গুগল কনটেন্ট পলিসি, এডভান্স আর্টিকেল পরম্যাটিং টেকনিকগুলো জানুন
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি ভালো আছেন। আজ আমরা জানব গুগলে কন্টেন লেখার সময় কোন কোন নিয়ম নীতি মেনে কন্টেন্ট লিখতে হয়। আসুন তাহলে গুগল কনটেন্ট পলিসি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। মনে রাখতে হবে কাউরি সম্পর্কে সামান্য কিছু জেনে বিরুপ মন্তব্য করা যাবে না।
এখানে জানতে পারবেন বিপদজনক এবং একটিভিটি, কাউকে ঘৃণাত্মক মনোভাব বা ভুল/ মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে কাউকে ছোট করা যাবে না। যৌন নিপীড়নমূলক অনুমতি ছাড়া অন্যের ছবি পাবলিশ করা যাবে না। রক্তপাত হিংসাত্মক আন্দোলনকে উস্কানিমূলক কোনো আর্টিকেল লেখা যাবে না।
ভূমিকা
আর্টিকেল রাইটারদের সব সময় কিছু বিষয় মাথায় রেখে আর্টিকেল প্রস্তুত করতে হবে। নিজের ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ/ডেভেলপ করার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত দুই তিনটি করে কনটেন্ট লিখে পাবলিশ করতে হয়।
এই কন্টেন্ট দেখার ক্ষেত্রে গুগল কনটেন্ট পলিসি মেনে লিখতে হবে। তা না হলে google রেংকিংয়ে রাগ করানো সুবিধা হবে। নিম্নে গুগল কনটেন্ট পলিসি, এডভান্স আর্টিকেল পরম্যাটিং টেকনিকগুলো জানুন বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে।
গুগল কনটেন্ট পলিসি, এডভান্স আর্টিকেল পরম্যাটিং টেকনিকগুলো জানুন
কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট রাইটিং
রাইটিং টপিক
কন্টেন্ট রাইটিং কি
কন্টেন্ট ফরম্যাটিং কত প্রকার
গুগল কনটেন্ট পলিসি, এডভান্স আর্টিকেল পরম্যাটিং টেকনিকগুলো জানুন
গুগলের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে ব্লগারদের জন্য কিছু নিয়মকানুন বা নীতিমালা তৈরি করে দিয়েছে সেত নীতিমালা বা নিয়ম কানুনই হচ্ছে গুগল কন্টেন্ট পলিসি। সেই নীতিমালা গুলো কি কি তা আমরা জানার চেষ্টা করব।
গুগল সব সময় ব্লগারদের নিজস্ব সৃষ্টি, কল্পনা, সৃজনশীল কর্ম, বৈজ্ঞানিক আলোচনা বাস্তবে যার মিল আছে এরকম আলোচনা পছন্দ করে থাকে। ইউজার বা সাধারণ ব্যবহারকারী এইসব কন্টেন্ট বা আর্টিকেল পরে যেন উপকৃত হতে পারে সে দিকটা খেয়াল রেখে এই কন্টেন্ট প্রস্তুত করতে হবে।
মনে রাখতে হবে কোনক্রমেই যেন সাধারণ কোন মানুষ আপনার এই আর্টিকেল পড়ে প্রতারিত না হয়। অর্থাৎ একজন ব্লগার যা লিখবেন তার বাস্তবতা থাকতে হবে এবং মিল থাকতে হবে। রক্তপাত বা যৌন নিপীড়ন, বা কোন জাতি গোষ্ঠীকে উস্কানিমূলক কোন নেতিবাচক আর্টিকেল লেখা যাবে না।
আর্টিকেল শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য লিখতে হবে। সেক্ষেত্রে পাঠকগণ কে একটি সতর্কবার্তা দিতে পারেন যাতে করে পাঠকগণ বুঝতে পারে যে উক্ত কনটেন্টটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। এখানে রক্তপাত, কাটাকাটি এ সমস্ত ছবিগুলো দেখানো যাবে না।
কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায়
অনলাইনে ইনকাম করার সহজ একটি উপায় হল কন্টেন্ট রাইটিং। এই কনটেন্ট রাইটিং এর চাহিদা বর্তমানে অনেক। কন্টেন রাইটিং হলো কোন বিষয় নিয়ে লেখা। কন্টাইন লিখতে হলে প্রথমে আপনাকে কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। এবং এর পাশাপাশি কিছু ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে। যেগুলো লিখে মানুষ সার্চ করে।
আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে বিশাল। বিভিন্ন রকম কন্টেন্ট রাইটিং রয়েছে- যেগুলার মধ্যে- ব্লগ রাইটিং, ইমেইল রাইটিং, কপিরাইটিং, এড এন্ড প্রোমো রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট রাইটিং, টেকনিক্যাল রাইটিং, এবং স্ক্রিপ্ট রাইটিং।
আর্টিকেল লেখার সময় পাঠকের চাহিদার দিকে খেয়াল রাখুন। প্রচুর গবেষণা ও রিসার্চ করুন। আর নিয়মিত লিখতে থাকুন। লেখার সময় বাক্যের সঠিক প্রয়োগ, শব্দ ভান্ডার এর ব্যবহার, ব্যাকরণ ও সঠিক শব্দ প্রয়োগে সচেতনতা অবলম্বন করুন।
ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট রাইটিং
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতে যতগুলো আয়ের উপায় আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ফ্রিল্যান্সিং কনটেন্ট রাইটিং। অনলাইনে লেখালেখির মাধ্যমে মার্কেট থেকে উপার্জন করা টাই ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট রাইটিং। আমরা যখন কোন কিছু লিখে গুগলে সার্চ করি তখন গুগল আমাদের সামনে সেই তথ্যগুলো উপস্থাপন করে।
এখন মনে হতে পারে গুগল এ তথ্যগুলো কোত্থেকে আমাদের সামনে হাজির করল। গুগলের আসলে এ তথ্যগুলো লিখে আমাদের কাছে উপস্থাপন করার জন্য কোন লোক নিয়োগ করা নেই। আমার আপনার মত আর্টিকেল বা কনটেন্ট রাইটার রায় এ তথ্যগুলো গুগলের কাছে লিখে পাবলিশ করে।
সেখান থেকে ইউজারদের চাহিদা অনুযায়ী সে তথ্যগুলো সরবরাহ করে থাকে তাদের রোবটের মাধ্যমে। কেউ তো আর এমনি এমনি এ তথ্যগুলো সরবরাহ করবে না এর জন্য গুগল এই লেখার ভেতরে অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে এবং সে টাকা থেকে আর্টিকেল রাইটারদের কে অর্থ প্রদান করে থাকে।
এইভাবে আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করাকে ফ্রিল্যান্সিং কনটেন্ট রাইটিং বলে।
রাইটিং টপিক
কন্টেন্ট রাইটিং এর কয়েকটি নিয়ম বা টিপস নিচে উল্লেখ করা হলো-
১। কন্টেনের উদ্দেশ্য ঠিক করুনঃ উদ্দেশ্য ছাড়া কোন কাজ ভালো হয় না বা সফল হয় না। আপনার উদ্দেশ্য যদি ভালো না হয় তাহলে সেটা ভালো গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। তাই কনটেন্ট লেখার আগে আপনাকে ঠিক করতে হবে ইউজার আপনার কাছ থেকে কি জানতে পারবেন।
নির্দিষ্ট কোন বিষয়বস্তু সামনে রেখে কন্টেন্ট প্রস্তুত করুন। উদ্দেশ্য বলে এমন হতে পারে- ইউজার কোন ব্যাপারে আগ্রহ বেশি। ইউজারের কোন সমস্যার সমাধান করা যায়। ইউজারদের নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করা।
২। কনটেন্ট এর বিষয় সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুনঃ আপনি যে বিষয়ে কন্টেন্ট লিখছেন সে বিষয়ে ভালো এবং সঠিক ধারণা থাকলে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন। অল্প কিছু জানার পর সে বিষয়ে অন্যদেরকে বিস্তারিত ভাবে জানানো যায় না।
সে ক্ষেত্রে আপনি কনটেন্টের বিষয়বস্তু ডকুমেন্ট আকারে সাজিয়ে নিতে পারেন। অন্য কারো তথ্য নিয়ে সেখানে কপি পেস্ট করতে পারেন তবে সে ক্ষেত্রে সূত্রটা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
৩। কাদের জন্য কনটেন্ট লিখছেন সে বিষয়টি মাথায় রাখুনঃ যাদের জন্য লিখছেন তারা যেন পড়ে সে বিষয়টি বোঝে কাজে লাগাতে পারে এটা মাথায় রাখুন। তাদের পছন্দ-অপছন্দ প্রয়োজন আচরণ সবকিছু সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করুন।
কন্টেন্ট রাইটিং কি
একটা সময় ছিল যখন লেখালেখি করে ইনকাম করার উপায় বলতে শুধুমাত্র বই লিখে প্রকাশ করার মাধ্যম কে বোঝানো হতো। সেই বইগুলি গল্প, উপন্যাস, কবিতা, অথবা জীবন কাহিনী এবং ইসলামী বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হ্তো । সে লেখাগুলিয়ে ব আকারে ছাপানোর জন্য একজন প্রকাশক ছাপাখানার মাধ্যমে প্রকাশ করতেন।
কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল যুগে বই প্রকাশ না করে অনলাইনে ছোট ছোট কন্টেন্ট লিখেও আয় করা যায়। এই কন্টেন্ট লেখার কাজে ইস্কুল কলেজে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রী, কর্মজীবী নারী-পুরুষ কনটেন্ট রাইটার হতে পারেন।
কন্টেন্ট ফরম্যাটিং কত প্রকার
ভালো একজন আর্টিকেল রাইটার হওয়ার জন্য লেখার স্টাইল এবং ফরমেটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখন লিখবেন লেখার ভাষা হবে সহজ এবং বোধগম্য। আপনার লেখাটি পড়ে যেন পাঠক সহজে বুঝতে পারে।
উপযুক্ত স্টাইল ব্যবহার করাঃ আর্টিকেল বা কনটেন্ট রাইটার হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই উপযুক্ত স্টাইল ব্যবহার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি মুসলমানের জন্য জার্নালিস্টিক স্টাইল ব্যবহার করতে পারেন।
সুসংবদ্ধ খাওয়াঃ ভালো আর্টিকেল রাইটার হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল আপনার পাঠকদের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য উপস্থাপন করা। যেন কোন তথ্য বাধা না পড়ে বা কোন তথ্য খোঁজার জন্য অন্য কাউকে কনটেন্ট পড়ার প্রয়োজনীয়তা না পড়ে।
সঠিক লেখার ফরমেট ব্যবহার করাঃ একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হওয়ার জন্য আপনাকে সঠিক লেখার ফরমেট ব্যবহার করতে হবে যাতে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখা যায়।
লেখার শিরোনামঃ লেখার শিরোনাম খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর মাধ্যমে পাঠককে লেখা পড়ার প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি করা যায়। আর কোন কিছুতে আকর্ষণ না থাকলে কোন পাঠকই সেটা পড়তে চাই না। তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ভাষা ও বানানঃ আপনার কনটেন্ট লেখার ভাষা হবে সহজ এবং বোধগম্য। শুদ্ধ বানান যেন পাঠক পরে বিরক্তিবোধ না হয়। আনন্দ সহকারে অনেকক্ষণ পড়া চালিয়ে যেতে পারে। আপনাকে সবসময় সঠিক তথ্য দিতে হবে যেন পাঠক পড়ে প্রতারিত না হয়।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় একজন ভালো মানের আর্টিকেল রাইটার হতে হলে আপনাকে আমাকে অবশ্যই ধৈর্য সহকারে গবেষণা করে আর্টিকেল লিখতে হবে। বানান শুদ্ধ করে সহজ ভাষায় সুন্দর ফর মিটিং করে ইউজারদের কাছে উপস্থাপন করতে হবে।
মনে রাখবেন কোন সময় ভুল তথ্য বা মিথ্যা কথা, মিথ্যা কোন তথ্য দিয়ে আর্টিকেল উপস্থাপন করা যাবে না। উস্কানিমূলক কোন লেখা রক্তাক্ত কোন ছবি বা মারামারির কোন দৃশ্য অথবা কাউকে ছোট করে কোন পোস্ট লেখা যাবে না। লেখাগুলো পড়ে ভাল লাগলে শেয়ার করে দেবেন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url