম থেকেই। কর্মহীন জীবনে আরো বেশি মনে পড়বে এই পড়ার কথা। ভালো থাকো, সুস্থ্য থাকো, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করো। মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে সফল হলে আমি বেশি খুশি হব। আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url