কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিমান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আমি আপনি প্রায়ই কালোজিরা খেয়ে থাকি। কালোজিরার গুনাগুণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে আপনি কি জানেন ? তাহলে আজকের লেখাগুলো আপনার জন্যই। আসুন কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিমান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
এখানে আরো জানতে পারবেন- কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম এবং কোন কোন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। কালোজিরা খাওয়ার ব্যপারে রাসূল (সাঃ) কি বলেছেন।
ভূমিকা
কালোজিরাতে প্রায় একশত এর অধিক পুষ্টিগুণ ও উপকারি উপাদান রয়েছে। কালোজিরা খাদ্যাভাসের ফলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কালোজিরা ফুলের মধু ও তেল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। আয়ুর্বেদীয় ইউনানী, কবিরাজি ও লোকজ চিকিৎসায় বহুবিধ রোগের নিরাময়ক হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে কালোজিরা।
সূচীপত্র
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরার পুষ্টিমান
হাদিসে বর্ণিত কালোজিরার বহুবিদ উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কালোজিরা
কালোজিরার তেলের উপকারিতা
কালোজিরা ফুলের মধু
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরার উপকারিতা অপরিসীম। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিধন থেকে শুরু করে শরীরের কোষ ও কলার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কালোজিরা। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্যই না কালোজিরা চুল ও ত্বকের জন্যও অনেক উপকারি। প্রত্যেকের রান্নাঘরেই কালোজিরা থাকে যা খাবারকে সুবাসিত করে। আসুন আমরা আজ আশ্চর্য বীজ কালোজিরার উপকারিতা গুলো জেনে নেই।
(১) স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করেঃ এক চা-চামচ পুদিনাপাতার রস বা কমলার রস বা এক কাপ চায়ের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার সেবন করুন। এর ফলে দুশ্চিন্তা দূর হবে। এছাড়াও কালোজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
(২) মাথা ব্যথা নিরাময় করেঃ ১/২ চা-চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালোভাবে লাগান এবং এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধুসহ দিনে তিনবার করে ২/৩ সপ্তাহ সেবন করুন, উপকার পাবেন।
(৩) সর্দি দুর করেঃ এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হয়। সর্দি বসে গেলে কালিজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিন। আরো দ্রুত ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালিজিরার তেল মালিশ করুন।
(৪) বাত ব্যথা দূরীকরণঃ আক্রান্ত স্থান ধুয়ে পরিস্কার করে তাতে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমান কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এককাপ রং চায়ের সাথে প্রতিদিন ৩ বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেবন করুন।
(৫) জৈব্য শক্তি বৃদ্ধি করেঃ কালোজিরা পুরুষ-নারী উপয়ের যৌনক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কালোজিরা খাবারের সাথে খেলে পুরুষের ম্পার্ম সংখ্যা বেড়ে যায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত আছে যে, কালোজিরা যৌন ক্ষমতা বাড়ায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে।
কালোজিরার পুষ্টিমান
প্রতি গ্রাম কালোজিরা পুষ্টি উপাদান হলো-প্রোটিন ২০৮ মাইক্রোগ্রাম; ভিটামিন বি১ ১৫ মাইক্রোগ্রাম; নিয়াসিন ৫৭ মাইক্রোগ্রাম; ক্যালসিয়াম ১.৮৫ মাইক্রোগ্রাম; আয়রন ১০৫ মাইক্রোগ্রাম; ফসফরাস ৫.২৬ মিলিগ্রাম; কপার ১৮ মাইক্রোগ্রাম; জিংক ৬০ মাইক্রোগ্রাম; ফোলাসিন ৬১০ আইউ।
কালোজিরার তেলে ১০০টিরও বেশি উপযোগী উপাদান আছে। এর মধ্যে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮% শর্করা এবং ৩৫% ভেষজ তেল ও চর্বি। কালিজিরার অন্যতম উপাদানের মধ্যেআছে নাইজেলোন, থাইমোকিনোন ও স্থায়ী তেল। এতে আরো আছে আমিষ, শর্করা ও প্রয়োজনীয়ফ্যাটি এসিডসহ নানা উপাদান।
পাশাপাশি কালিজিরার তেলে আছে লিনোলিক এসিড, অলিকএসিড, ক্যালসিয়াম, টাশিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিনএ, ভিটামিন–বি, ভিতামিন-বি২, নিয়াসিন ও ভিটামিন –সি
কালোজিরার মধ্যে রয়েছে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট ছাড়াও জীবাণু নাশক ভিবিন্ন উপাদান সমূহ। এটির মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্যারোটিন ও শক্তিশালী হরমোন, পস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান, পাচক এনজাইম ও অম্ল নাশক উপাদান এবং অম্লরোগের প্রতিষেধক ।
হাদিসে বর্ণিত কালোজিরার বহুবিদ উপকারিতা
আদিকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এ জন্যই এই জিনিসটাকে অনেকে কালিহিরা বলে থাকেন। এটি শুধুই একটি মসলা বা খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির উপকরণ নয়, আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি চিকিৎসায়ও কালিজিরার ব্যবহার হয়।
কালোজিরা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে। তাই বিস্ময়কর এই জিনিসটির প্রশংসা করেছেন খোদ রাসুল (সা.)।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, কালোজিরায় সকল প্রকার রোগের প্রতিষেধক আছে, তবে ‘আস্সাম’ ব্যতীত। আর ‘আস্সা-ম’ হলো মৃত্যু। এর ‘আল হাব্বাতুস্ সাওদা’ হলো (স্থানীয় ভাষায়) ‘শূনীয’ (অর্থাৎ কালোজিরা)। (মুসলিম, হাদিস : ৫৬৫৯)
তাই যেকোনো রোগ নিরাময়ে, রোগ থেকে নিরাপদ থেকে অন্যান্য সতর্কতার পাশাপাশি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে কালোজিরা সেবন করা যেতে পারে। এ কারণেই হয়তো সাহাবায়ে কেরামগণ সব সময় সঙ্গে কালোজিরা রাখার পরামর্শ দিতেন। খালিদ ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা (যুদ্ধের অভিযানে) বের হলাম।
আমাদের সঙ্গে ছিলেন গালিব ইবনে আবজার। তিনি পথে অসুস্থ হয়ে গেলেন। এরপর আমরা মদিনায় ফিরলাম, তখনো তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে দেখাশোনা করতে আসেন ইবনে আবি আতিক। তিনি আমাদের বললেন, তোমরা কালোজিরা সঙ্গে রেখো।
এর থেকে পাঁচটি কিংবা সাতটি দানা নিয়ে পিষে ফেলবে, তারপর তন্মধ্যে জয়তুনের কয়েক ফোঁটা তেল ঢেলে দিয়ে তার নাকের এদিক-ওদিকের ছিদ্র দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে প্রবেশ করাবে। কেননা আয়েশা (রা.) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে তিনি নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, এই কালোজিরা ‘সাম’ ছাড়া সব রোগের ঔষধ। আমি বললাম, ‘সাম’ কী? তিনি বললেন মৃত্যু। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৮৭)
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কালোজিরা
বিশেষ করে শীতে নানা ধরনের অসুখ বিসুখ লেগেই থাকে। এই কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। সেক্ষেত্রে কালোজিরার তুলনা নেই। কালোজিরায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, কপার ও জিঙ্ক। এছাড়াও ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও নিয়াসিন সমৃদ্ধ কালোজিরা।
এই সমস্ত উপাদান শরীরের জন্য ভীষণ জরুরি। তবে শুধু শীত নয়, শরীর ভালো রাখতে সারা বছরই কালোজিরা খেতে পারেন। নিয়মিত খালোজিরা খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
- কালোজিরায় থাকা ক্যালসিয়াম ও আয়রন হাড় শক্ত করতে ভূমিকা পালন করে।
- কালোজিরায় থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
- কালোজিরায় উপস্থিত জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
- গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে কালোজিরা।
- লিভার ও কিডনি সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে এই কালোজিরা।
- কালোজিরা ফসফরাসের উৎস। এই উপাদানটি রক্ত জমাট বাধার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
এছাড়াও এক চা-চামচ মধুর সঙ্গে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া এই সময়ে তুলসী পাতার রসের সঙ্গে মধু ও কালোজিরা মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথা,জ্বর, সর্দি, কাশি দুর হয়।
কালোজিরার তেলের উপকারিতা
অনেকেই কিছু শারীরিক সমস্যায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করে থাকেন। এর পক্ষে গবেষকদেরও মত রয়েছে, অর্থাৎ আধুনিক বিজ্ঞানের সমর্থন আছে। এই তেল কেবল ব্রণের প্রাদুর্ভাব কমায় না, বরং উচ্চ রক্তচাপেও বেশ সহায়ক হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য চমকপ্রদ উপকার তো রয়েছেই। এখানে কালোজিরা তেলের কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হলো।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ চারটি গবেষণার একটি রিভিউ মতে, কালোজিরার তেল রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।প্রাপ্তবয়স্করা অর্ধ চা-চামচ করে দিনে ২ বার কালোজিরার তেল খাওয়াতে রক্তচাপে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখেছেন। এই তেলের উচ্চ থাইমোকুইনোন রক্তচাপ কমানোর নায়ক হতে পারে।
কোলেস্টেরল কমায়ঃ নিউবারি স্ট্রিট নিউট্রিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পুষ্টিবিদ স্কাইলার গ্রিগস বলেছেন, ‘কালোজিরার তেলে প্রচুর পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা আমাদের শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে আনেঃ কিছু গবেষণা বলছে, কালোজিরার তেল স্থূল ব্যক্তি বা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) কমাতেও সাহায্য করতে পারে। ওজন কমানোতে কালোজিরা তেলের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে- গড়ে ৪.৪ পাউন্ড বা ২.১ কিলোগ্রাম ওজন কমেছে।
চুল গজাতে সাহায্য করেঃ একটি গবেষণায় শেভ করা মাথার চার স্থানে নারকেল তেল ও কালোজিরা তেলের মিশ্রণ এবং নারকেল তেল ও অন্যান্য তেলের মিশ্রণ দেওয়া হয়েছে।দেখা গেছে, যেখানে নারকেল তেল ও কালোজিরা তেলের মিশ্রণ দেওয়া হয়েছে সেখানে চুলের ঘনত্ব অন্যান্য স্থানের তুলনায় বেশি।
ব্রণ সারায়ঃ ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে ব্রণ সারাতেও কালোজিরার তেল প্রয়োগ করতে পারেন। ব্রণের স্থানে ২০ শতাংশ কালোজিরার তেল সমৃদ্ধ ক্রিম মেখে চমকপ্রদ ফল পাওয়া গেছে।
পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে পারেঃ কিছু গবেষণা ধারণা দিচ্ছে, কালোজিরার তেল সেবন করলে অনুর্বর পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়তে পারে। একটি গবেষণায় অনুর্বর পুরুষদের একটি গ্রুপকে প্রতিদিন ২.৫ মিলি কালোজিরার তেল এবং আরেকটি গ্রুপকে প্লাসেবো দেওয়া হয়।
আড়াই মাস পর দেখা গেছে, যারা কালোজিরার তেল খেয়েছেন তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা তুলনামূলক বেড়েছে। এমনকি শুক্রাণুগুলোর গতিশীলতাও বেড়েছে।
কালোজিরা ফুলের মধু
এই শীতে মধু হচ্ছে আপনার শরীরের জন্য শ্রেষ্ঠ খাবার। জান্নাতের যেসব খাবার আল্লাহতায়ালা দুনিয়াবাসীদের জন্য পাঠিয়েছেন তার মধ্যে মধু অন্যতম। মধু আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ নেয়ামত। এতে রয়েছে অসংখ্য রোগের শেফা।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলুন আর ধর্মগ্রন্থ সব জায়গায় মধুকে দেয়া হয়েছে যথেষ্ট গুরুত্ব ও মর্যাদা। মৌমাছি নিয়ে আল কুরআনে একটি সূরাও নাজিল হয়েছে। যার নাম ‘নাহল’। সূরা মোহাম্মদে মহান আল্লাহ্ জান্নাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন “এর তলদেশে প্রবাহিত হবে মধুর প্রবাহ”
আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন সকালে মধু চেটে খাবে, তার বড় ধরনের কোন রোগ হবে না।’ (ইবনে মাজাহ : ৩৪৪১)
অন্যান্য ফুলের মধুর মতো কালোজিরা ফুলের মধুতেও ব্যাপক ঔষধি গুণাবলী রয়েছে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, ফুসফুসের যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে, যৌন দুর্বলতায়, হজম শক্তি বৃদ্ধি সহ ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে, ওজন কমাতে, এবং রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এককথায় বলা যায় অনেক গুণ সম্পন্ন এই কালোজিরার মধু।
উপসংহারঃ কালোজিরা প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত ব্যবহার হয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এর ব্যবহার থাকবে। শুধু খাবারের সাদ বাড়াতে মশলা হিসেবেই ব্যবহার হয় না। কালোজিরার বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়, যা মানব শরীরের জন্য খুব উপকারি। এতে আছে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস।
এছাড়া এতে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক কেরটিন, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান এবং অম্ল রোগের প্রতিষেধক। কালোজিরা গাছের বীজে প্রায় ১০০টি রাসায়নিক যৌগ আছে। এজন্য একে কালোহীরা বলা হয়ে থাকে। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url