দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি কী বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই লেখাগুলো আপনারই জন্য। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। কত তারিখে ভোট গ্রহণ এবং কার অধিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং আরো খুটি নাটি বিষয় সম্পর্কে জানুন।
এখানে আরো জানতে পারবেন, কোন আসন থেকে কে প্রতিদদ্ধি করছেন। কত তারিখে নির্বাচনী তফশিল ঘোষনা করা হয় ? প্রতীক বরাদ্দ এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারসহ নানা বিষয়ের খবরা খবর জানতে পারবেন।
ভূমিকা
জাতীয় সংসদের ৩৫০টি আসনের মধ্যে ৩০০ জন সংসদ সদস্য সরাসরি জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ১৫১টি বা তার বেশি আসনে যে দল জয়ী হবেন তারাই সরকার গঠন করবেন। জোটগত ভাবে ভোটে অংশ গ্রহণ করলেও ১৫০টির বেশি আসন নিয়ে সরকার গঠিত হতে পারে।
সূচীপত্র
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল
এক নজরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন
নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে যেসব কারণে
আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়লেন তিন প্রতিমন্ত্রী-সহ ৭২জন এমপি
মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হলেন য়ারা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখে বাংলাদেশের ত্রয়োদশ নির্বাচন কমিশন কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সংসদ নির্বাচনের কর্ম পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।
এ পরিকল্পনায় সুষ্ঠু নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায়, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার, আইন সংস্কার, নির্বাচন কমিশনের করণীয়, রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখা, সব দলগুলোর সাথে সংলাপ, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দপ্তর সমূহের কাজ প্রভৃতি বিষয় উল্লেখ করা হয়।২০১৯
সালের জানুয়ারি মাসের ৩০ তারিখ একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।
যার ফলে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দাদা জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ নির্বাচন নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত রাজনৈতিক গলগুলোর সাথে, গণমাধ্যম কর্মীর সাথে, সুশীল সমাজের সাথে, শিক্ষাবিদ, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভার কর্মপরিকল্পনা করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল
২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর রোজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল। ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন ৭ জানুয়ারী ২০২৪।
ঘোষিত তফসিল মোতাবেক নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২৩, বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর ২০২৩, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেয় ১৮ ডিসেম্বর।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসারের চুড়ান্ত নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে’’। নির্বাচনের প্রচার প্রচারনা চলবে ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে ৫ জানুয়ারী ২০২৪ সকাল ৮টা পর্যন্ত। তফসিল ঘোষনার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ৯ নভেম্বর ২০২৩ রাষ্ট্রপতি জনাব মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন এর সাথে দেখা করেন কমিশন।
সেই সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রধান বিচারপতি ও মন্ত্রনালয়ের প্রধানের সাথে বৈঠক করেন। এমন এক সময় নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করলেন, যখন দেশে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চায় ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন করতে, অন্য দিকে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো চাচ্ছে সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চুড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন।
এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৫২ জন। গত ৫ বছরে ভোটার বেড়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৬ জন।
এক নজরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন
জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন সভা ও এটি এক কক্ষ বিশিষ্ট। এই আইন সভার জন্য জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে ৩০০ আসনের জন্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও ৫০ জন মহিলা সংসদ সদস্য সংরক্ষিত আসনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনীত হন।
নির্বাচিত রাজনৈতিক দলের প্রধান মন্ত্রীই হলেন সরকার প্রধান। আর রাষ্ট্রের প্রধান হলেন, রাষ্ট্রপতি, যিনি জাতীয় সংসদ সদস্য কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে থাকেন। আমাদের রাষ্ট্রপতির পদ হলো আনুষ্ঠানিকতা, প্রকৃতপক্ষে সকল ক্ষমতার উৎস থাকে প্রধান মন্ত্রীর হাতে।
প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালে ৭ মার্চ। উক্ত নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। মোট ভোট সংগৃহীত হয়েছিল ৫৪.৯%।
দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন
দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৯ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারী। এই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২০৭টি আসনে জয়লাভ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। মোট ভোট সংগৃহীত হয়েছিল ৫১.৩%। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (মালেক) ৩৯, আওয়ামী লীগ (মিজান) ২, জাসদ ৮, মুসলিম লীগ ও ডেমোক্রেটিক লীগ ২০, ন্যাপ (মোজাফ্ফর) ১, এবং আরো অনেকে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেন ১৬ টি আসনে।
তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন
তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালে ৭ মে। নির্বাচনে মোট ১,৫২৭ জন প্রার্থী অংশ গ্রহণ করেন। এই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টি ১৫৩টি আসনে জয় করে। মোট ভোট সংগৃহীত হয় ৬১.১%। আগের নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই নির্বাচনটি বর্জন করেছিল।
চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৩ মার্চ ১৯৮৮ সালে। নির্বাচনটি বাংলাদেশের সব প্রধান এবং বড় দলগুলো বর্জন করেছিল। এই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টি ২৫১ টি আসনে জয় লাভ করে। মোট সংগৃহীত ভোট ৫২.৫%।
পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৯১ সালে। বাংলাদেশে এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা চালু হয়। তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এটি ছিল প্রথম নির্বাচন। নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক দুটি দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর নেতৃত্বে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।
এই নির্বাচনে ৩০০ আসনের বিপরীতে ৪২৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ মোট ৭৫ টি দল থেকে ২৭৮৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৪২ টি আসনে বিএনপি জয় লাভ করে। মোট সংগৃহীত ভোট ৫৫.৪%।
ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালে। এই নির্বাচনে অধিকাংশ বিরোধী দল নির্বাচনটি বর্জন করেছিল। মোট সংগ্রহের ভোট ২১%। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৩০০ আসনে জয় লাভ করে। পরবর্তীতে জুন মাসে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে সব চেয়ে ছোট সংসদীয় কাল ছিল এটি।
সপ্তম জাতীয় সংসদে নির্বাচন
সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১২ জন মানুষের ১৯৯৬ সালে। এই নির্বাচনে ৩০০ আসনের বিপরীতে ২৮১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ ৮১ টি দল থেকে ২৫৭৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত নির্বাচনে 300 আসনের মধ্যে ১৪৬ আসনে জয় লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। মোট সংগৃহীত ভোট ৭৪.৮২%।
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১ অক্টোবর ২০০১ সালে। নির্বাচনে অন্য দলের সাথে প্রধান রাজনৈতিক দুটি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অংশগ্রহণ করে।
এ নির্বাচনে ৩০০ আসনের বিপরীতে ৪৮৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৫৪ টি দল থেকে মোট ১৯৩৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এটি ছিল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বিতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জয় লাভ করে।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ সালে। হে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জনাব ফখরুদ্দিন আহমদ এর নেতৃত্বে সামরিক সরকারের অধীনে।
সামরিক সরকার ২০০৭ সালের প্রথমদিকে জরুরি অবস্থা জারি করেন জাদু হাজার আট সালের ১৬ ডিসেম্বর তুলে নেন। এই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জয় লাভ করে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালে। নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি সহ অধিকাংশ দলি ল নির্বাচন বর্জন করে। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলটি তারা বাদ দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে। এ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪ টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় লাভ করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে। উক্ত নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি সহ অন্যান্য দলের অংশগ্রহণ করে। উক্ত নির্বাচনে বিএনপি'র পক্ষ থেকে ব্যাপক ভোট চুরির অভিযোগ করা হয়।
তারপর থেকে বিএনপি সহ সমমানা দলগুলি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৫৭ টি আসনে আওয়ামীলীগ জয় লাভ করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
৭ জানুয়ারি ২০২৪, রোজ রবিবার ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় এবং সেই অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সহ সমানা দলগুলো নির্বাচন বর্জন এবং প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন শুরু করে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করেছেন।
নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে যেসব কারণে
দাদা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩। নির্বাচন বিধিমালা আর সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ না করলে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর বৈধ প্রার্থী হিসেবে গণ্য হলেও তার প্রার্থীতা বাতিল পারে।
যাচাই-বাছাই শেষ করার পর তিনি যখন প্রতিদ্বন্দিত তার জন্য উপযুক্ত হিসেবে ছাত্র পাবেন, কেবল তখনই তিনি প্রার্থী হিসেবে গণ্য হবেন। সংবিধান অনুযায়ী কোন ব্যক্তিকে নির্বাচন করার জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ১ ও ২ ধারা অনুযায়ী নির্বাচনে দাঁড়াতে হলে তার থেকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিকতা হবে এবং বয়স ২৫ বছরের বেশি হতে হবে।
নির্বাচনে প্রার্থীকে কি ধরনের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে সে বিষয়ে ২০০৮ সালে আইনের একটি গেজের প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। সে আমি পরবর্তীতে কিছু সংশোধন আনা হয় ২০১৩ ও ২০১৮ সালে।
এতে প্রার্থীর যোগ্যতা ও অযোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আদালত থেকে কোন ব্যক্তি যদি অযোগ্য বলে বিবেচিত হন, তবে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এছাড়াও কেউ যদি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিক হয় অথবা আনুগত্য স্বীকার করে তবেও তিনি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
এই গেজেটে আরো বলা আছে যে, একজন প্রার্থী কী কী করলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে সে বিষয়ে পরিস্কার করে নির্দেশনা দেয়া আছে। এর মধ্যে মনোনয়ন পত্রের সাথে জামানতের টাকা, হলফনামা ও নির্দিষ্ট সংখ্যক সমর্থক না থাকার মতো বিষয়গুলো উল্লেখ রয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হওয়া ১৮ জন সংসদ সদস্য এবার ভিন্ন প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন আওয়ামী লীগেরই মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়লেন তিন প্রতিমন্ত্রী-সহ ৭২জন এমপি
এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষনা করেন। ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে পাস করা এমপি ছিলেন এমন অন্তত ৭২ জন এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি।
এদের মধ্যে কয়েকজনকে অসুস্থতা ও বার্ধক্যজনিত কারনে বাদ দিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন না পাওয়া এমন এমপিদের মধ্যে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ৩ জন। তারা হলেন- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
এছাড়াও সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকেও দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন।
এবারের নির্বাচনে বেশ কয়েকজন সেলিব্রেটি বা তারকা অংশ গ্রহণ করছেন। এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে- চিত্রনায়ক ফেরদৌস, জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, আর এক সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, কন্ঠ শিল্পী মমতাজ বেগম।
মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হলেন য়ারা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা ১১/০১/২০২৪ তারিখ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ শাহাবুদ্দিন তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। এর ফলে পঞ্চম বারের মতো বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রী সহ আরো ২৫ জন পণ্য মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী নাম উল্লেখ করে দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া হয়েছে্।
প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন যারা
উপসংহারঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ জানুয়ারী ২০২৪। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে চায়। অন্য দিকে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়ে নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন বর্জনের ও প্রতিহতের ঘোষনা দেয়।
এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনের কৌশল হিসেবে নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে তাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা পার্মিশন দিয়েছেন। আমরা চাই সংঘাত, হানাহানি মুক্ত সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা। সবায় যেন মিলেমিশে থাকতে পারি এই কামনায় শেষ করছি, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url