ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় জানুন

আপনি কি আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত। আপনি যদি কনটেন্ট নির্মাতা হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কনটেন্ট মনিটাইজ করুন এবং একাধিক উপায়ে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করুন। ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ তৈরি করুন, ফেসবুক মার্কেটপ্লে জিনিস বিক্রি করুন, ফেসবুক ইভেন্ট এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করুন।
ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় জানুন
এমনিতেই ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। । ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় জানুন। আপনি এটা জেনে খুশি হবেন যে এখন একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেও অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। মানে ফেসবুক থেকে ইনকাম করাটাও এখন সম্ভব।

ভূমিকা
আমরা সবাই জানি, বিশ্বের সব থেকে বড় সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ফেসবুক। এই ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফেসবুকে আমরা নিজের একটা একাউন্ট বানিয়ে দিনের পর দিন অন্যের স্ট্যাটাস দেখার মাধ্যমে সময় নষ্ট করি, চ্যাটিং করি। ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায় এটা কি জানেন ?  এসব কিছু জানতে নিচের লেখাটি পড়ুন।

ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় জানুন
ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়
ফেসবুকে কত ভিউ এ কত টাকা
ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়
ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম
ফেসবুকে লেখালেখি করে আয়

ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় জানুন

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই, আপনারা কি ঘরে বসে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে চান ? ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন? চিন্তা কিসের, লেখাগুলি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

ফেসবুক হলো বিশ্বের সকল সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইট। আমরা প্রতিদিন চ্যাটিং করি, এবং অন্যের পোস্টগুলো পড়ে থাকি। আপনিও চাইলে সে কাজগুলো করে ইনকামের একটি পথ বের করতে পারেন।
এক নজরে দেখুন ইনকামের পথগুলি

ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম
ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করুন
এফিলেট মার্কেটিং করে আয় করুন
সরাসরি লোকাল প্রোডাক্ট বিজ্ঞাপনের দ্বারা আয় করুন

ফেসবুক পেজ বিক্রি করে আয় করুন
ফেসবুক গ্রুপ দ্বারা ইনকাম করুন
ফ্রিল্যান্সিং করে ফেসবুকে আয় করুন
ফেসবুক একাউন্ট তদারকি করে আয় করুন

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়

ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। তবে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন বা অ্যাড দেখানো হবে। এবং এই অ্যাড থেকে আপনার যা ইনকাম হবে সে ইনকাম কমপক্ষে ১০০ ডলার হলে আপনার একাউন্টে পাঠানো হবে।

প্রথমে আমরা  এসব জেনে নেই-
আপনার ফেসবুক পেজে কমপক্ষে ১০০০০ ফলোয়ার থাকতে হবে। শেষ ৬০ দিনে আপনার ফেসবুক পেজের ভিডিওতে কমপক্ষে 6 লক্ষ ভিউ থাকতে হবে এবং প্রত্যেকটা ভিউ কমপক্ষে এক মিনিটের হতে হবে। তাছাড়া প্রত্যেকটা ভিডিও কমপক্ষে তিন মিনিটের লম্বা হতে হবে। 

কারণ তিন মিনিটের চেয়ে ছোট ভিডিওতে ফেসবুক বিজ্ঞাপন দেখায় না। পেজে কমপক্ষে পাঁচটি এক্টিভ ভিডিও থাকতে হবে। আপনার বয়স অবশ্যই কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। ফেসবুর এর পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি মেনে ভিডিও তৈরি করতে হবে। 

এ সকল শর্ত পূরণ করার পর আপনার পেইজে মনিটাইজেশন সেটআপ অপশন পাবেন এবং সেখানে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ আরো অন্যান্য তথ্য জমা দিতে হবে। আশা করি শর্তগুলো বুঝতে পেরেছেন।

ফেসবুকে কত ভিউ এ কত টাকা

হয়তো আপনি জানেন যে youtube এর মত ফেসবুক ভিডিও প্ল্যাটফর্ম গুলো আর বিশ্বজুড়ে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিশেষ করে মানুষ সময় কাটানোর জন্য ফেসবুকে ভিডিও (ফানি ভিডিও, নাচ, গান, সিনেমা নাটক) ইত্যাদি দেখে। আর যত বেশি ভিডিও শেয়ার করা হবে, তত বেশি ভিডিও ভিউ পাবে। যত বেশি ভেও তত বেশি টাকা আয় করবেন। 

তবে এর জন্য আপনাকে ফেসবুক পেজে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং পেজ মনিটাইজেশন চালু করতে হবে। মনে রাখবেন আপনি যদি ফেসবুক আইডিতে ভিডিও আপলোড করেন তবে আপনি যত ভিউ পান না কেন কোন টাকা হবে না। 

আসলে এই ভিডিওগুলি পেজে আপলোড করা হয় এবং বিজ্ঞাপন বিরতির মাধ্যমে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করে facebook। ফাটাফাটি ১ লক্ষ ভিউ হলে ১০০ ডলার ইনকাম হতে পারে। গুগল এডসেন্স থেকে যে বিজ্ঞাপন গুলো দেওয়া হয় সে বিজ্ঞাপন গুলোতে ক্লিক করলে বেশি ইনকাম আসে। কিন্তু কেউ যদি সে বিজ্ঞাপনে ক্লিক না করে তবে ইনকামটা কম আসবে।

ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম

Youtube এবং facebook তাদের প্ল্যাটফর্মে আর্টিকেল ক্রিয়েটরদের উৎসাহিত করতে মনিটাইজেশন চালু করেছেন। এর মধ্যে ক্রিকেটাররা তাদের shorts ও রিলস থেকে টাকা আয় করতে পারেন। চীনা প্রতিষ্ঠান টিকটক ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন পর তাদের পথ অনুসরণ করে ইউটিউব। 

নিজের প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীদের ধরে রাখতে ছোট ছোট ভিডিও নিয়ে ইউটিউব চালু করে শর্টস। ফেসবুকও পিছিয়ে থাকতে নারাজ। ছোট ছোট ভিডিও নিয়ে তাই তাদের আয়োজন রিলস। সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে মানুষের ব্যস্ততা আর সেই কারণেই বাড়ছে ছোট আকারের ভিডিওর জনপ্রিয়তাও। 

টাকা ইনকামের সুযোগ থাকায় ফেসবুক ও ইউটিউবে নিয়মিতভাবে প্রচুর কনটেন্ট ক্রিকেটার আসছেন এবং প্রচুর ভিডিও তৈরি করছেন এসব প্লাটফর্মের জন্য। রিলস ক্রিয়েটরদের নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের ভিডিওতে মনিটাইজ করার সুযোগ দিচ্ছে ফেসবুক। স্বাভাবিকভাবে অনেক ক্রিয়টার ভিডিও প্রকাশ করতে শুরু করেন এবং অর্থ আয় করতে থাকেন। 

কিছুদিন আগ পর্যন্ত ফেসবুক রিলস থেকে টাকা ইনকাম করার একমাত্র উপায় ছিল রিলস বোনাস প্রোগ্রাম। ফেসবুক তাদের ভিডিও ক্রিয়েটরদের উৎসাহিত করতে এই বোনাস প্রোগ্রাম চালু করে। ভিডিও ভিউ, এনগেজমেন্টস, শেয়ার সহ কয়েকটি ক্ষেত্রে ফেসবুকের বেধে দেওয়া টার্গেট পূরণের মাধ্যমে রিলস ক্রিয়েটররা এই বানাস পেতেন। 

ফেসবুকে সাধারণত ভিডিও ও রিলস ভিডিওর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভিডিওর দৈর্ঘ্য। হতে হবে সর্বোচ্চ ৯০ সেকেন্ড এবং ভিডিও হতে হবে আর্টিকেল। রিলস মনিটাইজেশন করতে প্রোফাইল মোডের আইডিতে অন্তত ৫ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে।

পাঁচটি ইউনিক ভিডিও থাকতে হবে, যা আপনি প্রথম আপলোড করেছেন অন্য কেউ নয় এবং লাস্ট দুই মাস বাসার দিনে ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম থাকতে হবে অর্থাৎ ভিডিও দেখার সময় কাল হবে ৬০ হাজার মিনিট। অন্যের ভিডিও নিয়ে কপি করে মনিটাইজেশন করতে পারবেন না। 

এসব শর্ত পূরণ হওয়ার পরে মনিটাইজেশন করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার আবেদন একবার অনুমোদন হয়ে গেলে রিসল থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়

ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করা খুব যে কঠিন তা কিন্তু নয়। সঠিকভাবে পেজ খুলে যে কোন একটি বিষয় নির্বাচন করে প্রতিদিন অথবা সপ্তাহে দুই তিনটা মানসম্পন্ন ভিডিও আপলোড করুন। কপি করা থেকে বিরত থাকুন। এভাবে চালিয়ে যান এবং নিয়মিত আপনার ভিডিওর মান উন্নত করুন। দেখুন আপনার ফলোয়ার কথা হয়েছে। 

ফেসবুক মূলত 10000 ফলোয়ার এবং গত দুই মাসে ৬ লক্ষ ভিউ অর্থাৎ ৬ লক্ষ মিনিট সময় পূর্ণ করতে পারলেই আয় করার অপশন বা মনিটাইজেশন অন করে দেয়। এটা পেয়ে গেলে আপনি মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং এরপর আপনার প্রতিটি ভিডিওতে ডলার আসা শুরু হবে। 

ডলার লোকাল ব্যাংকে আনার জন্য pay out সেট করে নিতে হবে। তারপর ফেসবুক প্রতি মাসের আয় আপনার লোকাল ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেবে। কত টাকা ইনকাম হবে এটা নির্ভর করবে আপনার ফলোয়ার এবং ভিউয়ের উপর

ফেসবুকে লেখালেখি করে আয়

আপনি চাইলে ফেসবুকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বা তাদের পণ্যের রিভিউ আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। একে সাধারণত স্পন্সর আর্টিকেল বলা হয়। 

এছাড়াও বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে আপনার লেখাতে তাদের এফিলেট লিংক ব্যবহার করে এফিলেট পার্টনারের পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে একটা নির্দিষ্ট অংকের কমিশন গ্রহণ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

আপনি যদি একজন আর্টিকেল রাইটার হন অথবা আপনার যদি আর্টিকেল লেখা সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন। অথবা আপনার যদি গল্প কিংবা নাটক বা শর্ট ফিল্মের স্ক্রিপ লেখার দক্ষতা থাকে সেক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে বিভিন্ন এজেন্সিতে কাজ করতে পারেন। 

এছাড়াও বর্তমানে ফেসবুকে এফ কমার্স বিজনেস অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক এফ কমার্স প্রতিষ্ঠানের বর্তমানে প্রোডাক্ট লিস্ট তৈরি করা বা প্রোডাক্ট এর ডেসক্রিপশন সাজানোর জন্য রাইটার রাইটার খুজছেন। 

উপসংহারঃ মূল কথা হচ্ছে ফেসবুকে আপনি কোন ভিডিও আপলোড করলেই অথবা কোন কিছু লিখলেই অথবা কোন ছবি পোস্ট করলেই যে আপনি টাকা পেয়ে যাবেন তখন তো নয়। 

সবকিছু হতে হবে ফেসবুকের যে শর্ত আছে সেই শর্ত মেনে, আপনার ভিডিও প্রচুর ভিউ হলে, তবে ফেসবুক করতে করতে আপনার ভিডিওর শুরুতে ভিডিওর মধ্যে ভিডিওর শেষে অ্যাড দেখানোর অনুমতি দেবে, সেই একবার দর্শনের মাধ্যমে মূলত টাকা ইনকাম হয়। 

আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। আমার লেখাটি ভালো লাগলে অন্যদের পড়তে উৎসাহিত করুন। এবং শেয়ার করে দিন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪