অ্যাকুরিয়াম ফিসের বানিজ্যিক চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার পদ্ধতি জেনে নিন
আপনি অল্প পুজিতে, কি অল্প সময়ে অধিক টাকা উপার্জন করতে চান ? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই। অ্যাকুরিয়াম ফিসের বানিজ্যিক চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার পদ্ধতি জেনে নিন। আজকাল শহরে কিংবা গ্রামে অনেক বাড়িতে মানুষ শখের বসে, শোভা বাড়ানোর জন্য মাছের অ্যাকুরিয়াম রেখে থাকেন।
এখানে আরো জানতে পারবেন, কোন কোন প্রজাতির মাছের বেশি চাহিদা এবং দাম বেশি। রঙ্গিন মাছগুলো চাষ করার জন্য মাছের পোনা ও প্রযুক্তি কোথায় পাবেন এবং কোন প্রজাতির মাছ কোন সময় ডিম দেয় এসব বিষয়ে জানতে পারবেন।
ভূমিকা
অ্যাকুরিয়াম ফিসের বানিজ্যিক চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার পদ্ধতি জেনে নিন এবং নিজের জীবনকে বদলে ফেলুন। অনেকে শখের বসে এই মাছ অ্যাকুরিয়ামে পালতে গিয়ে ইউটিউবে বিভিন্ন মানুষের সফলতা দেখে বানিজ্যিক ভাবে চাষ করে সফল হয়েছেন। আপনিও তাদের মত একজন হতে পারেন। আর এই জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং নিজের একটি পরিচিতি গড়ে তুলুন।
সূচীপত্রঃ
অ্যাকুরিয়াম মাছের বানিজ্যিক চাষ
অল্প জায়গায় রঙ্গিন মাছ চাষের কৌশল
রঙ্গিন মাছ বিক্রির বাজার
রঙ্গিন মাছ চাষে সামান্য বিনিয়োগে বেশি লাভ
অ্যাকুরিয়াম ফিসের বিভিন্ন প্রজাতির নাম ও দাম
অ্যাকুরিয়ামে অক্সিজেন মেশিনের প্রয়োজনীতা
অ্যাকুরিয়াম মাছের বানিজ্যিক চাষ
অফিসে কিংবা বাসাবাড়িতে শোভা বৃদ্ধির জন্য আমাদের দেশের মানুষ শখের বসে অ্যাকুরিয়ামে মাছ পালন করে। তবে এই শখটি এখন নতুন এক বানিজ্যিকে প্রসারিত করেছে। অ্যাকুরিয়াম এখন শুধুই একটি শোপিস নয়, বরং এটি এখন অনেকের জন্য উপার্জনের উৎস হয়ে উঠেছে। খাওয়ার জন্য নয়, বরং পালার জন্য যে মাছ সেই মাছ চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন বাংলাদেশের চাষিরা।
ময়মনসিংহের কয়েকটি উপজেলায় হচ্ছে বাহারি জাতের এসব অ্যাকুরিয়াম মাছের পোনা উৎপাদন ও চাষ। যা বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। অ্যাকুরিয়াম ফিসের দোকান মালিকদের থেকে জানা যায় অ্যাকুরিয়াম ফিসের কদর ক্রমশ বাড়ছে। কম বয়সি ক্রেতাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
দোকানের বাইরে ময়মনসিংহ সহ অন্যান্য জায়গাতেও অ্যাকুরিয়াম ফিসের উৎপাদন শুরু হয়েছে। এরকম একটি হ্যাচারি হল আমিন হ্যাচারি এন্ড ফিসারিজ। উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম ময়মনসিংহের ত্রিশাশ উপজেলার ধলা এলাকার একজন বিশিষ্ট মাছ চাষী। অন্যান্য মাছের সাথে প্রথমে শখের বসে তিনি অ্যাকুরিয়ামের মাছ চাষ শুরু করেন।
এখন বানিজ্যিকভাবে পোনা ও মাছ উৎপাদন করছেন তিনি। সরবরাহ করছেন ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলার অ্যাকুরিয়া দোকানগুলোতে। ময়মনসিংহে তিনিই প্রথম এই ধরনের মাছের চাষ করেন। থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া থেকে পোনা এনে প্রথমে তিনি নিজে চাষ করে এর চাষপদ্ধতি আয়ত্ব করেন। এখন তিনি মাছের রেনু থেকে কোন উৎপাদন শুরু করে বিক্রি করেন।
তিনি জানান তার হ্যাচারিতে বর্তমানে দেশের অধিক প্রজাতি একুরিয়াম ফিস চাষ করে থাকেন। ঢাকার রাজশাহী বগুড়া সিলেট খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন শহরের অ্যাকুরিয়াম দোকানে এই মাছ সরবরাহ করে থাকেন তিনি। ছোট এই মাছ প্রতি পিস ১২ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত পাইকারি দামে তিনি বিক্রি করে থাকেন।
আর আকারে একটু বড় মাছগুলো প্রতি পিস দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তিনি বলেন দামি মাছের ক্রেতা হল বড় বড় রিসোর্ট এর মালিকরা। যারা রিসোর্টের শোভা বর্ধনের জন্য জলাশয়ের রঙিন মাছ রাখেন। এই রঙিন মাছ ব্যবসায় তিনি মাসে তিন থেকে চার লাখ টাকা আয় করে থাকেন।
অল্প জায়গায় রঙ্গিন মাছ চাষের কৌশল
মাছের বাড়ি। শুনতে অবাক লাগে। মাছের পুকুর শুনেছি, কিন্তু মাছের বাড়ি এ কথাটি একেবারে নতুন। ঠিক তাই। প্রায় ৫০ প্রজাতির মাছের বসবাস এমদাদুল হক এর এই বাড়িতে। গাড়ির বারান্দায় থরেথরে সাজানো একুরিয়ামে বিভিন্ন প্রজাতির রঙিন মাছ। বাড়িতে উঠানে এবং ছাদে মাছ চাষের জন্য জায়গা করা হয়েছে।
এমন মাছের বাড়ির দেখা মিলবে রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠে কাটাখালি এলাকায়। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ এখন অন্নত বিশ্বের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের চাষ শুরু হয়ে গেছে। নিজের আন্তরিকতায় এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ ব্যবস্থাকে সাজিয়েছেন নিজের বাড়িতে। অভিনব এর পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব অল্প সময়ে কম জায়গায় কম খরচে অধিক মাস উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।
তার এই সাফল্য এখন বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে এলাকার অন্যদের মাঝেও। তাই অনেকে আসছেন তার কাছে পরামর্শ এবং প্রশিক্ষণ নিতে। তার নিজের কোন প্রশিক্ষণ ছিল না অনলাইনে এবং ইউটিউব দেখে এ দক্ষতা অর্জন করেন তিনি। তিনি প্রথমে দুই ধরনের চারটি রঙিন মাছ নিয়ে চাষ শুরু করেন। এখন প্রায় ৫০ প্রজাতির রঙিন মাছ চাষ করেন বায়োফ্লক পদ্ধতিতে।
এতে উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে এবং লাভ হচ্ছে বেশি। তিনি আরো বলেন বায়োফ্লকের মাধ্যমে পুকুরের তুলনায় ৩০ গুন বেশি মাছ চাষ সম্ভব। তিনি মাত্র ১২ ফুট বাই ১৬ ফুট আয়তনের সিমেন্টের পাকা জলাধারে চাষ করছেন রঙের মাছের রেনু। খারাপ সময় কাটিয়ে নিজের মেধা আর একাগ্রতা দিয়ে এমদাদুল হক জয় করেছেন সাফল্যকে।
মিলেছে অর্থনৈতিক মুক্তি, একই সাথে হয়ে উঠেছেন আত্মবিশ্বাসী। এলাকাবাসীর কাছেও হয়ে উঠেছেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাছ চাষের অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত।
রঙ্গিন মাছ বিক্রির বাজার
একুরিয়াম ফিসের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। তাই প্রতিনিয়ত এই মাছের চাষ বাড়ছে। বর্তমানে অনেক প্রজাতির রঙ্গিন মাছ চাষ করা হচ্ছে। ঢাকা কাটাবনসহ বৃহত্তর ঢাকার অন্যান্য স্থানে, রাজশাহী, বগুড়া, সিলেট, খালনা, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহরে এই মাছ বিক্রি করা হয়। ভালো বিদেশি দামি মাছ হলে চাষ করতে পারলে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মুখ্য বিজ্ঞানী কর্মকর্তা ডঃ খলিলুর রহমান বলেন, ভারত, মালয়েশিয়া, চীন ও থাইল্যান্ড উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে এ ধরনের মাছ চাষ করে। বাংলাদেশে এখনো একুরিয়াম ফিসের বড় অংশই বিদেশ নির্ভর।
তবে দেশের বেকার যুবকদের রঙিন মাছ চাষের এই সেক্টরে আগ্রহী করা গেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যাবে। বিদেশে এ ধরনের মাছের ব্যাপক চাহিদা আছে তাই এক হাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন দার উন্মোচিত হতে পারে। যেহেতু বাংলাদেশ মাছ চাষে বিশ্বে অনেক এগিয়ে। তিনি বলেন এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ করছে।
বিদেশী মাছের পাশাপাশি দেশীয় কিছু প্রজাতির মাছ আছে যা একুরিয়ামের জন্য চাহিদা রয়েছে। তাই একুরিয়াম ফিশ হিসেবে দেশে প্রজাতির কিছু মাছের প্রজনন ও চাষ পদ্ধতি নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা।
রঙ্গিন মাছ চাষে সামান্য বিনিয়োগে বেশি লাভ
করোনার কারণে অনেকের চাকরি চলে যায় কাউরি ব্যবসা বন্ধ হয়ে বেকার হয়ে পড়ে। এবং বাড়িতে বেকার বসে থাকার কারণে বাড়িতে বসে কিভাবে অর্থ উপর্জন করা যায় সেই সব আইডিয়া খুজতে থাকেন। বিশেষ করে বেকার যুবকেরা বেশি করে বাড়িতে বসে ব্যবসার দিকে মনোনিবেশ করেন। ইউটিউব দেখে অনেকেই মাছ চাষ, ফলগাছ চাষের দিকে ঝুকেছেন।
অনেকের শখ এখন ব্যবসার জায়গা নিয়েছে। আজ এমন একটি ব্যবসার কথা বলা হচ্ছে যা সত্যিই যথেষ্ট লাভজনক। বাড়িতে বসেই এই ব্যবসা করে কয়েক হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। বাড়িতে বসে রঙ্গিন মাছ চাষ করে তা থেকে প্রতি মাসে অনেক টাকা আয় করা যায় খুব সহজে। এতে বারবার বিনিয়োগের ঝগিও নেই।
একবার অল্প কিছু টাকা বিনিয়োগ করলেই এই ব্যবসা সাফল্যের মুখ দেখা যেতে পারে। প্রথমদিকে সামান্য কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। বাড়িতে এই চাষ করতে গেলে বাগানে অথবা ছাদে চাষ করা সম্ভব। বাগানে চাষ করতে গেলে কয়েকটি পাত্র বসাতে হবে। অথবা ১০ ফুট বাই ১০ ফুট একটি চৌবাচ্চা বানিয়ে নিতে হবে।
এটি করা সম্ভব। এমন ভাবে এটি বানাতে হবে যাতে করে পানি বের করা এবং প্রবেশ করানো রাস্তা থাকে। এই ছোট চোখ বাচ্চা বানাতে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। এর জবাব চাই কিনে ছাড়ার জন্য খরচ হতে পারে সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। কেউ যদি প্রথম এই ব্যবসায় নামতে চান সে ক্ষেত্রে গাপ্পি মাছ দিয়ে শুরু করাই ভালো।
এই মাছ পাইকারি রেটে ৩ টাকা করে পাওয়া যায়। প্রথমে গাপ্পি মাছ ২০০ পিস কিনে চৌবাচ্চায় রেখে দিন। এক মাসের মধ্যে মেয়ে গাপ্পিগুলি প্রজননে সক্ষম হয়ে উঠবে। এক একটি গাপ্পি প্রায় ২০ থেকে ৪০টি মাছের জন্ম দয়ে। এদের মধ্যে ২৫% বাচলেও একমাসের মধ্যে প্রায় ৭০০ মাছ পাওয়া সম্ভব। তার পরের মাসে সেই সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়ে যাবে।
১ মাস বয়সি এক একটি গাপ্পি মাছ বিক্রি করলে প্রতিটির দাম পাওয়া যাবে ৫ টাকা করে। অর্থাৎ ২০০০ মাছ বিক্রি করলে তা থেকে ১০০০০ টাকা বাড়িতে বসে খুব সহজেই আয় করা সম্ভব। এই মাছ মশার লার্ভা খায়। এছাড়া বাজারে পাওয়া মাছের কেঁচো, ড্রাইফুট ইত্যাদিও দেওয়া যেতে পারে।
অ্যাকুরিয়াম ফিসের বিভিন্ন প্রজাতির নাম ও দাম
অ্যাকুরিয়াম ফিস অনেক প্রজাতির রয়েছে। তারমধ্যে উল্লেখ যোগ্য কিছু মাছের নাম ও দাম উল্লেখ করা হলো-
(১) কৈ কাপ এক জোড়া বড় সাইজের মাছে দাম ১৪০০ টাকা । ছোট সাইজের ১২০ টাকা জোড়া।
(২) অরেন্ডা গোল্ড ফিস এবং রেড ক্যাফ ৬ইঞ্চি সাইজের একজোড়া মাছের দাম ৯০০ টাকা। ২.৫ ইঞ্চি সাইজের হলে ১৬০ টাকা জোড়া। ২ ইঞ্চিটা ১০০ টাকা জোড়া।
(৩) কমেট সাড়ে ৪ইঞ্চি সাইজের মাছ জোড়া ৩৩০ টাকা। ছোটগুলা ২২০ এবং ১৮০ টাকা জোড়া।
(৪) কিচেন গোড়ামি সাড়ে ৪ইঞ্চি সাইজের হলে ৩৫০ টাকা জোড়া।
(৫) সিলভার সার্ক সাড়ে ৩ইঞ্চি সাইজের ৩৫০ টাকা জোড়া, একটু ছোট হলে ২২০ টাকা এবং সব চেয়ে ছোটটা ১৬০ টাকা জোড়া।
(৬) হুয়াইট মনি ও ব্লাক মনি ৮০ টাকা করে জোড়া।
(৭) হানি গোরামি ও ব্ল গোরামি ২৮০ টাকা জোড়া। ছোটটা ১২০ টাকা জোড়া।
(৮) এমবো ও এলবোনিয় সার্ক ১৮০ টাকা জোড়া।
(৯) টিম ফোয়েল বার্গ ২৫০ টাকা জোড়া।
(১০) ব্লাক মোর ১৪০ টাকা জোড়া।
(১১) এন্জেন ৮০ টাকা জোড়া। একটু বড়গুলো ১৪০ টাকা জোড়া।
(১২) প্রান হা ১৬০ টাকা জোড়া।
অ্যাকুরিয়ামে অক্সিজেন মেশিনের প্রয়োজনীতা
অক্সিজেন এর অপর নাম জীবন। এই জগতে অক্সিজেন ছাড়া কোন প্রাণি বাঁচতে পারেনা। স্বাভাবিক ভাবে পানির মধ্যে কিছু পরিমান অক্সিজেন থাকে, তবে পানির উপর ঢাকা বা চাপা দেওয়া থাকলে সেই পানিতে অক্সিজেনের পরিমান কম থাকে। পানির উপর যত বাতাস লাগবে, সেই পানিতে ততো বেশি অক্সিজেনের পরিমান বাড়বে।
পানিতে যখন মাছ ছাড়া হয় তখন সেই জলের মধ্যে থাকা অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে থাকে। মাছ জল থেকে অক্সিজেন নিলে পানিতে অক্সিজেনের পরিমান কমতে থাকে, আবার স্বাভাবিক নিয়মে বাতাস থেকে পানিতে অক্সিজেন মিশতে থাকে।
স্বাভাবিক নিয়মে সব পানিতে পরিমান মত অক্সিজেন থাকে। ব্যাঘাত তখনই ঘটে যখন পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের তুলনায় সেই পানিতে বেশি পরিমান মাছ ছাড়া হয়। পানিতে বেশি পরিমান মাছ ছাড়ার কারণে পানিতে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে প্রথমে মাছগুলি পানির উপরে ভেসে উঠে এবং অক্সিজেনের পারিমান আরো কমে গেলে মাছগুলো মুখ পানির উপরে উঠিয়ে খাপি খেতে থাকে।
এই ভাবে কিছুক্ষণ চলার পর অক্সিজেন স্বাভাবিক না হলে মাছগুলো একে একে মারতে শুরু করে। সেই কারণে প্রতিটি অ্যাকুরিয়ামে একটি করে এয়ার পাম্প মেশিন প্রয়োজন। মেশিন অনবরত অ্যাকুরিয়ামে বাতাস সরবরাহ করে অক্সিজেনের পরিমান ঠিক রাখবে এবং অ্যাকুরিয়ামের মাছগুলো আর মারা যাবে না।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় অ্যাকুরিয়াম ফিস এখন শুধু শখ নয়, এটি হতে পারে অনেকের স্বাবলম্বী হওয়ার অবলম্বন। বাহারি এ মাছের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অন লাইনে এবং বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও দেখে তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।
তাদের উৎসাহ যোগাতে সরকারি ভাবে ‘‘ন্যাশনাল এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেইজ টু এর আওতায় বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এই পোনা দেশের চাহিদা মিটিয়ে যেন বিদেশে রপ্তানি করা যায় সে জন্য উদ্যোক্তাদের লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে। তাই আসুন বেকার বসে না থেকে এখনই লেগে পড়ুন এবং হয়ে উঠুন একজন সফল উদ্যোক্তা। ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url