সুরা মুলক পাঠের ফজিলত ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন কোরআনের একটি সূরা রয়েছে যার আয়াত সংখ্যা ৩০ টি। এই সূরাটি কারো জন্য সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। এই সূরাটি হলো সূরা আল মূলক।
সুরা মুলক পাঠের ফজিলত ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত যে, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা মুলক পাঠ করবে আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন। এখানে আরো জানতে পারবেন এই সূরাটি পাঠ করলে কি উপকার পাওয়া যায়। সুরা মুলক পাঠের ফজিলত ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন এবং আমার করুন।

ভূমিকা

কোরআন তেলাওয়াত করা এমনিতেই একটি সওয়াবের কাজ । কোরআনের মধ্যে ফজিলত পূর্ণ একটি সূরা হচ্ছে আল মুলক। এটি কোরআনের ৬৭ নম্বর সূরা এবং এই সূরায় মোট ৩০টি আয়াত আছে। এছাড়া পাঠের একটা ফজিলত হচ্ছে, প্রতি রাতে যে ব্যক্তি এই সূরাটি পাঠ করবে কেয়ামতের দিন এই সূরাটি তার জন্য সুপারিশ করবেন। 

তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন এটি সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এ সোনার মধ্যে আল্লাহ তায়ালার মহত্ব, রাজত্ব এবং কর্তৃত্ব বর্ণনা দিয়ে শুরু করা হয়েছে। গ্রহণক্ষত্র ও আসমান-জমিনের সৃষ্টি রহস্য উল্লেখের মাধ্যমে তার কুদরতের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।

সুরা মুলক পাঠের ফজিলত ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
সুরা মুলক এর শানে নুযুল
সুরা মুলক এর ফজিলত কি কি?
সুরা মুলক সংক্রান্ত হাদিস
সূরা মূলক কখন পড়তে হয়
ঘুমানোর আগে কোন দোয়া পড়তে হয়
রাতে ঘুমানোর আগে করণীয়

সুরা মুলক পাঠের ফজিলত ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

সুরা মুলক অনেক ফজিলত পূর্ণ একটি সূরা। এই সূরার মধ্যে অনেক ফজিলত এবং উপকারিতা হয়েছে। এই সূরা যদি কেউ নিয়মিত প্রতিরাতে তেলাওয়াত করে তাহলে তার কবরের আজাব হবে না। হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু জাহান্নামের আযাবের কথা শুনলেও ততটা বিচলিত হতেন না যতটা বিচলিত হতেন কবরের আজাবের কথা শুনলে। 

অর্থাৎ কবর একটি ভয়াবহ জায়গা। , প্রত্যেক মৃত্যু ব্যক্তির জন্য পরবর্তী জীবনের প্রথম ধাপ হচ্ছে কবর। এই প্রথম ধাপ যে ব্যক্তি সফলতার সাথে পার হতে পারবে তিনি আশা করা যায় পরবর্তী ধাপগুলো পার হওয়ার জন্য সহজ হয়ে যাবে। আমাদের জন্ম হয়েছে অতএব আমরা মৃত্যুবরণ করবো এটাই বাস্তব সত্য। 

আমরা মরবো এটা আমরা সবাই জানি এবং মানি কিন্তু মরনের পরে আমাদের কি হবে কবরে কিভাবে প্রশ্নের উত্তর দেবো এগুলোর দিকে আমাদের তেমন কোন আগ্রহ নেই। এজন্য হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলতেন মরার আগে তুমি একবার মরে দেখো, কাউকে হিসাব দেওয়ার আগে তুমি একবার নিজের হিসাবটা করে দেখো তাহলে বুঝতে পারবে তোমার অবস্থানটা কোথায়। 

কোন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে সূরা মুলক তেলাওয়াত করে, তাহলে তার বাড়িতে শয়তান প্রবেশ করতে পারবে না এবং একজন ফেরেশতা সারারাত ধরে ওই ব্যক্তির তথা ওই ফ্যামিলির জন্য দোয়া করতে থাকবেন। যাদের এই সুরাটে মুখস্ত নাই তারা দেখে দেখে তেলাওয়াত করবেন। 

আর কেউ যদি মুখস্ত করতে চান তাহলে তিনি রুটিন মাসিক প্রতিদিন একটি করে আয়াত মুখস্ত করবেন, তাহলে তার সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে এই সূরাটি মুখস্ত হয়ে যাবে। আপনি নেকীও পেলেন, আবার মৃত্যুর পর কবরের ভয়াবহ আজাব থেকে রক্ষা পেয়ে গেলেন।

সুরা মুলক এর শানে নুযুল

এই সূরাটির প্রথম আয়াত হচ্ছে- (তাবারকাল্লাযি বিয়াদিহিরল ‍মুলক) এই আয়াতের আল মুলক শব্দটিকে সূরার নামকরণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এই সূরাটি মক্কী জীবনের প্রথম দিকে নাযিল হওয়া সুরা গলার মধ্যে একটি। এই সূরাটিতে হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে নবী হিসেবে প্রিয়রনের উদ্দেশ্য সংক্ষেপে তুলে তুলে ধরেছেন। 

ইসলামের শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য, বেপরোয়া ও অমনোযোগী লোকদের সজাগ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষের বেপরোয়া মনোভাব অমনোযোগিতা দূর করে তাকে ভেবে চিন্তে দেখতে বাধ্য করা এবং তার ঘুমন্ত বিবেককে জাগিয়ে তোলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ পৃথিবী এক সময় ছিল না। 

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা এই পৃথিবীকে সৃষ্টি করে চমৎকার সুশৃংখল, সুদৃঢ় সম্রাজ্য বানিয়েছেন মানুষের জন্য। এখানে শত চেষ্টা করেও এই পৃথিবী নির্মাণ কাজের ভুলত্রুটি কিংবা বিশৃঙ্খলার সন্ধান পাওয়া যাবে না। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা অসীম কুদরতের অধিকারী। এই পৃথিবী, গ্রহ নক্ষত্র তারই প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে পরিক্রম করছে। 

এর মধ্যে মানুষকে উদ্দেশ্যহীনভাবে সৃষ্টি করা হয়নি। এখানে মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার শুধুমাত্র সৎ আমল দ্বারা এ পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করা সম্ভব। এই সমস্ত নানা উদ্দেশ্য নিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা সূরা মুলক নাযিল করেন।

সুরা মুলক এর ফজিলত কি কি?

সূরা মুলক একটি ফজিলত পূর্ণ সূরা। এ সূরার মধ্যে অনেক ফজিলত রয়েছে। যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা মুলক পাঠ করবে, কেয়ামতের দিন সুরা মুল্ক ঐ ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে এবং তাকে কবরের আজাব থেকে হেফাজত করবে। এটি সহি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। 

হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এক ব্যক্তিকে বলেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি হাদিস শোনাবো, যা শুনে তুমি অনেক খুশি হবে। উত্তর তিনি বললেন, হ্যাঁ শোনান। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তুমি নিজে সূরা পড়ো এবং পরিবার ও প্রতিবেশীকে উহার শিক্ষা দাও। কারণ ইহা মুক্তি দানকারী ও ঝগড়াকারি। 

মৃত্যুর পর কবরের আজাব থেকে বাঁচিয়ে রাখবে এবং কেয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে ঝগড়া করে উপহার তেলাওয়াতকারীকে জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা করবে। রাসূল সাঃ বলেছেন, আমার একান্ত কাম্য যে, এই সূরাটি আমার প্রত্যেক উম্মতের অন্তরে গেঁথে (মুখস্ত) থাকুক। (ইবনে কাসির)

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, কোরআন মাজিদের ৩০ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা রয়েছে, যা তার তেলাওয়াতকারীকে ক্ষমা করে দেওয়ার আগ পর্যন্ত তার জন্য সুপারিশ করতেই থাকবে। এই সূরাটি হলো- (তাবারকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক) । 

অর্থাৎ সূরা মুলক। (তিরমিজি আবু দাউদ ইবনে মাজাহ)। হযরত ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেছেন, তোমরা সূরা মুল্ক শিখে নাও এবং নিজের স্ত্রী সন্তানদের শেখাও। কারণ এটা কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবে এবং কেয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে তেলাওয়াত কারীর পক্ষে সুপারিশ সুপারিশ করে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করবে।

সুরা মুলক সংক্রান্ত হাদিস

রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন, সূরা মূলক তেলাওয়াত না করে ঘুমাতে যেও না (তিরমিজি)। হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণনা করেন রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন, আলিফ লাম মিম তানজিল ও তাবারাকাল্লাযি না পড়ে কখনো ঘুমাতে যেওনা। 

উল্লেখ্য যে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম সূরা মুলক না পড়ে ঘুমাতে যেতেন না মর্মে বর্ণনার উপর ভিত্তি করেই বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও ইসলামী চিন্তাবিদগনের মতে, এশার নামাজের পর সুরা মুলকের তেলাওয়াতের আমল করার কথা বলেছেন। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূরা মূল সম্পর্কে বলেছেন যে আমি চাই আমার উম্মতের প্রতিটা হৃদয়ে এই সুরাটি গাঁথা থাক। রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন এটা এমন একটি সূরা যা তার পাঠকারীকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবে। 

রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম আরো বলেছেন যে বা যারা প্রতি রাতে সূরা মুলক তেলাওয়াত করবে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য একদল ফেরেশতা নিয়োজিত করে রাখবেন, যারা তার মাগফেরাত কামানোর জন্য এবং তার সর্বপ্রকার বালা মুশকিল থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করবেন। 

হযরত হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেছেন, তোমরা মুখ শেখো এবং তোমাদের স্ত্রী সন্তান, পরিবার বর্গকেও শেখাও এবং এর উপর আমল করার তাগিদ দাও, কেননা সুরা মুলক কেয়ামতের দিন তার পাঠকের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে।

সূরা মূলক কখন পড়তে হয়

যেকোনো সময় সুরা মুলক তেলাওয়াত করা যায়। দিনে রাতে সকাল বিকাল যে কোন সময় এটি তেলাওয়াত করা যায়। এটা তেলাওয়াত অনেক ফজিলতপূর্ণ। রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম সূরা মুলক তেলাওয়াত না করে ঘুমাতে যেতেন না। এই কথার উপর ভিত্তি করে ওলামায়ে কেরামগণ এশার নামাজের পর তেলাওয়াতের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। 

এ কথা থেকে এটাই প্রতি আমার হয় যে, ঘুমানোর পূর্বে ছোরা মুলক তেলাওয়াত করা উত্তম একটি আমল। তবে দিনরাত চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে যেকোনো সময় ছড়ানোর তেলাওয়াত করলে উক্ত হাদিসের উপর আমল হয়ে যায়। রাসুল সাঃ রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতেন এবং শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে গেছেন। 

কোন কারণে কেউ যদি রাতে তেলাওয়াত করতে না পারেন তবে দিনে যে কোন সময় এ সূরাটি পাঠ করলে একই রকম ফজিলত পাওয়া যায়। 

অনেকেই ঘুমানোর পূর্বে দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহার করে থাকেন, সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ইউটিউব বিভিন্ন সাইডে বিচরণ করে থাকেন, সেখান থেকে পাঁচ মিনিট সময় বের করে মোবাইল থেকে সূরা মুলক পড়ে নিতে পারেন এবং রাতের বেলা দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

ঘুমানোর আগে কোন দোয়া পড়তে হয়

হযরত হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম রাতের বেলায় নিজ বিছানায় শোয়ার (ঘুমানোর আগে) সময় নিজ হাত গালের নিচে রাখতেন। অতঃপর বলতেন- আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া। অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।

আর যখন (ঘুম থেকে) জাগ্রত হতেন, তখন বলতেন- আলহামদুলিল্লা হিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুসুর। অর্থঃ সব প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য, যিনি মৃত্যুর পর আমাদের জীবন দান করেছেন এবং তার দিকেই আমাদের পুনরুত্থান। 

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বিশ্বের সকল মুমিন উম্মাহকে বিশ্ব নবীর ঘুমানোর ছোট আমলটি নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করার তৌফিক দান করুন, আমীন ।

রাতে ঘুমানোর আগে করণীয়
ঘুমানোর প্রয়োজনে প্রস্তুতি নেওয়া
শোয়ার স্থান বা বিছানা পরিষ্কার করে ঝেড়ে নেওয়া
এশার পরে অপ্রয়োজনে রাত্রে জাগরণ না করা
ঘুমানোর আগে আয়তাল কুরসি তেলাওয়াত করা।

মানার আগের সূরা ইখলাস, সূরা নাস ও ফালাক পড়ে হাতে ফু দিয়ে গোটা শরীর মাসেহ করা।
মুমিনের প্রতিটি কাজে এবাদত। ঘুমও এর ব্যতিক্রম নয়। যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহ এবং রাসুলের নির্দেশিত দিকনির্দেশনা মোতাবেক সকল কাজ করে এবং ঘুমায় সবই ইবাদতের মধ্যে গণ্য হবে। 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এশার নামাজের পর গভীর রাত পর্যন্ত গল্প গুজব করে সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর তাগিদ দিয়েছেন। তাই রাতের বেলা অহেতুক কাজ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, কোন বিনোদন উপভোগে সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া উচিত। রাতে একাকী ঘরে ঘুমানো উচিত নয়। অনুরূপ খোলা ছাদে ঘুমানো যাবে না। 

ঘরের দরজা বন্ধ রেখে ঘুমাতে যাবেন এবং সন্ধ্যেবেলা ছোট বাচ্চাদের ঘরের মধ্যে রাখ ুন বাইরে বের করবেন না কারণে সময় জেনে না ছড়িয়ে পড়ে এবং বাচ্চাদের পাকড়াও করে। এই নির্দেশগুলি মেনে চললে যেমন নিরাপদে থাকা যায় তেমনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর আদেশ মেনে তার সুন্নত আদায়ের সভা পাওয়া যায়।

শেষ কথাঃ সূরা মুলক তেলাওয়াতের ফজিলত অপরিসীম। রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম সূরা মুলক এবং সেজদাহ তেলাওয়াত না করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না। সূরা মূলক দিনে রাতে সব সময় পড়া যায়। আর এটা তেলাওয়াত করলেই সব এবং ফজিলত পাওয়া যায়। তাই আমাদের নিয়মিত এই সূরা তেলাওয়াতের অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। 

যে ব্যক্তি ছাড়া মল্ক নিয়মিত তেলাওয়াত করবে মৃত্যুর পর তিনি কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাবেন। কেয়ামতের দিন এই সূরা তেলাওয়াতকারীর পক্ষে সুপারিশ করতে থাকবে যতক্ষণ না ক্ষমা করা হবে। তাই আসন নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পাশাপাশি এবং অন্যান্য আমল সহ সুরা মুলক তেলাওয়াতের অভ্যাস গড়ে তুলি। 

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুরা মুলকের আমল ধৈর্য সহকারে নিয়মিত করার তৌফিক দান করুন। আমীন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪